আজ বুধবার স্কুল চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত শিক্ষক এহতেশামুল হককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত এহতেশামুল হক বলেন, সহকারী শিক্ষক নবীর হোসেন নিয়মিত স্কুলে না আসায় সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় তাকে লঘু সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু মামলার ঘটনায় তিনি আমাকে দায়ী করে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। আজ শিক্ষকদের কাছে স্কুলের ব্যয়ের হিসাব দিলে নবীর হোসেন আমাকে বলেন আপনি স্কুলের টাকা মেরে খান। একপর্যায়ে তিনি ফোন দিয়ে লোকজন ডেকে আনেন ও আমার ওপর চড়াও হন। পরে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা আমাকে উদ্ধার করে বাথরুমে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে শেকল আটকে রাখেন।তিনি আরও বলেন, আমি তখন বাথরুমে বসেই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে ঘটনাটি জানাই। খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।

তিনি জানান, মারধরে তিনি কানে, মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর এ বিষয়ে লিখিত দেওয়া হয়েছে।

এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম স্কুলে গিয়ে শিক্ষক সরদার নবীর হোসেনকে পাননি। এমনকি ঘটনার পর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।