‘চলতি মাসেই খুবির ৩ শিক্ষার্থী পাবেন উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের ফল’
নিউজ ডেস্ক।।
চলতি মাসের মধ্যে স্নাতকোত্তর পরীক্ষার উত্তরপত্রের পুনর্মূল্যায়নের ফল পাবেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) তিন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে খুবির বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রুবেল আনসার এ কথা জানিয়েছেন।
দীর্ঘ ১৫ মাস স্নাতকোত্তর উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের ফলের অপেক্ষায় ছিলেন খুবির বাংলা ডিসিপ্লিনের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী আতিদুল ইসলাম তুর্য, আজবীয়া খান এশা ও মিতু রহমান।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী আতিদুল ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি উত্তরপত্রের পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছিলাম আমরা তিন শিক্ষার্থী। সাধারণত এক-দেড় মাস লাগে ফল প্রকাশে। আরও কম সময়ও লাগে। আমাদেরই শুধু এত দেড়ি লাগলো। এখন পর্যন্ত ফলাফল হয়নি। ডিসিপ্লিন প্রধান বা প্রশাসন কেউ সদুত্তর দিতে পারছেন না। শুধু আশ্বাস দিচ্ছেন। আমরা ভোগান্তির মধ্যে রয়েছি। কোথাও আবেদন করতে পারছি না। এমফিলে ভর্তি হতে পারছি না, সার্টিফিকেট না থাকলে যা হয়। ফল প্রকাশ নিয়ে আমরা বিভিন্ন আন্দোলন করেছি বলে প্রতিহিংসার শিকারও হচ্ছি। এ পরিস্থিতিতে দেড় বছরের হয়রানির ক্ষতিপূরণসহ দ্রুত ফলাফলের দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের স্নাতকোত্তর ফলাফল প্রকাশিত হয়। ফল আশানুরূপ না হওয়ায় ওই মাসের ২২ ফেব্রুয়ারি তারা উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেন। কিন্তু প্রায় দেড় বছর পার হয়ে গেলেও তারা পুনর্মূল্যায়নের ফলাফল পাননি।
বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রুবেল আনসার বলেন, আমি চলতি বছরে ০৬ মার্চ ডিসিপ্লিনের প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছি। পহেলা বৈশাখের সময় আগের ডিসিপ্লিনের প্রধান ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি রেজাল্ট প্রস্তুত করার জন্য কমিটিকে আহ্বান করেন। রেজাল্ট প্রস্তুত করতে বসে দেখা যায়, বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’জন পরীক্ষকের কাছে পাঠানো উত্তরপত্র মূল্যায়ন হয়ে আসেনি।
খাতা মূল্যায়নে এত দেড়ি হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের দেড় বছর সময় নষ্ট হয়েছে এটা সত্য। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। করোনাকালীন এই দেড় বছর সময়ে কী কী ঘটেছে তা তো আমরা সবাই জানি। এরপর আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর যখন দেখি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করছেন, তখন আমাকে তো বিষয়টি দেখতে হবে। তখন আমি পরীক্ষা কমিটির প্রধানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন- যাদের কাছে খাতা দেওয়া হয়েছে তাদের ফোন দিই।
শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ দাবির বিষয়ে অধ্যাপক ড. রুবেল আনসার বলেন, করোনার কারণে বিশ্বের সব শিক্ষার্থীর ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতিপূরণ কে কাকে দেবে? করোনা পরিস্থিতির কারণে উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন হয়ে আসতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে কিছু দেড়ি হলেও নতুনভাবে দায়িত্ব নিয়ে আশা করছি চলতি মে মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।