বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত সফরে গেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। শুক্রবার (৪ মার্চ) দুপুরে একটি বেসরকারি এরলাইন্স যোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবতরণ করেন তিনি। এই সফরে উপাচার্যের সঙ্গে রয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। বাংলা ভাষাভাষী মানুষের আন্তর্জাতিক সংগঠন বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর আমন্ত্রণে এই সফর করেন উপাচার্য।

দুইদিনের এই সফরে বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতির বিনিময়ে ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শীর্ষস্থানীয় বাঙালি বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন উপাচার্য।

শনিবার (৫ মার্চ) বিকেলে কলকাতার একটি হোটেলে বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক সমঝোতা পত্র স্বাক্ষরিত হবে। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হবে। সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বোম্বে ও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর সভাপতি বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়। দুই দেশের শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতি বিনিময় ও সম্পর্ক উন্নয়নে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে ৬ মার্চ বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে উপাচার্যের।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর থেকে পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা। এবার মাইক্রোসফট রাশিয়ায় পণ্য বিক্রি স্থগিত করেছে। শুক্রবার একটি ব্লগ পোস্টে প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছে। খবর এনবিসি নিউজের।

এনবিসি নিউজ জানায়, শুধু মাইক্রোসফটই নয়, আমেরিকান প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও রাশিয়ায় তাদের পণ্য বিক্রি স্থগিত করেছে।

মাইক্রোসফটের প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ লিখেছেন, ইউক্রেনে আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ করছি।

তবে যে সব রাশিয়ান বর্তমানে মাইক্রোসফটের সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা ব্যবহার করেন তাদের কী হবে তা স্পষ্ট করেনি প্রতিষ্ঠানটি।

করোনা শনাক্তের সংখ্যা আজও হাজারের নিচে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬০৪ জনের শরীরে করোনা ধড়া পড়েছে। তবে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার বেড়েছে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৯ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ হাজার ৬৪ জন।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আগের দিন (বৃহস্পতিবার) ৫ জনের মৃত্যু খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন শনাক্ত হন ৬৫৭ জন, শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ৯১ শতাংশ। বুধবার ৮ জনের মৃত্যু হয়; শনাক্ত হন ৭৩২ জন, শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ২২ শতাংশ। মঙ্গলবার ৮ জনের মৃত্যু হয়; শনাক্ত ৭৯৯ জন, শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সোমবার ৪ জনের মৃত্যু হয়; শনাক্ত ৮৯৭ জন, শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। রোববার ৯ জনের মৃত্যু হয়; শনাক্ত ৮৬৪ জন, শনাক্তের হার ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। শনিবার ৮ জনের মৃত্যু হয়; করোনা শনাক্ত হন ৭৫৯ জন, শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। শুক্রবার ১১ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন করোনা শনাক্ত হন ১৪০৬ জন, শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

শুক্রবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৯৬৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৮ হাজার ৮৯০টি নমুনা। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। এখন পর্যন্ত দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩৪৬টি।

এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৪০৩ জন। এ নিয়ে করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার ৯৮০ জনে।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করে।

করোনা শনাক্তের সংখ্যা আজও হাজারের নিচে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৫৭ জনের শরীরে করোনা ধড়া পড়েছে। শনাক্তের হার নেমেছে ২ দশমিক ৯১ শতাংশে।এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ হাজার ৫৮ জন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আগের দিন (বুধবার) ৮ জনের মৃত্যু খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন শনাক্ত হন ৭৩২ জন, শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ২২ শতাংশ। এর আগে (মঙ্গলবার) ৮ জনের মৃত্যু হয়; শনাক্ত হন ৭৯৯ জন, শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সোমবার ৪ জনের মৃত্যু হয়; করোনা শনাক্ত হয় ৮৯৭ জনের, শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। রোববার ৯ জনের মৃত্যু হয়; শনাক্ত হন ৮৬৪ জন, শনাক্তের হার ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। শনিবার ৮ জনের মৃত্যু হয়; করোনা শনাক্ত হন ৭৫৯ জন, শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। শুক্রবার ১১ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওইদিন করোনা শনাক্ত হন ১৪০৬ জন, শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

বৃহস্পতিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ৮৭৬টি ল্যাবরেটরিতে ২২ হাজার ৫৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলে ২২ হাজার ৫৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৯১ শতাংশ।দেশে এ পর্যন্ত মোট এক কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৪ হাজার ৬২৮ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৩১ হাজার ৫৭৭ জন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।

এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।

২০২০ সালের এপ্রিলের পর গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুহীন দিন পার করে বাংলাদেশ। সর্বশেষ দ্বিতীয়বারের মতো ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রন ঝড়। ৩ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্তের হার ৩ শতাংশ এবং ৬ জানুয়ারি তা ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর থেকে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে শুরু করে।

ইউক্রেনের রাশিয়ার হামলার এক সপ্তাহে প্রায় ৯ হাজার রুশ সেনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, আমাদের ওপর পূর্ণ মাত্রায় হামলা শুরুর পর থেকে মস্কোর নয় হাজারের মতো সেনাকে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন। খবর আনাদোলুর।

‘প্রায় ৯ হাজার রুশ সেনাকে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৯ থেকে ২০ বছর বয়সি ২০০ থেকে ৩০০ সেনাও রয়েছে। কয়েকটি হেলিকপ্টারও ধ্বংস করা হয়েছে।’

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা যেখানেই যাবে সেখানে ধ্বংসযজ্ঞ নেমে আসবে। ইউক্রেনে হামলার জবাব পেয়ে গেছে দখলদাররা। এটিকে ইউক্রেনীয়রা দেশপ্রেমের প্রমাণ হিসেবে দেখছে বলেও উল্লেখ করেন জেলেনস্কি।

যদিও রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনে হামলার শুরুর পর থেকে তাদের ৪৯৮ সেনা নিহত ও এক হাজার ৫৯৭ জন আহত হয়েছেন।

জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি আন্তরিকভাবে ইউক্রেনের নাগরিকদের প্রশংসা করছি। আমরা তাদের (রাশিয়ানদের) অপমান করে তাড়িয়ে দেব, এরা রাষ্ট্রীয় যোদ্ধা নয়।

‘তাদের বহু বছর ধরে করা পরিকল্পনা আমরা ভণ্ডুল করে দিয়েছি। বহু আক্রমণকারী এখন পালিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে’, যোগ করেন জেলেনস্কি।

গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকে দেশজুড়ে ভয়াবহ সংঘাত চলছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় একাডেমিক ভবন-ডি এর গ্রাউন্ডে কেক কেটে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটোগ্রাফি বিষয়ক সংগঠন শাহজালাল ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফারস অ্যাসোসিয়েশনের (সুপা) সভাপতি রাদিয়া ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলার বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা, ম্যাপস ফটো এজেন্সির পরিচালক হাসান চন্দন, সুপার সদস্যরা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সংগঠনটি ষষ্ঠবারের মতো এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে জানিয়ে সভাপতি রাদিয়া বলেন, এবারের প্রদর্শনীর প্রতিটি ছবিতে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

সংগঠনঠির সাধরণ সম্পাদ মশিউর রহমান শৈশব বলেন, এবারের প্রদর্শনীতে জীবনের প্রতিকূল সময় কাটিয়ে ওঠার শক্তি, জীবনে কঠিন সময় পার করে নতুন আশা ও নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টার বিষয়টি প্রতিটি ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সুপার এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী মোট দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর ১১ ও ১২ মার্চ ঢাকায় আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় পর্ব।

প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ৩০টি দেশ থেকে আলোকচিত্র শিল্পীরা আড়াইহাজার ছবি পাঠিয়েছে। এই ছবিগুলো থেকে পাঁচ শতাধিক ছবি ভারত, পাকিস্তান, স্পেন, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ৭৫ টি ছবি বাছাই করে প্রদর্শন করা হচ্ছে। একক ক্যাটাগরিতে ৩০টি, মোবাইল ক্যাটাগরিতে ১১টি ও বাকি ছবি দিয়ে তৈরি করা তিনটি ফটো স্টোরি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।

‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাধ্যতামূলকভাবে এই স্লোগান ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- সাংবিধানিক পদাধিকারী, দেশে ও দেশের বাইরে কর্মরত সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারী সব জাতীয় দিবস উদযাপন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ও সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করবেন। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিদিনের সমাবেশ শেষে এবং সভা-সেমিনারে বক্তব্যের শেষে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করবেন।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতির অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

