বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ক্রিয়া-প্রক্রিয়া
মো: সরোয়ার উদ্দিন।।
খুব শিগগিরই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’ (এনটিআরসিএ)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ বছরের মধ্যেই শূন্যপদের বিপরীতে ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগদান সম্পন্ন করতে চায় সরকার। এরই মধ্যে এই বিজ্ঞপ্তি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে এনটিআরসিএ। এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএর সচিব ড. এ টি এম মাহবুব-উল করিম জানিয়েছেন, আশা করা যাচ্ছে- চলতি বছরের মধ্যেই এই ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কাজটি শেষ করা হবে। এ প্রেক্ষাপটে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার নানা ক্রিয়া-প্রক্রিয়া ও গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে জানা কিছু বিষয় ও ব্যক্তিগত সংশ্লিষ্টতার কিছু বিষয় পাঠক সাধারণকে জানানোর মানসেই আজকের এই লেখা।
১৯৯৬ সালে বিসিএস সম্পন্ন করে ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে ময়মনসিংহের গফরগাঁও কলেজে যোগ দিই। যোগ দেয়ার কয়েক দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আতাউর রহমান স্যারের সাথে দেখা করতে যাই। তখন উনি বললেন, ‘চাকরি তো হলো, এবার পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হও’। পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য এমফিল অথবা দু’টি প্রকাশনা থাকতে হয়। কথা প্রসঙ্গে স্যার আরো জানান, তার স্ত্রী রেখা পারভিন ঢাকার একাধিক বেসরকারি কলেজের প্রভাষক পদের জন্য আবেদন করে ব্যাংক ড্রাফট জমা দেয়ার পরও তাকে ডাকে না। অথচ গোপনে শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে এসব কলেজ। তাই স্যার পরামর্শ দেন, শিক্ষক নিয়োগে নানা অনিয়মের বিষয়ে গবেষণা করে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করতে পারো।’
সেই সূত্রেই এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে থকি এবং আতাউর রহমান স্যারের সাথে যৌথভাবে ‘বেসরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ : একটি পর্যালোচনা’ শিরোনামে সুদীর্ঘ একটি গবেষণা প্রবন্ধ লিখি, যা ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা’ ৬৯তম সংখ্যায় ছাপা হয় ২০০১ সালে। এই প্রবন্ধে আমরা শিক্ষক নিয়োগের একটি আধুনিক মডেল উপস্থাপন করি। কার্যত এই মডেলের ৯৫ শতাংশ অনুসরণ করেই ২০০৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’ (এনটিআরসিএ) সংক্রান্ত আইন পাস করা হয়। এ আইনে এই মডেলের প্রায় সবই ব্যবহার করা হয়েছে বলে তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সালেহ অভিমত এবং আমাকে এ ব্যাপারে লিখিত সনদ দেন। অন্য দিকে ২০০৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বেসরকারি কলেজগুলোতে স্বচ্ছ, যোগ্য ও আদর্শবান শিক্ষক নিয়োগে আমাদের প্রস্তাবিত মডেলে উল্লিখিত পদক্ষেপ এবং এনটিআরসিতে গৃহীত পদক্ষেপগুলোর তুলনা বিষয়ে একটি সেমিনার আয়োজিত হয়। এ সেমিনারটি আয়োজন করেন মাউশির পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক আবুল কাসেম মিয়া।
২০১৪ সালের ২৪ জুলাই নয়া দিগন্তে ‘শিক্ষা : জীবন ও জীবিকা’ শীর্ষক একটি লেখায় এনটিআরসিএর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও সমস্যাবলি তুলে ধরার পর শিক্ষামন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে পিএসসি গঠনের ঘোষণা দেন। কিন্তু সে পিএসসি আজো গঠিত হয়নি। এমনি এক প্রেক্ষাপটে ২০১৪ সালের অক্টোবরে তৎকালীন শিক্ষাসচিব এন আই খান বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা হারাচ্ছে পরিচালনা কমিটি। এর পাঁচ দিন পর প্রধানমন্ত্রী শিক্ষক নিয়োগে আলাদা কমিশন গঠনের তাগিদ দিলেন।
২০১৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা-২০০৬’ সংশোধন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- এক, সরকারি অনুমোদন ও আর্থিক সহায়তাপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইবতেদায়ি মাদরাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কলেজের জন্য মেধাভিত্তিক উপযুক্ত শিক্ষক সিলেকশনের লক্ষ্যে ‘বেসরকারি শিক্ষক সিলকেশন কমিশন’ (এনটিএসসি) গঠন করা হবে।
দুই, ‘পৃথক বেসরকারি শিক্ষক সিলেকশন কমিশন গঠন করার পর এনটিআরসি বিলুপ্ত করা হবে।’ এর আলোকে ১৩ শ’ থেকে বর্তমান ১৬ শ’ বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। এতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির পথ বন্ধ হয়। এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ধন্যবাদ পাওয়ার দাবি রাখে।
সবিশেষ উখ্যে, প্রথম থেকে দ্বাদশ নিবন্ধন সনদধারীদের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে প্রবেশের কোনো বয়সসীমা এনটিআরসিএ উল্লেখ করেনি। ফলে বয়সসীমাকে পুঁজি করে সনদধারীদের নিয়োগে বাঁধ সাধে এনটিআরসিএ। এমনি প্রেক্ষাপটে ১৬৬ জন সনদধারী ২০১৬ সালে ৯ অক্টোবর আদালতে রিট আবেদন করেন। পরের বছরের ১৪ ডিসেম্বর আদালত সাত দফা বিভক্ত রায় দেন।
এই রায়ের চতুর্থ দফায় বলা হয়েছে- ‘সর্বশেষ নিয়োগদানের পর প্রতি বছর সম্মিলিত মেধা তালিকা হালনাগাদ করতে এনটিআরসিএকে নির্দেশ দেয়া হলো।’ এর সরল অর্থ হচ্ছে- প্রতি বছর যতবারই নিয়োগদান সম্পন্ন করা হোক, নিয়োগদানের পরপরই জাতীয় সম্মিলিত মেধা তালিকা প্রতি বছরই হালনাগাদ করতে হবে; অর্থাৎ যারা নিয়োগ পাবেন, তাদের বাদ দিয়ে নতুন হালনাগাদ মেধা তালিকা তৈরি করবে এনটিআরসিএ।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, আদালতের এ রায় এনটিআরসিএ যথাযথভাবে মেনে চলেনি। উদাহরণত, নিবন্ধন সনদধারী শরিফুল ইসলামকে (নবম এনটিআরসিএ পরীক্ষা ২০১৩, রোল-৩১৮১১৩২১, রেজি নম্বর- ২০১৩৯৩৭৪২৯) এবং (ঐচ্ছিক-ক্রীড়া বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর-৮১) ২০১৬ সালের প্রথম গণনিয়োগে ঢাকার উত্তর কাফরুল হাই স্কুলে ক্রীড়া শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয় এনটিআরসিএ।
আবারো ২০২১ সালে তৃতীয় গণনিয়োগে এই শরিফুল ইসলামকে কুষ্টিয়ার আমলা হাই স্কুলে নিয়োগ দিয়েছে এনটিআরসিএ। তিনি ২০২১ সালের গণবিজ্ঞপ্তির ১৮ নম্বর দফায় উল্লিখিত এবং ই-অ্যাপ্লিকেশন ফরমে পছন্দসম্পর্কিত শর্তে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা সদরপুর হাই স্কুলের নিয়োগ পাওয়ার আবেদন করেন। এনটিআরসিএ সে মোতাবেক তার আবেদন গ্রহণ করে আমলা হাই স্কুলে দ্বিতীয়বার নতুন নিয়োগ দেয়। আদালতের রায় মোতাবেক প্রথম নিয়োগ পাওয়ার পর শরিফুল ইসলামের নাম পরবর্তী হালনাগাদ তালিকা থেকে বাদ পড়ার কথা ছিল। কিন্তু কার্যত তা হয়নি। তা ছাড়া মেধাবী প্রার্থীরা নিয়োগ পাওয়ার পরও বারবার এভাবে আবেদন করার সুযোগ পেলে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ হারিয়ে ফেলবেন, যা নৈতিক দিক থেকেও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তা ছাড়া আদালতের রায়ের ৫ নম্বর দফার শেষ দিকে বলা আছে- নিয়োগের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা বোর্ড নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষাপটে তাদের নিকটতম স্কুলে বদলি বা শিক্ষক অদলবদলের অনুমোদন দিতে পারে। শরিফুল ইসলামের ক্ষেত্রে নতুন নিয়োগ না দিয়ে তাকে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বদলির সুযোগ দিতে পারত শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা বোর্ড। তা হলে তার ক্ষেত্রে আদালতের রায় লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। শুধু শরিফুল ইসলামের ব্যাপারটি এখানে উল্লেখ করা হলেও এমনি আরো কয়েকটি ঘটনার কথা জানা গেছে।
অনেকেরই অভিমত, প্রথম থেকে দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগে নিবন্ধন সনদধারীদের সম্মিলিত জাতীয় মেধা তালিকার ভিত্তিতে প্রথম গণনিয়োগের পর হালনাগাদ করা দ্বিতীয় সম্মিলিত জাতীয় মেধা তালিকা; দ্বিতীয় গণনিয়োগের পর হালনাগাদ করা তৃতীয় সম্মিলিত মেধা তালিকা, এভাবে সর্বশেষ গণনিয়োগ পর্যন্ত হালনাগাদ মেধা তালিকা প্রকাশ করলে নিয়ম-অনিয়মের চিত্রটি সম্যক উপলব্ধি করা যেত। তাই তা প্রকাশ করার প্রয়োজন রয়েছে।
এ দিকে চলতি বছরে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির ১৩ নম্বর দফায় সনদধারীদের সব প্রতিষ্ঠানে আবেদন করার ক্ষেত্রে পছন্দের কথা উল্লেখ করতে বলায় এবং এ ছাড়াও সনদধারীদের ই-অ্যাপ্লিকেশন ফরমে পছন্দের বিভাগ, জেলা-উপজেলার অধীন প্রতিটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শূন্য পদে ইচ্ছা অনুযায়ী আবেদন করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় এনটিআরসিএ। এই তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি ও ই-অ্যাপ্লিকেশন ফরম ছিল এনটিআরসিএর প্রতারণার ‘মহাফাঁদ’। এই ফাঁদে পড়ে বেশির ভাগ সনদধারী শুধু একটি শূন্য পদে নিয়োগ পাওয়ার প্রত্যাশায় আবেদন করেন অসংখ্য সনদধারী। উদাহরণত, সনদধারী মরিয়ম খাতুন স্কুলের সহকারী ভ‚গোল শিক্ষক পদে ১০২টি ও মহিলাদের সংরক্ষিত সমাজবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৪০২টি পদে এবং কলেজের প্রভাষক পদে ৪৫টি- মোট ৫৪৯টি আবেদন করেন। কিন্তু সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের খবরে জানা যায়, এনটিআরসিএ সূত্র মতে- আট হাজার ৪৬৮টি সাধারণ শূন্য পদে এবং মহিলা কোটায় ৬৭৭টি পদে কোনো প্রার্থী পাওয়া যায়নি। এ ক্ষেত্রে ১৫ হাজার ২২৫টি পদের সংখ্যা উল্লেখ করলেও এসব শূন্য পদের নাম (স্কুলশিক্ষক ও কলেজের প্রভাষক) উল্লেখ করেনি এনটিআরসিএ। কৌশলে তা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। কারণ আবেদন দাখিলের প্রমাণ হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসএমএসের প্রিন্টকপি আছে সব আবেদনকারীর কাছে। আবেদনকারীরা যাতে এ ব্যাপার কোনো চ্যালেঞ্জ করতে না পারেন, সে জন্যই এমনটি করা হয়েছে।
এ দিকে আদালতের ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বরের রায়ের তৃতীয় দফায় স্পষ্ট বলা আছে- বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য একটিমাত্র সমন্বিত জাতীয় মেধা তালিকা হবে এবং এই মেধা তালিকা থেকেই নিয়োগ দিতে হবে। ওই মেধা তালিকায় জেলা-উপজেলা বা বিভাগ গণ্য করা যাবে না। কিন্তু আদালতের রায়ের পর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভাগ, জেলা-উপজেলা পছন্দের সুযোগ দিয়ে আদালতের রায় উপেক্ষা করা হয়েছে এবং এর ফলে একজন সনদধারীর কাছ থেকে, মরিয়ম খাতুনের মতো আরো অনেকের কাছ থেকে একাকী আবেদন গ্রহণ ও আলাদা আলাদা ফি গ্রহণ কার্র্যত প্রতারণারই নামান্তর। ফলে এ ধরনের আবেদনকারীর কাছ থেকে প্রতিটি আবেদনের বিপরীতে আলাদা আবেদন ফি নেয়াও অবৈধ বলে বিবেচিত হতে পারে।
আবার সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সনদধারীদের অনেককেই নন-এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। এটি তাদের জন্য বঞ্চনার একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। কারণ তারা ভবিষ্যতে কোনো এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বদলি হওয়ার সুযোগ পাবেন কি না, সে বিষয়ে কিছুই বলেনি এনটিআরসিএ।
এ দিকে সরকার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে দক্ষ লোক নিয়োগ দানের জন্য পিএসসির আদলে এনটিআরসিএ সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সুপার, সহকারী সুুপার ও অফিস সহকারী- এ সাতটি পদে নিয়োগ এনটিআরসিএর বাইরে স্থানীয় পরিচালনা পরিষদের হাতে রাখায় এসব পদে দক্ষ লোক নিয়োগ যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি ‘নিয়োগবাণিজ্য’ চলার পথটি উন্মুক্ত রাখা হয়েছে । এসব পদে নিয়োগ অবিলম্বে এনটিআরসিএর অধীনে নেয়া প্রয়োজন এবং তা না করার পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে না বলেই সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করে।
লেখক : গবেষক ও কলেজ শিক্ষক