ঘুষ দাবির মিথ্যা অভিযোগ করছেন ৪ শিক্ষক দাবি অধ্যক্ষের!
নিজস্ব প্রতিবেদক, কিশোরগঞ্জঃ বেতন ভাতার চাহিদা ছাড় করাতে গুরুদাসপুরের বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. একরামুল হককে উৎকোচের প্রস্তাব দিয়েছিলেন একই কলেজের চার শিক্ষক। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ। এর আগে গত ২৫ মার্চ "অধ্যক্ষকে ঘুষ না দেওয়ায় বেতন বন্ধ ৪ কলেজ শিক্ষকের" শিরোনামে শিক্ষাবার্তা'য় এবং কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে কলেজ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ একরামুল হক।
অধ্যক্ষ বলেন, ২০১৬ সালে কলেজে যোগদানের পর প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিতের উদ্যোগ নেন তিনি। তখন থেকেই কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন চার শিক্ষক মো. শাহীন আলম, আব্দুল্লাহ আল মাওদুদ, মো. শামসুল আলম ও মো. আনোয়ার হোসেন। বিষয়টি নিয়ে অব্যহতভাবে ওই চার শিক্ষককে চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে এসব শিক্ষকরা তার ওপর ক্ষুদ্ধ ছিলেন। ঘুষ দাবির ভিত্তিহীন তথ্যসহ সামাজিক রাজনৈতিকভাবেও হয়রানি করেছেন ওই শিক্ষকরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এরই মধ্যে ২৩ সালের ২৫ জুলাই বাংলা বিষয়ের মো. শাহীন আলম, মনোবিজ্ঞানের মো. শামসুল আলম, আব্দুল্লাহ আল মাওদুদ, ভূগোলের মো. আনোয়ার হোসেন, জিএম কামরুজ্জামান, মো. আলী জাফর ও গণিতের প্রশান্ত কুণ্ডকে সরকারিভাবে প্রভাষক পদে অস্থায়ী নিয়োগ দান করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সরকারি শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮’ এর বিধি-৫, বিধি-৬ এবং সরকারিকৃত কলেজশিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০০০ এর বিধি-৩ ও বিধি-৫ মোতাবেক বকেয়াসহ ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে বেতন ভাতা চালুর কথা।
অধ্যক্ষ একরামুল হক নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গেজেটের পরে ওই চার শিক্ষকের বেতন ভাতার চাহিদাপত্র গত বছরই পাঠানো হয়েছে। সে সময় বরাদ্দ না থাকায় শিক্ষকরা বেতন ভাতা পাননি। অথচ চাহিদাপত্র পাঠানোর জন্য ওই চার শিক্ষক তাকে অর্থনৈতিক প্রলোভন দেখান। তাতে তিনি রাজি না হওয়ায় বিভিন্নভাবে তাকে হেয় করতে তথ্য প্রচার শুরু করেছেন ওই চার শিক্ষক।
সংবাদ সম্মেলনে কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাংলা বিষয়ের শিক্ষক আব্দুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান, জহুরুল ইসলাসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে শিক্ষক মো. শাহীন আলম, শামসুল আলম, আব্দুল্লাহ আল মাওদুদ ও আনোয়ার হোসেন বলেন, গেজেটের পর বেতন ভাতার চাহিদার জন্য তারা অধ্যক্ষ একরামুল হককে বার বার অনুরোধ করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ পাত্তা দেননি।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/৩০/০৩/২০২৪