বিশুদ্ধ পানি সংকটে শিক্ষার্থীরা
নিউজ ডেস্ক।।
বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানের পানির ট্যাঙ্ক নিয়মিত পরিস্কার না করা ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা না থাকায় এ সমস্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, বিশুদ্ধ পানি পান না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পানিবাহিত বিভিন্ন রোগসহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানকে বলা হবে বিশুদ্ধ পানির ট্যাংক স্থাপন করতে। প্রয়োজনে অর্থ দপ্তর থেকে অর্থ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে এ ব্যবস্থা করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ভবনের পানির ট্যাঙ্ক নিয়মিত পরিস্কার না করায় ময়লা-আবর্জনা জমে অপরিচ্ছন্ন হয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের অবহেলায় দীর্ঘদিন পরিস্কার না করায় এমন ময়লা জমে ট্যাঙ্কে। অনেক সময় পানির সঙ্গে ময়লা ও পোকামাকড় বের হয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী রবিউল হক বলেন, অনেক দিন পরিস্কার না করায় সরাসরি ট্যাঙ্কের পানি থেকে ময়লা বেরিয়ে আসে। বাধ্য হয়ে এ পানিই পান করতে হয়।
ক্যাম্পাসে মূল ভবন ছাড়া কোথাও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের। পাহাড়ি ক্যাম্পাস হওয়ায় প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণা লাগলেও পানি পান করতে পারেন না শিক্ষার্থীরা। অনেক সময় বাইরে থেকে পানি কিনে খেতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানির খুব অভাব। কিছু বিভাগের উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তাদের অনুরোধ, প্রশাসনের উদ্যোগে যেন বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়। শিক্ষার্থী উমর ফারুক বলেন, ক্যাম্পাসে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা না থাকায় বাইরে থেকে পানি কিনে খেতে হয়। ভবনের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হলে আমাদের অনেক সুবিধা হতো।
মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. একেএম হেলাল মোর্শেদ বলেন, অনিরাপদ পানি পান করার ফলে শিক্ষার্থীদের ডায়রিয়া, টাইফয়েড, বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের মেডিকেল সেন্টারেও এমন সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা আসে। বিশুদ্ধ পানি পান করলে এ সমস্যা থাকবে না বলে মনে করেন এ চিকিৎসক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান বলেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিয়ম করে পানির ট্যাঙ্ক পরিস্কার করে থাকে। তার পরও কোনো জায়গা থেকে অভিযোগ করা হলে তাৎক্ষণিক ট্যাঙ্ক পরিস্কারের ব্যবস্থা করা হয়।