একজন নোমান ও তাঁর কর্মের গল্প
নিউজ ডেস্ক।।
মানুষ মানুষের জন্য, একটু সহানুভুতি কি পেতে পারেনা " আমার প্রথম চাওয়া তরুণ সমাজকে একটি প্ল্যাটফর্মে এনে অসহায় মানুষ এবং দেশের কল্যাণে কাজ করা। সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমি চাই, তরুণদের মধ্যে থাকবে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। এরা একে-অপরকে সহযোগিতা করবে, সর্বদা নিয়োজিত থাকবে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে।’ কথাগুলো বলছিলেন একজন ১৮ বছর বয়সী তরুণ মেহেরপুরের গাংনীর আব্দুল্লাহ আল নোমানের কথা। যিনি আগামী বছর এইচ এস সি পরীক্ষার্থী । তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার নওপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম মো.আবদুল্লাহেল কাফী । এবং মা মোছা:জুলিয়া খাতুন। বাবা মার একমাত্র সন্তান। তারা দুজনেই শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। মানবসেবার নেশা জাগ্রত হয় গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে। সেখানে তিনি কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে তৈরি করেন "কিশোরের ডাক" নামে সামাজিক সংগঠন ।
নিজে এবং বন্ধুদের পকেট খরচের টাকা জমিয়ে এগিয়ে আসেন গরীব ,অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করার জন্য। অসহায়, রোগীদের রক্তের চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে এলাকার বেশকিছু তরুনদের নিয়ে গড়ে তোলেন ‘Do for Meherpur ’ নামক সামাজিক সংগঠন। এতে উপকৃত হন জেলার সাধারণ মানুষ। এভাবেই তার সাংগঠনিক পথচলা। সমাজের চোখে আঙ্গুল দিয়ে বিগত ৪ বছর ধরে শত বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আজ তিনি তার স্বপ্নের শীর্ষে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।
নোমান বর্তমানে ‘কিশোরের ডাক’ নামক সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তার নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে দেশজুড়ে। এখন পড়াশোনার মধ্য দিয়ে যতটুকু সময় পান তার সবটুকু সময়ই ব্যয় করছেন মানুষের সেবা করে। মানুষের জন্য কাজ করা তার যেন নেশা হয়ে গেছে। বহু প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পথ চললেও পিছপা হননি কখনও। তিনি যেখানেই যান, সবাইকে তাঁর বুকে জায়গা করে দেন। এমন দৃষ্টান্ত যা অন্য ব্যক্তির মধ্যে পাওয়া দুষ্কর। কলেজ পড়ুয়া তরুণ ছুটি পেলেই নিজ এলাকায় চলে আসেন মানবতার কাজ করার টানে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে নোমান জানান, ‘আমি কিশোরের ডাক " সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমি চাই, এই নেতৃত্ব শুধু আমি নই, নেতৃত্ব দিবে তরুনরা যারা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছে। কিছু পাওয়ার জন্য নয় ;নিজের ভালো লাগা থেকেই কাজ করি। করোনাকালীন সময়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে খাদ্য ঔষধ এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাছে শিক্ষক উপকরণ পৌঁছে দিয়েছি। সমাজকে বদলে দিতে এবং আগামীর বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসতে হবে আমাদের ।
আমার জন্য দোয়া করবেন , যেন দরিদ্র অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি।