শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে নার্সিং কাউন্সিলের সম-মানের সনদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ হয়েছে।

শনিবার সকালে বাংলাদেশ স্টুডেন্ট নার্সেস এন্ড মিডওয়াইফ সম্মিলিত পরিষদ ময়মনসিংহ বিভাগীয় শাখার উদ্যোগে এ বিক্ষোভ হয়েছে।

নার্সিং কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে চরপাড়া মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্সের স্টুডেন্টদের বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল থেকে নার্সিং লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত অচিরেই বাতিল করতে হবে।

ফ্যামিলি ওয়েল ফেয়ার ভিজিটরদের ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফ সম-মান দেওয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারী কাউন্সিলের অধীনস্থ নার্সি শিক্ষার্থীদের স্থগিত হওয়া কমপ্রিহেনসিভ লাইসেন্স পরীক্ষা অনতিবিলম্বে নিতে হবে।

অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে দাবি মেনে নিতে বাধ্য করা হবে বলেন তারা।

বক্তব্য দেন বাংলাদেশ স্টুডেন্ট নার্সেস এন্ড মিডওয়াইফ সম্মিলিত পরিষদ ময়মনসিংহ বিভাগীয় শাখার আহ্বায়ক শাকিল আহমেদ, সদস্য সচিব সাগাল চিসিক, যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহম্মেদ এবং নার্সেস সংগ্রাম পরিষদ নেতা তৌহিদুল ইসলাম জুয়েল প্রমূখ।

নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে শনিবার গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিবিদ দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল আনন্দ র‌্যালী, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কৃষিবিদ কর্মকর্তাবৃন্দের অংশগ্রহণে ‘বঙ্গবন্ধুর অবদান, কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান’ শ্লোগানে একটি আনন্দ র‌্যালী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এরপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপাচার্য মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভাষার মাসে সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঐতিহাসিক কৃষিবিদ দিবসের পটভূমি এবং তাৎপর্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, দেশের কৃষক, ‘কৃষিবিদ ও কৃষির সার্বিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যার ফলে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যৎ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের লক্ষেও গবেষণার মাধ্যমে লাভজনক কৃষি রূপায়নে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নেতৃত্ব দেবে। ’

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। আরো বক্তব্য প্রদান করেন আইবিজিই’র পরিচালক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম এবং প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ আরিফুর রহমান খান। এসময় ডীনবৃন্দ, পরিচালকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কৃষিবিদ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বাদ যোহর বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শাহাদাৎ বরণকারী সকল শহীদ এবং প্রয়াত কৃষিবিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সবাইকে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান।

প্রক্টর বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে রাবিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন সব প্রকার অনুষ্ঠান ও জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। টি-স্টল, ফুল, পিঠাসহ কোনো ধরণের দোকান নিয়ে বসা যাবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। কোনো ধরণের আতশ ও ফটকাবাজি করা যাবে না। এদিন বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীরা চাইলে আইডিকার্ড দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে, তবে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সবাই ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এদিন ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পুলিশ আইডি কার্ড চেক করবে। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের আইডি কার্ড নেই, সেক্ষেত্রে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে হবে। ক্যাম্পাসে আইডি কার্ড ছাড়া কাউকে ধরা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের বিলম্ব ফি মওকুফের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় মার্চ থেকে ডিসেম্বর ২০২০-এর ধারাবাহিকতায় আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সব প্রকার বিলম্ব ফি মওকুফ করা হলো।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সব প্রকার বিলম্ব ফি গত বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মওকুফ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যার মেয়াদ বাড়ল আগামী মার্চ পর্যন্ত।

আগামীকাল রবিবার চতুর্থ দফায় দেশের ৫৫ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে।

এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এই দফায় ২৫ পৌরসভায় ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। বাকি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে ব্যালটের মাধ্যমে।

চতুর্থ দফায় ৫৬ পৌরসভায় নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হলেও অনিবার্য কারণে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

রবিবার যেসব পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে সেগুলো হল: ঠাকুরগাঁও সদর ও রাণীশংকৈল; রাজশাহীর নওহাটা, গোদাগাড়ী ও তাহেরপুর; লালমনিরহাট সদর ও পাটগ্রাম, নরসিংদী সদর ও মাধবদী, রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ, বরিশালের মুলাদী ও বানারীপাড়া, শেরপুর সদর ও শীবরদী; চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, নাটোর সদর ও বড়াইগ্রাম, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, বান্দরবান সদর, বাগেরহাট সদর; সাতক্ষীরা সদর। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট; কুমিল্লার হোমনা ও দাউদকান্দি, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও পটিয়া, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, হোসেনপুর ও করিমগঞ্জ, টাঙ্গাইলের গোপালপুর ও কালিহাতী, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও আলমডাঙ্গা, ফেনীর পরশুরাম, চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ, নেত্রকোনা সদর, যশোরের চৌগাছা ও বাঘারপাড়া, রাঙ্গামাটি সদর, মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, জামালপুরের মেলান্দহ, ময়মনসিংহের ফুলপুর, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর ও কালাই, নোয়াখালীর চাটখিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, লক্ষ্মীপুরের রামগতি, ফরিদপুরের নগরকান্দা এবং সিলেটের কানাইঘাট পৌরসভা।

করোনায় বন্ধ রয়েছে ক্যাম্পাস। বন্ধ ক্যাম্পাসে কেবল অনার্স এবং মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে এ সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সান্ধ্য কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ৩১৬ ও ৩১৭নং কক্ষে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ভিসির নির্দেশে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রক্টর প্রফেসর ড. প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এভাবে পরীক্ষা নেওয়া তাদের উচিত হয়নি। ভিসির নির্দেশে কমিটির সভাপতির সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষা স্থগিত করতে বলা হয়েছে। কেন পরীক্ষা নিয়েছে- এ বিষয়ে শনিবার ভিসির সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে বলেছি।

সান্ধ্য কোর্সের সমন্বয় কমিটি সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টায় কোর্সটির এলএলএম নবম ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আবেদনকারী ৭৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৯ জন অংশ নেয়। পাস করে ৫৬ জন। এছাড়া সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আরও দুই ব্যাচের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে করোনা মাহামারিতে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা ঠিকমতো না হলেও সান্ধ্যকালীন কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে সমালোচনা। আইন বিভাগে সান্ধ্য কোর্স নিয়ে এর আগেও বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে স্টোর রুমের দরজা আটকিয়ে পরিদর্শক ছাড়াই সান্ধ্য কোর্সের এক শিক্ষার্থীর একদিনে তিনটি কোর্সের টানা নয় ঘণ্টা পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে দায়িত্বরত শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয় প্রশাসন। একই সঙ্গে এ নিয়ে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে সমন্বয় কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক মাহবুব বিন শাজাহান শুভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল বিভাগে পরীক্ষা হবে। এরা অনেক দিন বসে আছে, অপেক্ষায় আছে। তখন ভিসি স্যারের সঙ্গে মনে হয় জহুরুল স্যার কথা বলে পরীক্ষা নিয়েছেন।

আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. হালিমা বলেন, বিভাগের অধীনে একটি কমিটি থাকে। অনুমতি নিয়েছে কিনা কমিটি বিষয়টি বলতে পারবে। তবে আজ এবং আগামীকাল ভর্তি পরীক্ষা ছিল সেটি স্থগিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি রেগুলার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে পারছি না; আর ইভিনিংয়ের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য লালায়িত? প্রক্টরকে বলেছি পরীক্ষা বন্ধ করে দিতে।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেশে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনা থেকে অনেকটা দূরেই থাকতে হয়েছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে। তবে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার নেমে আসায় এবং টিকাদান কর্মসূচী শুরু হওয়ার কারণে আশা করা হচ্ছে যে, শিগগিরই আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে।

সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে বলেছেন যে, যখন স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম মনে হবে, তখনই স্কুল খুলে দেয়া হবে।

সে লক্ষ্যে নতুন করে সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে, এসএসসির জন্য ৬০ কর্মদিবস ক্লাস এবং এইচএসসির জন্য ৮৪ কর্মদিবস ক্লাস ধরে হিসেব করা হয়েছে। যদি স্কুল খুলতে দেরি হয় তাহলে পরীক্ষাও একটু পরে নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

এর আগে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা অটোপাসের দাবিতে আন্দোলন করলেও শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন যে, অটোপাসের কোন সুযোগ নেই।

এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে পড়াশোনায় যে ক্ষতি হয়েছে সেটি কিভাবে পুষিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে আলাদা মত দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। আর মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে পড়াশোনা শুরু করার পর মনোযোগ বাড়াতেও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।

১. ঘাবড়ে না গিয়ে শুরু করুন
মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ মেখলা সরকার বলেন, অনেক দিন ধরে পড়াশোনার সাথে সম্পর্ক না থাকলে শুরুর দিকে পড়ার টেবিলে বসতেই ভাল লাগবে না। আবার অনেক সময় মনে হবে যে, পড়তে চাইলেও ইচ্ছা করছে না।

‘স্বাভাবিকভাবেই যেকোন চ্যালেঞ্জিং জিনিস আমাদের মোকাবেলা করতে ইচ্ছা করে না।‘

এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উচিত হবে প্রতিদিন নিয়ম করে কিছু সময়ের জন্য হলেও পড়তে বসতে হবে। এসময় গুরুতর ধরণের পড়াশুনা করতে হবে বিষয়টা সেভাবে না দেখে বরং শুধু বসার জন্যই বসা দরকার।

মেখলা সরকার বলেন, ‘এ সময় সে হয়তো বই গোছাতে পারে, পড়ার টেবিলটা গোছাতে পারে। বই খাতাগুলো নাড়াচাড়া করা।‘
অর্থাৎ এসময় টেবিলে পড়তে বসার অভ্যাসটা তৈরি করতে হবে।

২. সহজ বিষয় দিয়ে শুরু করুন
টেবিলে পড়তে বসতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এর পরের ধাপ হবে, সবচেয়ে সহজ বিষয়গুলো পড়তে শুরু করা। যে বিষয়টি পড়তে শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে সেটিই অল্প অল্প করে পড়তে হবে।

মেখলা সরকার বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে, অনেক শিক্ষার্থী ছবি আঁকতে পছন্দ করে। সেক্ষেত্রে ছবি আঁকা দিয়েই সে শুরু করতে পারে। অনেক সাবজেক্ট থাকে যেখানে খুব বেশি মাথা খাটাতে হয় না, সেটা পড়তে পারে।
এছাড়া অনেক সময় যে অধ্যায় আগে থেকেই পড়া আছে সেটি দিয়েই শুরু করা যেতে পারে। এটি দিয়ে শুরু করলে যখন ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীর একটু দখল আসবে তখন তার মধ্যে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে।
তিনি বলেন, ‘কনফিডেন্সটা তৈরি হলেই আস্তে আস্তে তার ভয়টা কেটে যাবে।‘

৩. শব্দ করে পড়ুন
কিছুদিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ করে পড়াাশোনা শুরু করলে অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যেই মনোযোগ না থাকার সমস্যা তৈরি হয়। এমনকি অনেকে অভিযোগ করেন যে, তারা পড়া শুরু করলেও সেটি মনে রাখতে পারেন না।

‘অল্প-স্বল্প ভুলে যাওয়া কোন সমস্যা না। নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে গেলে এটা চলে যায়।‘
এতে উদ্বিগ্ন হওয়া যাবে না। বরং এক্ষেত্রে শব্দ করে জোরে পড়লে মনোযোগ বাড়ে বলে জানান মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ মেখলা সরকার।

‘যখন আমরা শব্দ করে পড়ি তখন সেটা মাথায় ঢুকতে সাহায্য করে‘।

৬. বার বার পড়ুন
আগের দিন যে পড়াটা শেষ হয়েছে সেটি মনে রাখার জন্য সেই পড়াটা আবার একবার পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

মেখলা সরকার বলেন, অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন যে, আগের দিনের পড়ার ৫০% বা ৯০%ই তার মনে নেই। এটা স্বাভাবিক।

আর তাই মনে রাখতে হলে ওই পড়াটা আরেকবার পড়ার বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।

‘এভাবে চেষ্টা করতে থাকলে কিছু দিন পর যখন সে দেখবে যে সেটা তার মাথায় ঢুকে গেছে তখন তার মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে এবং সে নতুন করে পড়তে আগ্রহ পাবে।‘

যে জিনিস সম্পর্কে মানুষ জানে না সেটার প্রতি প্রথমেই আগ্রহ তৈরি হয় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

৭. শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে
স্কুল বন্ধ থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থীই আগের ক্লাসের সিলেবাস ঠিকভাবে শেষ করতে পারেনি। সেক্ষেত্রে শিক্ষকের জানা থাকে যে শিক্ষার্থীরা কোন সিলেবাসটি পড়েছে আর কোনটি পড়েনি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দা তাহমিনা আক্তার বলেন, এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে।

শিক্ষার্থীরা আগের সিলেবাসের যে বিষয়গুলো বুঝতে পারছে না সেগুলো আগে বুঝিয়ে তারপর নতুন সিলেবাস পড়ানো শুরু করতে হবে।

৮. সম্ভব হলে আগের সিলেবাস শেষ করুন
ড. সৈয়দা তাহমিনা আক্তার বলেন, যেহেতু স্কুল বন্ধ ছিল তাই অনেকেই আগের ক্লাসের পড়া শেষ করতে পারেনি। তার আগেই নতুন ক্লাসে উঠে গেছে। তবে এক্ষেত্রে আগের সিলেবাস একেবারে না পড়া থাকলে নতুন ক্লাসের পড়া কঠিন মনে হতে পারে।

সেক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা চাইলে সন্তানদের শিক্ষক দিয়ে কিংবা নিজেরা উদ্যোগী হয়ে নতুন ক্লাসের পড়ার ফাঁকে ফাঁকে আগের সিলেবাসটিও শেষ করার চেষ্টা করতে পারেন।

‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য - একটু সহানুভুতি কি, মানুষ পেতে পারে না’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত রিকশা চালক তারা মিয়া অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এবার হতদরিদ্র মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছেন।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম চকলেংগুরা বাইতুল কোরআন ইসলামিয়া মাদরাসার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে এসব শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদরাসা চত্ত্বরে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কালে অন্যদের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষক নুর মোহাম্মদ, অভিভাবক মো. আমীর উদ্দিন, দৈনিক যুগান্তরের দুর্গাপুর উপজেলা প্রতিনিধি তোবারক হোসেন খোকন, স্টাফ রিপোর্টার আল আমিন তুষার, সিনিয়র সাব-এডিটর এমএম সালাউদ্দিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

রিকশা চালক তারা মিয়া বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে রিকশা চালানোর উপার্জন থেকে প্রতি মাসেই কিছু কিছু টাকা জমিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়সহ গ্রামের সাধারণ শিক্ষার্থীদের খাতা, কলম, পেনসিলসহ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করছি।

এবার এই মাদরাসায় কিছু হতদরিদ্র শিক্ষার্থী আছে জানতে পেরে এখানেও বিতরণ করছি। ছোটবেলায় টাকার অভাবে পড়াশুনা করতে পারেননি বিধায় প্রতি মাসেই দরিদ্র শিক্ষার্থীদের এভাবে সহযোগিতা করেন তিনি। এ ধরনের সহায়তা করতে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা মিয়া।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৯ সালের দ্বিতীয় বর্ষ ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষা ১৩ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে ২৩ মার্চ পর্যন্ত। শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ২ টায় পরীক্ষা শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়জুল করিমের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মো. ফয়জুল করিম বলেন, সারাদেশে মোট ১ হাজার ৮৭৭টি কলেজের ৭০২টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নেবেন। পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর ক্যাম্পাসে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। জরুরি যেকোনো সমস্যায় ০২-৯২৯১০১৭ এবং ০২-৯২৯১০৩৮ নম্বরে যোগাযোগের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুলতানা পারভীন। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ১২তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় সরিষাবাড়ী উপজেলায় মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট উপজেলার একটি কলেজে নিয়োগ পাবার কথা তার। কিন্তু ৫ বছরেও তিনি মেধা তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ পাননি।

শুধু সুলতানা পারভীন নয়, এভাবে অনেক মেধাবী চাকরিপ্রার্থী বঞ্চিত হয়েছেন। এভাবে বঞ্চিত হয়ে কেউ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। এতে আবার আটকে গেছে সকলের নিয়োগও। তবে সব প্রার্থীর একই বক্তব্য, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কারণেই এমনটি হয়েছে। সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এই প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের।

এনটিআরসিএর এই অব্যবস্থাপনার কারণে ঝুলে গেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। দুই বছর ধরে বন্ধ নিয়োগ প্রক্রিয়া। অথচ এই সময়ে অবসরে গেছেন অনেক শিক্ষক। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই সংখ্যা ১ লাখের কাছাকাছি হবেন। আর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পরও নিয়োগ না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন তরুণ প্রার্থীরা

২০০৫ সালে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য সনদ দিত এনটিআরসিএ। এই সনদ থাকলেও নিয়োগের ক্ষমতা ছিল গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ২০১৫ সালে এই পদ্ধতির পরিবর্তন আনে সরকার। ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে মেধা তালিকা করা হয় উপজেলা ভিত্তিক। শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়ার আগে পাশ হয় নতুন আইনও। কিন্তু মেধা তালিকা করলেও এদের নিয়োগ দেয়নি এনটিআরসিএর তত্কালীন চেয়ারম্যান।

মূল্যায়নে অসঙ্গতি:

এনটিআরসিএ ১ম থেকে ১১ তম নিবন্ধন পরীক্ষার্থীদের একই দিন ১০০ নম্বরের এমসিকিউ ও ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করে। প্রাপ্ত নম্বর গড় করে নম্বর দিয়ে সনদ দেওয়া হয়। ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় শুধু পাশ দেওয়া হয়। আর ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে ফল প্রকাশ করা হয়। তাদের কোনো মৌখিক পরীক্ষা হয়নি।

১৩তম নিবন্ধন পরীক্ষায় থেকে আবারও পরিবর্তন আনা হয়। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় শুধু পাশ দেখানো হয়। ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। সনদে মৌখিক পরীক্ষার নম্বরও জুড়ে দেওয়া হয়।

পরীক্ষার নম্বরে ও মূল্যায়নে এমন অসঙ্গতিতে অনেক শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন। এ বিষয়ে এনটিআরসিএতে অভিযোগের স্তূপ জমা পড়েছে। সুলতানা পারভীন নামে এক প্রার্থী তার দেওয়া অভিযোগে বলেন, মূল্যায়নের অসঙ্গতির কারণে তিনি মেধা তালিকা থেকে পিছিয়ে পড়েছেন। তাই ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবি তুলেছেন তিনি।

তবে এনটিআরসিএ সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) এ বি এম শওকত ইকবাল শাহীন বলেন, এভাবে নম্বরে পার্থক্য হলেও প্রার্থীদের বঞ্চিত হবার কোনো সুযোগ নেই। শুধু লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই সমন্বিত বিষয়ভিত্তিক মেধা তালিকা করা হয়েছে। তবে ১৩তম থেকে কেন মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হলো এবং কেনই বা নম্বর দেওয়া হলো—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগে অনেক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যারা কথা বলতে পারেন না। মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে তারা কথা বলতে পারে কি না এবং বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতা আছে কি না, তা দেখার জন্য।

এনটিআরসিএ ১ম থেকে ১৪তম সমন্বিত মেধাতালিকা থেকে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রায় ৪০ হাজার পদে নিয়োগ দেয়। নিয়োগের পর একাধিক মামলা হয়। বর্তমানে আদালতের রায়ে প্রথম থেকে ১৫তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়ে একটি সম্মিলিত মেধা তালিকা তৈরি করা হয়। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, আবার প্রার্থী কমানোর জন্য প্রথম থেকে ৩য়, প্রথম থেকে ৬ষ্ঠ বা প্রথম থেকে ৮ম নিবন্ধন পর্যন্ত বাদ দেওয়ার গুঞ্জন ওঠে। এসব কারণে ৪০০-এর বেশি রিট মামলা করেন প্রার্থীরা।

শান্ত আলী নামে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক প্রার্থী বলেন, দ্রুত গণবিজ্ঞপ্তি জারির অপেক্ষা করছি। কয়েক লাখ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়ে বসে আছেন। হতাশার মধ্যে রয়েছেন।

আমিরুল ইসলাম নামে এক প্রার্থী বলেন, আগে টাকার বিনিময়ে অনেকে সনদ পেয়েছেন। বিভিন্ন সময় যাচাইয়েও সেগুলো প্রমাণিত হয়েছে। এমন অনেক প্রার্থী দেখা গেছে, যারা লিখিত পরীক্ষা ১০০ এর মধ্যে ৯৫ পেয়েছেন। এটা কীভাবে সম্ভব। জালিয়াতির মাধ্যমে যারা নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে সমন্বিত মেধা তালিকা থেকে তাদের বাদ দিতে হবে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১ম থেকে ১৫তম নিবন্ধন পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ৬ লাখ ৩৪ হাজার ১২৭ জন রয়েছেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৮২১ জনের বয়স ৩৫ বছর পার হওয়ায় তারা নিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন না। আবার অনেকে বিভিন্ন চাকরি নিয়ে চলে গেছেন। গণবিজ্ঞপ্তির জন্য গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৩৬০টি শূন্য পদের তালিকা দিয়েছিল শিক্ষা বিভাগ। এখন পর্যন্ত নতুন করে আরো ৩০ হাজারের বেশি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীরা অপেক্ষা করছেন। গত জানুয়ারি মাসে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি।

কেন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দেরি হচ্ছে—এ বিষয়ে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, সমন্বিত মেধা তালিকার বিরুদ্ধেও উচ্চ আদালতে রিট মামলা হয়েছে। আমরা রিভিউর জন্য অপেক্ষা করছি। আশা করি, এ বিষয়ে দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে এবং তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।সূত্র:ইত্তেফাক

দীর্ঘ ১১ মাস বন্ধের পর শুধুমাত্র মাস্টার্স ও অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষার মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রমে ফেরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তবে, একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি এবার শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলোও খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে শাবি প্রশাসন।
এ বিষয়ে শাবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আগামী মাসে আমাদের হল খোলার প্রত্যাশা রয়েছে। বর্তমানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ শতাংশের নিচে। তাছাড়া, সরকারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে ভাবছেন। সরকার শিগগিরই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমার প্রত্যাশা। তবে, সরকার সিদ্ধান্ত না নিলে আমরা হল খুলতে পারব না।’

উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে গত বছরের ১৮ মার্চ হতে সব ধরণের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে দেয় শাবি প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীদের সেশনজট থেকে মুক্ত করতে গত ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সভায় হল না খুলে দুইধাপে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রথম ধাপের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ১৭ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের মাস্টার্স ও অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়। যা চলতি মাসের (ফেব্রুয়ারি) ১৫ তারিখের মধ্যে শেষ হবে। আর, প্রথম ধাপের পরীক্ষা শেষ হলে, দ্বিতীয় ধাপে অন্য শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু হবে।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

মেডিকেলে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন আগামী ১ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মাধ্যমে এক হাজার টাকা জমা দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে শিক্ষার্থীদের।

মেডিকেলে ভর্তি আবেদনের নিয়ম

বাংলাদেশের নাগরিক, যারা ২০১৭ বা ২০১৮ সালে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০১৯ বা ২০২০ সালে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় (পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ) উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা মেডিকেলে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০১৭ সালের আগে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা আবেদনের করতে পারবেন না।

দেশ কিংবা বিদেশে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ হতে হবে কমপক্ষে ৯। ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও পার্বত্য জেলার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮ হতে হবে। তবে কোনো পরীক্ষায় ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৩ দশমিক ৫০-এর কম হলে শিক্ষার্থীরা আবেদনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন না। এ ছাড়া, সবার জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৩ দশমিক ৫০ থাকতে হবে।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram