শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচনে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বিরোধী প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির মধ্যে ১৬টিতে জয় পেয়েছে তারা। অন্যদিকে আহ্বায়কসহ চারটি পদে জয় পেয়েছে উপাচার্য সমর্থিত প্যানেল।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এম মুজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবার নির্বাচনে দুই প্যানেলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান জানান, এবারের নির্বাচনে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ৬১৯ জন সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ৩২৪ ভোট পেয়ে উপাচার্য সমর্থিত প্যানেল থেকে আহ্বায়ক পদে বিজয়ী হচ্ছে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক হাবিবুর রহমান। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগে অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম পেয়েছন ২৮৬ ভোট। নয়টি ভোট বাতিল হয়েছে। এছাড়া ২০টি সদস্য পদের মধ্যে ১৬ পদে উপাচার্য বিরোধীরা এবং চারটি পদে উপাচার্য সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী হয়েছে।
দুই বছর মেয়াদী এ কার্যনির্বাহী কমিটিতে উপাচার্য বিরোধী প্যানেল থেকে বিজয়ী সদস্যরা হলেন- ইংরেজি বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মামুন, সমাজকর্ম বিভাগের তানজিমা জোহরা হাবিব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, আইন বিভাগের আবু নাসের মো. ওয়াহিদ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা অপু, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এস এম একরাম উল্যাহ, গণিত বিভাগের আসাবুল হক, মার্কেটিং বিভাগের ওমর ফারুক সরকার, গণিত বিভাগের নাসিমা আক্তার, ইইই বিভাগের আবু জাফর মুহাম্মদ তৌহিদুল, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের এম শহিদুল আলম, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের মিজানুর রহমান, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শাহরিয়ার জামান, পরিসংখ্যান বিভাগের জাহানুর রহমান, রসায়ন বিভাগের তারিকুল হাসান।
অন্যদিকে উপাচার্য সমর্থিত প্যানেল থেকে বিজয়ী সদস্যরা হলেন, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আবু বকর মো. ইসমাইল, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন রিয়াজী, ইনস্টিটিউট অব ইংলিশ এন্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত কলেজের সব পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণায় বিক্ষোভ করেছে অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় নীলক্ষেত মোড় ও তিতুমীর কলেজের সামনের রাস্তা অবরোধ করে তারা এ বিক্ষোভ করেন। এক ঘণ্টা বিক্ষোভের পর রাত ১০ টায় আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। এ সময় আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে ফের আন্দোলনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় অধিভুক্ত কলেজগুলোর পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গত সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে আজ সন্ধ্যায় কলেজের অধ্যক্ষদের সাথে আলোচনা করে অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

আন্দোলনরত ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহিনুর সুমী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের পরীক্ষা চলছিলো। সকাল ৯টায় আমাদের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো। আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু পরীক্ষার টেবিলে আমরা শুনি পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ এ ধরনের ঘোষণায় আমরা বিপাকে পড়ে গিয়েছি। আমাদের অনেকেই পরীক্ষার চলবে এমন ঘোষণায় বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে আসে। ঢাকায় আসার পর তাদের বাসা নেওয়া, ফরম ফিলআপ এবং ভর্তি হওয়া পর্যন্ত বিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’

তিনি জানান, আমরা এমনিতে সেশনজটে পড়েছি। আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। আমাদের পরীক্ষা নিচ্ছে না, ক্যাম্পাস বন্ধ করে রাখা হয়েছে, এটা যৌক্তিক কোন বিষয় না। করোনাকালীন সময় সবকিছু চলছে, শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে না। এসময় তারা পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে এবং অবিলম্বে চলমান পরীক্ষা গ্রহণ ও শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দিতে হবে।

আন্দোলনের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ও কলেজের অধ্যক্ষদের সাথে আলোচনা করে স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। তীব্র আবাসন সংকটের ফলে শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৭ হাজার। বিপরীতে ২টি হল রয়েছে যেখানে আসন সংখ্যা ৪ শত ২৮ টি। প্রায় ২৫০০ জনের আবাসন সুবিধা দিতে নির্মাণাধীন দুটি হল চালু করার জন্য বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও কথা রাখতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। বিগত বছরগুলোর বিভিন্ন সময়ে আবাসন সংকট নিরসন চেয়ে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রতিবারই উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা সরে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সবশেষ (৪৬ তম) বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৯ অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবাসন সুবিধা পান মাত্র ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ছাত্রাবাস, ত্রিশাল বাজারসহ ময়মনসিংহ শহরে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সুবিধা না পাওয়ায় এ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় আর্থিক সমস্যায়, নিরাপত্তাহীনতায়, পর্যাপ্ত পরিবহনের অভাববোধ করে আসছেন।

ছাত্রদের জন্য 'বঙ্গবন্ধু হল', ছাত্রীদের জন্য ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’ নির্মাণ কাজের ধীরগতির ফলে আবাসন সংকট তীব্র হয়েছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। আবাসন সংকট নিরসন না করে প্রতি বছর নতুন বিভাগ খুলে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে আবাসন সংকট আরও বাড়ানো হয়েছে মনে করেন তারা।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ছাত্রাবাসে থাকা লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সোহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আবাসন সংকট নিরসন না করায় শিক্ষার্থীরা বাইরে অনিরাপত্তার সাথে বাড়তি ভাড়া দিয়ে থাকছে। নবীন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে এই সমস্যার মুখোমুখী হয়। নতুন হল দুটি চালু করলে সমস্যাগুলো আর থাকতো না। প্রশাসন থেকে বারবার আশ্বাস দিলেও নতুন হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত এখনও সম্ভব হয়নি।
নির্মাণ কাজের অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য নতুন দুটি হলের কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রশাসন চাইলে আমরা এই দুই হল বুঝিয়ে দিতে পারবো। দু একটি কাজ বাকি আছে যা স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাপ্ত হয়ে যাবে। আমরা একটি হিসাব করে দেখেছি শিক্ষার্থীর জন্য হল দুটি চালু করলে ৮০ শতাংশ আবাসন সংকট নিরসন হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, সরকারি ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ১ সপ্তাহের মধ্যে নতুন হল দুটি খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। হলের জন্য জনবল নিয়োগ এই ছুটির মধ্যে করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই শিক্ষার্থীদের হলে উঠার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে আবাসিক হলে অবস্থান করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার দুই দফা চেষ্টা করেও তাঁদের হলছাড়া করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও হল প্রশাসন। তবে হল না ছাড়ার শর্তে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে আন্দোলন আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করার কথা জানানো হয়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হলেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নোশিন মোরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কয়েক দিনের আন্দোলনে আমাদের দাবি ছিল, শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার বিচার ও নিরাপত্তার জন্য হলে থাকতে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করেছে, মামলার প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে বলে প্রশাসন আমাদের কাছে সময় চেয়েছে, সে জন্য আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।’ তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই হল ছাড়বেন না বলে তিনি জানান।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সময় থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ হয়ে যায়। আবাসিক হলগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা চলে যান। তবে ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে যেসব শিক্ষার্থী থাকতেন, তাঁদের অনেকেই সেসব বাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গেরুয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে আবাসিক হলের তালা ভেঙে সেখানে অবস্থান করতে শুরু করেন।

স্বাক্ষর ও সিলমোহর জালিয়াতির দায়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ৪৪তম ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মিখা পেরেগুকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিশেষ পরীক্ষার জন্য করা আবেদনে বিভাগীয় সভাপতির স্বাক্ষর ও সিলমোহর জালিয়াতি সংক্রান্ত গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মিখা পেরেগুকে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮ এর ৩(২)(ক) ধারা অনুযায়ী সিন্ডিকেটের তারিখ (১৮/১১/২০২০) থেকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ও ছাত্র ইউনিয়নের রিকুইজিশন কাউন্সিলের অন্যতম শীর্ষ নেতা মিখা পেরেগুকে ফোন করে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরই তিনি লাইন কেটে দেন। পরে ফোনটি বন্ধ করে ফেলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন কখনোই কোনো অনৈতিকতাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠা লজ্জার। আমরা অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সভায় আলোচনা করব। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

আবারও মালয়েশিয়ার মাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নির্বাচিত হলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাফেজ বশির ইবনে জাফর। এছাড়াও বশির ইবনে জাফরের প্যানেলের ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই বিজয়ী হয়েছেন।

সোমবার স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটায় ইলেকটোরাল কমিটি কর্তৃক এ ফলাফল প্রকাশিত হয়। গত ১ ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হওয়া নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফা ভোট শেষে এ ফলাফল প্রকাশিত হয়।

দেশটির অন্যতম বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় মাসা ইউনিভার্সিটির ছাত্র সংসদ তথা ‘স্টুডেন্ট রিপ্রেজেন্টিটিভ কাউন্সিল’ (এসআরসি) নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে আবারও জয়লাভ করলেন হাফেজ বশির।

২০২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রসংসদ নির্বাচনে সাত প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ৮১৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন বশির ইবনে জাফর। মোট ভোটার সংখ্যা ১৭৯২। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৪০৭ ভোট।

গত বছর এ নির্বাচনে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি বশির এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিপি হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

তিনি জামালপুর জেলার জামেউল উলুম হাক্কানিয়া দাওরায়ে হাদিস মাদ্রাসার মুতামিম মাওলানা জাফর আহমদ কাসেমীর ছেলে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চলমান ও আসন্ন সকল পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আতাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ‘সরকারের পক্ষ থেকে পরীক্ষা স্থগিত করার নির্দেশনা আসছে। ইবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’
জানা গেছে, সারা দেশের করোনা পরিস্থির কথা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২৪ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান ও অনুষ্ঠিতব্য সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইবি’র পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ই-মেইলে কুৎসা রটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুৎসা ছড়াতে এক শিক্ষিকার নামে ভুয়া ই-মেইলও তৈরি করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকা থানায় অভিযোগ করেছেন। যার নামে ভুয়া আইডি ই-মেইল খোলা হয়েছে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস এবং প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্য।

রোববার করা ওই অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, প্রথমে ওই শিক্ষিকার নামে একটি ভুয়া আইডি ই-মেইল খোলা হয়। পরে সেটা ব্যবহার করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের অনুষ্ঠিতব্য স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচনে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা হয় এবং সেটি রাবির অনেক শিক্ষকের কাছে পাঠানো হয়।

ই-মেইল পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে আছেন- বাংলা বিভাগের শিক্ষক সুমাইয়া খানম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কাজী জাহিদুর রহমান, আইন বিভাগের রফিকুল ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অমিতাভ সাহা প্রমুখ।

অভিযোগপত্রে অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস লিখেছেন- কে বা কারা ভুয়া আইডি খুলে রাবির বিভিন্ন শিক্ষকের কাছে মেইল পাঠিয়েছেন। তারা কম্পিউটার তথা ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে পরিচয় প্রতারণা ও ছদ্মবেশ ধারণ করেছেন। এর পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত সম্মানহানি করেছেন; যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৪ এবং ২৯ ধারামতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস কারও নাম উল্লেখ না করে একটি ই-মেইল অ্যাড্রেসের ওপর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

উল্লেখ্য, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বর্তমান প্রশাসন ও প্রশাসন বিরোধীদের দুটি প্যানেলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনপন্থিদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান এবং প্রশাসন বিরোধীদের পক্ষে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম টিপু আহ্বায়ক পদে নির্বাচন করবেন। এছাড়া ২০ জন করে সদস্যসহ মোট ৪২ জন প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।

শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, হল খোলার ব্যাপারে তাদের আন্দোলন যে যৌক্তিক এটা আমরা স্বীকার করি। তবে, অবশ্যই সরকারের সাথে সমন্বয় করে আমাদের কাজটা করতে হবে। রাষ্ট্রীয় কোন সিদ্ধান্ত আসলে সেটা মানতে আমরা বাধ্য। তার বাইরে যাওয়ার আমাদের কোন ক্ষমতা নেই। শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দিতে পারে। তাদের সে স্বাধীনতা আছে। কিন্তু আমরা হল না খুলে পরীক্ষা নিবো না। আমরা যদি পরীক্ষা নেই তাহলে হল খুলে দিবো। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা কোন ধরণের নোটিশ ছাড়া আন্দোলনে নামছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রতিষ্ঠান। এখানে কোন সিদ্ধান্ত নিতে গেলে কতগুলো নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। এক্ষেত্রে, দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার তারিখ এবং হল খোলার বিষয়ে সমন্বয় করবো। এক কথায়, হল না খুলে পরীক্ষা নিবো না।

উল্লেখ্য, ‘হল খোলার আন্দোলনের যৌক্তিকতা’ নিয়ে শিক্ষার্থীদের লিখিত বিষয় সমহূ হলো, বিভিন্ন বাসা এবং মেসে মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে, প্রত্যেক ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সিলেট চলে আসায় প্রত্যেকে আবাসন সংকটে ভুগছে, যেহেতু সবাই মেসে আছে পরের মাসে হল খুললে তাদের ঐ মেস ভাড়া দিতে হবে, প্রত্যেক মেসেই শিক্ষার্থীরা চার জনের জায়গায় দশজন বা তারও বেশী অবস্থা করছে। সবশেষে, শিক্ষার্থীদের এ যৌক্তিক দাবিগুলোর প্রেক্ষিতে হল খুলে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানায় তারা।

এর আগে, হল বন্ধ রেখে গত ১৭ জানুয়ারী হতে মাস্টার্স ও অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রথম ধাপের পরীক্ষা নেয় শাবি প্রশাসন। যেখানে প্রথম ধাপের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।-ইত্তেফাক

নিজের শিক্ষক জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের হাতে সরাসরি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ তুলে দিতে না পারায় আক্ষেপ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উপলক্ষে রোববার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মাতৃভাষার চর্চা বা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিন ব্যক্তি এবং একটি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে প্রথমবারের মতো ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ তুলে দেওয়া হয়।

জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উজবেকিস্তানের গবেষক ইসমাইলভ গুলম মিরজায়েভিচ এবং বলিভিয়ার অনলাইন উদ্যোগ অ্যাক্টিভিজমো লেংকুয়াস এ বছর বাংলাদেশ সরকারের এই সম্মাননা পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি পদক তুলে দেন। এ সময় শেখ হাসিনা এই পুরস্কার গ্রহণকারীদের, বিশেষত তার শিক্ষক জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের হাতে সরাসরি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পদক তুলে দিতে না পারায় আক্ষেপ ও দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন- স্যার, আপনি আমাকে ক্ষমা করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রথম ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদক’ এবং ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক পদক’ দেওয়া হলো। আমার দুঃখ এখানেই থেকে গেল, আমি নিজে উপস্থিত থাকতে পারলাম না। বিশেষ করে যখন আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক রফিকুল ইসলাম স্যারের হাতে পদক তুলে দেওয়া, এটা আমার জন্য কত সম্মানের এবং গৌরবের। কিন্তু আমার দুঃখ, নিজের হাতে দিতে পারলাম না।

শিক্ষক রফিকুল ইসলামের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন- স্যার, আপনি আমাকে ক্ষমা করবেন। আসলে প্রধানমন্ত্রী হলে সব স্বাধীনতা থাকে না। অনেকটা বন্দি জীবনযাপন করতে হয়। সেরকমই আছি। কারণ আমি এক জায়গায় যেতে গেলে আমার সঙ্গে বহু লোক, নিরাপত্তার লোক, অমুক লোক, তমুক লোক, প্রায় হাজারখানেক লোককে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে নানাভাবে তাদেরকে কাজে লাগায়। তাদের কথা চিন্তা করেই কিন্তু আমি যেতে পারিনি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি ও অফিস প্রধান বিয়েট্রিস খালদুন এবং শিক্ষা সচিব মাহবুব হোসেন প্রমুখ।

মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ফসলের মাঠে শহিদ মিনার তৈরি করেছেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের কৃষক রুমান আলী শাহ।

মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে সবজি দিয়ে শহিদ মিনারটি তৈরি করেন তিনি। ব্যতিক্রমী এ শিল্পকর্মের জন্য প্রশংসায় ভাসছেন কৃষক রুমান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, থরে থরে সবুজ সবজি সাজিয়ে গড়ে তোলা বেদির বুকে লাল সবজি দিয়ে রক্তলাল সূর্যের আলপনা এঁকে তৈরি করা হয়েছে প্রাণের শহিদ মিনার।

মিনারের নিচে সবজি চারা সাজিয়ে লেখা হয়েছে- ‘মোদের গরব মোদের আশা, আমরি বাংলা ভাষা’।

প্রায় দেড় একর জমির এ ফসলের মাঠের মাঝখানটা জুড়ে তৈরি একুশের অনবদ্য ক্যাম্পাস। আর দৃষ্টিনন্দন এ ক্যাম্পাসও সাজানো হয়েছে বাংলা বর্ণমালা দিয়ে।

কৃষক রুমান আলীর ব্যতিক্রমী এ শিল্পকর্ম দেখতে জাফরাবাদ গ্রামের লোকজন তার ফসলের খামারে ভিড় করছেন।-যুগান্তর

সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট নিরসনে শিগগিরই সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন মাউশি মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় করোনা পরবর্তী চালুকরণ বিষয়ে মতবিনিময় ও পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট রয়েছে জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ইতোমধ্যে দেশে দুই হাজার একশো পঞ্চাশ জনের মতো শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। এদের প্রদায়নের অপেক্ষায়।

এটি সম্পন্ন হলে দেশের কোনো সরকারি স্কুলে কোন পদ খালি থাকবে না।
মহাপরিচালক বলেন, স্কুল খুলে দিলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিয়য়ে প্রস্তুতি আছে কিনা সেটি মূলত দেখার জন্যই সারাদেশের স্কুলগুলোতে এ সফর করা হচ্ছে। তবে কবে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে তা নিশ্চিত নয় বলে তিনি জানান।

মাউশির মহাপরিচালক আরো বলেন, করোনার আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতনভাতা একটু দেরিতে দেয়া হতো।

কিন্তু করোনাকালীন সরকারি শিক্ষকসহ এমনকি নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষক সবাইকে মাসের প্রথম তারিখেই বেতনভাতা দেয়া হচ্ছে।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram