প্রাথমিকের নতুন ভবনঃ হস্তান্তরের আগেই মেঝেতে ফাটল

খসে পড়ছে পলেস্তারা

ময়মনসিংহঃ জেলার ঈশ্বরগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন হস্তান্তরের আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে মেঝে ও সিঁড়িতে। ফলে ভবনটির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

ফাটল ধরা এ ভবনটি উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের ১০৯ নং গোল্লাজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এদিকে ছোট দুই শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের পাঠদান।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৭৬ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। পুরনো জরাজীর্ণ ভবনে মোট তিনটি কক্ষ রয়েছে। দুটি কক্ষে গাদাগাদি করে চলে পাঠদান, অপর একটি ব্যবহৃত হয় অফিস কক্ষ হিসেবে।

জানা গেছে, চাহিদাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৯৬১ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবনটি চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি হস্তান্তরের কথা থাকলেও মেঝেতে অসংখ্য ফাটল ও পলেস্তার খসে পড়ায় ভবনটি বুঝে নেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন দেখা যায়, নবনির্মিত ভবনের মেঝে ও সিঁড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের ব্ল্যাকবোর্ড ও মেঝের অনেক স্থানে পলেস্তারা খসে পড়ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোল্লাজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজটি পায় ঠিকাদার সোহান। তবে ত্রুটিপূর্ণ কাজের কারণে কর্তৃপক্ষের কাছে নবনির্মিত ভবনটি এখনো হস্তান্তর করতে পারেনি ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ভবনের মেঝের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং পলেস্তারাও খসে পড়েছে। বিষয়টি ইউএনও এবং শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে স্কুল ভবন নির্মাণের ঠিকাদার সোহান বলেন, ভবনের মেঝের ওপরের অংশে সিমেন্ট কড়া (কঠিন) হওয়ার কারণে সামান্য ফাটল দেখা দিয়েছে। ফাটল ও খসে পড়া মেঝে দ্রুত মেরামত করে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদ আহমেদ জানান, নবনির্মিত ভবনের ফাটলের বিষয়টি জেনেছি। মেঝেতে পর্যাপ্ত পানির অভাবে অনেকসময় ফেটে যায়। কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে তারপর ভবন হস্তান্তর করা হবে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নীলুফার হাকিম বলেন, ভবনের কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা শুনেছি। এবিষয়ে একটি অভিযোগও পেয়েছি। এখনো ভবনটি হস্তান্তর করা হয়নি। আমি এখন ছুটিতে আছি, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। হস্তান্তরের আগে সংশ্লিষ্টদের এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৪/০৫/২০২৩      

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তা’য়