দশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
‘একটা ঘর পেলে শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম’
শিক্ষাবার্তা ডেস্কঃ জন্ম থেকেই একটি হাত ও একটি পা বিকলাঙ্গ। স্বামী-সন্তান কেউ নেই। বয়সও হয়েছে। ভিক্ষার সামান্য আয়ে চলেন কমলা বেগম। পৈতৃক ভিটার এক চিলতে জমিতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়া নড়বড়ে টিনের ঘরে কাটাচ্ছেন একাকী জীবন। আবেদন করেও তার ভাগ্যে জোটেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর।
নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সিংড়া উপজেলার লালোর গ্রামের বাসিন্দা ৬৬ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী কমলা সেই জীর্ণ ঘরে বহু পুরোনো একটি চৌকিতে ঘুমান। প্রতিবেশীদের আক্ষেপ যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই রয়েছে তারাই ঘর পাচ্ছেন। অথচ প্রতিবন্ধী কমলার ভাগ্যে জুটছে না উপহারের ঘর।
কমলা বেগম বলেন, কয়েকবার ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর চেয়েও মেলেনি। উপজেলা সমাজসেবা থেকে একটি প্রতিবন্ধী কার্ড দেওয়া হয়েছে। টিউবওয়েল নেই, তাই বোতলে করে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে খাবার পানি আনতে হয়। ওই পানি কয়েকদিন ধরে খাই। লজ্জার মাথা খেয়ে খোলা জায়গায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে হয়। কেরোসিন কিনতে না পারায় কুপি বাতি জ্বালাতে পারি না রাতে। তাই অন্ধকারেই রাত কাটে। মরার আগে প্রধানমন্ত্রী যদি একটি ঘর দিতেন, তাহলে ওই ঘরে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম।
কমলার আত্মীয় পাশের হাতিয়নদহ গ্রামের বাসিন্দা রুস্তম আলী জানান, চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে তার জন্য একটি ঘরের জন্য আবেদন করা হয় কয়েকবার। যেহেতু ওই বৃদ্ধা পৈতৃক কিছু জমি পাবেন, তাই সেই জমিতেই একটি ঘর করে দেওয়ার জন্যও মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে বলা হয়।
প্রতিবেশী মাজেদা বেগম ও সুমন আলী বলেন, প্রতিবন্ধী ওই বৃদ্ধার চলাফেরা করতেই কষ্ট হয়। তাকে একটি ঘর দেওয়া হয়নি। উল্টো যাদের সম্পদ আছে, ঘর আছে, তারাই প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বরাদ্দ উপহারের ঘর পাচ্ছে। তার কেউ না থাকায় সরকারি অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সামাদ আলী ও ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রতিবন্ধী এই বৃদ্ধার প্রয়াত স্বামীর ঘরটিও এখন নড়বড়ে। যেকোনো সময় এই ঘরের নিচে চাপা পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
লালোর ইউপি চেয়ারম্যারম্যান একরামুল হক শুভ জানান, কমলা বেগমের কোনো আবেদন তিনি হাতে পাননি। তবে নিয়মের মধ্যে থেকে ঘর পাওয়ার যোগ্য হলে ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেবেন।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, প্রতিবন্ধী কমলা বেগম যাতে ভালো পরিবেশে থাকতে পারেন, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি নিজে এলাকায় গিয়ে কমলা বেগমসহ এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/২০/২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে পেজে লাইক দিয়ে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়।
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
এই বিভাগের আরও খবর