নতুন করে ছুটি বাড়ানো নিয়ে যা বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক।।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমনকি সরকারি অফিস আদালতও বন্ধ রয়েছে। এই ছুটির মেয়াদ আরও দীর্ঘ হবে কিনা সে বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে অনলাইন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৪ এপ্রিল শেষ হচ্ছে সরকারি ছুটি। এই ছুটি শেষে আবারো মানুষ দলবেঁধে স্ব-স্ব কর্মস্থলে ফিরবেন। এদের মধ্যে আবার অধিকাংশ ফিরবেন রাজধানীতে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে জরুরিভিত্তিতে ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষে আবারও ছুটি বাড়ানো হবে কিনা এটা পরিস্থিতি বুঝে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা থাকছে কিনা। কারণ, একইসঙ্গে যদি ছুটি শেষ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে ভিড় ঠেকানো যাবে কিনা- এসব বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করবো আপনারাও পর্যবেক্ষণ করবেন দেশবাসীও করবেন, প্রধানমন্ত্রী পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি ১০ দিনে দেশের ও পৃথিবীর পরিস্থিতি মোটামুটি একটা সহনশীল অবস্থায় চলে আসে তখন এক ধরনের চিন্তা হবে।’
‘তবে যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেব যে, পরিস্থিতি দেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করার। প্রধানমন্ত্রী যদি পরিস্থিতি দেখে ছুটি বাড়াতে চান তো বাড়াবেন, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন তিনি।’
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিনিসটা আমাদেরকে বুঝতে হবে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলেন ছুটি, আর আমরা যেভাবে ট্রেনে-বাসে আর লঞ্চে গ্রামের বাড়ি ফিরলাম মোটেও ঠিক হয়নি। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে বলবো এটা একটা সংক্রামক ব্যাধি। ওইভাবে বাড়ি ফেরায় সংক্রমণের পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি ছুটি শেষে ফেরার সিদ্ধান্ত হলে করোনার ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে ব্যক্তিগত সুরক্ষার, শিষ্টাচার ও দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম বলেছে সেটা মেনে ঢাকায় ফেরা উচিত।’
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের চিকিৎসা দেয়ার জন্য ২৫০ ভেন্টিলেটর প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক।
এমনকি আরও ৩০০ ভেন্টিলেটর নিয়ে আসা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের নিরাপত্তার জন্য ইতোমধ্যে ৩ লাখ পিছ পিপিই দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকেই পিপিই দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, আগাম প্রস্তুতির জন্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো রয়েছে। আমরা চিকিৎসা এবং নার্সদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই সংগ্রহ করেছি। পিপিই সংকট নেই।