উৎসব ভাতা যুগোপযোগী হোক
আমাদের শিক্ষা কাঠামো প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা এই তিন স্তরে বিভক্ত। প্রাথমিক স্তরটা বুদ্ধির বিকাশ লাভের সময়। এরপর 'মাধ্যমিক স্তরে' বুদ্ধির পরিপূর্ণতা পায়। তাই এই স্তরে শিক্ষার্থীরা নিজ জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে। এই লক্ষ্য নির্ধারনের পথে সবথেকে বেশি সহায়ক হিসাবে ভূমিকা পালন করে একজন শিক্ষক।
এদেশের ৯৭% শিক্ষকই জাতীয়করণের আওতামুক্ত বা বেসরকারি। বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠান ১৯৮০ সাল থেকে এমপিও ভুক্তি হতে শুরু করে। শুরুতে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ দেয়া হলেও ২০০৮ সাল থেকে সেটি শতভাগে উত্তীর্ণ হয়। শিক্ষকদের আন্দোলন ও দাবির মুখে ২০০৩ সালে তাৎক্ষণিকভাবে থোক বরাদ্দ থেকে শিক্ষকদের ২৫ শতাংশ এবং কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ উৎসব ভাতা দেয়া হয়। তখন আশ্বাস দেয়া হয়েছিল, পরবর্তী অর্থবছরে এ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রেখে শতভাগ উৎসব ভাতা দেয়া হবে। কিন্তু গত ২০ বছরেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি।
অভিন্ন কারিকুলামের অধিভুক্ত, সিলেবাস ও সময়সূচি অভিন্ন কিন্তু আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বিশাল বৈষম্য রয়েছে। শিক্ষকদের মধ্যে পাহাড়সম আর্থিক বৈষম্য ঘোচাতে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে সুবিবেচনাপ্রসূত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।
লেখক-
লেখা : মো.রেদোয়ান হোসেন
শিক্ষক