শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি লতিফুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি আহসান জোবায়েরকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি মো. সাগর হোসেন ও দৈনিক ভোরের কাগজের রকি আহমেদ।

জবি সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের ২০১৯-২০ কমিটির মেয়াদ গত বছরের ১০ এপ্রিল শেষ হয়। সমিতির গঠনতন্ত্রের ধারা-৯ অনুযায়ী সাধারণ সভায় সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে এ চার সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতেই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই সুখবর জানাতে আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন।

১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে সিডিপির সব শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে। জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী, কোনো দেশ পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় উত্তরণের মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায়। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বা ইউএন-সিডিপির ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভা গত ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে।

সেখানে দ্বিতীয় দফা পর্যালোচনা শেষে শুক্রবার গভীর রাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। সিডিপি তিনটি সূচকের ভিত্তিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে। তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করে অনেক এগিয়ে গেছে। উন্নয়নশীল দেশ হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১ হাজার ২৩০ মার্কিন ডলার। ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৮২৭ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে উন্নয়নশীল দেশ হতে ৬৬ পয়েন্টের প্রয়োজন; বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ৭৫.৩। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে কোনো দেশের পয়েন্ট ৩৬-এর বেশি হলে সেই দেশকে এলডিসিভুক্ত রাখা হয়, ৩২-এ আসার পর উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জন হয়। সেখানে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ২৫ দশমিক ২। সিডিপির প্রবিধান অনুযায়ী, উত্তরণের সুপারিশ পাওয়ার পর একটি দেশ তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রস্তুতিকালীন সময় ভোগ করতে পারে।

করোনা ভাইরাসের মহামারির বাস্তবতায় উত্তরণ প্রক্রিয়াকে টেকসই ও মসৃণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে সিডিপির কাছে প্রস্তুতির জন্য পাঁচ বছর সময় চাওয়া হয়। এখন উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পেলে পাঁচ বছরের প্রস্তুতিকাল শেষে ২০২৬ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠলে সস্তা ঋণ পাওয়া এবং বিভিন্ন রপ্তানি সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। ফলে সেই সুবিধাগুলো উত্তরণের প্রস্তুতি পর্বে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতির এই সময়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রাপ্ত সব সুযোগসুবিধা ভোগ করতে পারবে। তাছাড়া বর্তমান নিয়মে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের পর আরো তিন বছর অর্থাত্ ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

বাংলাদেশ এমন একটি সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ পেতে চলেছে, যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করছে জাতি। জাতিসংঘ ১৯৭১ সালে কিছু নির্ণায়কের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের সবচেয়ে কম উন্নত দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি হিসেবে পৃথকভাবে শ্রেণিবদ্ধ করে। ১৯৭১ সালে স্বল্পোন্নত দেশের সংখ্যা ছিল ২৫, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪৬-এ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এ পর্যন্ত বতসোয়ানা, কেপভার্দে, মালদ্বীপ, সামোয়া, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি ও ভানুয়াতু উত্তরণ ঘটাতে পেরেছে।

আগামী ২ বছরের জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নতুন প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের আদেশক্রমে রেজিস্টার কর্তৃক একটি লিখিত আদেশনামায় এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে তিনি দায়িত্বে নিযুক্ত হবেন বলেও আদেশনামায় উল্লেখ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ড. মহির বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল ডেক্সের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, সহকারী প্রক্টর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক আশরাফুল হক হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ্য, ড. মহির ২০০০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১৩ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি জার্মানির হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) মাদকসহ আটক হয়ে স্থানীয় লোকজন কর্তৃক মারধরের শিকার হয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের নেতা সাদেক হোসেন টিপু। এর প্রতিবাদে স্মরণ চত্বরের (জিরোপয়েন্ট) প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটায় শাখা ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের নেতা সাদেক হোসেন টিপুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট এলাকায় মারধর করেছে স্থানীয় ডিস ব্যবসায়ী হানিফের লোকজন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ৯ টায় মূল ফটকে তালা দেয় ভিএক্স গ্রুপের কর্মীরা। এরপর রাত সোয়া দশটায় মূল ফটক খুলে দেয় তারা।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চবি ১ নং গেট সংলগ্ন গ্রামীণ ব্যাংকের পিছনের আখড়া থেকে স্থানীয় লোকজন ইয়াবাসহ টিপুকে আটক করে। টিপু বিষয়টি তার বন্ধুদের জানালে প্রশান্ত ও রায়হান তাকে আনতে যায়। বিষয়টি সমাধান করতে স্থানীয় কাঠ ও ডিস ব্যবসায়ী রেজাউল সেখানে গেলে টিপু তার সাথে দুর্ব্যবহার করে। তখন তারা তাকে আটক করে রাখতে চাইলে টিপু ছুটে চলে আসে। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট অবরোধ করে।

মারধরের বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা সাদেক হোসেন টিপুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-গ্রন্থাগার সম্পাদক ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা মিজানুর রহমান বিপুল বলেন, সাদেক এক নম্বর গেট এলাকায় বসে চা খাচ্ছিলো। এসময় রেজা নামে স্থানীয় ওই লোক তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা তার গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচীতে যেতে বাধ্য হবে।

অপরদিকে অভিযুক্ত রেজাউল করিম মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন , আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট সংলগ্ন গ্রামীণ ব্যাংকের পাশে একটি গ্যারেজে মোটরসাইকেল ঠিক করাচ্ছিলাম। এসময় টিপু গ্রামীণ ব্যাংকের পেছন থেকে আসছিলো। যেখান থেকে কয়েকদিন আগে এক ইয়াবা সেবনকারীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। আমার এক ছোট ভাই তার পথ আটকালে সে পানির দিকে কিছু একটা ছুঁড়ে মারে। এসব বিষয় নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ তর্কাতর্কি হয়। তারা ইয়াবা পেয়েছে বলে তাকে আটকে রাখতে চাইলে আমি তার সাথে কথা বলি। সে আমার সাথে দুর্ব্যবহার করলে আমার ছোট ভাইরা তাকে মারতে উদ্যত হয়। আমি তাদেরকে থামিয়ে দেই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, মাদকের কারবার নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় ঠুনকো কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট অবরোধ সমীচীন নয়। তাদের অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে দিতে বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে স্থানীয়দের সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর পাঁয়তারা বরদাশত করা হবে না।

পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা। করোনার কারণে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এ বছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এ পরীক্ষা পিছিয়ে যথাক্রমে আগামী জুন ও আগস্ট মাসে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেজন্য এসএসসির ৬০ দিন ও এইচএসসি ৮৪ দিন ক্লাস ধরে পরিমার্জিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসও প্রকাশ করেছে শিক্ষাবোর্ড।

সম্প্রতি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে এমনটি ধরেই এ ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে, সরকারি বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ২৪ মের পর খোলা হবে এমন ঘোষণার পর এ দুটি পরীক্ষা জুন ও আগস্টে হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বোর্ড কর্মকর্তারা।
শিক্ষাবোর্ড ও এনসিটিবি কর্মকর্তারা বলছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে এমনটি ধরে এ ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু বর্তমান ছুটি ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মার্চ মাসেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি না তাও অনিশ্চিত।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লাখ ৩০ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ হাজার ৫২৪ জন শিক্ষককেও ভ্যাকসিনের আওতায় এনেই হল ও ক্যাম্পাস খোলা হবে। আর ১৭ মের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও করোনার টিকা নিতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষকের সংখ্যা চার লাখ ছয় হাজার ৪৭৯ জন। আর কর্মচারীর সংখ্যা এক লাখ ৬২ হাজার ৮৬১ জন। শিক্ষক-কর্মচারী মিলিয়ে পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩০ জন। এর সঙ্গে মাধ্যমিকের যেসব শিক্ষা কর্মকর্তা রয়েছেন তা যোগ করলে পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৩০ জন।
মন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার টিকা না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না এটা বলা যায়। অন্যদিকে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করা নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশের প্রায় এক মাস হতে চললেও শ্রেণিকক্ষে সরাসরি ক্লাস শুরু হয়নি। ২৩ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার ঘোষণার পরে ঈদের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা নেই। ঈদের পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী ক্লাস নিয়ে আগস্টের আগে এসএসসি ও সেপ্টেম্বরের আগে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে ঢাকা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এসএম আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি খুললে সম্ভব ছিল। এখন যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে বিলম্ব হচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে। কারণ, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন যে না পড়িয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে না।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের আওতাধীন আরও ১৬টি নার্সিং ইনস্টিটিউটকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজে উন্নীতকরণের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নার্সিং শিক্ষা শাখার উপসচিব ইসরাত জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত নার্সিং সেক্টরকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরেক ধাপ অগ্রগতি হলো।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজে উন্নীতকরণের অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ফরিদপুর, খুলনা, বগুড়া, দিনাজপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, যশোর, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, সাতক্ষীরা, ফেনী, ভোলা, গোপালগঞ্জ, নীলফামারী, জামালপুর ও হবিগঞ্জ নার্সিং ইনস্টিটিউট। এর আগে ১৮টি নার্সিং ইনস্টিটিউটকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজে উন্নীত করা হয়। এরমধ্যে ৯টিতে এমএসসি কোর্স চালু হয়েছে। সারা দেশে মোট ৪৪টি সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট রয়েছে।

বিএমএ-স্বাচিপ নেতৃবৃন্দ ও বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা ১৬টি নার্সিং ইনস্টিটিউটকে কলেজে উন্নীতকরণকে যুগোপযোগী ও সঠিক সিদ্ধান্ত আখ্যায়িত করে বলেন, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের নার্স হিসেবে নিয়োগ দেওয়া মোটেও ঠিক হবে না। ছয় মাসের কোর্সধারীরা কীভাবে নার্সিং সেবা দিবেন? নিপসম থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি ডাক্তার ও নার্সরা এক সঙ্গে অর্জন করছেন। এছাড়া দেশবিদেশ থেকে পিএইচডিসহ নানা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিচ্ছেন। এমপিএইচ ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী নার্স রয়েছেন সহস্রাধিক। এদের মধ্যে ছয় মাসের ট্রেনিংধারীদের কোনো তুলনা হয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নার্সদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিয়ে যেতে সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এমন অবস্থার মধ্যে পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের নার্সিং নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হলে তা হবে আত্মঘাতী।

ডাক্তার ও নার্সিং সংগঠনের কয়েকজন নেতা বলেন, পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের নার্স হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলে রোগী মারার সেবা দিবে তারা। নার্সিং সেক্টরের একটি অপচক্র বিপুল উেকাচের বিনিময়ে কারিগরি বোর্ডের তথাকথিত পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সকে অন্তর্ভুক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।

'ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং’ পাসের পর শিক্ষার্থীরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং অনার্স কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। তারা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবে। তবে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও অনার্স কলেজগুলো ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার যোগ্যতা এইচএসসি পাস। আর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হতে এসএসসি ও সমমান উত্তীর্ণ হতে হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে এইচএসসি পাসের দুই বছর পেরিয়ে গেলে কোনো শিক্ষার্থী আর ভর্তির সুযোগ পান না। এ কারণে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পাস করা শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান না।
বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তির সুযোগ করে দিতে উদ্যোগ নিয়েছেন। ডিপ্লোমা পাস শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের চিঠি দিয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থী যে প্রতিষ্ঠানেই পড়াশোনা করুক, তার যদি উচ্চশিক্ষা নেয়ার মেধা-যোগ্যতা থাকে, তাহলে সে সুযোগ যেন তারা পায়। সেই কারণে আমরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তিতে বয়সের বাধা তুলে দিয়েছি। আমি বিশ্ববিদ্যালগুলোকে দিঠি দিয়েছি, তারা যেন পলিটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেয়। ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই তারা ভর্তি হবে। যদি কোয়ালিফাই করে তাহলে নেবে।

আগামী ১৭ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনার টিকা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ইতিমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, আমরা ইতিমধ্যে বুধবার চিঠি পাঠিয়েছি। আগামী ১৭ এপ্রিল করোনা ভাইরাসের টিকার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চিঠি দেয়া হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দেশে গণহারে টিকাদান কর্মসূচির ১৬তম দিনে টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৪৩৯ জন। এদের মধ্যে মাত্র ২৭ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০ জন। এদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে মোট ৬৯৬ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার ৪৩৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১২ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ৬৮ হাজার ৯৫০ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বিভাগ অনুসারে টিকাদানের তথ্য দিয়ে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে ৬৩ হাজার ২৪৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ হাজার ২৩৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৩ হাজার ৮৬৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৮ হাজার ২১৬ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ হাজার ৭০১ জন, খুলনা বিভাগে ২৬ হাজার ৮৩৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৭ হাজার ৯৪১ জন ও সিলেট বিভাগে ৮ হাজার ২৮৮ জন টিকা নিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন প্রদানে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও গুজব রোধকল্পে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ভালুকা উপজেলা পরিষদের হলরুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মতবিনিময়ের আয়োজন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ভালুকা পৌরসভার মেয়র ডা. মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম পিন্টু, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ড.সেলিনা রশিদ, সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ মাইন উদ্দিন,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আইসিটি শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

২০১৩-১৪ সালে জাতীয়করণ হওয়া দেশের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার) রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি সারাদেশে জাতীয়করণকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার শিক্ষকের টাইম স্কেলের রিট মামলা তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলা নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

পরে ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষকের টাইম স্কেল সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মতে শুনানি শেষে আজ রায়ের দিন ধার্য করা হলো।

গত বছরের ১২ আগস্ট বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘টাইম স্কেল’-এর সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা রিট করেন। তখন হাইকোর্ট বিভাগ পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। ১৩ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। পরে স্থগিতাদেশ তুলে দিতে শিক্ষকরা আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।

গত বছরের ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় একটি আদেশ জারি করে। ওই আদেশের মাধ্যমে ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের ক্ষেত্রে টাইম স্কেল বাতিল করে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।  এ রিট দায়ের করেন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোটের আহবায়ক ও বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ ট্রাষ্টি বোডের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম চৌধুরী। যার মামলার নং 4621/2020 মামলা দায়ের করার তারিখ ৩১/৮/২০২০

গত বছরের ৩১ আগস্ট ওই রিটের শুনানি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশটি ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এরপর হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় সহ মামলার সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের পাঠানো হয়। কিন্তু এরপরও গত ২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে পুনরায় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের ক্ষেত্রে টাইম স্কেল বাতিল করে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়ার জন্য হিসাব মহানিয়ন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় রিট মামলাটি আপিল বিভাগে গেলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন।

স্বেচ্ছাশ্রমে নরসিংদীর রায়পুরায় আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে ৪০০ ফুট কাঠের সেতু। এতে নদী পারাপারের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমেছে দুই ইউনিয়নের ২২টি গ্রামের মানুষের। তবে স্থায়ীভাবে পাকা সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

জানা যায়, দেড় মাস ধরে শত শত মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে এই কাঠের সেতুটি। নরসিংদীর চর আড়ালিয়া ও আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তত ২২টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত এই পথে। সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো এসব এলাকার মানুষকে। ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্যে ও ছয় ফুট প্রস্থের এই সেতু কমিয়েছে নিত্যদিনের সেই ভোগান্তি। কাঠের এই সেতু দিয়ে চলাচল করছে মোটরসাইকেল, রিকশা ও ইজিবাইক।
প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার আশাহত হয়ে দুই পাড়ের মানুষ সিদ্ধান্ত নেন চাঁদা দিয়ে নির্মাণ করবেন কাঠের সেতু। দুই পাশে নির্মাণ করা হয়েছে ৫০ ফুট মাটির সড়কও।

এদিকে নরসিংদী এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. আবু জাকির সেকান্দার জানান, পাকা সেতু নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
কাঠের এই সেতু তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১০ লাখ টাকা। আর এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।

সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দীর্ঘ ১১ মাস পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পুরকৌশল বিভাগের ১৬০ জন শিক্ষার্থী।

এদিকে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পরীক্ষা বিষয়ক ঘোষণার পর আবারও পিছিয়ে গেল চুয়েট শিক্ষার্থীদের চলমান পরীক্ষা। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরীর দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ মে পর্যন্ত চুয়েটে সকল পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়।
রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আরেক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় স্থগিত পরীক্ষাসমূহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামী মার্চের ২ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায় ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। গত ২২ফেব্রুয়ারি শুধু পুরকৌশল বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকলেও মার্চ মাসে প্রায় প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
চূড়ান্ত বর্ষের সকল শিক্ষার্থী বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে পাহাড়তলী, উনসত্তর পাড়া এবং শহরের বিভিন্ন মেসে অবস্থান করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ৫টি এবং ছাত্রীদের ২টি সহ মোট ৭ টি হল থাকলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য মার্চ মাস থেকেই হলগুলো বন্ধ রয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি হল খোলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র দাবি উঠলেও হল না খুলে পরীক্ষা গ্রহণের নোটিশ প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত বছর ৮ মার্চ সর্বশেষ ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগে বাধ্য হয়। ১৭ মার্চ শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। এতেই আটকে যায় ২০১৫-১৬ বর্ষের ৫-৬টি বিষয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা। করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলেও থেমে নেই চাকুরীর নিয়োগ কিংবা ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা। যেহেতু চাকুরী কিংবা বিসিএসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ বাধ্যতামূলক, তাই পরীক্ষাগুলো নেয়ার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনলাইনের মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানালেও পরে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের নোটিশ প্রদান করেন। যার প্রথম পরীক্ষাটি ২২ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীদের আবাসন সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু হলে শিক্ষামন্ত্রী জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা আগামী ২৪ মে’র পর এবং হলগুলো ১৭ মে খুলে দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন । ফলে আবারও পিছিয়ে গেল চুয়েটের চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের ৪-৫টি পরীক্ষা।
এ বিষয়ে চুয়েট পুরকৌশল বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী আতাহার মাসুম তারিফ জানান, সকল ল্যাব কোর্সের পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও মাত্র ৪-৫ টা পরীক্ষার জন্য আমাদের জীবন থেকে একটা বছর হারিয়ে গেল।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram