শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪

বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের নভেম্বর মাসের এমপিওর চেক ৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ছাড় হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের ১২টি চেক নির্ধারিত ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীরা আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন উত্তোলন পারবেন।

কারিগরি শিক্ষকদের এমপিও ছাড়ের আদেশের স্মারক নম্বর : ৫৭.০৩.০০০০.০৯১.২০.০০৫.২২-১৮২৯, ১৮৩০, ১৮৩১, ১৮৩২।

এমপিওশীট ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে (বশেমুরবিপ্রবি) আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে। দিবস পালন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমন্বিত উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সোমবার ( ৫ ডিসেম্বর) প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবের নেতৃত্বে এক আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর ড. মোঃ কামরুজ্জামান ও সহকারী প্রক্টর সাদ্দাম হোসেন সহ সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সদস্যরা। পরবর্তীতে বেলা ১টায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সরেজমিনে প্রদর্শন করে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জায়গায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো স্টল সাজিয়েছে শীতবস্ত্র সংগ্রহের জন্য। প্রথমআলো বন্ধুসভা স্টলের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন - " বিশ্ব স্বেচ্ছাসেবী দিবস উপলক্ষে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল সামাজিক সংগঠন মিলে আমরা আজকের এই আয়োজন করেছি, আমরা মনে করি এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে সকল সামাজিক সংগঠন এর মধ্যে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার এবং পরস্পর সাহায্য সহযোগিতা করার মানসিকতা তৈরি হবে।"

এমন আয়োজন বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর ড. মোঃ কামরুজ্জামান জানান, ‘স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো আমাদের স্বল্পসম্পদের মাঝেও খুব ভালো কাজ করছে। বিভিন্ন সময় বন্যা, সাইক্লোন, খরা এসব দুর্যোগ মোকাবেলায় এরা কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছে। এসকল সংগঠনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যতটুকু প্রয়োজন আমরা হয়তো ততটা দিতে পারছি না তবে আমরা প্রশাসন থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করার চেষ্টা করবো।থ

এই আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্যে। শিক্ষার্থী হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দুর্যোগ কিংবা ক্লান্তিলগ্নে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসে। এছাড়া তিনি ভালো কাজে সকল সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবীকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

"পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস,সুস্থ জীবন" এ স্লোগান নিয়ে মাসব্যাপী ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন চত্বরে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম।

এসময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যত্রতত্র পড়ে থাকা কাগজ, চিপস-চকলেট ও খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি তুলে হাতের প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখেন। প্রশাসন ভবন ছাড়াও গ্রন্থাগার চত্বর, একাডেমিক ভবনসমূহ ও আবাসিক হল এলাকায়ও রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়।

এই কার্যক্রম উদ্বোধন করে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এ অভিযানের কার্যক্রম চলমান থাকবে। ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তাই এ অভিযান সবসময়ের জন্য চালু রাখতে হবে।

শিক্ষার্থীদেরকে উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই ক্যাম্পাস আমাদের সবার। আমরা ময়লা-আবর্জনাগুলো যত্রতত্র না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলবো। সেজন্য আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। খাবারের প্যাকেট ও অন্যান্য বর্জ্য কেউ যেখানে সেখানে ফেললে আমরা তখনই তার প্রতিবাদ করবো। আমরা ক্যাম্পাসে ডাস্টবিন সংখ্যা বাড়িয়ে দিবো। সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ক্যাম্পাসের ভিতরে থাকা দোকানদারদের সতর্ক করে উপ-উপাচার্য বলেন, দোকানের আশেপাশে প্লাস্টিক, পলিথিন প্যাকেট ও ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ধর্মেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব এ ক্যাম্পাসকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখা। ক্যাম্পাস পরিষ্কার থাকলে আমরাও সুস্থ থাকবো, সুন্দর থাকবো। একই সাথে ক্যাম্পাসে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন হতেও তিনি আহ্বান জানান।

পরিচ্ছন্ন অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক (অব.) মো. অবাইদুর রহমান প্রামাণিক, রেজিস্টার অধ্যাপক মো. আব্দুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, সহকারী প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিচ্ছে।

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়বে কিনা সে বিষয়টি যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি। এ কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিপিডিসি এলাকা পরিদর্শনের সময় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আগামী মার্চের পর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে বিদ্যুৎ সংকট কেটে যাবে।

বাইরে থেকে এলএনজি আমদানি করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এলএনজি কেনা হবে।

আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে ঢাকার একটি বড় অংশ আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ ক্যাবলের আওতায় আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে রাজধানীর ধানমন্ডির বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা পুরোপুরি আন্ডারগ্রাউন্ড করা হবে। আর পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে রাজধানী ঢাকার বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার বড় অংশ আন্ডারগ্রাউন্ড করা হবে।

নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে এরইমধ্যে ব্রুনাই, কাতার ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

আগামী বছরেও যেন লোডশেডিং না হয় সরকার সেই চেষ্টা করছে। আশা করছি লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

গত ২১ নভেম্বর পাইকারি পর্যায়ে ১৯.৯২ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম “ইয়্যুথ ফর বেটার ফিউচার সোসাইটি” আইন অনুসদের ছাত্রদের নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আজ (২৫ নভেম্বর) রোজ শুক্রবার সকাল ৯.০০ টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে “ল” সামিটের আয়োজন করে। যেখানে দেশ সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়- নর্থ সাউথ, ড্যাফোডিল, ইস্ট-ওয়েস্ট, নর্দান, সোনারগাঁও, সাউথইস্ট, মানরাত সহ মোট ৫০ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মোট ৫০০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।
উক্ত সামিটটি পরিচালনা করেন YBF এর সম্মানিত সভাপতি- জনাব হুমায়ুন কবির এবং সঞ্চালনা করেন YBF এর সেক্রেটারী - জনাব আব্দুর রহিম।

সামিটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব বিচারপতি আব্দুর রউফ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা দায়রা ও যুগ্ম জজ জনাব শাহাদাত হোসেন, বর্তমানে বাংলাদেশের আলোচিত আইনজীবী জনাব শিশির মোহাম্মদ মনির, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের খ্যাতিমান আইনজীবী ব্যারিস্টার তরিকুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী এডভোকেট আজিমুদ্দিন, এডভোকেট মোজাহিদুল ইসলাম, তরুন কবি ও সাংবাদিক আ ফ ম মশিউর রহমান সহ আরো অনেকে।

প্রধান অতিথি আলোচনায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জনাব আব্দুর রউফ বলেন, “দেশ গঠনে অতুলনীয় ভুমিকা রাখতে এবং আদর্শ ও কল্যানময় দেশ গঠনে আইনের ছাত্রদের বিকল্প নেই।“ এছাড়াও প্রত্যেক মেহমান তাদের নির্দিষ্ট বিষয়- “রোড টু জাজ”, “Career as a practicing Advocate challenge & prospects”, “ব্যারিস্টার হওয়া আমার স্বপ্ন”, “ লিগ্যাল ক্যারিয়ার সম্ভাবনা ও প্রস্তুতি”- এর উপর আইনের খুঁটিনাটি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন।
সামিটের উদ্বোধনী আলোচনায় পরিচালক বলেন,” আজকের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের হাতেই আমাদের দেশের আগামী দিনের আইন তার নিজস্বতা লাভ করবে এবং এরাই আমাদের আগামী দিনের স্বপ্ন। সেই সাথে তিনি সকল শিক্ষার্থীদের বিবেকবান আইনজীবী হিসেবে নিজেকে তৈরি করা আহবান জানান এবং YBF এর কার্যক্রমের সার্বিক দিক তুলে ধরেন”। সবশেষে তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও প্রান্তের উদ্বোধন ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে। এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএমএন ছিদ্দীক।

রাজধানীর হোটেল শেরাটনে বুধবার সকালে এমআরটি লাইন ১-এর পিতলগঞ্জ ডিপোর ভূমি উন্নয়ন নিয়ে চুক্তি সই শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

এমএমএন ছিদ্দীক বলেন, আমরা মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও উদ্বোধনের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে সময় চেয়েছি। আশা করছি ওই সময়ে যে কোনো দিন প্রধানমন্ত্রী আমাদের সময় দেবেন।

তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের প্রস্তাবনা আমাদের কাছে নেই। কারণ ওই দিন অনেক প্রোগ্রাম রয়েছে। তাই ওই দিন মেট্রোরেল উদ্বোধন করা সম্ভব হচ্ছে না।

পাতাল রেলপথ নির্মাণ নিয়ে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের মধ্যেই কমলাপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পাতাল রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এ প্রকল্পটিকে ১২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যার মধ্যে ডিপো নির্মাণের কাজ নতুন বছরের প্রথমেই শুরু হবে।

‘দেশের প্রথম পাতাল রেল মাটির ৩০ থেকে ৭০ মিটার নিচ দিয়ে যাবে, যা কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে না। কারণ দেশে কোনো ইউটিলিটি লাইন এতো নিচ দিয়ে যায়নি। শুধু স্টেশন ওপেন কাট পদ্ধতিতে করা হবে।’
এ রেলপথের কাজও নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে বলে দাবি করেন এ কর্মকর্তা।

গত সেপ্টেম্বরে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ডিসেম্বরে আমাদের বিজয়ের মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই এমআরটি লাইন ৬-এর উদ্বোধন করবেন।

মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬) প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ভাড়া হবে ১০০ টাকা।

শীত চলে আসায় আবার বদলেছে সরকারি অফিসের সময়সূচি। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে অফিস সময় হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

সোমবার মন্ত্রিসভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদে এ তথ্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

গত ২৪ আগস্ট থেকে দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসে সকাল আটটা থেকে কাজ শুরু হয়। চলে বেলা তিনটা পর্যন্ত। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কোভিড-১৯ মহান রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে মানব জাতির জন্য একটি সতর্কবার্তা। মহান রাব্বুল আলামিন মানুষকে তাঁর সীমা লঙ্ঘন না করার এক বারতা।
কোভিড-১৯ যখন সারা বিশ্বের সব কিছুই স্তব্ধ করে দিয়েছিল, দিয়েছিল আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও। তখনই ময়মনসিংহের কিছু আইসিটি প্রেমিক শিক্ষক ময়মনসিংহ জেলার প্রাক্তন জেলা প্রশাসক জনাব মিজানুর রহমান এর সুযোগ্য নেতৃত্বে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব রফিকুল ইসলাম ও টিটি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জনাব সুমন হাবিব এর সার্বিক সহযোগিতায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল রাখার লক্ষ্যে ২৬ শে মার্চ -২০২০ তারিখে বিকেল চারটায় ময়মনসিংহ অনলাইনেই স্কুল কার্যক্রম শুরু করে। সেদিনের সেই উদ্দীপনা সারাটি জীবন আমাকে, সেই সাথে আমরা যারা এর সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের সকলকেই এক অনাবিল আনন্দে উদ্বেলিত করে। মনে করিয়ে দেয় সেদিন থেকে ৫০ বছর পূর্বে আমাদের পুর্বপুরুষেরাই ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে যেমনিভাবে ঝাপিয়ে পড়েছিল
দেশ মাতৃকাকে মুক্ত করার লক্ষ্যে। ঠিক তেমনিভাবে আমরাও ৫০ বছর পর জাতির ক্রান্তিলগ্নে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঠিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে শুরু করেছিলাম অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রম। যা আমাদের শিক্ষার্থীদের এনে দিয়েছিল অমানিশার অন্ধকারে এক আলোর দিশা। তারপর দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ময়মনসিংহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় এমনকি দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ফেইজবুক পেজ এর মাধ্যমে শুরু হয় অনলাইন শ্রেণির কার্যক্রম। যা আমাদের শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। যে কারণেই হয়তবা এই করোনাকালীণ শিক্ষাব্যবস্থা সচল রেখে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করতে পেরেছি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি সারা দেশের সেই সকল করোনা যোদ্ধাদের যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন বিভাগীয় অনলাইন স্কুল, জেলা ভিত্তিক অনলাইন স্কুল। ২৯ শে মার্চ শুরু হওয়া বাংলাদেশ টেলিভিশন এর মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম এর মাধ্যমে সারা দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে অনলাইন স্কুল কার্যক্রম।

বিগত ২৯/১০/২০২২ ছিল ময়মনসিংহ জেলার করোনা যোদ্ধাদের এক অবিস্মরণীয় দিন। সেদিন ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা অফিস এর কর্ণধার আমাদের মাধ্যমিক এর অভিভাবক জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে জেলা আইসিটি শিক্ষক ফোরাম ও সেন্টার ফর কোয়ালিটি এডুকেশন বাংলাদেশ, ময়মনসিংহ জেলা শাখার সহযোগিতায় আয়োজন করা হয় সম্মেলন-২০২২।
উক্ত অনুষ্ঠানে করোনা কালীন সময়ে যে সকল শিক্ষক শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল রাখার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাদেরকে দেওয়া হয় সম্মাননা। যা ছিল এই করোনা যোদ্ধাদের এক অবিস্মরণীয় প্রাপ্তি।

সেদিনের অনুষ্ঠানটিকে তিনটি পর্বে বিভক্ত করা হয়। যার মধ্যে প্রথমেই ছিল উদ্বোধনী পর্ব।
এ পর্বের উদ্বোধন করেন আমাদের ময়মনসিংহের আইসিটি শিক্ষকদের প্রাণ পুরুষ ময়মনসিংহ জেলার প্রাক্তন জেলা প্রশাসক ও বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জনাব মোঃ মিজানুর রহমান স্যার। তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উক্ত অনুষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন করেন ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্য বর্তমান ও ভবিষ্যৎ করনীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এ পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মুহাম্মদ এনামুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম , বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের সম্মানিত প্রধান শিক্ষক জনাব মোহছিনা খাতুন।

এই অনুষ্ঠানের সবচেরে আকর্ষনীয় পর্বটি ছিল সেমিনার পর্ব। এ পর্বের আলোচ্য বিষয় ছিল ৪র্থ শিল্প বিপ্লব ও আগামীর শিক্ষা।
এ পর্বের মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স ও টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও PGD এর পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তাগীজ বিল্লাহ। যার প্রেজেন্টেশনটি তিনি পরিচালনা করেছেন ১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট। আর এই দীর্ঘ সময় হলরুমে উপস্থিত তিন শতাধিকের অধিক। শিক্ষকবৃন্দ মন্ত্র মুগ্ধের ন্যায় শুনছিল আগামীর শিক্ষা ব্যবস্থার সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলো।
এ পর্বে আলোচক হিসেবে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়েছিলেন আমাদের শিক্ষক বাতায়ন, আমাদের শিক্ষকদের অতি আপনজন জনাব মোঃ কবীর হোসাইন, সহযোগী অধ্যাপক টিটি কলেজ ঢাকা ও সংযুক্ত কর্মকর্তা এটুআই। তিনি ব্লেন্ডেড লার্নিং এর উপর একটি মনোমুগ্ধকর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। এ পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমাদের ময়মনসিংহের গর্ব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অঞ্চল এর সুযোগ্য পরিচালক প্রফেসর মোঃ আজহারুল হক স্যার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সেন্টার ফর কোয়ালিটি এডুকেশন বাংলাদেশ, ময়মনসিংহ জেলা শাখার সম্মানিত আহব্বায়ক জনাব মোঃ শামছুল আলম
অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে ছিল সংবর্ধনা, সনদ ও ক্রেষ্ট বিতরণ অনুষ্ঠান। ময়মনসিংহ জেলার অগ্রগামী ২৮১ জন শিক্ষক, আইসিটি অ্যাম্বাসেডরকে সম্বর্ধিত করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহের গর্ব ময়মনসিংহ সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার যিনি এ বছর সারা দেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ভূঞা মহোদয়কে ময়মনসিংহ জেলা আইসিটি শিক্ষক ফোরাম ও সেন্টার ফর কোয়ালিটি এডুকেশন বাংলাদেশ, ময়মনসিংহ জেলা শাখার পক্ষ থেকে সম্বর্ধিত করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ময়মনসিংহ অঞ্চল এর সম্মানিত উপপরিচালক জনাব আবু নূর মোঃ আনিসুল ইসলাম চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের আরেক ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাই স্কুলের সম্মানিত প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ চাঁন মিয়া। অনুষ্ঠানে সনদ ও ক্রেষ্ট বিতরণ করেন মাউশির আঞ্চলিক উপপরিচালক মহোদয়।
সবশেষে আমি আবারও বলবো আসুক না এমন দিন ফিরে ফিরে হারিয়ে যাই মোরা আনন্দের ঘোরে।

মোঃ খুরশিদ আলম তালুকদার
সিনিয়র শিক্ষক
ময়মনসিংহ জিলা স্কুল
সাধারণ সম্পাদক
আইসিটি শিক্ষক ফোরাম,ময়মনসিংহ জেলা ও সেন্টার ফর কোয়ালিটি এডুকেশন, মময়মনসিংহ জেলা শাখা

প্রযুক্তি ও উৎকর্ষতায় অগ্রসর শিক্ষকদের নিয়ে ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হল শিক্ষক সম্মেলন-২০২২। জেলা শিক্ষা অফিস, ময়মনসিংহের আয়োজনে ও আইসিটি শিক্ষক ফোরাম ও সেন্টার ফর কোয়ালিটি এডুকেশন বাংলাদেশ, ময়মনসিংহ জেলা শাখার সহ-আয়োজনে ২৯ অক্টোবর (শনিবার) প্রিমিয়ার আইডিয়াল স্কুলের হলরুমে  এ সম্মেলন তিনটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের ১ম পর্ব উদ্বোধনী পর্বে  মোঃ মিজানুর রহমান, যুগ্ম-সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মহোদয় ভার্চ্যুয়ালী যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন এবং সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করেন। প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ এনামুল হক, জেলা প্রশাসক, ময়মনসিংহ, বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ময়মনসিংহ সদর, জনাব মোহছিনা খাতুন, প্রধান শিক্ষক, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল।

২য় পর্বে ছিল সেমিনার "৪র্থ শিল্প বিপ্লব ও ব্লেন্ডেড লার্ণিং"
এ পর্বে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চ্যুয়ালী বক্তব্য রাখেন প্রফেসর মোঃ আজহারুল হক, পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, ময়মনসিংহ অঞ্চল। মূখ্য আলোচক হিসাবে "৪র্থ শিল্প বিপ্লব" এর উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন,প্রফেসর মুহাম্মদ মোস্তাগীজ বিল্লাহ, ডিন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, "ব্লেন্ডেড লার্ণিং" এর উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন, জনাব কবীর হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ও সংযুক্ত কর্মকর্তা, এটুআই, বক্তব্য রাখেন, মোঃ শামছুল আলম, প্রধান শিক্ষক, মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়।

সমাপনী পর্বে সংবর্ধনা, সনদ ও সার্টিফিকেট বিতরণ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আবু নূর মোঃ আনিসুল ইসলাম চৌধুরী, উপপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ময়মনসিংহ অঞ্চল, বক্তব্য রাখেন মোঃ চাঁন মিঞা, প্রধান শিক্ষক, প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাই স্কুল,মোস্তাফিজুর রহমান ভূঞা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। এ পর্বে মোস্তাফিজুর রহমান ভূঞাকে তার অসামান্য অর্জনের জন্য আইসিটি শিক্ষক ফোরাম ও সেন্টার ফর কোয়ালিটি এডুকেশন, ময়মনসিংহের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সম্মেলনের প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে অংশ নেন। সারা জেলার ১৩টি উপজেলার ২৮৫ জন শিক্ষককে সনদ ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। সম্মেলনের সভাপতি জনাব রফিকুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার পার্শ্ববর্তী জেলা সমূহের মধ্য থেকে ৪ জনকে গেস্ট অফ অনার হিসাবে ক্রেস্ট প্রদান করেন।

উল্লেখ্য করোনা মহামারীকালীন ময়মনসিংহ জেলার যে সকল শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবার পরও অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল রেখেছেন, শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে মানসিক সাপোর্ট দিয়েছেন, শিক্ষক বাতায়ন, মুক্তপাঠের মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করে মানসম্মত পাঠদানে অবদান রেখেছেন, এটুআই নির্বাচিত শিক্ষক অ্যাম্বাসেডর, জেলা আইসিটি শিক্ষক ফোরাম ও সেন্টার ফর কোয়ালিটি এডুকেশন, ময়মনসিংহ জেলা শাখার আয়োজনে করোনাকালীন সময়ে আইসিটি টুলস ব্যবহার বিষয়ক বিভিন্ন ট্রেনিং সম্পন্ন করে জাতি গঠনে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশেষ অবদান রেখেছেন সেই সকল সম্মানিত শিক্ষককে জেলা শিক্ষা অফিস, ময়মনসিংহ সম্মানিত করার বিশেষ উদ্যোগ হিসাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এবার ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতির কর্মসূচি দিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। গত বুধবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী গোলাম মোস্তফা শাহরিয়ারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল ভাঙচুর ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারধরের পর মামলা রেকর্ড না করা এবং কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।

শনিবার দুপুরে হাসপাতালের সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও রামেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

হাসপাতাল ভাঙচুর, প্রশাসনিক কাজে বাধা দেওয়া, সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত করা ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এর আগে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে মানববন্ধন হয়। এতে অংশ নেন হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী, ডা. খলিলুর রহমান, ডা. আজিজুল হক আজাদ প্রমুখ।

কর্মসূচিতে রামেক হাসপাতাল ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইমরান হোসেন ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আমরা হামলাকারীদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে কাজে ফিরেছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত মামলা রেকর্ড হয়নি। এমনকি কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। তাই পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ এ মানববন্ধন থেকেই আমরা আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছি। এই তিন দিনের প্রতিদিন আমরা আমাদের দাবি নিয়ে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।

এ আগে গত বুধবার রাতে রাবির হাবিবুর রহমান হলের তৃতীয় ব্লকের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তার চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন রাবির শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে তাদের মারামারির ঘটনাও ঘটে।

এরপর রাবি শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে রাত ২টায় তারা ক্যাম্পাসে ফেরেন। তবে রাত সাড়ে ১১টা থেকে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও কর্মবিরতি শুরু করেন। তারা রাবি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

পরদিন বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাতনামা ৩০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন। পরে শুক্রবার সকাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজে ফেরেন। কিন্তু আসামি গ্রেফতারে তারা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে রাখেন। এ সময় শেষ হওয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে গেলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

এদিকে শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ও রাবি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগে রাবি কর্তৃপক্ষও আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে প্রশাসনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সুন্দর দেশ নেপাল, আর আমরা সম্প্রতি এই দেশটি দেখার সুযোগ পেয়েছি। যদিও আমি নেলটা সম্মেলনে যোগদানের জন্য ২০১৯ সালে নেপালে গিয়েছিলাম কিন্তু এবারেরটি ছিলএকটি অনন্য সফর কারণ আমরা একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি এইচজেডএস বাংলাদেশ থেকে শতাধিক লোক সেখানে গিয়েছিলাম ।

এই সফরটি ছিল এইচজেডএস কোম্পানির বার্ষিক পর্যটন প্রশিক্ষণের একটি অংশ এবং আমি একজন শিক্ষাবিদ ও প্রশিক্ষক হিসেবে সুযোগ পেয়েছিলাম। আমরা ১৪ অক্টোবর ২০২২-এ সেখানে পৌঁছেই দরবার স্কোয়ার, শোম্ভনাত মন্দিরসহ কাঠমুন্ডু শহরের সুন্দর জায়গাগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতে শুরু করি। প্রতি জন সদস্য সত্যিই সেই জায়গাগুলি দেখে অবাক হয়েছিলেন। পরের দিন যখন আমরা খুব ভোরে পোখারার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি তখন থেকেই সৌন্দর্যের আসল দিক উন্মোচন শুরু হয়। পুরো ২০০ কিলোমিটার পথটি পাহাড়, জলপ্রপাত এবং অন্নপূর্ণার দৃশ্যের খুব সুন্দর দৃশ্যে পূর্ণ ছিল। বিশেষ করে পোখারায় পৌঁছানোর পর, আমরা ডেভিড ফলস থেকে আমাদের পরিদর্শন শুরু করি, এটি খুব অনন্য এবং শক্তিশালী ঝর্না যেমনটা আমি এর আগে কখনও দেখিনি। পরের দিন খুব রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হয়েছিল সার্রাংকোটে, যেখানে আমরা সূর্যোদয়ের স্বর্গীয় দৃশ্য এবং অন্নপূর্ণা দেখেছি এবং সেখান থেকে পুরো শহরটি পর্যবেক্ষণ করেছি। তারপর আমরা ছুটে গেলাম আরেকটা সুন্দর জায়গা ফেওয়া হ্রদে যেখানে লেক, পাহাড়, অন্নপূর্ণা ভিউ আর মন্দির যেন একসঙ্গে মিশে গেছে।এইচজেডএস কোম্পানির মিঃ হু ইয়ংতাই এবং ম্যাডাম স্টার জু-এর শক্তিশালী ব্যবস্থাপনায় পুরো ট্যুরের সাইটগুলো দেখা, খাবার এবং থাকার ব্যবস্থা সত্যিই অসাধারণ ছিল এবং আমি আতিকুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম সোহাগ , মিজানুর রহমান, সালহাউদ্দিন আহমেদ, তারেকুল ইসলাম, গোলাম নবি মোহন এর মতো কিছু নাম উল্লেখ না করে পারি না যারা তাদের নেতৃত্বের গুণে সত্যিই এমন বড় গ্রুপ ট্যুরটিকে খুব উপভোগ্য এবং আনন্দদায়ক করে তুলেছেন।

নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনএসইউ) পাশ নম্বর ৬০। কোনো শিক্ষার্থী ৫৯ পেলে তাকে ফেল বা অকৃতকার্য ধরা হয়। আর সর্বোচ্চ সাফল্য হিসাবে বিবেচিত সিজিপিএ-৪ পেতে হলে সর্বনিু ৯৩ নম্বর পেতে হয় পরীক্ষায়। কিন্তু আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (এআইইউবি) ৯০ নম্বর পেলেই একজন শিক্ষার্থী সিজিপিএ-৪ অর্জন করে।

প্রতিষ্ঠানটিতে পাশ নম্বর ৫০, যার কম পেলে অকৃতকার্য ধরা হয়। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটে কোনো শিক্ষার্থী ৮০ নম্বর পেলে তাকে দেওয়া হয় সিজিপিএ-৪। এ দুই প্রতিষ্ঠানেই পাশ নম্বর ৪০। সবমিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেডিং পদ্ধতি নিয়ে হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বলছে, পরীক্ষায় মূল্যায়নে এভাবে ভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করায় বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। বিশেষ করে চাকরির বাজার কিংবা বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হচ্ছেন তারা। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের অন্ত নেই। বিষয়টি সুরাহার জন্য অনেকেই ইউজিসিতে আবেদন করছে।

সংস্থাটির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) মো. ওমর ফারুখ যুগান্তরকে বলেন, ২০০৬ সালে তারা একটি অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি তৈরি করে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন। সব পাবলিক এবং অধিকাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সেটি অনুসরণ করছে। হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সেটি মানছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে। ইউজিসির সার্কুলার অমান্য করা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। শিগগিরই সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে তাগিদপত্র পাঠানো হবে।

ইউজিসি প্রণীত গ্রেডিং পদ্ধতিতে দেখা যায়, ৮০ বা এর বেশি নম্বর পেলে একজন শিক্ষার্থীকে ‘এ-প্লাস’ বা সিজিপিএ-৪ দেওয়া হবে। ৭৫ থেকে ৭৯ নম্বর পেলে তা ‘এ রেগুলার’ বা সিজিপিএ-৩ দশমিক ৭৫ এবং ৭০ থেকে ৭৪ পেলে ‘এ মাইনাস’ বা সিজিপিএ-৩ দশমিক ৫ পাবে। ৬৫ থেকে ৬৯ এর জন্য ‘বি প্লাস’ বা সিজিপিএ-৩ দশমিক ২৫, ৬০ থেকে ৬৪ এর কম পেলে তা ‘বি রেগুলার’ বা সিজিপিএ-৩ হিসাবে শনাক্ত করা হবে।

একইভাবে ৫৫ থেকে ৫৯ এর জন্য ‘বি মাইনাস’ বা সিজিপিএ-২ দশমিক ৭৫; ৫০ থেকে ৫৪-এর জন্য এ ‘সি প্লাস’ বা সিজিপিএ-২ দশমিক ৫ দেওয়া হবে। ব্যক্তি পরীক্ষায় ৪৫ থেকে ৪৯ পেলে তা ‘সি রেগুলার’ বা সিজিপিএ-২ দশমিক ২৫; ৪০ থেকে ৪৪ পেলে ‘ডি’ বা সিজিপিএ-২ অধিকারী হবেন তিনি। ৪০-এর কম হলে ‘এফ’ বা অকৃতকার্য দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে ইউজিসির।

কিন্তু‘ দেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের তৈরি পদ্ধতি অনুযায়ী ইচ্ছামতো গ্রেডিং ও লেটার গ্রেড প্রদান করছে। এ ধরনের অন্তত ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র মিলেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে ৮০ নম্বর পেলে শিক্ষার্থীরা ‘এ প্লাস’ বা সিজিপিএ ৪ পাওয়ার গৌরব অর্জন করে, সেখানে একই পরিমাণ নম্বর পেয়ে এনএসইউতে একজন শিক্ষার্থী বি-মাইনাস পায়।

একইভাবে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভাসির্টিতে এ প্লাসকে বলা হয় ‘এক্সিলেন্স’ আর লেটার গ্রেডে ‘এ’। কিন্তু কত নম্বর পেলে এ গ্রেড দেওয়া হয় সেটি অস্পষ্ট। এই প্রতিষ্ঠানটি ফল তৈরিতে বাংলাদেশের মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২১টি স্তর অনুসরণ করে। এরমধ্যে শূন্য গ্রেডেই আছে বিভিন্ন নামে ১০টি স্তর। সর্বনিু সিজিপিএ-১ এরজন্য লেটার গ্রেড হচ্ছে ডি, যেটিকে ব্যাখ্যা করে বলা হয় ‘ডেফিসিয়েন্ট পাসিং। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) ৯০ পেলে এ গ্রেড বা সিজিপিএ ৪ দেয়। কোনো এ প্লাস নেই। পাশ নম্বর ৬০।

তবে এআইইউবি ৯০ নম্বরে সিজিপিএ ৪ দেওয়ার পাশাপাশি লেটার গ্রেডে এ প্লাস দিচ্ছে। আর পাশ নম্বর ৫০। এছাড়া আরও তিনটি স্তর তারা অনুসরণ করে, সেগুলো হচ্ছে-ইনকমপ্লিট, উইথড্র এবং আনঅফিশিয়ালি উইথড্র। ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতেও এ প্লাস পেতে হলে এনএসইউর মতো ৯৭ নম্বর পেতে হবে। আর পাশ নম্বর ৬০। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে সিজিপিএ ৪ পেতে ৯৭ নম্বর পেতে হলেও পাশ নম্বর অবশ্য ৫০। কিন্তু ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) লেটার গ্রেডে এ প্লাস ও সিজিপিএ ৪ ধরা হলেও তা কত নম্বরে সেটি জানায় না। আর মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এই স্তরকে তারা ‘আউটস্ট্যান্ডিং’ উল্লেখ করে থাকে।

এই প্রতিষ্ঠানে সর্বনিু সিজিপিএ ১ দশমিক ৫। ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে এ প্লাস বা সিজিপিএ ৪ দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটিতে পাশ নম্বর ৪০ শতাংশ, কিন্তু এটাকে লেটার গ্রেডে ডি আর সিজিপিএ ২ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ইচ্ছামতো গ্রেডিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুর ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ে ইউজিসি প্রণীত অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি বাস্তবায়নের পক্ষপাতী। ইতঃপূর্বে এ ব্যাপারে বোর্ড সভায় ও সিন্ডিকেটে আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ায় তা আর বাস্তবায়ন করা যায়নি।’

তবে তিনি পাশাপাশি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর সবদেশে বিশেষ করে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় একেক বিশ্ববিদ্যালয় একেক ধরনের গ্রেডিং পদ্ধতি ব্যবহার করে, যেটা নিজেদের মতো করে তৈরি করা। এটা বরং তাদের মর্যাদার পরিচায়ক। বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কিংয়ের কোনো অভিন্ন মাপকাঠি নেই। প্রতিষ্ঠানগুলো তার ইচ্ছামতো এ পদ্ধতি তৈরি করতে পারে। এজন্যই আন্তর্জাতিক গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করে এসেছে এনএসইউ।’

তবে ইউজিসি কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের কাছে বিদেশে ভর্তি ও দেশে চাকরির বাজারে উপেক্ষিত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে যে, অতি উঁচু নম্বরের গ্রেডিং ব্যবস্থা অনুসরণ করায় তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। যেমন-আমেরিকায় মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য সিজিপিএ ২.৭৫ থেকে ৩ চাওয়া হয়। কিন্তু এনএসইউ, ইস্টওয়েস্ট বা ব্র্যাকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যা অনুসরণ করে তাতে তারা আবেদনের শর্তই পূরণ করে না। ফলে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।সূত্র:যুগান্তর

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram