শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ

জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির উপপরিচালক (উপসচিব) মো: শফিউর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পির সই করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

একই দিন অপর এক প্রজ্ঞাপনে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো: ইমরান আহমেদকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মেহেদী হাসানের সই করা সরকারি আদেশে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ দ্রুত কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর জামালপুরে একটি অনুষ্ঠানে ইমরান আহমেদ বলেন, এই সরকার যে উন্নয়ন করেছে সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এই সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। এটা হবে আমাদের প্রত্যেকের অঙ্গীকার।

ডিসির এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এমনকি বুধবার নির্বাচন কমিশনের সাথে ২৮ বিশিষ্টজনের বৈঠকে জামালপুরের ডিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৪/০৯/২০২৩ 

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ জেলা পর্যায়ে দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছেন নওগাঁর সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুন। গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই কমিটির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ফলাফলের তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে গত বছর জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদকে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার জিতেছিলেন আব্দুল্যাহ আল মামুন। এছাড়াও তিনি শুদ্ধাচার চর্চায় এ বছর জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ার সম্মান অর্জন করেছেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য মতে, বরেন্দ্র অধ্যুষিত ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সাপাহার উপজেলায় নিম্ন আয়ের মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কয়েক বছর আগেও ওই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার উদ্বেগজনক ছিল। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন ইউএনও আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন।

নিয়মিত কাজের ফাঁকে সময় পেলেই ছুটে যান বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মজার মজার গল্পের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের আকৃষ্ট করে মাঝে মধ্যেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান নিজেই। শিশুদের নিয়মিত বিদ্যালয়মুখী করতে উপহার দেন স্কুল ড্রেস, স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্স, শিক্ষা উপকরণসহ নানা খেলার সামগ্রী।

এছাড়াও নিয়মিত উপস্থিত হন বিদ্যালয়ের মা সমাবেশে। তার প্রচেষ্টায় গত দুই বছরে সাপাহার উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধির পাশাপাশি পড়ালেখায় মনোযোগী হয়ে উঠার প্রবণতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, প্রতিটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত এই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির হার বাড়ানোটাই প্রথমে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম।

শিশুদের অনুপ্রাণিত করতে শিশুবরণ অনুষ্ঠানসহ প্রায়ই বিভিন্ন আয়োজন করা হয় এবং তাদের পুরস্কৃত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আজকের দিনের এই শিশুরা আগামীতে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করবে বলে আমি আশাবাদী। এই পুরষ্কার আগামীতে আমাকে ভালো কাজে আরও উৎসাহ যোগাবে।

নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই কমিটির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম বলেন, সাপাহারে যোগদানের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন ইউএনও আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন।

তাই এ বছরেও তাকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে এ বছর ১৩ জনকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী বিভাগীয় পর্যায়ে শিক্ষা পদকের জন্য তাদের প্রত্যেকের নাম সুপারিশ করা হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৪/০৯/২০২৩ 

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়

গাজী মো. রুম্মান ওয়াহেদ।।

আমলের দিক থেকে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা যেসব দিনকে ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করেছেন এর অন্যতম হলো জুমার দিন।
কোরআন-হাদিসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দ্বারা এই দিনের মর্যাদার কথা জানা যায়। বিশ্ব নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জুমার দিন সেরা দিন ও আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম দিন। আল্লাহর কাছে তা ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও উত্তম’। (ইবনে মাজাহ)

অন্য হাদিসে আছে, ‘যেসব দিনে সূর্য উদিত হয়েছে এর মধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমার দিন’। জুমার দিনকে মুসলমানদের ঈদের দিন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

জুমার ফজিলত সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘এক জুমা থেকে অপর জুমা উভয়ের মাঝের (গোনাহের জন্য) কাফফারা হয়ে যায়, যদি কবিরা গুনাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়ে থাকে’। (মুসলিম)

রাসূল (সা.) অন্য হাদিসে বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে গোসল করে সকাল সকাল মসজিদে আসবে এবং ইমামের নিকটবর্তী হবে এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনবে ও চুপ থাকবে তার জুমার সালাতে আসার প্রত্যেক পদক্ষেপে এক বছরের নামাজ ও রোজা পালনের সওয়াব হবে’। (তিরমিজি)

জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল। এগুলো মধ্যে তিনটি আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর তাহলো-

(১) জুমার দিনে ‘সূরা আল কাহফ’ তেলাওয়াত করা

> পবিত্র কোরআনুল কারিমের ১৫তম পারার ১৮নম্বর সূরা এটি। যদি কেউ সম্পূর্ণ সূরাটি তেলাওয়াত করতে না পারে তবে সে যেন এ সূরার প্রথম এবং শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করে।

> যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর (পরবর্তী) জুমা পর্যন্ত নূর হবে।

> যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, সে আটদিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকেও মুক্ত থাকবে।

> এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত তার সব (কবিরা গুনাহ ব্যতিত) গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।

(২) জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা

> জুমার দিনে বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ। যদি কোনো ব্যক্তি একবার দরুদ পড়ে তবে তার প্রতি ১০টি রহমত নাজিল হয়।

> আর যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর ৮০ বার এ দরুদ পড়বে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছর ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে।

দরূদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দরুদ হচ্ছে ‘দরুদে ইব্রাহিম’; যা নামাজে পড়া হয়।

দরুদে ইব্রাহিমের আরবি, বাংলায় উচ্চারণ ও অর্থ

আরবি

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌاللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيد

বাংলায় উচ্চারণ

আল্লাহুম্মা সাল্লেআ’লা মোহাম্মদাও ও আ’লা আলি মোহাম্মদ, কামা সাল্লাইতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আ’লা মোহাম্মাদেওঁ ও আ’লা আলি মোহাম্মদ, কামা বারকতা আ’লা ইব্রাহিমা ও আ’লা আলি ইব্রাহিম, ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ।

অর্থ

হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তার বংশধরদের ওপর এই রূপ রহমত নাজিল করো, যেমনটি করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) এবং তার বংশধরদের ওপর বরকত নাজিল করো, যেমন বরকত নাজিল করেছিলে ইব্রাহিম ও তার বংশধরদের ওপর। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসনীয় ও সম্মানীয়।

(৩) জুমার দিন দোয়া কবুলের সময়

পবিত্র জুমার দিনের আমলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো, এদিনে বিশেষ একটা মুহূর্ত আছে, তখন বান্দা তার রবের কাছে যা-ই চায়, মহান রব দিয়ে দেন।

প্রিয় নবীজি (সা.) জুমার দিনের কথা আলোচনা করতে গিয়ে বলেছেন,

فِيهِ سَاعَةٌ، لاَ يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ، وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي، يَسْأَلُ اللَّهَ تَعَالَى شَيْئًا، إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ

‘এদিনে একটা সময় আছে, মুসলিম বান্দা একাগ্র হয়ে নাছোড়বান্দার মতো, আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করতে থাকলে, তিনি তাকে দিয়েই দেন। নবীজি (সা.) একথা বলার পর, হাত দিয়ে ইশারা দিয়ে বুঝিয়েছেন, দোয়া কবুলের সেই সময়টা খুব দীর্ঘ নয়। স্বল্পমেয়াদী’। (আবু হুরায়রা রা., বুখারি)

তাহলে সময়টা কখন? এ ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরামেরও কৌতূহল ছিল। বড় বড় সাহাবি এর অনুসন্ধান করেছেন। হাদিসে কয়েকটা সময় উল্লেখিত হয়েছে।

> প্রথম সময়: ইবনে উমার (রা.) এর সঙ্গে দেখা হলো আবু বুরদার। জানতে চাইলেন,

- আপনার বাবা (আবু মুসা আশআরী (রা.)-কে জুমার দিনের বিশেষ সময় সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন?

-জি, শুনেছি। বাবা বলেছেন, ‘আমি আল্লাহর রাসূলের (সা.) কাছে শুনেছি,

هِيَ مَا بَيْنَ أَنْ يَجْلِسَ الإِمَامُ إِلَى أَنْ تُقْضَى الصَّلاَةُ

‘সে সময়টা হলো, ইমাম মিম্বরে বসার পর থেকে সালাত সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত’। (মুসলিম: ৮৫৩)

> দ্বিতীয় সময়: জুমার দিনের শেষ সময়।

يَوْمُ الجُمُعة ثِنْتَا عَشْرَةَ سَاعَةً ، لاَ يُوجَد فِيهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ يَسْأَلُ الله شَيْئاً إِلاَّ آتَاهُ إِيَّاهُ ، فَالْتَمِسُوهَا آخِرَ سَاعَةٍ بَعْدَ العَصْر

‘জুমার দিন বারো ঘণ্টা। (তার মধ্যে এমন বিশেষ এক ঘণ্টা বা মুহূর্ত আছে) তাতে কোনো মুসলিম বান্দা দোয়া করলে, আল্লাহ তাআলা তা কবুল করেই নেন। তোমরা সে বিশেষ মুহূর্তকে, আসরের পরে (মাগরিবের আগে) শেষ সময়টাতে অনুসন্ধান কর’। (জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা.), আবু দাউদ ১০৪৮)

আরেক হাদিসে সময়টা আসরের পর থেকে সূর্য ডুবা পর্যন্ত বলা হয়েছে।

আমার নানা সমস্যা? আমি বিপদে আছি? পরিবারের কেউ গুরুতর অসুস্থ? আর্থিক অনটন প্রকট? সামাজিক বা রাজনৈতিক শত্রুরা কষ্ট দিচ্ছে? বিশেষ কোনো চাওয়া আছে? চাকুরি-বিয়ে-সন্তান? জুমার দিন বসে যাই না!

জুমার সময় দুই খুতবার মাঝখানে, ইমাম যখন নিরব হয়ে বসেন? আসরের পর– মাগরিবের আজান হয়ে যাওয়া পর্যন্ত?

বিশেষ করে- জুমার দিন ও জুমার নামাজ আদায় মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ দিন। এ দিনের প্রতিটি আমলই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই প্রিয়নবী (সা.) জুমার নামাজ পরিত্যাগ করার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (ইচ্ছা করে) অলসতাবশত তিনটি জুমা ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা তার হৃদয়ে মোহর মেরে দেন’। (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালেক)

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমার নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। জুমার দিনের আমল ও করণীয়গুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

গত মাসের শুরুর দিকে হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। বিদায় বলতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওয়ানডে অধিনায়ক। তামিমের সিদ্ধান্তটা ছিল অভিমানে, তা স্পষ্টই বোঝা যায়। সেটা নিয়ে রীতিমত তোলপাড় হয় তখন।

ঘটনার পরের দিন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার মধ্যস্থতায় তামিমকে গণভবনে ডাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই অবসর প্রত্যাহার করে নেন তামিম।

এই ঘটনার মাস না পেরোতেই গতকাল নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তামিম। এবার আর আবেগী নয়, গুরুত্বপূর্ণ সবার সঙ্গে কথা বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশসেরা ওপেনার। কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। বুঝিয়ে বলেছেন পুরো পরিস্থিতি।

গত রাতের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘আজকে (কালকে) আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং ছিল জালাল ভাই (ক্রিকেট অপস প্রধান জালাল ইউনুস) ও (নাজমুল হাসান) পাপন ভাইয়ের সঙ্গে। আমার সবকিছু নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আর আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিজের থেকে ওনাদের বলেছি যে আজ (কাল) থেকে আমি ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।’

তামিম যোগ করেন, ‘আমার চোট একটা কারণ। যে ইনজেকশনটা নিয়েছি ওটা হিট অ্যান্ড মিসের মতো। আমার কাছে দল আগে। দলের কথা চিন্তা করে আমার নেতৃত্ব ছাড়াটা সবচেয়ে ভালো বিষয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। উনি বুঝেছেন।’

নেতৃত্ব ছাড়লেও খেলা চালিয়ে যেতে চান তামিম। এশিয়া কাপে না খেললেও তাকে দেখা যেতে পারে বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে। তামিম বলেন, ‘মূল বিষয় হলো, দলের ভালোর জন্য আমি নেতৃত্ব ছাড়ছি এবং একজন ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে চাই।’

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাত মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলো ২৮৩ জনের। এটি দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে এক বছরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা। এর আগে গত বছর দেশে ডেঙ্গুতে ২৮১ জনের মৃত্যু হয়।

কীটতত্ত্ব, রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, এডিস মশা নির্মূল ও রোগী ব্যবস্থাপনায় জনস্বাস্থ্যের পরামর্শ উপেক্ষিত হচ্ছে। শুরু থেকেই রয়েছে সমন্বিত উদ্যোগের ঘাটতি। স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করছে। ফলে আগস্ট, সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু সংক্রমণ আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এবার ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার অন্য বছরের তুলনায় বেশি। আর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং মারা গেছেন শক সিনড্রোমে। বিগত বছরগুলোতে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ছিল শূন্য দশমিক এক থেকে শূন্য দশমিক দুই শতাংশের মধ্যে। এবার সেই হার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। এ বছর মোট মৃত্যুর ৬৪ শতাংশ নারী এবং ৩৬ শতাংশ পুরুষ। তবে আক্রান্ত বেশি পুরুষ, ৫৫ শতাংশ। শিশু আক্রান্তের হার ২১ শতাংশ।

২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ওই বছর ডেঙ্গুতে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০০২ সালে মৃত্যু হয় ৫৮ জনের। এরপর গত ১৫ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৫ এর নিচে। তবে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১ হাজার ৩৪৫ জন। এর মধ্যে মারা যান ১৭৯ জন।

দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে ২০১৪ সালে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল সবচেয়ে কম। ওই বছর ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যু নেই, তবে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৭৫ জন। ২০২১ সালে করোনাভাইরাসের মধ্যে আবারও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ৬২ হাজার ৩৮২ জন আক্রান্ত হন এবং মৃত্যু হয় ২৮১ জনের। চলতি বছর প্রথম সাত মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ওই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল। এ বছর এই পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৭১৬ জন। দৈনিক আক্রান্তের যে তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দিচ্ছে তাতে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ঢাকা মহানগরীর ১১টি এলাকা থেকে ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ছয়টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পাঁচটি এলাকা রয়েছে। ডিএসসিসির যেসব এলাকা থেকে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে আসছেন, তার মধ্যে রয়েছে যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, ধানমন্ডি ও বাসাবো। আর ডিএনসিসির উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা থেকে ডেঙ্গু রোগী বেশি যাচ্ছেন হাসপাতালে।

এক দিনে আরও ১০ মৃত্যু

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৫৮৯ জন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৪৮৮ জনই ঢাকার বাইরের। ঢাকায় ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০১ জন রোগী। এ নিয়ে এই বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ হাজার ৭১৬ জনে। এর আগে শুধু ২০১৯ এবং ২০২২ সালে এর চেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বুধবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ হাজার ২১০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৪ হাজার ৬৫০ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৪ হাজার ৫৬০ জন। এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। জুনে যেখানে পাঁচ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, সেখানে জুলাইয়ে ভর্তি হন ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন রোগী। জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু হলেও জুলাইয়ে ডেঙ্গুতে প্রাণ যায় ২০৪ জনের। আর আগস্টের প্রথম তিন দিনে ৭ হাজার ৮৮৪ জন ভর্তি হন হাসপাতালে, মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের।

এর আগে গত জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে ১ হাজার ৩৬ জন এবং জুনে ৫ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দু’জন, মে মাসে দু’জন এবং জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে তামিম ইকবালের নেতৃত্বের অবসান হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তামিম। আসন্ন এশিয়া কাপে তিনি খেলবেন না। এশিয়া কাপের পর নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে তার মাঠে ফেরার কথা।

এখন দেশের ক্রিকেটে বড় প্রশ্ন হলো, কে হচ্ছেন পরবর্তী অধিনায়ক?
এই আলোচনায় সবার ওপরে আছে দুটি নাম- সাকিব আল হাসান এবং লিটন কুমার দাস। দুজনের মাঝে সাকিব তো টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব সামলাচ্ছেন। আর ওয়ানডের সহ-অধিনায়ক হিসেবে এর আগে একাধিক সিরিজে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন লিটন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তো টেস্টেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

এবার যাকেই অধিনায়ক করা হোক না কেন, সেটা হবে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে নতুন অধিনায়কের প্রশ্নে বলেন, ‘যদি তামিম শুধু বলত যে এশিয়া কাপ খেলছে না, তাহলে তো আমাদের প্রস্তুত ছিলই, সহ-অধিনায়ক লিটন দাস হতেন (অধিনায়ক)। এখন এই মুহূর্তে আমি বলতে পারছি না দু-একজনের সঙ্গে কথা না বলে (নতুন অধিনায়ক কে) বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর এসেছে যে, সাকিব আল হাসানকে নাকি ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু তিনি বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করতে রাজি নন। এমন দাবি উড়িয়ে দেন বিসিবি সভাপতি। তিনি জানান, সাকিবের সঙ্গে এ বিষয়ে তার কোনো কথাই হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এশিয়া কাপের দল ঘোষণার দিন বা এর আগেই ওয়ানডে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হতে পারে।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

নামাজ একজন মুসলিমের জন্য অবশ্যই ফরয কাজ। একমাত্র নামাজের মাধ্যমেই মহান রাব্বুল আলামিনের কাছাকাছি আসা যায়। এর মাধ্যমেই বান্দা তার প্রভুর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পায়। নামাজ ফারসি শব্দ। আরবিতে একে বলা হয় সালাত।

নামাজ বা সালাত যা-ই বলি, ইসলামি পরিভাষায় সেটা মূলত বোঝায় আল্লাহর নির্দেশে নির্ধারিত নিয়মে প্রতিদিন পাঁচবার ইবাদত করার একটি পদ্ধতি। সালাত ফরজ হওয়ায় প্রত্যেক মুসলিমকে প্রতিদিনই পাঁচবার নামাজ আদায় করতেই হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশ করা নামাজের স্থায়ী ক্যালেন্ডার এর সময়সূচি অনুসারে দেখে নিন ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি।

আজ শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩ (৯ মহররম ১৪৪৫ হিজরি)। দেখে নিন ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি।

জুমা: ১২টা ০৮ মিনিট।
আসর: ৪টা ৪৪ মিনিট।
মাগরিব: ৬টা ৪৭ মিনিট।
এশা: ৮টা ০৮ মিনিট।
ফজর (শনিবার, ২৯ জুলাই): ৪টা ০৩ মিনিট।

বিভাগীয় শহরের জন্য–
চট্টগ্রাম: ৫ মিনিট বিয়োগ করতে হবে।
সিলেট: ৬ মিনিট বিয়োগ করতে হবে।

এছাড়া–
খুলনা: ৩ মিনিট যোগ করতে হবে।
রাজশাহী: ৭ মিনিট যোগ করতে হবে।
রংপুর: ৮ মিনিট যোগ করতে হবে।
বরিশাল: ১ মিনিট যোগ করতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

জাল সনদে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। জুলাই মাসে এসব শিক্ষকের বেতন দেয়া হয়নি বলেও জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত বুধবার জুলাই মাসের এমপিওর চেকলিস্টে জাল শিক্ষকদের এমপিও স্থগিত করা হয়েছে। এই শিক্ষকদের বেতন গত মে মাসে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল; কিন্তু নানা প্রক্রিয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এবার শিক্ষকদের চাকরিজীবনে নেয়া বেতনভাতার সব টাকা ফেরত চাওয়া হবে। যিনি ফেরত দেবেন না তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে।

জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর (ডিআইএ) প্রতিবেদনে এসব শিক্ষক-কর্মচারীর জাল সনদে চাকরি পাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এরপর তাদের বেতনভাতা বন্ধ করে চাকরিচ্যুত করা এবং ফৌজদারি মামলা করার সুপারিশ করে সংস্থাটি। পরবর্তী সময়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি। প্রাথমিক ধাপ হিসেবে তাদের বেতনভাতা বন্ধ করা হয়েছে। এখন তাদের চাকরিচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রয়োজন হলে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাউশি অধিদফতরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, জুলাই মাসে যে বেতন শিট তৈরি করা হয়েছে সেখানে তাদের বেতনভাতা পাঠানো হয়নি। অর্থাৎ তারা এখন থেকে আর বেতন পাবেন না। ডিআইএ প্রতিবেদনের আলোকে অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। মাউশি আরো জানিয়েছে, এই শিক্ষকদের বেতন গত মে মাসে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল; কিন্তু নানা প্রক্রিয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি। গত বুধবার জুলাই মাসের এমপিওর চেক ছাড় হলে তাতে দেখা গেছে, জাল শিক্ষকদের এমপিও স্থগিত করা হয়েছে। এবার তাদের কাছ থেকে এমপিও বাবদ নেয়া সব টাকা ফেরত চাইবে সরকার। যিনি ফেরত দেবেন না তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

এর আগে সহস্রাধিক জাল শিক্ষক শনাক্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে তালিকা পাঠিয়েছিল ডিআইএ। স্কুল-কলেজে কর্মরত ৬৭৮ জনের তালিকা পাঠিয়ে এমপিও বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের সুপারিশ করা হয়েছিল। একই সাথে তাদের অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা আটকানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল। তবে তখন তা কার্যকর হয়নি। তারপর মে ও জুন মাসের এমপিওর পাশাপাশি ঈদুল আজহার উৎসবভাতাও দেয়া হয়েছিল জাল সনদধারী শিক্ষকদের। অবশেষে তাদের এমপিও স্থগিত করা হলো।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মে দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে কর্মরত জাল সনদধারী ৬৭৮ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুতির নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে এমপিওভুক্তদের বেতন বন্ধ করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরকে বলা হয়েছিল। ওই তালিকায় স্থান পাওয়া জাল শিক্ষকদের মধ্যে ৪৭৯ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ছিলেন। বাকি ১৯৯ জন শিক্ষক ননএমপিও বা সরকারি অনুদানভুক্ত নন। জাল সনদধারীদের মধ্যে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল করে ৩২৩ জন, ১২৫ জন জাল কম্পিউটার সনদ নিয়ে ও ৩১ জন বিএড-বিপিএড-সহ অন্যান্য সনদ জাল করে এমপিও ভোগ করছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে টানা ১৪ম দিনের মতো আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে আজ সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।

এদিকে, আন্দোলনে থাকা শিক্ষকদের প্রতি ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এরই অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার অননুমোদিত অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা প্রতিদিন জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এ হুঁশিয়ারি উপেক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে অনড় এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। আজ সোমবার সকাল থেকে অবস্থান নেন তারা।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, তাদের প্রধান চাওয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫ মিনিটের সাক্ষাৎ। এই সাক্ষাতের মধ্য দিয়েই তাদের সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানান তারা। এর আগে তারা স্কুলে ফিরবেন না।

এর আগে গতকাল রবিবার দেশের সব স্কুলে অননুমোদিত অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা প্রতিদিন জানাতে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সারাদেশে মাউশির ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে স্ব স্ব জেলা শিক্ষা অফিসার এসব অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা জানাতে হবে বলে জারি করা এক নির্দেশে জানানো হয়েছে।

জানা যায়, মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীতে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। গত বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করায় গতকাল রবিবার থেকে স্কুলে স্কুলে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরেননি। দাবি আদায় করে স্কুলে ফিরবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

এ অবস্থায় সারাদেশের স্কুলে স্কুলে ক্লাসে অননুমোদিত অনুপস্থিত থাকা সব শিক্ষকের তালিকা প্রতিদিন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কার্যালয় থেকে রবিবার আলাদা আলাদা নির্দেশ জারি করা হয়।

এদিকে মাউশির ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এ. এস. এম. আব্দুল খালেক স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়, অননুমোদিতভাবে শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে তার তালিকা প্রতিদিন প্রেরণ করতে হবে। এতে আরও বলা হয়, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষক/সহকারী শিক্ষক উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে রবিবার অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত রয়েছে তাদের নামের তালিকা সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ করা হলো। আদেশের অনুলিপি ঢাকা অঞ্চলের সকল জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম পত্রিকার সাথে আলাপকালে  আন্দোলনকারী শিক্ষক সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়ার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মাউশি যে নির্দেশনা শিক্ষকদের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপের সামিল। আইএলও সনদ অনুযায়ী শিক্ষকদের  আন্দোলন করার অধিকার আছে । এই অধিকারে কারো হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। আমরা সরকারের এই নির্দেশনায় বিন্দুমাত্র বিচলিত নয়। আমরা আমাদের অধিকার আদায় করেই প্রতিষ্ঠানে ফিরবো। তিনি সরকারকে  দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানান।

নিউজ ডেস্ক।।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একজন নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্রকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গত ২৫ জুন অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত এ নেওয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর নাম তাওসীফ আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের (৪৩ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ও মওলানা ভাসানী হলের আবাসিক ছাত্র। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্রী।

২৪ জুলাই (সোমবার) নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিন্ডিকেট সদস্য এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, যৌন হয়রানি করার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৫ জুন অনুষ্ঠিত বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ-২০১৮ অনুযায়ী ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তাওসীফ আহমেদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অর্থ জমা প্রদান সাপেক্ষে ওই ছাত্র তার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এর নম্বরপত্র ও সনদপত্র উত্তোলন করতে পারবেন। এছাড়াও পরবর্তীতে অভিযোগকারী সেই ছাত্রীর কোনো ক্ষতি করবেন না মর্মে মুচলেকা দিতে হবে।

সাজাপ্রাপ্তের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

নিউজ ডেস্ক।।

৬ দফা দাবি আদায়ে সোমবার (২৪ জুলাই) দিনগত রাত ১২টা থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য অ্যাম্বুলেন্স চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি।

রোববার (২৩ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।

দেশের সব সড়ক ও সেতুতে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের জন্য টোল ফ্রি করা ও নীতিমালা প্রণয়নসহ সংগঠনটি ৬ দফা দাবি জানিয়েছে।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে - সেবাখাতে বিআরটিএ কর্তৃক অ্যাম্বুলেন্সে প্রাইভেট কারের মতো আয়কর (এটিআই) নেওয়া বন্ধ করা, অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা, অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর টোল ফ্রি ঘোষণার বাস্তবায়ন, দেশের প্রতিটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের পার্কিং সুবিধা দেওয়া, রোগী থাকা অবস্থায় প্রতিটি পাম্পে সিরিয়াল ছাড়া তেল এবং গ্যাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং সড়কে হয়রানি মুক্ত ও নির্বিঘ্নে চলাচলের নিশ্চয়তা দিতে হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

একই শ্রেণির একাধিক শাখার শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে শ্রেণি পাঠদান চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।

রবিবার (২৩ জুলাই) প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এতে সই করেছেন মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় মাধ্যমিক স্তরের কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই শ্রেণির একাধিক শাখার শিক্ষার্থীদের একই সঙ্গে এক কক্ষে এনে শ্রেণি পাঠদান করা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এতে স্বাভাবিক শ্রেণি পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে।

এ অবস্থায় নতুন কারিকুলাম যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শাখার শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

বিষয়টি অতীব জরুরি উল্লেখ করে সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক এবং বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram