প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, কিশোরগঞ্জঃ জেলার কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধ, বেআইনি কার্যকলাপের নানা অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় হাজী মো. সাহাব উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি।
জানা যায়, বিগত ২০১২ সালে বিদ্যালয়টিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মো. আ. রব। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আতাহার আলী অবসরে গেলে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারপর থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। বিগত ৮-১০ বছর ধরে ৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পুনঃভর্তি ফি, সেশন ফি’র হাজার হাজার টাকা বিদ্যালয়ের আয় হলেও অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে সবই আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক। তাছাড়া বিভিন্ন প্রকাশনার নোট, গাইড শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে প্রকাশকদের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের অনুদান গ্রহণ করছেন প্রতি বছর। ২০২১ সনে কোভিড-১৯ এর কারণে এসএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত করে মাত্র ৩টি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফরম ফিলাপের অতিরিক্ত টাকা শিক্ষার্থীদের নিকট ফেরত দেয়ার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও করগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী টাকা ফেরত পায়নি। যার সব টাকাই তিনি আত্মসাৎ করেছেন।
তাছাড়া বিদ্যালয়ের পুকুরটি লিজ না দিয়ে মাছ চাষের আয় নিজের পকেটস্থ করছেন। অভিযোগে সাক্ষ্য প্রদানকারী সাবেক দাতা সদস্য মো. তৌফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক মো. আ. রব ছিলেন পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের আবুল ফজল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। বিগত ২০০৬ সনে করগাঁও ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। সেখানে প্রায় এক বছর চাকরি করার পর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পুনরায় পূর্বের স্কুল আবুল ফজল উচ্চ বিদ্যালয়ে চলে যান। উভয় স্কুল হতে তিনি সরকারি বেতন ভাতা ভোগ করেন।
পরবর্তীতে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে পুনরায় করগাঁও ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, কমিটি গঠন নিয়ে নানা রকম প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক মো. আ. রব বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। এ ব্যাপারে ইউএনও’র নিকট একটি তদন্ত আসে। এতে আমার বক্তব্য এবং তথ্যাদি দাখিল করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান বলেন, এ ব্যাপারে একটি তদন্ত আমার নিকট এসেছে। তদন্ত কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৬/০৪/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়