রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪

করোনার কারণে যেন আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে না হয়। সেজন্য অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, ‘নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থীরা নিজেরা করে করে শিখবে। যতটা সম্ভব ভালোভাবে তারা শিখবে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষার্থী দক্ষ, যোগ্য হবে, মানবিক বোধ নিয়ে শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য- যতগুলো জাতীয় লক্ষ্য আছে তা অর্জন করা, শান্তিপূর্ণ সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়া। শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সবার প্রতি আমার আহ্বান-পাইলটিং হচ্ছে কোথায় কোথায় সমস্যা আছে তা যেনও আমাদের জানানো হয়, আমরা যেন সঠিকভাবে প্রণয়ন করে সবচেয়ে ভালো কারিকুলাম প্রণয়ন করতে পারি। একবারেই যে পুরোপুরি লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো তা নয়। আমরা চেষ্টা করবো সবচেয়ে ভালো শিক্ষাক্রম যেন প্রণয়ন করতে পারি, শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তুলতে পারে এই কারিকুলামে।’

করোনার কারণে এক মাস বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দিনই নতুন কারিকুলামের আওতায় ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বইয়ে পাঠদানের পাইলটিং শুরু হলো। এর আওতায় দেশের ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়েছে।।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় আজ থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বিধিনিষেধ। এক মাস বন্ধ থাকার পর খুলতে শুরু করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। টিকাকার্ড নিয়ে আজ শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার প্রথম ধাপে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে। যে শিক্ষার্থীরা করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজ নিয়েছে, আপাতত তারাই ক্লাস করতে পারবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে ১ মার্চে।

সকালে রাজধানীর রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের টিকাকার্ড হাতে নিয়ে লাইন ধরে স্কুলে প্রবেশ করেতে দেখা যায়। টিকাকার্ড দেখার পাশাপাশি তাদের তাপমাত্রাও পরীক্ষা করা হয় স্কুলে গেটে।

স্কুল-কলেজে সশরীরে ক্লাস শুরুর ক্ষেত্রে আগেই ২০ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সেসব নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে।

বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় রেস্তোরাঁয় বসে খেতে কোনো শর্ত থাকছে না, উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশও বাধা থাকছে না।

২০২০ সালে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু হলে মার্চের শেষ দিকে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়, যা দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলে। পরিস্থিতির উন্নতিতে পড়ে সেই বিধিনিষেধ শিথিল হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলে; জীবনযাত্রা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসে।

কিন্তু করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে এ বছরের শুরু থেকে সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করলে বিধিনিষেধ ফিরিয়ে আনা হয়। ১৩ জানুয়ারি ‘উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের জনসমাবেশ নিষেধ, রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণে টিকার সনদের বাধ্যবাধকতা, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহণ চলাচল এবং টিকা সনদ নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের বাধ্যবাধকতাসহ ১১টি বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে ২১ জানুয়ারি ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মঙ্গলবার থেকেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্লাস শুরু করছে। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও মঙ্গলবার ও বুধবারের মধ্যে ক্লাসে ফিরছে। বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও ক্লাস শুরু হচ্ছে।

বিজ্ঞান গবেষণা এবং গবেষণা লব্ধ জ্ঞান মানুষের কল্যাণে সহজভাবে ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞান শিক্ষাকে সবার কাছে সহজ ও বোধগম্য করতে বিষয়বস্তু তৈরিতে পরিভাষার পরিবর্তে পরিচিত শব্দ ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে শব্দগুলো বহুল প্রচলিত এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত সেগুলো যে ভাষাতেই আসুক আমাদের সেটাই গ্রহণ করতে হবে।’

সোমবার বিকালে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে শব্দগুলো বহুল প্রচলিত এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত সেগুলো যে ভাষাতেই আসুক, আমাদের সেটাই গ্রহণ করতে হবে। সেখানে পরিভাষা ব্যবহার করতে গিয়ে পরে কোন কিছুই বুঝবো না, বলতেও পারবোনা, সেটা যেন না হয়। কারণ সবজায়গায় প্রতিশব্দ বা পরিভাষা করতে হবে আমি সেটা বিশ্বাস করিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞানের এই যুগে বিজ্ঞান যেভাবে বিস্তার লাভ করছে, সেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাষাও রয়েছে, ইংরেজী, ফ্রেঞ্চ বা অন্য ভাষাও রয়েছে, যা এর ভেতর যুক্ত হয়ে গেছে। আর আমাদের বাংলা ভাষায় কিন্তু ৮ হাজার ভাষার শব্দ মিলে মিশে গেছে। কাজেই এ ব্যাপারে খুব বেশি ‘রক্ষণশীল’ না হয়ে প্রচলিত শব্দগুলো, প্রচলিত বিজ্ঞানের ‘টার্মস’গুলো ব্যবহার করেই বাংলা ভাষায় সহজভাবে বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের কাছে আমার এটা অনুরোধ থাকবে মাতৃভাষা চর্চা এবং গবেষণার পাশাপাশি কিভাবে ভাষাকে মানুষের ব্যবহারের জন্য সহজলভ্য বা সহজবোধ্য করা যায় সে বিষয়টাও দেখতে হবে। এই বিষয়টা নিয়েও গবেষণা একান্তভাবে প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তৃতা করেন ইউনেস্কোর এদেশীয় প্রতিনিধি এবং হেড অব অফিস বিয়েট্রেস কালডুন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক স্বাগত ভাষণ দেন।

দেশে দীর্ঘদিন পর করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৭৪ জনে।

একই সময়ে নতুন করে ১ হাজার ৯৫১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৪২ জনে। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে রোববার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২১ জনের মৃত্যু খবর জানানো হয়। এদিন শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৯৮৭ জন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।

সুপ্রিম কোর্টে বাংলায় রায় লেখা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী । এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে আলাদা শাখা চালু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এ কথা জানান তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, সাধারণ মানুষ ও বিচারপ্রার্থীরা যেন আদালতের রায় বুঝতে পারে, তাই ইংরেজিতে দেওয়া রায় বাংলায় অনুবাদ করতে সুপ্রিম কোর্টে যুক্ত হয়েছে নতুন সফটওয়্যার ‘আমার ভাষা’। বলা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওই সফটওয়্যারটি দিয়ে রায়গুলো বাংলায় অনুবাদ করা যাবে।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, আজকের দিনে আমাদের মহান ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আর তারা যে চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেদিন ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিলেন, আমাদেরও সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।

আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রক্তস্নানের মধ্য দিয়ে ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দিন। সব বাধা অতিক্রম করে বাংলাকে পাথেয় করে এগিয়ে যাওয়ার শপথের দিন। বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য এদিন সালাম, বরকত, রফিকসহ অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন।

এজন্যই দিনটি একইসঙ্গে গৌরবের ও শোকের। জাতি আজ শ্রদ্ধাভরে সেইসব শহিদদের স্মরণ করছে।

এ উপলক্ষে প্রথম প্রহরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাউদ্দিন ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান।

রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে মেজর জেনারেল সালাউদ্দিন ইসলাম ও তার পরই মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলটির পাঁচ সিনিয়র নেতা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তাদের পর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে ফুল দেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস এমএম নাঈম রহমান।

এরপর শহীদ মিনারে ফুল দেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল। তাদের পর শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আবদুল মোমেন।

এরপর আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতারা, সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সহযোগী সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাসহ সর্বস্তরের মানুষ।

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে করোনার বিধিনিষেধ আর থাকছে না। ২৬ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে এক কোটি টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকারের।

রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ১ কোটি করোনা টীকা দেয়া হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়াই স্থায়ী ঠিকানা লিখে নিয়ে গিয়েই টীকা দেয়া যাবে। ২২ ফেব্রুয়ারির পর আর কোনও করোনা বাধা নিষেধ থাকবে না। তবে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক থাকবে।

এছাড়া করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হচ্ছে। যদিও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে ১ মার্চ থেকে।

এদিকে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ‘বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন’ হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম এ তথ্য দিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছিলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা দেশব্যাপী করোনার ভ্যাকসিনের একটা ক্যাম্পেইন করতে যাচ্ছি। সেখানে আমরা লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি সর্বোচ্চ সংখ্যক টিকা দেওয়ার। এর মাধ্যমে আমাদের প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা হবে। পরবর্তী সময়ে আমরা বুস্টার ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকবো। কাজেই আর বিলম্ব না করে আপনারা সবাই টিকা নিয়ে নিন।

উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দফায় এবারের বিধিনিষেধ ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে প্রশ্ন তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক (এনসিটিবি) ভবনে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল এইচএসসি পরীক্ষার পরিমার্জিত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুয়েট প্রশাসনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ডা. দীপু মনি আরও বলেন, আমরা চাই এবার যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, তার ওপর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি হবে। সেজন্য আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

‘এ সপ্তাহেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উপস্থিতিতে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে’- যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মাদার বখ্শ হল থেকে এক আবাসিক শিক্ষার্থীর বিছানাপত্র বের করে দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার দুপুরে হলের ১৫৩ নম্বর কক্ষ থেকে বিছানাপত্র বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে আবাসিক শিক্ষক গিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিবুল্লাহ । অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী জাহিদ হাসান সোহাগ। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও হল প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে তিনি ১৫৩ নম্বর কক্ষে উঠেন। শুক্রবার দুপুরে ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী গিয়ে তার বিছানাপত্র বের করে দেয়। তাকে রুম থেকে চলে যেতে বলেন। বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষকে জানান। পরবর্তীতে প্রাধ্যক্ষ ওই হলের আবাসিক শিক্ষক সাজু সরদারকে পাঠান। সাজু সরদার বিষয়টি সমাধানে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগ, হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা প্রিন্স, ছাত্রলীগ কর্মী আশিকুর রহমান অপু নিয়ে প্রাধ্যক্ষের কক্ষে বসেন।

