ধুনটে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত
বগুড়াঃ জেলার ধুনট উপজেলার নাটাবাড়ী মনোয়ারা-নিজামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আল-আমীনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার (২০ আগস্ট) ঢাকা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অর্থ) লুৎফর রহমান এ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। এরআগে ৬আগস্ট একই মাদ্রাসার সুপার ইসমাইল হোসেন ঢাকা মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের কাছে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়েছে। ২০১০ সালের ২৭ মার্চ সুপার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ইসমাইল হোসেন। তিনি মাদ্রাাসায় নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন। এ অবস্থায় ২০২২ সালের জুলাই মাসে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হলে মাদ্রাসার সভাপতি ও সহ-সুপার আল আমীন কৌশলে সুপার ইসমাইল হোসেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন এবং আল আমীনকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন মুনজুয়ারা খাতুন। কিন্ত ভারপ্রাপ্ত সুপার ক্ষমতার অপব্যবহার করে মুনজুয়ারাকে বাদ দিয়ে ওই পদে তার স্ত্রী জেসমিন আকতারকে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া বিধিবর্হিভূতভাবে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কৃষি শিক্ষক পদে কেয়া খাতুনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
নাটাবাড়ী মনোয়ারা-নিজামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আল আমীন বলেন, আমি কোন প্রকার অনিয়নম দূর্নীতি করিনি। যা কিছু করেছি মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেকই করা হয়েছে। তারপরও তদন্তের স্বার্থে মাদ্রাসা অধিদপ্তরে কাগজপত্র দাখিল করেছি। আশা করছি তদন্তে সত্যতা প্রকাশ পাবে।
নাটাবাড়ী মনোয়ারা-নিজামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে শুরুর দিকে একটু অনিয়ম করতেই হয়। তাই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একটু অনিয়ম হতে পারে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২১/০৮/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়