৪৩তম বিসিএস: খাতা ৩য় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত

ঢাকাঃ ৪৩তম বিসিএসের ১০ হাজারের বেশি খাতায় ২০ শতাংশ নম্বরের গড়মিল পাওয়া গেছে। এই খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হবে।

পিএসসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৫ হাজার ২২৯ জন। প্রথম পরীক্ষকের মূল্যায়ন শেষে লিখিত পরীক্ষার খাতাগুলো দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের খাতা স্ক্রিনিং করে পিএসসি।

ওই সূত্র আরও জানায়, প্রথম দিকে খাতা স্ক্রিনিং করে দুই পরীক্ষকের নম্বরের তেমন পার্থক্য দেখা যায়নি। তবে শেষের দিকে অনেক খাতায় ২০ শতাংশ নম্বরের পার্থক্য দেখা যায়। নম্বরের পার্থক্য ২০ শতাংশ হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী এই খাতা এখন তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। এরপর ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসি’র ক্যাডার শাখার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৪১তম বিসিএসে ১৫ হাজারের বেশি খাতায় ২০ শতাংশ নম্বরের গড়মিল ছিল। পরবর্তী বিসিএসে যেন এই সমস্যা না হয় সেজন্য তারা পরীক্ষকদের ট্রেনিং দিয়েছেন। কীভাবে খাতা মূল্যায়ন করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন। এরপরও এতগুলো খাতার নম্বরে গড়মিল হওয়ার কারণ আমাদের বোধগম্য নয়।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা ধারণা করেছিলাম দুই থেকে তিন হাজার খাতায় নম্বরে গড়মিল হবে। তবে নম্বর গড়মিল হওয়া খাতার সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। এই খাতাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। এরপর তা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হবে। খাতা পাঠানো, মূল্যায়ন এবং পুনরায় ফল প্রস্তুত করতে প্রায় দেড় মাস সময় লেগে যাবে।

জানতে চাইলে পিএসসি’র চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, আমরা চেয়েছিলাম দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে। তবে পরীক্ষকদের ভুলের কারণে সেটি আর সম্ভব হচ্ছে না। বেশ কিছু খাতায় ২০ শতাংশ নম্বরের গড়মিল পাওয়া গেছে। এই খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়নের পর ফল প্রকাশ করতে করা হবে। এই প্রক্রিয়া দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে শেষ হবে বলেও জানান তিনি।

তথ্যমতে, ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের ২০ জানুয়ারি এই বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়। এই বিসিএসে আবেদন জমা পড়েছিল ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০টি।

৪৩তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৪/০৫/২০২৩      

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তা’য়