১৫৫টি স্কুল থেকে চাঁদা তুললেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মোঃ মাহবুবুর রহমান এর বিরুদ্ধে উপজেলার ১৫৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২৫০ টাকা করে চাঁদা উঠানোর অভিযোগ উঠেছে।
গত ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে জেলার প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়া উন্নয়ন মেলার স্টল বরাদ্দ বাবদ এই টাকা আদায় করা হয়। উপজেলার একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে জেলার প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়া উন্নয়ন মেলার আগে উপজেলা শিক্ষা কমিটির মাসিক মিটিংয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান স্টল বরাদ্দ বাবদ স্কুল প্রতি ২৫০ টাকা চাঁদা নির্ধারন করে দেন। এই শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলার ১৫৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৩৮ হাজার ৭৫০ টাকা উঠানো হয়। বাস্তবে ইনোভেশন মেলায় স্কুল থেকে কোন চাঁদা তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি প্রাথমিকের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর কিংবা জেলা অফিস থেকে। তবে ২৫০ টাকা চাঁদা নির্ধারণ করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান এই টাকা উঠিয়ে তা আত্মসাৎ করেন।
এ বিষয়ে অন্তত দশ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হয় শিক্ষাবার্তা'র। তারা শিক্ষাবার্তা'র কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, চাটমোহর উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাহাবুবুর রহমান মাসিক মিটিংয়ে এই চাঁদা নির্ধারণ করে দেন এবং তা প্রেরণ করতে হয়। বাস্তবে ইনোভেশন উন্নয়ন মেলার জন্য সরকার থেকে স্কুল প্রতি কোন অর্থ উত্তোলন করার কোন আদেশ জারি করা হয়নি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে চাঁদা আদায়ের নির্দেশ পাবার পর আমরা এই টাকা শিক্ষা অফিসারকে পাঠাতে বাধ্য হই। যে কোন বিষয়ে আমাদেরকে চাঁদা দিতে হয়।
২৫০ টাকা করে অর্থ নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও এই অর্থ তিনি নেননি জানিয়ে চাটমোহর উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাহাবুবুর রহমান শিক্ষাবার্তা'র কাছে গত সোমবার বিকেলে দাবি করেন, এই টাকা স্টল বরাদ্দের জন্য নয় শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী কাজে ব্যবহার করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের কাছেই এই অর্থ রয়েছে। এই অর্থ আমি কারও কাছ থেকে আদায় করিনি।
পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা শিক্ষাবার্তা'কে জানান, আমি বিষয়টা জানি না, আপনার কাছে শুনলাম। খোঁজ নিয়ে জেনে তারপরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৩/০৪/২০২৪