ভিকারুননিসায় অভিযুক্তরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে
নিউজ ডেস্ক।।
নিয়োগে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে। অথচ এ অনিয়মে অভিযুক্তরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় ‘অভিযুক্তরা’ এখন অভিযোগকারীদের দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
চলতি বছর এপ্রিলে ভিকারুননিসায় নিয়োগে অনিয়মের প্রমাণ পায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিপ্তরের যৌথ তদন্ত কমিটি। এই তদন্ত কমিটি প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ কমিটিকে দায়ী করে।
ঐ নিয়োগ কমিটির সদস্যদের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন সংস্থাটির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবীর চৌধুরী। বাকি চার সদস্য হলেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌসী বেগম, প্রতিষ্ঠানটির বিদায়ি পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদার, অভিভাবক প্রতিনিধি আতাউর রহমান ও মুজিবুর রহমান হাওলাদার। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় মুজিবুর রহমান হাওলাদার দেশের বাইরে ছিলেন বলে তিনি দাবি করেছেন।
এই অনিয়মের কারণে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই নিয়োগ কমিটির পাঁচ জন সদস্য যাতে কোনো স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকতে না পারেন, সেই বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মাউশির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ পদ। নিয়োগ সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এই পদের ভূমিকা রয়েছে। একটি বেসরকারি স্কুলে নিয়োগে অনিয়ম করে কীভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তি পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) পদে থাকেন এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতিরি সদস্যরাও।
এছাড়া অনিয়মে যুক্ত থাকার পরও ফেরদৌসী বেগম ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে কীভাবে দায়িত্ব পালন করেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিদায়ি কমিটির গোলাম আশরাফ তালুকদার, অভিভাবক প্রতিনিধি আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার মন্ত্রণালয়ের নেই। তবে তারা যদি ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে এসে ভূমিকা না রাখতে পারে, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় সতর্ক থাকতে পারে।