কিশোরগঞ্জঃ জেলার কটিয়াদীতে বিনা নোটিশে অবৈধ পন্থায় মো. খালেদুজ্জামান নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে আলহাজ এম এ মান্নান মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) প্রতিকার চেয়ে গত ১২ বছর ধরে আদালতে চাকরি সংক্রান্ত মামলা চালিয়ে আসছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. খালেদুজ্জামান কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।
বর্তমানে কিশোরগঞ্জের ১ম অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে ২৮/২১ আপিল এবং ১৩/২১ মিছ আপিল মামলা বিচারাধীন। এরইমধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষককে এমপিও’র জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে।
এ অবস্থায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান ওই শিক্ষককে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. খালেদুজ্জামান সাংবাদিকদের কাছে তার মানবিক ও মৌলিক অধিকার হরণের বিষয়টি তুলে ধরে প্রতিকার দাবি করেছেন। তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
মো. খালেদুজ্জামান অভিযোগ করেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্ম ১৯৭২ সালের পহেলা মার্চ হলেও তাকে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকবাহিনীর সঙ্গে লুটপাট ও চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে কটিয়াদী থানায় মিথ্যা ও উদ্ভট মামলা নং-৩(৫)২৩, সিআর নং-৭/২৩ ও জিআর নং-৮৬(২)২৩ এর ২নং আসামির নাম অন্তর্ভুক্তির ফিরিস্তি তুলে ধরেন। এ মামলায় সম্প্রতি তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন।
মো. খালেদুজ্জামান জানান, আলহাজ এম এ মান্নান মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় ২০০৩ সাল থেকে কর্মরত থাকাবস্থায় তাকে বিনা নোটিশে অবৈধ পন্থায় ২০০৭ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি আদালতে চাকরি সংক্রান্ত মামলা করেন। বর্তমানে আদালতে সিভিল মোকদ্দমায় বিবাদী এম এ মান্নান দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন, এজন্য তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকবাহিনীর সঙ্গে লুটপাট করা এবং ২য় পক্ষের নিকট চাঁদা দাবিসহ মারধরের অভিযোগ এনে থানায় মিথ্যা ও উদ্ভট মামলা করেন। এর আগেও ২য় পক্ষের সহায়তায় কটিয়াদী থানা পুলিশ ৮/৯টি মামলার রিপোর্ট দিয়েছে। যার বিন্দুমাত্র সত্যতা না থাকায় মামলাগুলো হতে আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
মো. খালেদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ন্যায়বিচার যাতে না পাই, সেজন্য কটিয়াদীর পাঁচগাতিয়া গ্রামের মৃত আঃ রাশিদের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত বিআরটিএ ইঞ্জিনিয়ার এম এ মান্নান আর্থিক ক্ষমতাবলে আমাকে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। এ বিষয়ে সঠিক তদন্তের জন্য ও সুদৃষ্টি কামনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, পুলিশের আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক জানিয়েছেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৪/০৫/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তা’য়