জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা-বিজ্ঞান
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিও। তোমাদের জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষা আসছে নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। এখন থেকে প্রতিটি দিনই তোমাদের জন্য মূল্যবান। ভালো ফলাফলের জন্য পাঠ্য বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় ভালো করে মনোযোগ দিয়ে পড়বে এবং ছোট ছোট অনেকগুলো প্রশ্ন তৈরি করার চেষ্টা করবে। এতে অধ্যায়টি সম্পর্কে তোমার স্বচ্ছ ধারণা হবে। আজকে তোমাদের পাঠ্য বইয়ের “রাসায়নিক বিক্রিয়া” অধ্যায়ের রচনামূলক সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর দেয়া হলো।
উদ্দীপকটি লক্ষ্য করো ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ক. শুষ্ক কোষ কী?
খ. সংযোজন বিক্রিয়া বলতে কী বোঝায়?
গ. A চিহ্নিত কোষটির কাজ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে শক্তির কী ধরণের রূপান্তর ঘটে তা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: ক. যে তড়িত্ রাসায়নিক কোষে তড়িত্ বিশ্লেষ্যরূপে তরলের পরিবর্তে NH4Cl, MnO 2 এবং স্টার্চ মিশ্রিত কাই ব্যবহার করা হয় তাকে শুষ্ক কোষ বলে।
খ. যে প্রক্রিয়ায় একের অধিক পদার্থ একত্রিত হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী নতুন একটি রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে। একইভাবে জিংক ও সালফারের বিক্রিয়ায় জিংক সালফাইড তৈরির বিক্রিয়াও সংযোজন বিক্রিয়া।
Zn + S ———> ZnS
গ. উদ্দীপকে A চিহ্নিত কোষটি হলো ড্রাইসেল বা শুষ্ক কোষ। নিচে শুষ্ক কোষের কাজ ব্যাখ্যা করা হলো-
টর্চলাইট, বিভিন্ন ধরণের রিমোট কন্ট্রোলার, নানা রকম খেলনা, রেডিও ইত্যাদি চালাতে ড্রাইসেল বা শুষ্ক কোষ ব্যবহার করা হয়। ড্রাইসেলের ব্যবহূত রাসায়নিক পদার্থ অর্থাত্ দস্তা, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কয়লার গুঁড়া, ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড ইত্যাদিতে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি আলোক শক্তি ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এর ফলে বর্তনীতে ড্রাইসেল যোগ করলে বাল্ব জ্বলে উঠে। শুষ্ক কোষ বা ড্রাইসেল ঘড়িতে ব্যবহার করা হয়। শুষ্ক কোষ তড়িত্ বিশ্লেষণে অ্যানোড ও ক্যাথোডের সাথে যুক্ত করে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করে ইলেকট্রন প্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন ধাতু নিষ্কাষণ করা যায়।
ঘ. A চিত্র তে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তিকে আলোক শক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব। নিচে পরীক্ষার সাহায্যে বিশ্লেষণ করা হলো।
প্রয়োজনীয় উপকরণ : ১-টি বৈদ্যুতিক বাল্ব, ১-টি শুষ্ক কোষ, তামার তার ২-টি।
পদ্ধতি : ১টি তামার তারের এক প্রান্ত শুষ্ক কোষের অ্যানোড ও অপর তামার তারটি ক্যাথোডের সাথে যুক্ত করি। বর্তনী তৈরি হওয়ার ফলে বাল্ব জ্বলে ওঠে এবং আলোক শক্তি দিচ্ছে।
এই আলোক শক্তি আসছে ব্যাটারি থেকে। ব্যাটারির শক্তির উত্স হলো ড্রাইসেলে ব্যবহূত রাসায়নিক পদার্থ অর্থাত্ দস্তা, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কয়লার গুঁড়া, ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড। তাহলে বলা যায় যে ড্রাইসেলের সঞ্চিত শক্তিই আলোক শক্তি উত্পন্ন করছে।
মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সিনিয়র শিক্ষক, দুলালপুর এস.এম.এন্ড কে. উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লা।