রবিবার, ৫ই মে ২০২৪

কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরায় সম্প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামের প্রতিবেদন ও তথ্যচিত্র বাংলাদেশের সব ইন্টারনেট মাধ্যম থেকে ‘অপসারণ’ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তবে বাংলাদেশে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের বিষয়ে কোনো আদেশ আদালত দেননি।

ছয় অ্যামিকাস কিউরি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার বক্তব্য শোনার পর বুধবার এ সংক্রান্ত রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। সকালে রিট শুনানিতে তিনি বলেন, রিট আবেদনকারীর মামলা করার অধিকার আছে। দেশের সীমানায় কনটেন্ট আটকানোর কর্তৃত্ব বিটিআরসির রয়েছে। বিটিআরসির তরফ থেকে ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য মাধ্যমের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আদালতের আদেশ হলে বিষয়টি সহজ হয়।

পরে ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ শুনানি গ্রহণ করে বেলা ৩টায় আদেশের জন্য সময় ধার্য করেন। ৩টার পর আদালত এ আদেশ দেন।

কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরায় ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র প্রচার করা হয়। সেটি বিভ্রান্তিকর, বিদ্বেষমূলক ও মানহানিকর উল্লেখ করে দেশে আলজাজিরার সম্প্রচার ও ওয়েবসাইট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এনামুল কবির ৮ ফেব্রুয়ারি রিটটি করেন। এতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়।

১০ ফেব্রুয়ারি আদালত রিটের গ্রহণযোগ্যতাসহ কয়েকটি বিষয়ে মতামত দিতে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে ছয় আইনজীবীর নাম ঘোষণা করেন। গত সোমবার শুনানির ধার্য তারিখে তারা মতামত তুলে ধরেন।

বাংলাদেশে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে গত সোমবার হাইকোর্টের একই বেঞ্চে মত দেন পাঁচ অ্যামিকাস কিউরি। এই পাঁচ অ্যামিকাস কিউরি হলেন, এজে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামাল, কামাল উল আলম, প্রবীর নিয়োগী ও শাহদীন মালিক। এদিন অপর অ্যামিকাস কিউরি আবদুল মতিন খসরু বলেন, রিট আবেদনকারী ব্যক্তিগত ও জাতীয়ভাবে সংক্ষুব্ধ। আদালত ওই তথ্যচিত্র অপসারণের নির্দেশনা দিতে পারেন।

সোমবার ছয় অ্যামিকাস কিউরির অভিমত শোনার পর আদালত আজ শুনানির দিন ধার্য করেন। সে অনুসারে আজ আদেশ দিলেন আদালত।

নিজ বিভাগের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানওয়ার সিরাজকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রহিমা কানিজ বলেন, যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের নিয়মিত সভায় সানওয়ার সিরাজকে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে, সানওয়ার সিরাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরে সানওয়ার সিরাজের বিরুদ্ধে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সভাপতি বরাবর যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগের ৪৩তম আবর্তনের এক ছাত্রী। অভিযোগটি তদন্তের জন্য ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে পাঠান বিভাগীয় সভাপতি। দীর্ঘ তদন্তের পর তা সিন্ডিকেট সভায় ওঠানো হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের সর্বোচ্চ সভায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন করে ২৩৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করা হলো।
তালিকা দেখতে ক্লিক করুন।

দেশে একদিনে আজও দুই লাখের বেশি মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। সবমিলিয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময়ে টিকা নিয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ। আর নিবন্ধন করেছেন প্রায় ২৩ লাখ। নিবন্ধনকারীদের পর্যায়ক্রমে টিকা দেয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মঙ্গলবার সারাদেশে টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ২৬ হাজার ৯০২ জন। ফলে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত দেশে টিকা নিয়েছেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৩ জন। টিকা নেয়ার পর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ বা অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোইং ইমিউনাইজেশন (এইএফআই) দেখা দিয়েছে সর্বমোট ৪৯০ জনের শরীরে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত একদিনে মঙ্গলবার সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ টিকা নিয়েছেন।

নির্ধারিত সময়ে এদিন এক লাখ ৪৯ হাজার ৮৯২ জন পুরুষ ও ৭৭ হাজার ১০ জন নারী টিকা নিয়েছেন। এই সময়ে ৩৫ জন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ বা অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোইং ইমিউনাইজেশন (এইএফআই) রিপোর্ট করেছেন বলে জানানো হয়েছে।

সবমিলিয়ে দেশে টিকা গ্রহীতার মধ্যে পুরুষ নয় লাখ ২৩ হাজার ৫১৬ জন; নারী চার লাখ ৩৬ হাজার ৯৭ জন।

টিকাগ্রহীতার সঙ্গে যোগ হবে আরও ৫৬৭ জন, যাদেরকে গণটিকার আগে গত ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেয়া হয়েছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭২ হাজার ৭৩৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে নয় হাজার ৮৭২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৯ হাজার , রাজশাহী বিভাগে ২৪ হাজার ৯২০, রংপুর বিভাগে ২০ হাজার ৮১১ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ হাজার ২৬ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ১৩৬ এবং সিলেট বিভাগে ১২ হাজার ৩৯৮ জন ।

এদিকে টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধনকারীর সংখ্যাও বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন প্রায় ২৩ লাখ মানুষ।

গত ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে টিকা দিয়ে দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের পর্যবেক্ষণ করার পর ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারাদেশে গণ টিকাদান। বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। প্রত্যেককে এই টিকার দুটি ডোজ দিতে হবে। প্রথম টিকা গ্রহণের আট সপ্তাহ পর দেয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ।

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৪৩তম অবস্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান র‌্যাংকিং ৫৯২৫তম আর দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬তম।

মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই বলছে।

স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েবমেট্রিক্স’ ওই জরিপ জানায়, দেশের ১৭৩টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের মধ্যে এ তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাবির অবস্থান ১৬৩৪তম ও বুয়েটের অবস্থান ১৭০২তম।

এছাড়া শীর্ষ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তিন নম্বরে রয়েছে- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‌্যাংকিং ২১৮১), চার নম্বরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‌্যাংকিং ২৩৫৭), পাঁচ নম্বরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) (বিশ্ব র‌্যাংকিং ২৬৬২), ছয় নম্বরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‌্যাংকিং ২৬৬৪), সাত নম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‌্যাংকিং ২৭২১), আট নম্বরে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‌্যাংকিং ২৭৭৩), নবম নম্বরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‌্যাংকিং ২৮০৩), ১০ নম্বরে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (বিশ্ব র‌্যাংকিং ৩১০১)।

এদিকে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় প্রথম ১০টির মধ্যে আটটি যুক্তরাষ্ট্রের। বিশ্ব সেরা বিশ্ব বিদ্যালয়গুলো হলো: ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়েল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান দিয়েগো ও টরেন্টো ইউনিভার্সিটি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ সেমিস্টার পরীক্ষার একটি কোর্সের ‘উত্তরপত্র উধাও’ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ফলাফল আটকে আছে ওই সেশনের শিক্ষার্থীদের। সংশ্লিষ্ট কোর্সশিক্ষক উত্তরপত্র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে জমা দিয়েছেন বলে দাবি করলেও, দপ্তর বলছে তারা উত্তরপত্র পায়নি।

এদিকে ‘উত্তরপত্র উধাও’ এর ঘটনা তদন্তে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিভাগটিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের 'এমটিএইচ-২২১: রিয়েল এনালিসিস-২' নামের কোর্সটির পরীক্ষা শেষ হয় গত বছরের পয়লা মার্চ। কোর্সটির শিক্ষক ছিলেন গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. আতিকুর রহমান।

অভিযোগ উঠেছে, উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ফলাফল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে জমা দিলেও বহিঃপরীক্ষকের নিকট প্রেরণের জন্য উত্তরপত্রগুলো পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে জমা দেননি তিনি। ফলে দ্বিতীয় মূল্যায়ন না হওয়ায় এখনও পর্যন্ত আটকে আছে ওই সেশনের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ সেমিস্টারের ফলাফল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষককে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে তা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে জমা দিতে হয়। যেগুলো পরবর্তীতে বহিঃপরীক্ষকের নিকট দ্বিতীয় মূল্যায়নের জন্য দপ্তরের মাধ্যমে যায়। যা রেকর্ড থাকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের রেজিস্টার বইতে। কিন্তু, অভিযোগ উঠা কোর্সের উত্তরপত্র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে জমার কোনো রের্কড সেখানে নেই বলে জানিয়েছে দপ্তর।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক মো. আতিকুর রহমান বলেন, 'আমি আমাদের বিভাগের এক অফিস সহকারীর মাধ্যমে ফলাফল এবং উত্তরপত্র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে পাঠিয়েছি। ফলাফল আমাদের বিভাগের পরীক্ষা কমিটির কাছেও জমা দিয়েছি। এমন হতে পারে যে অফিস সহকারী ভুলে তা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের রেজিস্টার বইতে ওঠাতে ভুলে গেছে।'
উত্তরপত্র জমাদানের ব্যাপারে জানতে চাইলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ নুরুল করিম চৌধুরী বলেন, কোর্সের উত্তরপত্র আমাদের কার্যালয়ে জমা হওয়ার কোন রের্কড আমাদের কাছে নেই। সংশ্লিষ্ট কোর্সের শিক্ষক উত্তরপত্র একজন অফিস সয়াহকের মাধ্যমে পাঠানোর যে দাবিটি করছেন তা সত্য নয়।'
এদিকে উত্তরপত্র উধাওয়ের ঘটনায় সোমবার একাডেমিক কাউন্সিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানকে আহ্বায়ক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ নুরুল করিম চৌধুরীকে সদস্য সচিব, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী এবং গণিত বিভাগের প্রধান খলিফা মোহাম্মদ হেলালকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট কোর্সের পরীক্ষকের নাম্বার পেয়েছি। বহিঃপরীক্ষরের পাইনি। উত্তরপত্রের বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় বলতে পারবে।'
গণিত বিভাগের প্রধান খলিফা মোহাম্মদ হেলাল বলেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে একটি কমিটি করা হয়েছে, কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

মাতৃভাষার অপব্যবহার এবং ঐতিহাসিক স্থাপনার ধ্বংসরোধে জনসচেতনতার লক্ষ্যে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থী সাইকেলে করে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন।

সাইকেল আরোহী তিন শিক্ষার্থী হলেন- হাবিপ্রবির স্থাপত্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আশরাফুল আলম নাসিম, মোজাফফর হোসাইন প্রলয় এবং বিশ্ববিৎ রায় অভি।
রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সাইকেল আরোহী তিন শিক্ষার্থী বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেন।

এরপর বাংলাবান্ধা হয়ে পঞ্চগড়ে আসার পথে পঞ্চগড় থানার ইন্সপেক্টর মো.জামাল হোসাইন (তদন্ত) সাইকেল আরোহী তিন শিক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা জানান। সন্ধ্যায় যাত্রাপথের বিরতিতে হাবিপ্রবিতে অবস্থান করার কথা রয়েছে আরোহী তিন শিক্ষার্থীর। যাত্রা বিরতি শেষে তাঁরা ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম সহ চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবন এবং রাঙামাটি হয়ে টেকনাফে সাইকেল যাত্রা শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন।
তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফের উদ্দেশে সাইকেল যাত্রার লক্ষ্য কি জানতে চাইলে আশরাফুল আলম নাসিম বলেন, 'আমরা মূলত দু'টি উদ্দেশ্য নিয়ে সাইকেল যাত্রা করছি। প্রথমত অন্য ভাষার সংমিশ্রণে মাতৃভাষার যে অপব্যবহার হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সর্বসাধারণের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো এবং তার ঐতিহ্য সম্পর্কে সকলের মাঝে জ্ঞান বৃদ্ধি করাসহ কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে শুরু করে ঢাবি এবং ঢাবির টিএসসি ভবনের মতো আমাদের দেশের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করা।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা.মো.ফজলুল হক সাইকেল আরোহী তিন শিক্ষার্থীর সুস্বাস্থ্য কামনার পাশাপাশি তাদের অগ্রীম অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর বিজয় নগরে সারাদেশ থেকে এসে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা সকাল ৯টা থেকে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্স অ্যাসোসিশনের মহাসচিব মামুন হাসান বলেন, ‘কারিগরি পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের বাদ দিয়ে স্থগিতকৃত লাইসেন্স পরীক্ষা নিতে হবে। এছাড়া পরিবার পরিদর্শিকাদের মিডওয়াইফারি সমমান দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। দাবি মানা না হলে কর্মবিরতিসহ আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।’

সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে অধ্যয়ন করা শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন পাওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই। তার কারণ হলো- নার্সিং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পেশা। এটি বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন, ২০১৬ দ্বারা পরিচালিত। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা, এইচএসসি, ব্যাকগ্রাউন্ড, জিপিএ, বয়স, সেশন, জেলা কোটা ও পুরুষ-মহিলা কোটা বিবেচনা করা হলেও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এর কোনোটাই মানা হয় না। এসব কারণে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্যাশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টরা কখনোই নার্স হিসেবে লাইসেন্স দাবি করতে পারে না।’

কবি নজরুল সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতি (কনকসাস) ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩ টায় কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা ও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম।

উদ্বোধনী বক্তব্যে কলেজটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম সাংবাদিক সমিতিরি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান। তিনি সমিতির সদস্যদের সৎ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে শীর্ষে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।

অধ্যাপক আমেনা বেগম আরও বলেন, কনকসাস এই কলেজের কর্মকাণ্ডকে তুলে ধরে কবি নজরুল সরকারি কলেজকে পরিচিত করে আসছে।তিনি বলেন, গঠনমূলক কার্যক্রমে মানুষের যোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। আর দীর্ঘ দিন ধরে এ কাজটিই করে আসছে কনকসাসের সদস্যরা।

এসময় কনকসাস এর সভাপতি মাঈন উদ্দিন আরিফ,সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন, সহ-সভাপতি সালে আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ আলম ফিরোজসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)’র নেতৃত্বে দেশের সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি শিক্ষা প্রাধান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে আগামী ২৯ মে ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বশেমুরকৃবি’র ভিসি প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া জানান, গত বছর প্রথম গুচ্ছ পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ^দ্যলয়ের নেতৃত্বে। ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা এসএসসি ও এইচএসসিতে মোট জিপিএ (চতুর্থ বিষয় বাদে) ৮ থাকতে হবে। পৃথকভাবে এসএসসিতে জিপিএ ৩.৫ এবং এইচএসসিতে জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে। পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা, বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং এমসিকিউ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনের তারিখসহ ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পরবর্তীতে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্ব স্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমান খান ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে প্রফেসর ড. পূর্ণেন্দু বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বশেমুরকৃবি’র রেজিস্ট্রার এবং আইটি বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এবারের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রমে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় লিড ইউনিভার্সিটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি পদে জাগো নিউজের সালমান শাকিল ও সাধারণ সম্পাদক পদে দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সোহানুর রহমান সুমন নির্বাচিত হয়েছেন।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের নিজস্ব কার্যালয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহসভাপতি পদে বেলাল হোসাইন বিপ্লব (ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি) ও আবু বকর অন্তু (দৈনিক আমাদের অর্থনীতি), যুগ্ম সম্পাদক পদে আবু সাঈদ সজল (দৈনিক শেয়ার বিজ/আলোকিত ভোর), কোষাধ্যক্ষ পদে কামরুল হাসান অভি (দৈনিক মানবকণ্ঠ), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এম আর মামুন (টাইমস অব বাংলাদেশ), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে তৌশিক তুহিন (দৈনিক ইনকিলাব/আমাদের রাজশাহী), ক্রীড়া সম্পাদক পদে মেশকাত মিশু (ঢাকা পোস্ট/ দি ডেইলি ক্যাম্পাস), দফতর সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল মামুন (ঢাকা টাইমস)।

এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে শোয়াইব শুভ (দৈনিক নতুন প্রভাত), আসিক আদনান (রাজশাহী সংবাদ), জোবায়ের জামিল (দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ) নির্বাচিত হয়েছেন।
ফলাফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ফজলুল হক, অধ্যাপক ড. হাছানাত আলী, অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বকসী প্রমুখ।
এদিকে ফলাফল ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, রিপোর্টার্স ইউনিটি, শিক্ষক ফোরাম, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নতুন কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

মাদ্রাসা শিক্ষক সাদ্দাম হোসেনের বুদ্ধিমত্তা ও সময়ানুগ পদক্ষেপের কারণে শনিবার রক্ষা পেলেন নীল সাগর আন্তঃনগর এক্সপ্রেসের প্রায় সাড়ে ৩০০ যাত্রী।

ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চর ঘাটিনা গ্রামের পাশে রেলপথের একটি রেল মাঝখান থেকে ফেটে যায়। ঘটনাটি চোখে পড়ে ঐ রেলপথ দিয়ে হেঁটে আসা সাদ্দাম হোসেনের। এ সময় স্থানীয় সাহারুল নামে এক ছেলের সহযোগিতায় তিনি বাড়ি থেকে দ্রুত একটি লাল কাপড় নিয়ে রেলপথের ওপর আড়াআড়িভাবে টানিয়ে দাঁড়িয়ে যান।

৫ মিনিট পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে নীলফামারীগামী উক্ত ট্রেনটি উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের দিকে আসছিল। লাল পতাকা দেখে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। আর এতেই রক্ষা পায় ঐ ট্রেনের প্রায় সাড়ে ৩০০ যাত্রী। সাদ্দাম হোসেন চর ঘাটিনা হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক এবং চর ঘাটিনা গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram