প্রিজাইডিং অফিসার ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালীঃ জেলার কলাপাড়ায় লালুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে মনোনয়ন নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার সিপিপি কর্মকর্তা মো. আছাদ উজ্জামান খান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবনী কুমার রায়ের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদা দাবির অভিযোগে ওসি, কলাপাড়াকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মাহবুব মিয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে উপজেলার লালুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শান্তি ফকির আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে নালিশি মামলা করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ৪ মার্চ ২০২৩ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা মোতাবেক ২১ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৯ জন সদস্য নির্বাচিত হয়। যাদের মধ্যে ৭ জন নির্বাচিত সদস্য বাদীকে সভাপতি পদে মনোনয়নের জন্য সম্মতিপত্র প্রিজাইডিং অফিসার বরাবর প্রদান করেন। কিন্তু এরপরও অভিযুক্তরা বাদীর নিকট দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং দাবি করা চাঁদার টাকা না পেয়ে অন্য একজনকে জালিয়াতির মাধ্যমে সভাপতি করে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে রেজুলেশন প্রেরণ করেন।
তবে প্রতারণা ও চাঁদা দাবির এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রিজাইডিং অফিসার সিপিপি কর্মকর্তা মো. আছাদ উজ্জামান খান ও প্রধান শিক্ষক অবনী কুমার রায়।
এদিকে এ ঘটনায় বাদী শান্তি ফকির একইদিন কলাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশালের চেয়ারম্যান, পরিদর্শকসহ ৪ জনকে বিবাদী করে দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৩৯ আদেশের ১ রুল ১৫১ ধারার বিধান মতে কমিটির সভাপতি মনোনয়ন কার্যক্রম স্থগিতের প্রার্থনা করেন। বাদী পক্ষের নিযুক্ত কৌঁসুলি শুনানি শেষে আদালত বোর্ড চেয়ারম্যান ও পরিদর্শককে শোকজ করেন। দেওয়ানী আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/৩১/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়