প্রাথমিকের মূল্যায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা স্কুলে স্কুলে ছড়ানো হচ্ছে গুজব
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে (বার্ষিক পরীক্ষার) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। ফলে ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে ছড়ানো হচ্ছে আলাদা তথ্য। এ নিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যেও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। অনেক স্কুলে আবার নানা ধরনের গুজব ছড়ানোর অভিযোগও আসছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের চূড়ান্ত কোনো পদ্ধতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। ফলে এখনি এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন বা গুজবে কান দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে নির্দেশনা করবে অধিদফতর।
অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানিয়েছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি বিষয়ে স্বাক্ষরবিহীন একটি পত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। এটি অনভিপ্রেত ও অসত্য। তিনি আরো জানান, আগামী মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার কথা। এর আগেই এবারের মূল্যায়ন পদ্ধতির বিষয়ে সবাইকে জানানো হবে।
রাজধানীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় প্রান্তিক (চূড়ান্ত) বা বার্ষিক পরীক্ষা আগামী ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হওয়ার কথা। এবার প্রতিটি বিষয়ে সর্বোচ্চ ৬০ নম্বরের মধ্যে বার্ষিক মূল্যায়ন হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে।
অন্য দিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মূল্যায়ন সংক্রান্ত নির্দেশনার বিষয়ে চলতি মাসের শুরুর দিকে কেবল একটি খসড়া করা হয়েছিল। যদিও সেটি চূড়ান্ত হয়নি। ফলে জারিও করা হয়নি। কিন্তু শিক্ষকদের মধ্যেই একটি চক্র সেই খসড়াটি কোনোভাবে হাতে পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছেন। অবশ্য সেই শিক্ষককে ইতোমধ্যে চিহ্নিতও করা হয়েছে।
ডিপিইর একটি সূত্র এর আগে জানিয়েছিল প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য লিখিত পরীক্ষা এবং ক্লাস মূল্যায়ন এই দুইয়ের সমন্বয়ে ১০০ নম্বরের মূল্যায়ন করার চিন্তা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪০ নম্বর থাকার কথা ছিল ক্লাসে শিক্ষার্থীর পঠন লিখন ও অন্যান্য পারফরমেন্সের উপর ভিত্তি করে। আর ৬০ নম্বর থাকবে তার লিখিত পরীক্ষার যোগ্যতার ভিত্তিতে। এই দুই প্রক্রিয়ায় একজন শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করেই তাকে উপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করার নির্দেশনার বিষয়ে চিন্তা করা হয়েছিল। তবে এখন ডিপিই বলছে মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতির বিষয়ে চলতি সপ্তাহেই নির্দেশনা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। কাজেই বিজ্ঞপ্তি না আসা পর্যন্ত কোনো গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।