পাবনাঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সকল দপ্তরকে কাগজবিহীন করার উদ্যোগ করার নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর জন্য দাপ্তরিক ও শিক্ষা কার্যক্রমকে অটোমেশনের আওতাভুক্ত করা হচ্ছে। এখন থেকে একজন শিক্ষার্থীর ভর্তি থেকে শুরু করে চূড়ান্ত সনদ তোলার প্রক্রিয়া হবে কাগজবিহীন। একই প্রক্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তারাও যুক্ত হবেন। ফলে কাগজছাড়াই চলবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রম। ষষ্ঠ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এ কার্যক্রমের শুরু করেছে পাবিপ্রবি।
এ উপলক্ষ্যে বুধবার (২৪ মে) বিকেলে গ্রন্থাগার ভবনের ভার্চুয়াল মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অটোমেশন সিস্টেমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ডেভেলপমেন্ট অব অফিস অটোমেশন অ্যান্ড কম্পিটারাইজড একাউন্টটিং সিস্টেমের আহবায়ক অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট ড. ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, আগামীর বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে। সেই লক্ষে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে হাত দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবো। আমরা স্মার্ট নাগরিক তৈরি করবো। সে লক্ষ্যে সুযোগ সুবিধার অংশ হিসেবে অফিস অটোমেশনের যাত্রা শুরু হলো। আমরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথমদিকে আছি যারা অফিস অটোমেশনের কাজ শুরু করলাম। এর মাধ্যমে সকল কাজ ঝামেলাহীনভাবে দ্রুত সম্পন্ন করা যাবে। এতে সময় বাঁচবে। কাগজ লাগবে না। সময় ও সম্পদের সাশ্রয় হবে। হয়রানি কমবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা বাড়বে। দায়িত্ববোধের সঙ্গে সবাই কাজ করতে বাধ্য হবে। একজন শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়া যাবে। পেপারলেস অফিস হয়ে উঠবে। কাগজ লাগবে না। কাগজের জন্য গাছ কাটতে হবে না। পরিবেশের উন্নতি ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, একাডেমিক কাজ থেকে শুরু করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ সবকিছু কাগজবিহীন হবে। ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই সকল কাজ নিজে করতে পারবে। সকল অফিস ও বিভাগ অটোমেশনের আওতায় আসবে। অফিস অটোমেশন সিস্টেম উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে অনেক এগিয়ে গেল এই বিশ্ববিদ্যালয়। এই গতি ধরে রেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা সবাই দক্ষ হয়ে উঠবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, অটোমেশন সিস্টেম নিয়ে যে ভীতি কাজ করে সবার মধ্যে বাস্তবে এটি একটি সহজ প্রক্রিয়া। কেবল আমাদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। শুধুমাত্র প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক দেশ এগিয়ে গেছে। আমাদেরকেও এগিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়া উপায় নাই। বিশ্ব ব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত হতে হলে আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন বলেন, বহুদিনের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন আজ ঘটলো অফিস অটোমেশন সিস্টেম উদ্বোধনের মাধ্যমে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাপ্তরিক ও শিক্ষাকার্যক্রম হবে পেপারলেস, কাগজবিহীন। স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হলে প্রযুক্তিকে দক্ষ হতে হবে। আজকের দিনটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক। অল্পদিনের মধ্যেই এর সুফল সবাই দেখতে পারবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অফিস অটোমেশন সিস্টেম সফটওয়্যার এডুসফ এর পরিচালক হাসান সরওয়ার সফটওয়্যারটি সম্পর্কে ধারণা দেন। তিনি একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৫/০৫/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তা’য়