অধিকাংশ মানুষ ভালো বলছেন, আবার অনেকেরই সংশয় রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, পরীক্ষা থাকবে না। তাহলে কেমন হলো? পরীক্ষা থাকবে না, আসলে তা ঠিক নয়। অনেক পরীক্ষাই থাকবে, আবার অনেক পরীক্ষা থাকবে না। কিন্তু পরীক্ষা থাকবে না মানে মূল্যায়ন থাকবে না, তা নয়। ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে।’
শিক্ষকদের হাতে ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ থাকবে বলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের হাতে জিম্মি হয়ে যাবে কি না, সে প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতি আমাদের যেমন সম্মান থাকতে হবে, তেমনি আস্থাও রাখতে হবে। আমরা শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে চাই। সামগ্রিকভাবে শিক্ষার একটা গুণগত মানের পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক কিছু মুখস্থ করে শিখেছি।
কিন্তু মনে রাখতে পারিনি। শিক্ষার্থীরা এবার প্রয়োগ শিখবে; যা শিখবে, তা ধারণ করতে পারবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা এ শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু যেমন চেয়েছিলেন, সেভাবে মানুষ করতে পারব। ঔপনিবেশিক শিক্ষা নয়, স্বাধীন দেশের স্বাধীন শিক্ষা শেখাতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানমনস্ক হবে, মানবিক মানুষ হবে।
ঠিক তেমন মানুষ আমরা গড়ে তুলতে পারব।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি’ কার্যক্রমের মাধ্যমে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শিক্ষার্থীরা জানতে পারছে, শুধু ইতিহাস পড়ে তা জানা যেতো না। আর সে কারণে নতুন শিক্ষাক্রমে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিক্ষককে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।