অনিবন্ধিত পোর্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও ভুল তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের সমাপনী দিনে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ১৬২টি অনলাইন সংবাদ পোর্টাল, ১৬ ৯টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টাল, ১৫টি টেলিভিশনের অনলাইন পোর্টাল ও ১৪টি আইপিটিভিকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে। এটা জেলা প্রশাসকদের জানানো হয়েছে। বাকি সবগুলো রেজিস্ট্রেশনবিহীন।

তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে অনেক অনলাইন পোর্টাল, আইপি টিভি ও ইউটিউব চ্যানেল আছে, যেগুলোর কোনো নিবন্ধন নেই। সেগুলোতে কাজ করা লোকজন নিজেদের আবার সাংবাদিক পরিচয় দেয়। এসবের মাধ্যমে অনেক সময় গুজব ছড়ানো হয়, ভুল তথ্য পরিবেশন করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

ড. হাছান মাহমুদ জানান, অনিবন্ধিত পোর্টালে যদি দেখা যায় কেউ বিভ্রান্তি বা গুজব ছড়াচ্ছে কিংবা অসত্য বা ভুল সংবাদ পরিবেশন করে সমাজে হানাহানি তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে অথবা কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন করে সেটা ভিন্ন কাজে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে সত্য তথ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবেশন করার পাশপাশি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ের গুজব প্রতিরোধ সেলকে জানাতে জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাস্তব প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গুজব ছড়ায় কয়েক ঘন্টায়, আর সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কয়েকদিন সময় লাগে। কারণ এর একটা প্রক্রিয়া আছে। এটা বিটিআরসিকে জানাতে হয় এবং গুজব থেকে রক্ষা পেতে সোশ্যাল মিডিয়াতেই যেন বলা হয় সেটা গুজব এবং আসলে সত্যটা এই। তারপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া।