বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই চবির দুই সহকারী প্রক্টরের স্ত্রীকে নিয়োগ
চট্টগ্রামঃ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুটি পদে নিয়োগ পেয়েছেন দুজন সহকারী প্রক্টরের স্ত্রী। তাদেরকে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সহকারী প্রক্টর ড. আহসানুল হক কবির পলাশের স্ত্রী শারমিন জাহানকে এবং বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরে রিসার্চ ফেলোর (পালি, সংস্কৃত) শূন্য পদে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়ার স্ত্রী অভিকে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে ইস্যু করা এক অফিস আদেশে অভি বড়ুয়াকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) সৈয়দ মনোয়ার আলী। একইদিন শারমিন জাহান ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
এর আগে গত ২৬ জুলাই সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবির পলাশের শ্যালক ইয়াসির আরাফাত হিসাব নিয়ামক শাখায় দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োগ পান।
দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োগে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ইউজিসি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুমতি ছাড়া অ্যাডহক, দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ও মাস্টাররোলে নিয়োগ না দেওয়ার নির্দেশনা দেয়।
এ বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলতে পারি সিন্ডিকেট সভায়। কিন্তু উপাচার্য সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করছেন না। আমরা নির্বাচিত হওয়ার পাঁচ মাসে মাত্র একবার সিন্ডিকেট সভায় বসতে পেরেছি।’
চবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) নাসিমা পারভীন শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে বলেন, নিয়োগের জন্য কোনো বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় নাই। আমাদের দীর্ঘদিনের একটা ডিমান্ড ছিল। নিয়োগদাতা প্রশাসন, আমি নই, মাইন্ড ইট। নিয়োগটা খন্ডকালীন দেয়া হয়েছে। যেটা যেভাবেই নিয়োগ হোক না কেন আমি শিক্ষক চেয়েছি, আমি পেয়েছি, আমি হ্যাপি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কেএম নুর আহমদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি।
‘অনিয়ম’ নিয়ে কথা বলে বিপাকে বিভাগ সভাপতি অভি বড়ুয়া এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পালি বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। আবেদনপত্রে তিনি এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম বলে উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটি আবেদনপত্র যাচাইয়ের পর দেখে, তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হননি। তাই পরিকল্পনা কমিটি তথ্য গোপন ও ভুল তথ্য দেওয়াকে ‘জালিয়াতি’ উল্লেখ করে আবেদনপত্রটি বাতিল করে।
এরপরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে প্রভাষক পদে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রবেশপত্র দেয়। শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড তাকে নিয়োগের জন্য এক নম্বরে সুপারিশও করে। পরে সিন্ডিকেটের ৫৪৪ তম সভায় নির্বাচনী বোর্ডের এই সুপারিশও বাতিল করা হয়।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/০৯/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়