তিস্তা ব্যরাজে দর্শনার্থীদের ভোগান্তি চরমে !! দাবি পর্যটন এলাকা ঘোষণা
মোস্তাফিজুর রহমান (মোস্তফা) লালমনিরহাট প্রতিনিধি :- দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যরাজ এটি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার উপজেলার গড্ডিমারীর ইউনিয়নের দোয়ানি এলাকায় অবস্থিত। তিস্তা ব্যারেজে প্রতিনিয়তই বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভীর। বিশেষ করে ঈদ এবং সরকারি ছুটির দিনগুলোতে এখানে উপচেপড়া ভীর জমে। লালমনিরহাট, জলঢাকা, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁ সহ রংপুরের বিভিন্ন জেলার মানুষ এখানে বেশি আসে।
এছাড়াও বগুড়া, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহী সহ প্রায় দেশি বিদেশী অসখ্য মানুষ আসছে প্রতিনিয়ত। শুক্রবার ও অন্যান্য ছুটির দিনে দেশের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ পিকনিক কিংবা পরিদর্শনে আসছেন।
৫২ গেট বিশিষ্ট এই তিস্তা ব্যারেজে আছে অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বিশাল এলাকা নিয়ে গঠিত এই ব্যারেজে প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্যে ভরপুর। এটি এই এলাকার কক্সবাজার হিসাবে আখ্যা দিচ্ছে অনেকেই। বিশেষ করে স্হানীয় ও স্বল্প আয়ের মানুষদের কাছে এটাই কক্সবাজার। বর্ষা ও খরা মৌসুমে এখানে আলাদা রুপ ধারন করে। বিশাল এই সেতুটি ছাড়াও এখানে উপভোগ করার মতো আরো আছে নৌকা ও স্পীড বোডে ঘুরে প্রকৃতি উপভোগ করার সুযোগ। পিকনিকের জন্য বিশেষ স্পট, এছাড়াও জেলেদের মাছ ধরা ও এই নদীর অত্যন্ত সুস্বাদু কিছু মাছ কেনার সুযোগ পেতে পারেন।
সমস্যা :
১) মানসম্মত কোন খাবার হোটেল নেই ফলে অনেক পর্যটকেরই সমস্যা। এমনকি একটা পানির বোতল কিনতেও অনেক দূর যেতে হয়।
২) বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য উন্নতমানের থাকার ব্যবস্থা “অবসর” থাকলেও দূরের সাধারন পর্যটকদের জন্য আবাসিক হোটেল নেই। এজন্য দুরের পর্যটক আসতে চায় না।
৩) পাবলিক টয়লেট নেই (বিশেষ করে মহিলাদের জন্য খুবই জরুরি।
৪) স্থানীয় কিছু বখাটের উৎপাত।
৫) বেপরোয়া মোটরসাইকেল গতি নিয়ে ঘুরাঘুরি। যে কাজটি ওখানকার দায়িত্বরত আনসার ও পুলিশ সদস্যরাও করে।
প্রস্তাব :
১) এই এলাকাটায় একটা পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা।
২) এখানে একটু আধুনিকায়ন, সংস্কার ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন।
৩) শিশুদের আনন্দের জন্য কিছু রাইড যুক্ত করা।
৪) বৃষ্টি বা ঝড়ে পর্যটকদের আশ্রয়ের জন্য বসার ব্যবস্থা সহ ছাউনী বা স্থায়ী ছাতা (যা অন্যান্য পার্কে দেখা যায়) তৈরি করা এবং নির্ধারিত স্থানে পার্কিং এর ব্যবস্থা করন।
৫) প্রয়োজনে পর্যটকদের জন্য প্রবেশ মূল্য নির্ধারন করা।
উল্লেখিত ৫টি সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করলে এবং ৫টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করলে এটি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি পর্যটন এলাকা হিসাবে গড়ে উঠবে। সেই সাথে একদিকে যেমন সরকারের আয় বাড়বে অন্যদিকে এলাকার কয়েকশত বেকারের কর্মসংস্থান তৈরি হবে