প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পুলিশের পোশাক পরে তরুণী
নিউজ ডেস্ক।।
আশ্চর্য হলেও সত্য। শুধু সিলেটে নয় গোটা দেশেই এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে। কে সেই তরুণী কি তার পরিচয় এনিয়ে চলছে নানান আলোচনা ও সমালোচনা। সিলেট নগরের দরগাহ গেট এলাকায় পুলিশের পোশাক পরে ঘুরছিলেন হালিমা বেগম (২৫) নামে এক নারী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
অবশেষে তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। এ নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। রোববার (১৫ নভেম্বর) নগরের শাহজালাল (রহ.) দরগাহ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে হালিমাকে আদালতের মাধ্যমে রোববারই কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গোটা শহরে এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গ্রেফতারকৃত হালিমা বেগম সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শিমুলতলা গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে। তিনি আগে থেকেই একটু বদমেজাজী ছিল
সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফুল্যাহ তাহের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকালে হজরত শাহজালাল (র.) এর মাজারের প্রধান ফটকের সামনে থেকে একজন নারীকে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় দেখতে পান এসআই মো. আব্দুল বাতেন ভূঁইয়া। ওই নারীকে দেখে সন্দেহ হলে তিনি এসএমপির নারী কনস্টেবল রাজুফা খাতুনের মাধ্যমে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে হালিমা জানান, তার গ্রামের বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে তিনি গত শনিবার (১৪ নভেম্বর) পুলিশের ইউনিফর্ম সংগ্রহ করেন। পুলিশের ইউনিফর্ম পরে তিনি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। রোববার সকালে ওই ইউনিফর্ম পরেই তিনি কোম্পানীগঞ্জের পুলেরমুখ থেকে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল যোগে নগরের শাহজালাল (র.) মাজারে আসেন।
এ ঘটনায় হালিমা বেগমের বিরুদ্ধে এসআই মো. আব্দুল বাতেন ভূঁইয়া বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, এলাকার জমা-জমি নিয়ে বিরোধ মেটাতে তিনি পুলিশ সেজে সংশ্লিস্টদের উচিত শিক্ষা দিতেই তিনি এই পোষাক ব্যবহার শুরু করেন।