শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।

উচ্চ মাধ্যমিকের দুই বর্ষ মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৫০ জনের বেশি। এসব শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য কলেজটিতে রয়েছে টিনের দোচালা ছাউনির তিনটি কক্ষ। ছোট কক্ষগুলোতে জায়গা না হওয়ায় বারান্দায় চলে পাঠদান। শুধু শ্রেণিকক্ষ নয়, সংকট রয়েছে অফিসকক্ষেরও। এ চিত্র গুরুদাসপুর পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি এন্ড বিএম ইনস্টিটিউটের।

শিক্ষকরা জানান, কলেজটি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও ২০২০ সালে জাতীয়করণ হয়। এরপর থেকেই স্থানীয়দের কাছে কলেজটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাছাড়া কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন হওয়ায় প্রতি বছরই উপজেলা শহরের সরকারি এই কলেজটিতে বাড়ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। অথচ টিনের ছাউনি, টিনের বেড়ার ছয়টি জীর্ণ কক্ষের তিনটিতে চলে পাঠদান। একটি কক্ষে রয়েছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এবং দুটি কক্ষে চলে প্রশাসনিক কার্যক্রম।

কলেজসূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত কলেজটিতে ১২টি ব্যাচ উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বেরিয়েছে। ফলাফল ভালো হওয়ায় গুরুদাসপুর উপজেলা ছাড়াও বড়াইগ্রাম, সিংড়া, চাটমোহর ও তাড়াশ উপজেলার অনেক শিক্ষার্থী এই কলেজে ভর্তি হচ্ছে। কলেজটির ভৌগোলিক অবস্থা, ফলাফল এবং শিক্ষার্থী বিবেচনায় আধুনিক ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। কলেজটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী মো. হাসানুজ্জামান, ছাকিম, বিলকিছসহ অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী জানায়, সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা।

একারণে নিয়মিত তারা কলেজে আসছে। আগে আসলে টিনের শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চে জায়গা পাওয়া যায়। কিন্তু একটু দেরি হলেই বসতে হয় বারান্দায়। রোদ-গরম আর হই-হুল্লোড়ে লেখাপড়ার মনোযোগ নষ্ট হয়। তারা কলেজে ভবন নির্মাণের দাবি জানান।

কলেজটির অধ্যক্ষ সাঈদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, সাড়ে ৫০০-এর বেশি শিক্ষার্থী তার কলেজে অধ্যয়ন করছে। শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে ৪৫ জন। অথচ প্রয়োজনীয় বেঞ্চ, শ্রেণিকক্ষের সংকট রয়েছে। তিনি বলেন, ২০২০ সালে কলেজটি সরকারিকরণ হওয়ায় আত্তীকরণের জন্য ২০২২ সালের দিকে কলেজের সবকিছু সরকারকে দিয়েছেন। কিন্তু হয়নি অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

২০১৯ সালের শেষের দিকে কলেজে চার তলার একটি ভবন বরাদ্দ এসেছিল। কিন্তু সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। কলেজের সভাপতি ও গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা শ্রাবণী রায় বলেন, সংকট নিরসনের জন্য ভবন বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক।।

নতুন কারিকুলামের শিখনপাঠ নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে অসন্তোষ। চলতি বছরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের তিনটি শ্রেণীতে নতুন এই কারিকুলাম চালু হলেও আগামী শিক্ষাবর্ষে আরো কয়েকটি শ্রেণীতে বাস্তবায়ন করা হবে নতুন কারিকুলাম। এ নিয়ে ইতোমধ্যে অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। অনেক ভালো শিক্ষার্থীরাও এখন নিয়মিত পড়ার টেবিলে আর বসছে না। পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ণ না থাকায় অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীর বইয়ের সাথে তৈরি হয়েছে দূরত্ব। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে যেন অভিযোগের কোনো অন্ত নেই। ফলে দেশের বাস্তবতার আলোকে পাঠ্যসূচি প্রণয়ন এবং পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নেরও দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকদের অনেকে।

