সাভারে ইমামতি করায় চাকরিচ্যুত জ্যেষ্ঠ শিক্ষক

ঢাকাঃ সাভারের আশুলিয়ার কওমি মাদ্রাসার এক শিক্ষককে অন্য একটি মসজিদে ইমামতি ও রমজানে তারাবির নামাজ পড়ানোর দায়ে চাকরিচ্যুত করে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। তবে এব্যাপারে ক্ষোভ জানিয়েছেন খোদ মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য।

বৃহস্পতিবার সকালে আশুলিয়ার কোনাপাড়া টেংগুরি দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের নাম মাওলানা মো. হাবীবুল্লাহ। তিনি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার শাহনগর এলাকার মাওলানা মোবারক হোসেনের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার কোনাপাড়া টেঙ্গুরী দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক।

ভুক্তভোগী মাওলানা মো. হাবিবুল্লাহ জানান, গেল রমজান মাসে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মজিবুর রহমানের অনুমতিক্রমে পার্শবর্তী একটি মসজিদে ইমামতি ও তারাবির নামাজ পড়িয়েছিলেন তিনি। পরে প্রিন্সিপালের নিষেধে ইমামতি করা বাদ দেন। তারপরেও তাকে ইমামতি করার অপরাধে মাদ্রাসা থেকে চাকরিচ্যুত করেন প্রিন্সিপাল। এরপর বিষয়টি ওই মাদ্রাসার সিনিয়র সহ-সভাপতি সুমন মণ্ডলকে জানালে তিনিসহ আরো কয়েকজন বিষয়টি সুরাহা করে দেন এবং তাকে মাদ্রাসায় বহাল রাখেন। হঠাৎ বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও সভাপতি জয়নাল বেপারীসহ আরো বেশ কয়েকজন সদস্য তাকে ডেকে অপমান করে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন।

ঘটনাটি মাদ্রাসার ছাত্র ও অভিভাবকদের নজরে আসলে তাদের মধ্যে মিশ্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিনা অপরাধে একজন শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে অপমান করে বের করে দেওয়ায় এলাকাবাসী ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং সভাপতির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন।

কোনাপাড়া টেংগুরি দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রিন্সিপাল হাফেজ মজিবুর রহমান মুঠোফোনে জানতে চাইলে, এব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না এবং এটা সভাপতি জানেন বলে জানান।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৬/০৫/২০২৩  

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তা’য়