মাধ্যমিকে নতুন শিক্ষাক্রমের বিস্তরণ ও মেন্টরিং বিষয়ক ৩ দিনের প্রশিক্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নতুন শিক্ষাক্রমের বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং বিষয়ক তিনদিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত প্রশিক্ষণ ৫ ধাপে হবে। ১৮-২০ মার্চ প্রথম ধাপের প্রশিক্ষণ হবে।
শনিবার (৯মার্চ) মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) স্কিম পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজ আলী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এসব তথ্য জানা যায়।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে আছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন `Dissemination of New Curriculum` স্কিমের আওতায় মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের (সাধারণ/মাদ্রাসা/কারিগরি) `নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং` বিষয়ক ০৩ (তিন) দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আগামী ১৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রি. হতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নিম্নোক্ত সময়সূচি অনুযায়ী নির্ধারিত ভেন্যুতে প্রশিক্ষক হিসেবে সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী শিক্ষক/ কর্মকর্তাগণকে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
প্রশিক্ষণ আয়োজনের ক্ষেত্রে নিচের নির্দেশনাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে:
ক. জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কোর্স পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জেলা শিক্ষা অফিসের ডিটিসি বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং প্রশিক্ষণ ভেন্যুর প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে প্রশিক্ষণ ভেন্যুর প্রধান যদি প্রশিক্ষণে থাকেন, তবে তিনি কোর্স সমন্বয়ক হতে পারবেন না। এক্ষেত্রে, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমতিক্রমে তার মনোনীত শিক্ষক/ কর্মকর্তা কোর্স সমন্বয়ক হতে পারবেন।
খ. প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজনের জন্য ভেন্যু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই পর্যাপ্ত কক্ষ, প্রশিক্ষণ সুবিধা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত আলো বাতাসের সুবিধা সংবলিত প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে।
গ. বাইরের জেলা থেকে আগত ট্রেইনারগণের ও পরিদর্শনকারীগণের জন্য জেলা সার্কিট হাউজে থাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষে, একই মানের এবং নিরাপত্তা সংবলিত জেলা পরিষদের ডাকবাংলো কিংবা অন্য কোনো রাষ্ট্রীয় রেস্ট হাউসে থাকার ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। ঢাকা থেকে আগত পরিদর্শনকারীগণের সরকারি যাতায়াত সুবিধা প্রদান করতে হবে।
ঘ. প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সদর উপজেলা ব্যতীত অন্য উপজেলার প্রশিক্ষক এবং প্রশিক্ষণার্থীদের, বিশেষত নারীদের নিরাপদ আবাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
ঙ. প্রশিক্ষণ পরিচালনার ক্ষেত্রে ঠিক যে পরিমাণ বাজেটের প্রয়োজন, সেই পরিমাণ অর্থ আইবাস থেকে উত্তোলন করবেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলনকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
চ. প্রতিদিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সকাল ৯:০০- বিকাল ৩:৩০ টা পর্যন্ত চলবে। দুপুরের নামাজ ও বিশ্রামের বিরতি ২০ (বিশ) মিনিট এবং ৫ মিনিট করে দুই দফায় মোট ১০ মিনিটের বিরতি থাকবে।
ছ. পবিত্র রমজান মাসে প্রশিক্ষণটি চলমান হওয়াতে প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণার্থী, আয়োজক ও পরিদর্শনকারীগণের দুপুরের খাবার
(লাঞ্চ) ও নাস্তা বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারি বিধি অনুসরনপূর্বক নগদ প্রদান করতে হবে।
জ. ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে রোজা রাখতে পারছেন না, কিংবা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর কোনো প্রশিক্ষণার্থী থাকলে তাঁকে নিজ দায়িত্বে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করার বিষয়টি প্রশিক্ষণে আসার আগেই জানিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ শেষে দুপুরের খাবার বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থ প্রশিক্ষণ ভাতার সাথে তিনি পারেন, সেটিও অবহিত করতে হবে।
ঝ. প্রশিক্ষণার্থীগণের ভ্রমণ ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের বিগত ১৪/০৭/২০২২ তারিখের ০৭.০০.০০০০.১৭৩.৩৪.০০৭.১৫ (অংশ-২)-৭৮নং স্মারকের নির্ধারিত হার অনুসরণ করতে হবে।
এ. প্রশিক্ষণ সামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রে, সরকারি ক্রয় বিধিমালা (পিপিএ-২০০৬ ও পিপিআর-২০০৮) এবং একক বাজেট পদ্ধতির আওতাভুক্ত কর্মসূচির জন্য অর্থ বিভাগ কর্তৃক জারীকৃত "আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ" এ উল্লিখিত আর্থিক সীমা অনুসরণ করতে হবে। ট. প্রশিক্ষণার্থীগণকে অবহিতকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহে প্রেরিত অফিস আদেশের অনুলিপি স্কিম বাস্তবায়ন ইউনিট এ প্রেরণ করবেন। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের পূর্বশর্ত হিসেবে সকল প্রশিক্ষণার্থীকে বাধ্যতামূলকভাবে মুক্তপাঠ অনলাইন পোর্টাল হতে 'নতুন শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১' বিষয়ক অনলাইন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণপূর্বক অনলাইনে ডাউনলোডকৃত সনদপত্র সাথে আনার নির্দেশনা দিতে হবে। একইসাথে, প্রশিক্ষণার্থীগণের অফিস আদেশে প্রশিক্ষণার্থীগণকে আসার পূর্বে ৮ম ও ৯ম শ্রেণির যেকোনো একটি বিষয়ের পাঠ্যবই ও শিক্ষক নির্দেশিকা এবং মূল্যায়ন নির্দেশিকা অবশ্যই সাথে নিয়ে আসার নির্দেশনা দিতে হবে।
১. প্রশিক্ষণ বাবদ প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীগণের বিধি মোতাবেক প্রাপ্য সকল ভাতা ও সম্মানী তাদের নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্টে ই.এফ.টি. এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে। এজন্যে, প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীর নিজ নামে নূন্যতম ১৩ (তেরো) ডিজিটের সক্রিয় ব্যাংক একাউন্ট ও রাউটিং নম্বর প্রয়োজন হবে। উক্ত ভাতা ও সম্মানীর অর্থ প্রেরণপূর্বক সকল ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে ০৫ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকৃত ইএফটি রিপোর্ট স্কিম বাস্তবায়ন ইউনিটে প্রেরণ করবেন।
ড. স্কিম কর্তৃক নির্ধারিত সংশ্লিষ্ট ব্যয় কেন্দ্রের সকল ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে, ০২ (দুই) কর্মদিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রশিক্ষণার্থীদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী (নারী, পুরুষ, মাউশি, মাদ্রাসা, কারিগরি) সংখ্যার তথ্য পূরণপূর্বক প্রয়োজনীয় তথ্যাদি গুগল ফর্মের মাধ্যমে (https://forms.gle/w6MuF9fdFTGGgskP6] স্কিম বাস্তবায়ন ইউনিটে প্রেরণ করবেন।
ড. স্কিম কর্তৃক নির্ধারিত সংশ্লিষ্ট ব্যয় কেন্দ্রের সকল ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে, ০২ (দুই) কর্মদিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনকৃত প্রশিক্ষণার্থীদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী (নারী, পুরুষ, মাউশি, মাদ্রাসা, কারিগরি) সংখ্যার তথ্য পূরণপূর্বক প্রয়োজনীয় তথ্যাদি গুগল ফর্মের মাধ্যমে (https://forms.gle/w6MuF9fdFTGGgskP6) স্কিম বাস্তবায়ন ইউনিটে প্রেরণ করবেন।
ঢ. খাতওয়ারী উক্ত প্রশিক্ষনের বিবরণীর সারসংক্ষেপ স্কিম প্রেরিত নমুনা ফরম্যাট অনুযায়ী প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশিক্ষণ সমাপ্তির (সকল ব্যাচ) ০৬ (ছয়) কর্মদিবসের মধ্যে স্কিম থেকে নির্দেশিত গুগল ফর্মের মাধ্যমে প্রেরণ করবেন (বায় বিবরণী সংক্রান্ত গুগল ফরম যথাসময়ে ই-মেইলে প্রেরণ করা হবে)। সকল প্রশিক্ষণার্থীর হাজিরা শিট। সম্মানী শিট যাতায়াত ভাতা/আবাসন ভাতাসহ সকল বিল ভাউচার, টপশীট, এজি অফিসের সমন্বয় প্রতিবেদন এবং খাতওয়ারী ব্যয় বিবরণীর সারসংক্ষেপসহ একসেট ফটোকপি সরকারি রেজিস্টার্ড ডাকে স্কিম বাস্তবায়ন ইউনিট এ প্রেরণ করবেন। উল্লেখ্য, এই ডকুমেন্টগুলো জেলা শিক্ষা অফিসে অডিটসহ ভবিষ্যৎ প্রয়োজনে সংরক্ষণ করতে হবে।
ণ, সংশ্লিষ্ট ব্যয় কেন্দ্রের সকল ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে যদি অব্যয়িত অর্থ থেকে যায়, তা ০৬ (ছয়) কর্ম দিবসের মধ্যেই সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করে সমন্বয়পূর্বক হিসাবরক্ষণ অফিসের সমন্বয় প্রতিবেদনসহ নির্দেশনাটি উল্লিখিত ডকুমেন্টের সাথেই জমা দিতে হবে।
ত. স্কিম কর্তৃক পরিচালিত প্রশিক্ষণসমূহের অভ্যন্তরীণ অডিট করা হবে। এ লক্ষ্যে, ব্যয় কেন্দ্রগুলোকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় ডকুমেন্ট স্কিম প্রেরিত অডিট কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে।
গ. প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে স্পষ্টীকরণের প্রয়োজন হলে স্কিম বাস্তবায়ন ইউনিটে অথবা নিম্ন স্বাক্ষরকারীর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য যে, উক্ত প্রশিক্ষণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তর, এনসিটিবি, এসইডিপি ও ডিসেমিনেশন অব নিউ কারিকুলাম স্কিম ব্যতিত কোনো পরিদর্শন আদেশ বিবেচনা করা যাবেনা। আঞ্চলিক পরিচালক ও আঞ্চলিক উপ-পরিচালকগণের (মাধ্যমিক) অফিস আদেশ সমন্বয়ের সুবিধার্থে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক কেন্দ্রীয়ভাবে করা হবে।
এমতাবস্থায়, প্রেরিত বাজেট অনুযায়ী প্রশিক্ষণ পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে এই আদেশ জারি করা হলো।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৯/০৩/২০২৪