প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ২ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে বাধাগ্রস্ত শিক্ষার সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি
অনলাইন ডেস্ক।।
বাংলাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার দায়িত্বভার দুটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ভাগ করা হয়েছে, যা পাঠ্যক্রম, শিক্ষক, শিক্ষার গুণগত মান ও অন্যান্য মানদণ্ডগুলির ক্ষেত্রে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গিকে বাধাগ্রস্থ করছে। গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০২২ এমনটি জানিয়েছে। বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়গুলো দেখে থাকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আর মাধ্যমিক শিক্ষার দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়র হাতে।
দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, ইরান, পাকিস্তান, ভুটান, এবং শ্রীলঙ্কার ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন তৈরিতে ব্র্যাক, ইউনেস্কোসহ ৯টি প্রতিষ্ঠান যুক্ত ছিল। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্ম বিশ্বাস ভিত্তিক স্কুলগুলোর ব্যবস্থাপনা অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক কর্তৃপক্ষকে অর্পন করা হয় যা শিশু সুরক্ষা এবং পাঠ্যক্রমের মতো বিষয়গুলোতে চ্যালেঞ্জের জন্ম দেয়। যেমন- শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক স্কুল ব্যবস্থা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে মোট শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ শতাংশ পরিবার বহন করে। ভারতে শীর্ষ ২০ শতাংশ পরিবার সরকারি, বেসরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এবং অনুদানবিহীন সব রকম স্কুলে প্রায় চারগুণ বেশি ব্যয় করে। ২০১৭/১৮ সালে পরিবারগুলো সরকারি স্কুলের তুলনায় বেসরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এবং অনুদানবিহীন স্কুলে পাঁচগুণ বেশি ব্যয় করে।
এবারের গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্টে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পরিবার ঋণ করে বেসরকারি পলিটেকনিকে পড়াশোনার খরচ মেটায়। ভুটান, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণকারীদেরকে স্বল্প সুদে ঋণের জন্য সরকারি শিক্ষার্থী ঋণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বৃদ্ধি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফির ওপর করারোপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। ফলস্বরূপ কিছু সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়েছিল। তবে বেসরকারি পরিষেবা প্রদানকারীরা ফির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
এই প্রতিবেদনের জন্য করা একটি জরিপে দেখা যায়, ভারতের এক হাজার ৫০টি কম ফি নেওয়া বেসরকারি স্কুলের মধ্যে এক হাজারটি স্কুল শুধুমাত্র ফির উপর নির্ভর করে চলে।