খবর পেয়ে সেখানে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত হন। আবাসিক শিক্ষক দুই শিক্ষার্থীর সিটের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। তবে ছাত্রলীগকর্মী সোহাগ সমাধানে রাজি হয় নি। এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা বিছানা বের করার বিষয়ে হাউজ টিউটর সাজু সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হয় নি। এসময় এক সাংবাদিক হলের সিট বাণিজ্য নিয়ে কথা বলতেই উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে যায়।

এসময় ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগ বলেন, ‘এতোক্ষণ লিগ্যাল কথা হচ্ছিল। সিট বাণিজ্যের বিষয়টি আসলো কেন? এখন আমি এই ছাত্রকে হল থেকে নামিয়ে দেব। কে আসে আসুক। আপনি (আবাসিক শিক্ষক), প্রভোস্ট স্যার আর সাংবাদিক আসুক সমস্যা নাই।’

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ওই সিটে আমাদের ছাত্রলীগের এক কর্মী ওঠার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে অন্যজন উঠে। বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। পরে হাউজ টিউটর বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে আবাসিক হল শিক্ষক সাজু সরদার বলেন, হলের সিট নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। আমি দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিলাম। এসময় উচ্চস্বরে হয়ে সোহাগ ওই শিক্ষার্থীকে যেকোনো মূল্যে নামিয়ে দেওয়ার হুশিয়ারি দেন। আমি বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছি। এছাড়া ওই শিক্ষার্থীকে রুমে থাকার নির্দেশ দিয়েছি। সার্বিক বিষয় মাদার বখশ্ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শামীম হোসেনকে একাধিকার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মেস ও আবাসিক হোটেলে আজ রাত থেকেই তল্লাশি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ছয় স্তরের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ, বোম ডিজপোজাল ইউনিট, ডিবি, র‌্যাব ও সোয়াটের টিম থাকবে।

নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে যেসব মেস ও আবাসিক হোটেল রয়েছে সেগুলো এবং যেসব গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রয়েছে সেগুলোতে রাত থেকেই তল্লাশি শুরু করা হবে। যাতে কোনো দুষ্কৃতকারী সেখানে অবস্থান নিয়ে কোনো নাশকতামূলক কাজ করতে না পারে।

তিনি বলেন, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় কেউ কোনো ধরনের ব্যাগ বহন করতে পারবে না। এ কারণে নিজের মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, স্বাস্থ্যবিধিগুলো মানার ক্ষেত্রে সরকারঘোষিত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যেসব নির্দেশনা রয়েছে তা সবাইকে মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে আপনি আপনার পরিবারের কাছেই ফিরে যাবেন। সুতরাং আপনার নিরাপত্তা ও আপনার পরিবারের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করবেন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের শহীদ মিনারে উল্টোপথে না আসার অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে কোনো রাজনৈতিক ব্যানার-ফেস্টুনে যাতে এলাকা নোংরা না হয় সেজন্য সবাইকে অনুরোধ করেন ডিওমপি কমিশনার।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ ড.শামসুজ্জোহা শাহাদাৎ বার্ষিকী এবং শিক্ষক দিবস পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ ই ফেব্রয়ারি) বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন ও শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

এদিন সকাল ৯ টায় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের নেতৃত্বে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ শহীদ ড. শামসুজ্জোহার সমাধি ও জোহা স্মৃতিফলকে পুস্পস্তবক অর্পণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হল,রাবি প্রগতিশীল শিক্ষক সমিতি,পেশাজীবী সমিতি, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করে।

এছাড়া শহীদ শামসুজ্জোহা হলে এবং বাদ জুমআ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআনখানি ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সন্ধ্যা ৭টায় শহীদ শামসুজ্জোহা হলে প্রদীপ প্রজ্বালন ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দর্শকদের খোলা রাখা হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কুতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মু. ফায়েক উজ্জামানহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। এদিনটিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক হিসেবে পালন করে থাকে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৩১ জনে।

এই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৮৪ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ২৯ হাজার ১৫৪ জনে। শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আগের দিন (বৃহস্পতিবার) ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে; শনাক্ত হয়েছিলেন ৩৫৩৯ জন। তার আগের দিন (বুধবার) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শনাক্ত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৯২৯ জন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram