আয়কর রিটার্ণ দাখিল না করায় চাটমোহরের শিক্ষকগণ বেতন থেকে বঞ্চিত

চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা।।

আয়কর রিটার্ণ দাখিল না করায় পাবনার চাটমোহর এবং আটঘরিয়ার বেসরকারি স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসার প্রায় তিন হাজার শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি বেতন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

বেতন-ভাতা প্রদান বন্ধ করে রেখেছেন চাটমোহর এবং আটঘরিয়া সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ফলে ঈদের আগে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং কর্মচারিদের। সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার বরাবর উপ-কর কমিশন পাবনা থেকে পাঠানো পত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বেতন-ভাতা বন্ধ করে রেখেছেন চাটমোহর এবং আটঘরিয়া সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপকগণ । চাটমোহর এবং আটঘরিয়া উপজেলায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক এবং এখানে ককর্মরত শিক্ষক কর্মচারী প্রায় তিন হাজার।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা জানান, আয়কর রিটার্ণ দাখিলের বিষয়ে আগে কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি। গত ১৬ জুলাই জুন/১৯ মাসের সরকারি বেতন জমা দেবার শেষ দিন ছিল ঔদিনে ব্যাংকে বেতন জমা দিতে আসলে বিষয়টি জানানো হয়। শিক্ষকগণ বলেন আয়কর সরবারি নিয়মমত দিতে রাজি তারা কিন্তু বিষয়টি আগে জানানো দরকার ছিল।শিক্ষকগণ বলেন, আয়কর দিতে সময় লাগবে, কিন্তু বেতন-ভাতা না পেলে আমরা চলবো কিভাবে?

শুধু শিক্ষক নয়, কর্মচারীদেরও বেতন-ভাতা দিচ্ছে না ব্যাংক। সুত্রমতে, যাদের বেতন ১৬ হাজার টাকার কম, তাদের আয়কর রিটার্ণ দাখিল করতে হবে না। শুধুমাত্র ১৬ হাজার টাকার উপরে বেতন প্রাপ্তদের এটা দিতে হবে।কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্টানের সকল শিক্ষক এবং কর্মচারীর বেতন আটকে রেখেছেন। ১৬ হাজার টাকার কম যাদের বেতন তাদেরও বেতন আটকে দিয়েছেন, তারাও বেতন তুলতে পারছেন না। বার বার চেষ্ঠা করে উপ-কর কমিশন পাবনার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ব্যাংকে পাঠানে চিঠিতে যে ফোন নম্বর দেয়া আছে সেই নম্বরে কথা বলা যায়নি।বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।