এ দিকে চলতি বছর থেকে দেশে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলসহ একাধিক দাবিতে মাঠে নেমেছেন অভিভাবকরা। তাদের দাবি বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে বেশ কিছু কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবেই গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তাদের এ আন্দোলনের সংহতি জানিয়েছেন শিক্ষকরাও। সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

সারা দেশে স্কুলে স্কুলে একই কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানা গেছে। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর নতুন শিক্ষা কারিকুলাম সংস্কারসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষা আন্দোলন সম্মিলিত অভিভাবক ফোরাম। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করেছেন ফোরামের নেতারা। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে অভিভাবকদের অনেকেই বলেছেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলাম সংস্কার করতে হবে। এছাড়া আগের পরীক্ষা পদ্ধতিও ফিরিয়ে আনতে হবে। এতে মেধা যাচাই হবে নম্বরের ভিত্তিতে। আর সব ব্যবহারিক বিষয় স্কুল থেকে সম্পন্ন করতে হবে। নতুন কারিকুলাম পরিবর্তন করতে হবে এবং যে কোনো পরিবর্তন পরিমার্জন করতে হলে ওই কমিটিতে অভিভাবক প্রতিনিধি রাখতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভিকারুন্ননিসা স্কুলের সামনে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অকেন অভিভাবকই তাদের অসন্তোষের বিষয়ে ক্ষুুুুুুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অভিভাবকরা বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়তে হবে আটটি বিষয়। নতুন শিক্ষাক্রমে তাত্ত্বিক বিষয়ের চেয়ে শিখনকালীন মূল্যায়নকে বেশি জোর দেয়া হয়েছে। তুলে দেয়া হয়েছে সাময়িক পরীক্ষাও। অভিভাবকরা জানান, পরীক্ষা পদ্ধতি না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা অধ্যয়নমুখী হচ্ছে না। বইয়ের সাথে দূরত্ব বেড়ে তারা এখন নানা ধরনের ডিভাইসমুখী হচ্ছে।

অন্যদিকে শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে নতুন শিক্ষাক্রমে সবচেয়ে বড় সমস্যা দলগত কার্যক্রমে। দেখা যাচ্ছে স্কুল থেকে প্রদত্ত দলগত কাজটি করতে হচ্ছে স্কুল পিরিয়ডের পর। যে কারণে ছাত্রছাত্রীদেরকে বন্ধু-বান্ধবীর বাসায় বা অন্য কোথাও একত্রিত হয়ে তা সম্পন্ন করতে হচ্ছে। এতে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রী অভিভাবক উভয়কেই। অধিকাংশ অভিভাবক স্কুল ছুটির পর তার সন্তানকে অন্য কারো বাসায় নিয়ে যেতে আগ্রহী নয় এবং স্বাচ্ছন্দবোধ করেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক নয়া দিগন্তকে জানান, নতুন এই কারিকুলাম প্রকৃত আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী নয়। তবে কয়েকটি ধাপে ধাপে এবং শিক্ষকদের শতভাগ প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পর যদি বাস্তবায়ন শুরু হতো তবে কিছুটা সহজ হতো। কিন্তু এখন তো অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার একেবারে বাইরেই চলে যাচ্ছে। একজন শিক্ষক জানান, ছাত্রছাত্রীদের বাড়ির কাজ দেয়া হলে এই কাজ তারা নিজেরা করছে না। বাসার বড় বোন কিংবা মায়েরাই হাতের কাজ করে দিচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীদের শিখন ফল শূন্য। এভাবে আসলে কোনো শিক্ষা কার্যক্রম চলতে পারে না। তবে অনেক শিক্ষকই তাদের চাকরির ভয়ে নতুন এই শিক্ষাক্রম নিয়ে নেতিবাচক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এর আগে অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি একাধিক অনুষ্ঠানেই জানিয়েছেন নতুন শিক্ষাক্রম আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও প্রবর্তন করা হয়েছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই কারিকুলাম বাস্তবায়ন করতে পারলে আমাদের শিক্ষার্থীরাও এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। অন্যদিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানিয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রশিক্ষণের বাইরে থাকা সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তখন নতুন এই কারিকুলাম বাস্তবায়ন আরো সহজ হবে। উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছর থেকেই তিনটি শ্রেণীতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। নতুন এই শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে ২য়, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীতে। আগামী বছর প্রথম ৩য়, ৪র্থ, ৮ম এবং নবম শ্রেণীতে যুক্ত হচ্ছে এটি। ২০২৫ সালে যুক্ত হবে ৫ম ও দশম শ্রেণী। ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে যুক্ত হবে দ্বাদশ শ্রেণী।

বর্তমান শিক্ষাক্রমে নবম শ্রেণীতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থাকলেও নতুন এই শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক পর্যন্ত থাকছে না কোনো বিভাগ বিভাজন। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর সবাইকে পড়তে হবে ১০টি অভিন্ন বিষয়। বর্তমানে নবম ও দশম শ্রেণীর পাঠ্যসূচি মিলিয়ে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু নতুন কারিকুলামে কেবল দশম শ্রেণীর পাঠ্যসূচির ওপর অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা।
অভিভকরা বলছেন, শহরের সচেতন অভিভাবকরা এই শিক্ষা উপকরণের জোগান দিতে পারলেও মফস্বল এলাকার অভিভাবকরা এগুলোর জোগান দিতে পারছেন না। ফলে দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা ঝরে পড়া আগের তুলনায় অনেক বেশি। গত ৯ মাসের বিভিন্ন জরিপ বলছে গ্রামের স্কুলগুলিতে এই শিক্ষাক্রম ১০% ও সফল হয়নি। এমতাবস্থায় এই শিক্ষাক্রম সংস্কার বা বাতিলের দাবি তাদের।

নতুন কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে ৮ দফা দাবি জানানো হয়েছে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে। দাবিগুলো হলো- নতুন কারিকুলাম সংস্কার বা বাতিল করতে হবে; ৫০/৬০ নম্বরে অন্তত ২ সাময়িক লিখিত পরীক্ষা চালু রাখতে হবে; নবম শ্রেণীতে বিভাগ রাখতে হবে; ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি ইন্ডিকেটর বাতিল করে নম্বর ও গ্রেড ভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি রাখতে হবে।

নিউজ ডেস্ক।।

এডিস মশাবাহিত প্রাণঘাতী রোগ ডেঙ্গুর প্রথম ওষুধে আশা জাগানিয়া সাফল্য পাওয়ার দাবি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে আমেরিকান সোসাইটি অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিনের বার্ষিক সভায় এই তথ্য তুলে ধরে মার্কিন ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন।

জনসন অ্যান্ড জনসনের ইউরোপীয় শাখা জ্যানেসেনের প্যাথোজেন বিভাগের গবেষক মার্নিক্স ভ্যান লুক রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাদের তৈরি ডেঙ্গুর ওষুধটির মেডিকেল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে এবং সেই ট্রায়ালের ফলাফল বেশ সন্তোষজনক।

মার্নিক্স ভ্যান লুক জানান, ১১ স্বেচ্ছাসেবী এই ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন। ট্রায়ালের প্রথম পাঁচ দিনের প্রতিদিন তাদের ওষুধের হাইডোজ সেবন করানো হয়েছে, তারপর স্বেচ্ছাসেবীদের সম্মতির ভিত্তিতে তাদের দেহে প্রবেশ করানো হয়েছে ডেঙ্গু ভাইরাসের একটি দুর্বল ধরন, যেটি স্বাস্থ্যের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করতে বা ছড়িয়ে পড়তে অক্ষম। তারপর ফের

২১ দিন তাদের নিয়মিত খাওয়ানো হয়েছে সেই ওষুধ।

ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস প্রবেশের কয়েক দিন পর ১১ স্বেচ্ছাসেবীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষায় ৬ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি; বাকি ৫ জনের দেহে ভাইরাসটির অস্তিত্ব শনাক্ত হলেও তারা সবাই পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায় অর্থাৎ ২১ দিনের আগেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪টি ধরন রাজত্ব করছে। রয়টার্সকে মার্নিক্স ভ্যান লুক জানিয়েছেন, এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে প্রবেশ করবে জনসন অ্যান্ড জনসন এবং এই পর্যায়ে ডেঙ্গু ভাইরাসের সবচেয়ে প্রচলিত চারটি ধরনের ওপর ওষুধটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে।

ডেঙ্গু ভাইরাসের একমাত্র বাহক এডিস মশা। জলবায়ু পরিবর্তন ও তার প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং বৃষ্টিপাত বাড়তে থাকায় গত প্রায় দু’দশক বিশ্বজুড়ে এডিস মশার বিস্তার বাড়ছে, তার সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও।

আবহাওয়াগত কারণে রোগের সবচেয়ে বেশি প্রকোপ পরিলক্ষিত হচ্ছে এশিয়ার মৌসুমি জলবায়ুর দেশগুলোতে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলভুক্ত বাংলাদেশে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজারেরও বেশি মানুষ।

ডেঙ্গুর কোনো ওষুধ এখনো বাজারে আসেনি; এটির কোনো স্বীকৃত চিকিৎসাপদ্ধতিও নেই। মূলত এ কারণেই হুমকি হয়ে উঠেছে রোগটি। জনসন অ্যান্ড জনসনের ওষুধটি যদি বাজারে আসে, সেক্ষেত্রে সেটি হবে বিশ্বের ইতিহাসে ডেঙ্গুর প্রথম ওষুধ।

কিন্তু জনসন অ্যান্ড জনসনের ওষুধটি কি এশিয়ার মৌসুমি জলবায়ুর দেশগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেÑ রয়টার্সের এ প্রশ্নের জবাবে ভ্যান লুক বলেন, ‘আমরা সবেমাত্র ওষুধটির প্রথম ট্রায়াল শেষ করেছি। আরও অন্তত দুটি ট্রায়াল বাকি রয়েছে এখনো। তবে আমরা আশা করছি, এটির কার্যকারিতা বিশ্বের সব অঞ্চলে একই রকম হবে।’

জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসলামি ব্যাংক ফাউন্ডেশন। অফিসার পদে জনবল নেবে প্রতিষ্ঠানটি। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আগামী৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: ইসলামি ব্যাংক ফাউন্ডেশন

পদের নাম: অফিসার

পদের সংখ্যা: নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক/মাস্টার্স/সমমান ডিগ্রি।

অন্যান্য যোগ্যতা: প্রশাসক/এইচআর/অ্যাকাউন্টে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে/হাসপাতালে বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ৫ বছর

চাকরির ধরন: ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র: অফিসে

বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর

কর্মস্থল: ঢাকা

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী।

আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা বিডি জবসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের সময়সীমা: আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ইং তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পা২০২৩।

 

নিউজ ডেস্ক।।

বাংলাদেশিদের এখন ওমরাহ করতে ভিসা লাগবেনা- এমনটা জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলা জানিয়েছেন, সাউদিয়া এয়ারলাইন্সে ট্রানজিটের যাত্রী হয়ে বাংলাদেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সৌদি দূতাবাসে সৌদি ভলান্টিয়ার প্রোগ্রাম ‘ইবসার’ উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে তাদের সাউদিয়া এয়ারলাইন্স বা সে দেশের জাতীয় মালিকানাধীন বিমানের ট্রানজিটের যাত্রী হতে হবে। ট্রানজিট যাত্রীরা ৯৬ ঘণ্টার জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সেনজেনের ভিসা থাকলেও সৌদিতে ওমরাহ পালন করা যাবে। এ ছাড়া, কোনো এজেন্সির সহায়তা ছাড়াই নুসুক অ্যাপে নিবন্ধন করে যে কেউ ওমরাহ ভিসা করতে পারবেন।’

ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলা বলেন, ‘সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান আগামী বছর বাংলাদেশ সফর করবেন। তিনি সফরে এলে সেটা হবে ঐতিহাসিক ঘটনা।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইবসার কর্মসূচির আওতায় ঢাকা জেলার ৫০টি প্রকল্পের পঞ্চাশটি স্কুলে ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর চক্ষুসেবা দেওয়া হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৪/১০/২০২৩    

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়

নিউজ ডেস্ক।।

আর মাত্র একদিন পরেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে। এবারের আসরের গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারকে নিযুক্ত করেছে আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এ নিয়ে আইসিসি বলছে, ভারতীয় কিংবদন্তি ও ভারত-রত্ন শচীন টেন্ডুলকারকে ২০২৩ ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপের জন্য গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ঘোষণা করা হয়েছে। বহুল কাঙ্ক্ষিত সব রেকর্ডে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ রাঙিয়েছেন এই মাস্টার ব্লাস্টার। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে দুদিন পরই বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে বিশ্বকাপ ট্রফি ‍নিয়ে মূল মঞ্চে আসবেন শচীন এবং তিনি টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করবেন।

শচীন বলেন, ‘১৯৮৭ সালে বল বয় হিসেবে শুরু করে ছয়টি আসরে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা— বিশ্বকাপ সব সময়ই আমার হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জেতাটা আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গর্বের মুহূর্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে ছেলেদের ২০২৩ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য তৈরি থাকা স্পেশাল দল ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমিও এই দুর্দান্ত টুর্নামেন্টটির জন্য রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষা করছি। বিশ্বকাপের মতো বিখ্যাত ইভেন্টগুলো তরুণদের মনে স্বপ্নের বীজ বপন করে। আমি আশা করি, এবারের আসরটিও কমবয়সী মেয়েদের ও ছেলেদের খেলাধুলা বেছে নিতে এবং তাদের দেশের সর্বোচ্চ স্তরে প্রতিনিধিত্ব করতে অনুপ্রাণিত করবে।’

এই বিশ্বকাপে দূত হিসেবে থাকছেন আরও বেশ কয়েকজন সাবেক তারকা ক্রিকেটার। তারা হলেন— ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভ রিচার্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স, ইংল্যান্ডের ইয়ন মরগান, অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ, শ্রীলংকার মুত্তিয়া মুরালিধরন, নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর, ভারতের সুরেশ রায়না ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ। ভারত নারী দলের সাবেক অধিনায়ক মিতালি রাজও আছেন সেই মর্যাদায়।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৪/১০/২০২৩    

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া চাকরিপ্রার্থীদের কর্মস্থলে যোগদান সহজ ও দ্রুত করতে এনটিআরসিএ অনলাইন ভেরিফিকেশন চালু করে। ইতিমধ্যে ভি-রোল ফরম পূরণ শেষও হয়ে গেছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আটকে আছে এক প্রার্থীর রিটের কারণে। নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা।

জানা গেছে, রিটের পর নিয়োগে ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। রিটের জবাবও প্রস্তুত করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু আদালতে শুনানি না হওয়ায় নিয়োগ দিতে পারছে না এনটিআরসিএ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএর একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা বলেন, আমরা নিয়োগ কার্যক্রম সব গুছিয়ে নিয়েছি। ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই নিয়োগ দিতাম। কিন্তু এক প্রার্থীর রিটের কারণে সব থমকে আছে। নিয়োগপ্রার্থীদের মতো আমরাও আদালতের দিকে তাকিয়ে আছি।

কর্মকর্তা আরও বলেন, রিটের দ্রুত শুনানির জন্য এনটিআরসিএর পক্ষ থেকে চেম্বার জজের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এখন আমরা আদালতের আদেশের অপেক্ষায় আছি। যেহেতু আদালত ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন, তাই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কিছুই করার নেই। যেহেতু এটি অনেক বড় নিয়োগ এবং স্কুল ও কলেজে অনেক শিক্ষক পদ শূন্য। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় আদালত দ্রুত আদেশ দেবেন বলে আশা করছি।

এদিকে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক সুপারিশ পাওয়া মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমরা ৪ সেপ্টেম্বর আমাদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য এনটিআরসিএ অফিসে যাই। তখন আমাদের বলা হয়েছিল মামলা জটিলতা কেটে গেলে চূড়ান্ত সুপারিশ দেবে। চূড়ান্ত সুপারিশ না পাওয়ায় আমরা প্রতিনিয়ত সামাজিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছি। দ্রুত চূড়ান্ত সুপারিশ না পেলে প্রাথমিকভাবে সুপারিশপ্রাপ্তরা আবার এনটিআরসিএর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।

প্রসঙ্গত, ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালের ২৩ মে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ওই বছরেরই ৩০ আগস্ট, ফলাফল প্রকাশ করা হয় ৩০ সেপ্টেম্বর। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১৫ ও ১৬ নভেম্বর। সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কথা থাকলেও তা প্রকাশ করা হয় এক বছর পর ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক বছরের বেশি সময় পর ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর ১৬তম নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৮/০৯/২০২৩

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ

শরীয়তপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংসদে এ সংক্রান্ত দুটি বিল উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বিল দুটি পাস হলে ঠাকুরগাঁওয়ে হবে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং শরীয়তপুরে হবে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ হবে বঙ্গবন্ধুর নামে।

বিল দুটি পরীক্ষার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

সংসদে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। দুটি বিল আগামী অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

বিল দুটির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করার লক্ষ্যে শরীয়তপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা অতিব প্রয়োজনীয় ও যুক্তিযুক্ত।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৩ 

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ

জার্মানি জাতীয় দলে সুযোগ না হলেও দেশটির হয়ে অলিম্পিকসে পদক জিতেছেন তিনি। রবার্ট বাউয়ার নামের এই ডিফেন্ডার ক্যারিয়ারের সিংহভাগই কাটান জন্মভূমি জার্মানির বিভিন্ন ক্লাবে। ভেরদার ব্রেমেন, এফসি নুরেনবার্গের মতো ঐতিহ্যবাহী দলগুলোর হয়ে মাঠ মাতানো এই ফুটবলার কখনো সেভাবে পরিচিত পাননি। এবার ভিন্ন এক কারণে খবরের শিরোনাম হলেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার কথা জানালেন তিনি।

বিশ্ব ফুটবলে সৌদি আরবের উত্থান চলছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা, সাদিও মানেদের মতো তারকাদের ভিড়িয়ে প্রো লীগ জমিয়ে তুলেছে সৌদিয়ান ক্লাবগুলো। ফুটবলের সৌদিমুখী এই জোয়ারের অংশ হয়েছেন রবার্ট বাউয়ারও। গত জুলাইয়ে বেলজিয়ান ক্লাব সিন্ট-ট্রুইডেন থেকে এই জার্মান ডিফেন্ডারকে উড়িয়ে আনে প্রো লীগের দল আল তাঈ। মুসলিম অধ্যুষিত সৌদি আরবে এসেই ইসলাম গ্রহণ করার কথা জানালেন বাউয়ার।

ধর্ম পরিবর্তনের খবরটি নিজেই জানিয়েছেন রবার্ট বাউয়ার। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পরপর দু’টি ছবি আপলোড করেন তিনি।

প্রথমটিতে পবিত্র কুরআনের সূরা ফাতিহার ৬ নম্বর আয়াতের ছবি পোস্ট করেন বাউয়ার। আয়াতটির অর্থ, ‘হে আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ দেখান।’ বাউয়ার মুসলমান হয়েছে বুঝতে পেরে অনেকেই তাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে শ্বশুর এবং পুত্রের সঙ্গে নামাজ পড়ার একটি ছবি আপলোড করেন বাউয়ার। সেখানে তিনি লিখেন, ‘এই বার্তা তাদের জন্য, যারা আজ আমাকে শুভ কামনা জানালেন। অনেক বছর হলো আমি আমার স্ত্রী এবং তার পরিবারের অনুপ্রেরণায় মুসলমান হয়েছি। আমার এই যাত্রায় যারা সাহায্য করেছেন এবং সাহস যুগিয়েছেন, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’
নামাজরত ছবির ওপর বাউয়ার লিখেছেন, ‘এটা আমি, আমার শ্বশুর নাসির এবং আমার পুত্র ঈসা।’ ধারণা করা হচ্ছে, মুসলিম কোনো নারীকে বিয়ে করেই ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন বাউয়ার। মুসলমান হওয়ার পর জার্মান এই ফুটবলারের নতুন নাম কী রাখা হয়েছে, তা জানা যায়নি।

জার্মান ক্লাব ইনগালোস্টাডের হয়ে ফুটবলের যাত্রা শুরু হয় রবার্ট বাউয়ারের। এরপর খেলেছেন নুরেমবার্গ এবং ভেরদার ব্রেমেনের মত শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবে। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে জার্মান দলে জায়গা পেয়েছিলেন। নেইমারের ব্রাজিলের কাছে হেরে সেবার রৌপ্য পদক পেয়েছিল জার্মানি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৩ 

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিশেষ করে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টে একটি রেজ্যুলেশন গৃহীত হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার হতাশা প্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ হতাশা প্রকাশ করে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দুই ‘অধিকার’ কর্মকর্তাকে নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কিছু রাজনীতিবিদের মন্তব্য আদালতের রায়ের হস্তক্ষেপের অভিপ্রায়ের প্রতিফলন। বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ এটি নিশ্চিত করে চলেছে যে, বিচারিক কার্যক্রম খোলামেলা ও ন্যায্যভাবে পরিচালিত হয় এবং পক্ষগুলোর অধিকারকে সম্পূর্ণভাবে সম্মান করা হয়। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ তাদের সামনে কোনো প্রকার সীমাবদ্ধতা, প্রভাব, প্রলোভন, চাপ, হুমকি বা হস্তক্ষেপ গ্রাহ্য করে না। বিচার বিভাগ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এবং আইন অনুযায়ী তাদের সামনে বিচার করে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের রেজ্যুলেশনে প্রতিফলিত পক্ষপাতিত্বের কারণে বাংলাদেশ সরকার হতাশ। কেননা ‘অধিকার’ রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট সংস্থা, যেখানে তাদের ভুল তথ্য প্রচারের প্রমাণিত রেকর্ড রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থাকে উৎসাহিত করে, এমন স্বার্থান্বেষী মহলের সহযোগী এই সংস্থাটি। এটা সকলের জানা সত্য যে ‘অধিকার’-এর সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানকে বিএনপি-জামায়াত সরকার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত করেছিল। সেই পদে তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর কাজ করেছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ইইউ রেজ্যুলেশনের পাঠ্যের সঙ্গে একমত নয়। বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টসহ-এর সকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার ৫০ বছরের দীর্ঘ ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বকে গভীরভাবে মূল্যায়ন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির ভিত্তিতে অর্থপূর্ণ সম্পৃক্ততার মাধ্যমে অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।

উল্লেখ্য, এক দশক আগে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে হওয়া মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকার সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও সংস্থাটির পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার রায় পর্যবেক্ষণের জন্য বেশ কয়েকটি দূতাবাসের প্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মীসহ বিশিষ্টজনরা আদালতে হাজির হন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৩ 

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘টেস্টটিউব শিশু‘র জন্ম হয়েছে। সরকারি কোনো হাসপাতালে এটাই প্রথম টেস্টটিউব শিশু জন্মের ঘটনা।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক এ তথ্য জানান।

আনুমানিক তিন সপ্তাহ আগে শিশুটির জন্ম হয়েছে। শিশুটি সুস্থ আছে। অধ্যাপক ফাতেমা রহমানের তত্ত্বাবধানে শিশুটি আছে। সবার উপস্থিতিতে শিশুটির কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর চিন্তা-ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক।

বাংলাদেশে প্রথম টেস্টটিউব শিশুর জন্ম হয় ২০০১ সালে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এরপর একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের শিশুর জন্ম হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই প্রথম এ ধরনের কোনো শিশুর জন্ম হলো।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৩ 

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ

নির্বাচন  কমিশনের (ইসি) চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল ৬৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থা। এই সংস্থাগুলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে বলে জানিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। একইসঙ্গে পর্যবেক্ষক সংস্থা বাড়াতে নতুন করে আবেদনও আহ্বান করেছে ইসি।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে সংস্থাটি।

এতে বলা হয়েছে, ৬৬টি সংস্থাকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। অর্থাৎ তাদের মেয়াদকাল হচ্ছে ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ও পরে ১৯৯টি ও ১১টি সংস্থা পর্যবেক্ষক হওয়ার আবেদন জানায়। গত ৮ আগস্ট প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ ৬৮টি সংস্থার তালিকা প্রকাশ করে আপত্তি আহ্বান করে সংস্থাটি। এদের মধ্যে দুইটি সংস্থার নামের সঙ্গে অন্য সংস্থার নামের মিল থাকায় সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করা হচ্ছে।

অন্যদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সেসময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৫/০৯/২০২৩ 

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram