শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৭/০৭/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষক নেতাদের সাথে আলোচনায় বসেছেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে অধিদপ্তরের পরিচালকের (কলেজ ও প্রশাসন) দপ্তরে এ সভা শুরু হয়। বিষয়টি শিক্ষাবার্তা'কে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন খান।
জানা গেছে, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) পাঁচ নেতার সমন্বয়ে গঠিত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অধিদপ্তরে সভায় অংশ নিয়েছেন। সভা চলমান রয়েছে। পাঁচ নেতার সমন্বয়ে গঠিত প্রতিনিধি দলের মধ্যে আছেন, সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সংগঠনটির ঝিনাইদহ জেলার সভাপতি মহিউদ্দিন ও রংপুরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
সভায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, মাধ্যমিক ও কলেজ শাখা পরিচালক, একজন উপপরিচালক ও পুলিশের কয়েকজন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে গত ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সারাদেশের শিক্ষকরা। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুর রহমান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ। শিক্ষকদের এ অবস্থান কর্মসূচিতে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৭ জুলাই) শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির সপ্তম দিনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ থাকলেও পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, গত ১১ জুলাই থেকেই আমরা মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমাদের শিক্ষকরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবির কথা তুলে ধরেন। কিন্তু শিক্ষকদের এমন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ অন্যায়ভাবে লাঠিচার্জ করেছে।
কাওছার আহমেদ বলেন, পুলিশ আমাদের ভাই। আমাদের দাবি-দাওয়া পূরণে তাদের সহযোগিতা কামনা করেছিলাম। কিন্তু তার পরিবর্তে তাদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে শিক্ষকরা। শিক্ষকদের এ শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে আমাদের প্রায় অর্ধশত শিক্ষককে পেটানো হয়েছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেক শিক্ষক রক্তাক্ত হয়ে পড়ে আছে। কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষকরা বলেন, বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি।