প্রাথমিকে নিয়োগ:লিখিত পরীক্ষায় ৫ লাখে পাস, মৌখিকে এসে ধরা
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আটক পরীক্ষার্থীর হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন অন্য পরীক্ষার্থী। তবে এদিন অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় মূল পরীক্ষার্থীই অংশ নেন। ভাইভা বোর্ডে তার হাতের লেখা মিলিয়ে দেখার সময় লেখার সাথে পরীক্ষায় লেখার মিল না থাকায় সন্দেহ হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু রায়হান দোলন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মিল্টন বিশ্বাসের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রক্সির কথা স্বীকার করেন।
আটক পরীক্ষার্থী পেকুয়া উপজেলার মানিক নামে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে ৫ লাখ টাকায় চুক্তির বিনিময়ে অন্য একজন প্রক্সি পরীক্ষার্থীর সাহায্যে লিখিত পরীক্ষায় পাস করেন। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা করবে।
গত ২২ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন ১০০ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, প্রক্সির দায়ে এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১ জুন জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার অফিস সহায়ক পদে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে পাস করা ১৫ জন পরীক্ষার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার সময় আটক করে সাজা দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।