ওইদিন বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, সব সাংবিধানিক পদ, সরকারি, বেসরকারি অফিসে কর্মরতদের বক্তব্যে জয় বাংলা স্লোগান দিতে হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি, সভা সেমিনারে, সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ব্যবহার করতে হবে।সেদিন তিনি জানান, ২০২০ সালে হাইকোর্টের একটা রায় আছে, সেখানে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে বিবেচনা করা এবং সিদ্ধান্ত কার্যকর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (বিএফডিসি) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের আপিল অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেওয়ায় জায়েদ খানই থাকছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। আর চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান আইনজীবী, মিডিয়াসহ তার অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমার প্রাপ্য অধিকার আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা

করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি জয় পেয়েছি।

তবে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আমার জয়ের পরও যারা আমার বিরোধীতা করে আমার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা প্রতিনিয়ত আমার কাজে বাধা দেওয়অর চেষ্টা করবে। সবশেষে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ এবং শিল্পী সমিতির কাজ ভালোভাবে চালিয়ে যেতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

এর আগে বুধবার রুলের শুনানির জন্য হাইকোর্টে পৌঁছান নিপুন ও জায়েদ।

গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পর দিন প্রাথমিক ফলে জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচনি আপিল বোর্ডের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ।

আপিল বোর্ড সমাজসেবা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠায়। পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তর এক চিঠিতে জানায়, আপিল বোর্ড এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ড জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরবর্তী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত উপাচার্য হিসেবে রুটিন দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক প্রয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলমকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত ভাইস চ্যান্সেলরের দৈনন্দিন রুটিন দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

উল্লেখ্য, টানা দুই মেয়াদে ৮ বছর দায়িত্ব পালনের পর আগামীকাল বুধবার (২ মার্চ) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে।

প্রশাসনের কাছ থেকে আর আশ্বাস নয়, তিন দফা বাস্তবায়নের দাবি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তা সমিতি। সোমবার কর্মকর্তা সমিতির কার্যালয়ে বেতন বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলনকালে এসব কথা বলেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি এ.টি.এম. এমদাদুল আলম বলেন, সহকারী রেজিস্ট্রার সমমান পদের প্রারম্ভিক বেতন স্কেল ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ হাজার এবং উপ রেজিস্ট্রার সমমান পদের প্রারম্ভিক বেতন স্কেল ৫০,০০০-৭১,২০০ হাজার টাকা করা। এছাড়া চাকুরির বয়সসীমা ৬২ বছর করাসহ কর্মঘন্টা ঠিক রেখে (১ দিন ছুটি ) পূর্বের ন্যায় অফিস সময় নির্ধারণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। তবে জরুরী সেবা প্রদানকারী অফিসগুলো আমরা এ কর্মসূচির বাইরে রেখেছি। আমাদের ন্যায়সঙ্গত দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় আমরা আন্দোলনে আসতে বাধ্য হয়েছি। তবে আমরা যখই আন্দোলন শুরু করি তখই কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিসমূহ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করিয়েছে। কিন্তু পরবর্তিতে দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীর নগরসহ বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যে দাবিগুলো করেছি সে অনুযায়ী চলছে। এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী সমমান পদে কর্মরত সিনিয়রর মেডিকেল অফিসার এবং আইসিটি সেলের ডাটাবেজ প্রোগ্রামার ও সহকারী প্রধান কম্পিউটার ইনস্ট্রাাক্টর পদের বেতন স্কেল ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা (গ্রেড -৬) প্রদান করা হচ্ছে। একই সাথে ২৫৪ তম সিন্ডিকেট সভায় আমাদের বেতন স্কেল সংক্রান্ত যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, তা জাতীয় পে কমিশন কর্তৃক ঘোষিত সরকারী আদেশের পরিপন্থী। ফলে প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবিসমূহ মেনে নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমারা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওয়ালিদ হাসান মুকুট, সাবেক সভাপতি মোঃ শামছুল ইসলাম জোহা, সাবেক য্গ্মু-সম্পাদক মোঃ রাশিদুজ্জামান খান টুটুল, ইবি কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং ইবি সাংবাদিক সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, তিন দফা দাবিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতি পালন করে আসছেন ইবি কর্মকর্তারা।

মোবাইল ইন্টারনেট ডাটার প্যাকেজের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা আগামী ১৫ মার্চ থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। নতুন প্যাকেজে ডাটার অফারের সংখ্যা কমিয়ে পুরোনো উদ্বৃত্ত ডাটা নতুন প্যাকেজে যুক্ত করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

সোমবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন খান জানান, নতুন নির্দেশনা ১ মার্চ থেকে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। এর পরিবর্তে আগামী ১৫ মার্চ থেকে এটি কার্যকর হবে।

বিটিআরসি থেকে জানানো হয়, ডাটা এবং ডাটা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্যাকেজ সম্পর্কে জারিকৃত নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী- দেশের সব মোবাইল অপারেটরকে নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্যাকেজ, সিস্টেম ডিজাইন ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এবং ডাটা প্যাকেজগুলোর অনুমোদন বিটিআরসি থেকে নিতে হবে। এরপর পূর্বঘোষিত ১ মার্চের পরিবর্তে আগামী ১৫ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা থেকেই জারিকৃত নির্দেশিকার সব নির্দেশনা অনুযায়ী ডাটা এবং ডাটা সংশ্লিষ্ট সব প্যাকেজ পরিচালনা করা হবে।

বিটিআরসির নির্দেশিকা অনুযায়ী, একটি মোবাইল অপারেটর তিনটি বিভাগে ৯৫টি প্যাকেজ অফার করতে পারবে। তিনটি প্যাকেজ হলো- নিয়মিত প্যাকেজ, গ্রাহক কেন্দ্রিক প্যাকেজ, উন্নয়ন ও গবেষণা প্যাকেজ।

'গুণগত পরিসংখ্যান উন্নত জীবনের সোপান ' এই স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( হাবিপ্রবি ) জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস -২০২২ উদযাপিত হয়েছে। পরিসংখ্যান দিবসকে কেন্দ্র করে রবিবার ( ২৭ ফেব্রুয়ারি ) সকাল ১০ টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে র‌্যালি বের করে হাবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগ। এসময় র‌্যালিটি হাবিপ্রবির ড. এম. এ. ওয়াজেদ ভবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন চত্বর প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এর সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরিসংখ্যান দিবস উপলক্ষ্যে অনলাইন ও অফলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ তে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পরিসংখ্যান বিভাগ।উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রশীদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুর রহমান, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজিব দে, সহকারী অধ্যাপক এ.এস. এম আবু সাঈদ, সহকারী অধ্যাপক মোছাঃ দিলারা পারভীন ও সহকারী অধ্যাপক মোঃ সবুজ আলী।

এছাড়া অনলাইনে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য পরিসংখ্যানবিদ বল স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রহমাতুল্লাহ ইমন এবং ফিজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এবিএম শাওকত আলী। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. এরফান আলী খোন্দকার।

অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্যে হাবিপ্রবির বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রশীদ তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদ এবং ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, " বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করছে গুণগত পরিসংখ্যান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৭৪ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরো গঠন করেন । বর্তমান সময়ে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সঠিক পরিসংখ্যান কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে করবে বলে প্রত্যাশা করি "। এসময় তিনি জাতীয় পরিসংখ্যান-২০২২ আয়োজনের জন্য পরিসংখ্যান বিভাগের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এদিকে সভাপতির বক্তব্যে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. এরফান আলী খোন্দকার বলেন, " এসডিজির ১৭ টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ষোলটিতেই পরিসংখ্যানের মডেল ব্যবহার করা হয়েছে । দিন দিন পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বেড়েই চলছে। বৃহৎ পরিসরে এবারেই প্রথম হাবিপ্রবিতে আমরা পরিসংখ্যান দিবস আয়োজন করেছি, যাতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরে । হাবিপ্রবি প্রশাসন সহ পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহায়তার কারণে আমরা সুন্দরভাবে জাতীয় এ দিবসটি আয়োজন করতে পেরেছি। তাই অনুষ্ঠানটি স্বার্থক করতে যারা নিরলসভাবে কাজ করেছে আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি "। অনুষ্ঠানটির সঞ্চলনা করেন পরিসংখ্যান বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান জেমি ও ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ তুষার আলী।

উল্লেখ্য যে, অনলাইনে যুক্ত আলোচকবৃন্দ পরিসংখ্যানের তথ্যের বর্তমান ব্যবহার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ডাটা সাইন্স, মেসিং লার্নিয়ের বিভিন্ন দিক ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। পরে আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন অনলাইনে যুক্ত আলোচকবৃন্দ ।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram