কুবির বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ ৩ শতাংশ
কুমিল্লাঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৬১ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটে গবেষণা খাতে বাজেট রাখা হয়েছে ২ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৩. ২৬ শতাংশ। বাজেটের ৬৫ শতাংশই ব্যয় হবে বেতন ভাতা বাবদ। বেষণায় বাজেট বৃদ্ধি পেলেও সঠিক ব্যবস্থাপনার কথা বলছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭তম সিন্ডিকেট সভায় ৬১ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। মোট বাজেটের বেতন ভাতা বাবদ ৩৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা (৬৫%), পণ্য ও সেবা বাবদ ১৪ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা (২৪%), গবেষণা বাবদ ২ কোটি টাকা (৩%), প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ৬ লাখ টাকা (০.০৯%), পেনশন ও অবসর সুবিধা ৮ লাখ টাকা (০.১৩%), মূলধন বাবদ ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা (৭%), অন্যান্য অনুদান বাবদ ১৬ লাখ টাকা (০.২৬%)।
বাজেটের এ ব্যয় নির্বাহ করবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে ৫৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বাজেটের ঘাটতি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এদিকে গবেষণায় বাজেট পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন না থাকলে পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে গবেষণা শিক্ষক-শিক্ষার্থী মনে করেন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বন্টন করা প্রয়োজন। লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকত্তোরের শিক্ষার্থী মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার জন্য এ বাজেট খুবই স্বল্প। যা শিক্ষকদের কাজেই বেশি ব্যবহৃত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করতে হবে। গবেষণামুখী করার জন্য শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে, ফান্ড দিতে হবে। এছাড়া গবেষণা খাতের বাজেট কোন কোন জায়গা খরচ হচ্ছে সেটা দেখা যায়না। যার কারণে অনেকে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারেনা। আশা করছি এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ ভাববেন।
গবেষণা ও সম্প্রসারণ দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্যাহ বলেন, যেকোন এমাউন্টই যথেষ্ট না, তবুও সরকার বাড়িয়েছে। আগে আরো কম ছিল এখন কিছুটা বেড়েছে কিন্তু এটা পর্যাপ্ত না। যারা গবেষণা করছে তাদের কাছে সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করতে পারি কিনা সেটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ। এবারের পরিকল্পনায় আমরা ছাত্র-শিক্ষক সবাইকে গবেষণায় যুক্ত করতে চাই। এবার শিক্ষার্থীদেরকে বাজেট বেশি দেওয়া হবে। বাজেটের ১ কোটি ৫০ লাখ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য বাকি ৪৮ লাখ শুধু শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। শিক্ষার্থীদের উৎসাহীতে করতে এমন সিদ্ধান্ত। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে উভয়কেই গবেষণামুখী করা।
বাজেটের বিষয়ে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও আমরা ভালো অঙ্কের একটি বাজেট পাশ করেছি। আশা করি রিভাইস বাজেটে প্রয়োজনে আমরা বৃদ্ধি করতে পারব।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, গবেষণায় আমাদের পর্যাপ্ত বাজেট আছে। আমরা হাই কোয়ালিটিফুল গবেষণা চাই। ইমফ্যাক্টফুল ও ভাল আউটকাম আসবে এমন প্রোপোজাল আসলে আমরা অবশ্যই টাকা দিব। এখানে টাকা বণ্টন করা হবে কাজের উপর ভিত্তি করে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৭/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়