ঘরের ভিতর জাতীয়করণের ক্রিমিনাল- শিক্ষক নেতার মন্তব্য
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ ও পূর্নাঙ্গ উৎসব ভাতাপ্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে দীর্ঘকাল। কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিক্ষকরা বক্তব্য রাখছেন ।
তারা তাদের কম বেতনে মানবেতর জীবন যাপনের কথা বর্ণনা করেন। স্কুল কলেজের গর্ভনিং বডি ও পরিচালনা পরর্ষদে শিক্ষিত মানুষের অভাবে নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হবে আর এর প্রধান উপায় শিক্ষা খাতকে জাতীয়করণ। একইসঙ্গে শিক্ষকরা তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য দাবিগুলো পূরণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান।
এর পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের, গর্ভনিং বডি ও ব্যবস্থাপনা কমিটিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা, শূন্য পদে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলীর ব্যবস্থা কার্যকর করাসহ, আসন্ন ঈদের আগেই পূর্নাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি করেন। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন। মাঝে মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আশ্বাস প্রদান করেন।
শিক্ষক ও কমর্চারীর সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। তারা বলছেন আমরা বারবার আন্দোলন করছি, কিন্তু কেন আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অনেক শিক্ষক বিসিএস পাস করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকতা করছেন কিন্তু সরকারি না হওয়ায় আমরা সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। তাই শিক্ষক হয়ে আমাদের যদি কষ্টে দিনানিপাত করতে হয় তাহলে আমরা শিক্ষাথীর্দের কি শেখাবো। দাবি না মানলে আমরণ অনশনের হুমকি দেন। তারা বলেন, শিক্ষকের কিছু হলে এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ হলে এ দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের সন্তানরা শহর ও গ্রামে একই মানের সরকারি স্কুলে কম বেতনে পড়ালেখা করতে পারবে। অভিভাবকদের শিক্ষা ব্যয় কমবে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা বর্তমানে সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন, বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বার্ষিক ২০ শতাংশ বৈশাখি ভাতা পান। তবে তারা বাড়ি ভাড়া পান মাসিক এক হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা মাসিক ৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা পান ২৫ শতাংশ, যা অমানবিক। উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া স্কেলভিত্তিক প্রদানসহ চিকিৎসা ভাতা এক হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করলেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের কাজ অনেকদূর এগিয়ে যায়।এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা জাতীয় বেতন স্কেলের আওতার শতভাগে উন্নীত করা। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সব নিয়োগ সরকারের হাতে নিয়ে বদলি ও প্রমোশন অনতিবিলম্বে চালু। বিশেষ করে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ১ জানুয়াারি ২০২৪ থেকে ইএফটির মাধ্যমে বেতন ভাতা প্রদান।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষা প্রশাসনে আনুপাতিক হারে প্রেষণে নিয়োগের ব্যবস্থা করার আহবান জানান শিক্ষক নেতারা। সকল সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবী নিয়ে মানবন্ধন থেকে শুরু করে অবস্থান ধর্মঘট, আমরণ অনশন, শিক্ষা- প্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানো সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছেন দাবী পূরণের জন্য। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যর্থ তার জন্য শিক্ষকরা শিক্ষক নেতাদের দায়ী করেছেন আবার শিক্ষক নেতারা সাধারণ শিক্ষকদের দায়ী করেছেন। এবার আন্দোলন সংগ্রাম সফল না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন শিক্ষক নেতা নজরুল ইসলাম রনি।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮/০৩/২০২৪