শিক্ষক শূন্য পদ গুলো দ্রুত পূরণ করা হোক
মো.জামিল বাসার ।।
ফলপ্রসূ শিক্ষা পেতে হলে শিক্ষকদের শূন্য পদ গুলো পূরণ করা অতিব জরুরী। কোভিড ১৯ এর কারনে দীর্ঘদিন সকল ধরনের বিদ্যালয় বন্ধ ছিলো,এই দীর্ঘ বন্ধে শিক্ষাখাতে অপূরনীয় ক্ষতি সাধন হয়েছে। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষায় বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যে শিশুটি এখন প্রথম শ্রেণীতে পড়ে সেই শিশুটি প্রাক প্রাথমিকে মাত্র আড়াই মাস ক্লাস পেয়েছে,তাদের সঠিকভাবে বর্ণ পরিচিতিই ঘটেনি,অথচ আজ তাদের ১ম শ্রেণীর পাঠ্য বই মোতাবেক ছোট ছোট বাক্য গঠন করতে হয়।
বিদ্যালয় খুলে গেলেও ১ম ২য় শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে ১ দিন,৩য় ৪র্থ শ্রেণীর ক্লাস দুইদিন করা হয়েছে,এদিকে শিক্ষাবর্ষ শেষের দিকে,এমতাবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষন ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ করতে বাড়তি পরিচর্যার দরকার ছিলো। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অনেক বিদ্যালয়ে ১টি ২টি ৩টি করে শূন্য পদ আছে,আবার কয়েক হাজার বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বিহীন ভারপ্রাপ্ত দিয়েই যুগের পর যুগ চলে যাচ্ছে।
সহকারী এবং প্রধান শিক্ষক মিলে প্রায় ৪০/৪৫ হাজার শূন্য পদ নিয়েই চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো,এরকম শিক্ষক সংকট নিয়ে রুটিন মাফিক পাঠধানই যেখানে ব্যহত হচ্ছে,সেখানে বাড়তি পরিচর্যা কেমনে হবে?। প্রতিদিনই শিক্ষকদের মধ্য থেকে শতশত শিক্ষক রিটায়ার্ডে চলে যাচ্ছে,কিন্তু প্রতিদিনই সেই শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। ২০১৮ সালের নিয়োগের কার্যক্রম শেষ করে ২০২০ সালে শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।
২০১৮ সালের শূন্য পদ ধরে সার্কুলার হওয়ার পরে প্রায় ৪ বছর নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। করোনাকালীন এই শিখন ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ করতে প্রয়োজন শিক্ষক সংকটের অবসান। অতএব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে,দ্রুত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষকদের শূন্য পদ গুলো পূরণ করে প্রাথমিক শিক্ষার সংকট দূর করুন।