শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।

আজ ২৩ নভেম্বর বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে ও অর্থায়নে স্থাপিত ‘সততা স্টোর’ পরিদর্শনে আসেন দুর্নীতি দমন কমিশন,জেলা কার্যালয় বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক জনাব আসাদুজ্জামান। এসময় তার সঙ্গে পরিদর্শন কার্যক্রমে যুক্ত হন ফকিরহাট উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জনাব শেখ আব্দুস ছালাম ও সাধারন সম্পাদক জনাব খান আল মুস্তাসীম বিল্লাহ সজল।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে সততার ব্যবহারিক চর্চার বিকাশ ঘটাতে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০১৬ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সততা স্টোর গঠনের উদ্যোগ নেয়। ফকিরহাটে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে সততা ষ্টোর নিয়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়, শিক্ষার্থীরা ষ্টোর থেকে জিনিস ক্রয়ের অভিজ্ঞতা লাভের জন্য লাইন করে ষ্টোরে প্রবেশ করেন। সততা স্টোরে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের টিফিন-কেক, বিস্কুট চানাচুর, লজেন্স এবং খাতা, কলম, পেন্সিল, রাখা হয়েছে। যেখানে নেই কোনো দোকানি, নেই নজরদারি ক্যামেরা। জিনিসপত্রের গায়ে দাম লেখা রয়েছে। সেই দাম অনুযায়ী খাতা-কলম বা অন্য কোনো শিক্ষাসামগ্রী নিয়ে নির্ধারিত বাক্সে শিক্ষার্থীরা টাকা রাখছেন। এতে শিক্ষর্থীরা ছাত্র জীবন থেকেই সততার সাথে কাজ করতে অভ্যস্ত হবে।

ফকিরহাটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত সততা স্টোর পরিদর্শন শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন,জেলা কার্যালয় বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক জনাব আসাদুজ্জামান বলেন, মূলত শিক্ষার্থীদের মাঝে সততা চর্চার উদ্দেশ্যেই দুর্নীতি দমন কমিশনের সততা স্টোর গঠনের উদ্যোগ। এটিকে সততার ব্যবহারিক শ্রেণিকক্ষ বলা যেতে পারে যার মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষার্থীরা আগামীতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৩/১১/২০২৩

নিউজ ডেস্ক।।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিবেশী ভারত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সার্ক ও ওয়াইসিসহ বিশ্বের ৩৮ দেশ ও সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার (২২ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপর এসব সংস্থা ও দেশকে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, যেসব দেশ তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়, সেইসব দেশ ও সংস্থাকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

ইসির আমন্ত্রিত দেশগুলো হল- ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মিশর, তুরস্ক, উজবেকিস্তান, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, সেনেগাল, থাইল্যান্ড, আজারবাইজান, মালয়েশিয়া, মরিশাস, তিউনিশিয়া, ব্রুনাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত, সৌদি আরব, চীন, জাপান ও সিঙ্গাপুর।

 

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২২/১১/২০২৩ 

ঢাকাঃ আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, নতুন আয়কর আইন প্রতিপালন ও আয়কর পরিপত্র দেরিতে প্রকাশ করার কারণে করদাতারা প্রস্তুতির তেমন সময় পাননি। অন্যদিকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের কারণে অনেক করদাতার পক্ষেই ৩০ নভেম্বরের ভেতরে আয়কর রিটার্ন দাখিল সম্ভব হবে না।

চিঠিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক করদাতার আয়কর রিটার্ন দাখিলের স্বার্থে সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে এনবিআর’র প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২২/১১/২০২৩ 

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়

নিউজ ডেস্ক।।

নতুন এমপিও কোড পেয়েছে ২ হাজার ৫১টি স্কুল ও কলেজ। নতুন এমপিওভুক্তি ও এমপিওর স্তর পরিবর্তনের জন্য নির্বাচিত হওয়া নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ও স্নাতক কলেজগুলোকে নতুন এমপিও কোড দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

বৃহস্পতিবার মাউশির কলেজ শাখার পরিচালক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কোড প্রকাশ করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো এ কোড ব্যবহার করে যোগ্য শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদন করতে পারবেন।

গত জুলাইয়ে এ প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত ২ হাজার ৫১টি স্কুল ও কলেজের মধ্যে ৬৬৬টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১ হাজার ১২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৩৬টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০৯টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ ও ১৮টি ডিগ্রি কলেজ রয়েছে।

নিউজ ডেস্ক।।

সুইজারল‌্যান্ডকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে ১৬ বছর পর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল পর্তুগাল। ২১ বছর বয়সী অভিষিক্ত রামোসের হ‌্যাটট্রিকে অতি সহজেই শেষ আটে পা রেখেছে পর্তুগাল। এবারের বিশ্বকাপে এটিই এখন পর্যন্ত একমাত্র ‌হ‌্যাটট্রিক।

রামোসের হ‌্যাটট্রিক বাদে একটি করে গোল করেছেন পেপে, রাফায়েল জুরেরিও ও রাফায়েল লিও। শুরুর একাদশে ছিলেন না রোনালদো। তাকে ছাড়া পর্তুগালের জিততে একটুও বেগ পেতে হয়নি। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ মরক্কো।

ব্রুনো ফার্নান্দেজকে তুলে ৮৭ মিনিটে কোচ সান্তোস মাঠে নামিয়েছিলেন রাফায়েল লিওকে। মাঠে নেমে তিন মিনিটেই গোলের দেখা পেয়ে যান এই পর্তুগিজ। রাফায়েল জুরেরিওর কাট করা বল নিয়ে ডি বক্সের ভেতরে ঢুকে ডানপায়ে বাঁকানো শটে গোল করেন লিও। বিশ্বকাপে প্রথম ম‌্যাচেও গোল পেয়েছিলেন এই বদলি খেলোয়াড়।

নিউজ ডেস্ক।।

সৌদি আরবের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হারে অঘটনের শুরু। কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষ হতে হতেই ঘটে গেছে বড় সব অঘটন। একে একে হেরেছে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনের মতো শক্তিগুলো। একেবারে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে এসে হারের স্বাদ পেলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলও।

জি গ্রুপের শেষ ম্যাচে শুক্রবার রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে ক্যামেরুনের কাছে সেলেসাওরা হারে ১-০ গোলে। যোগ করা সময়ে ক্যামেরুনের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন আবু বাকার। ডান দিক থেকে ক্রস পেয়ে দৌড়ে এসে অসাধারণ হেডে বল জড়িয়ে দেন জালে।

আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ব্রাজিল। তবে এ জন্য নিজেদের ঘাড়েই দোষ নিতে হবে ব্রাজিলিয়ানদের। একেরপর এক সুযোগ হতাছাড়া করেছেন তারা। দ্বিতীয়ার্ধে পেড্রো-ব্রুনো সহজ সুযোগ মিস করেছেন। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল মেরে দিয়েছেন উপরের দিকে।

দারুণ খেলেছেন মার্টেনেল্লি-অ্যান্টনিওরা। দুই দিকে দুজন তঠস্থ রেখেছিলেন ক্যামেরুন ডিফেন্সকে। মার্টেনিল্লি শয় নিয়েছিলেন দারুণ কিছু, ক্যামেরুন গোলরক্ষক অসাধারণ দক্ষতায় রুখে দিয়েছেন।

জার্সি খুলে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় মাঠ ছাড়তে হয় ক্যামেরুনের ইতিহাস গড়া নায়ক আবু বাকার। তিনি আনন্দেচিত্তে মেনে নেন। গ্রুপ বাঁধা টপকানোর কিছু ছিল না, ম্যাচটাই যেন ছিল তাদের এই বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচ।

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে আফ্রিকার কোনো দেশের কাছে হেরেছে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এর আগের ৭ ম্যাচের সবগুলোতে ২০ গোল দিয়ে জয় পেয়েছে।

হারের পরও জি গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েই নক আউটে উঠেছে ব্রাজিল। অন্য দল সুইজারল্যান্ড সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হলেও গোল ব্যবধানে তারা পিছিয়ে ছিল। শেষ ষোলোতে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ কোরিয়া রিপাবলিক। সোমবার দুই দল নামবে শেষ আটের লড়াইয়ে। আর সুইসরা খেলবে পর্তুগালের বিপক্ষে।

নাজমুল হুদা।।

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলায় অবস্থিত শেখ হেলাল উদ্দীন সরকারি কলেজে আজ ৩০ নভেম্বর ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, রোজ বুধবার সকাল ১০ ঘটিকায় ডিগ্রি (পাস) প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের স্বপন দাশ অডিটোরিয়ামে সহকারী অধ্যাপক মোঃ হোসাইন সায়েদীনের উপস্থাপনায় উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ বটু গোপাল দাস। এছাড়াও ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে কলেজের সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলী এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফারজানা খাতুন জুহি এবং গীতা পাঠ করেন আঁখি শীল। এরপর উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মধ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন, সহকারী অধ্যাপক শেখর চন্দ্র হালদার, মৃত্যুঞ্জয় কুমার দাশ, শেখ তরিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, উৎপল কুমার দাশ, সালমা খাতুন, অপূর্ব লাল সাহা, প্রভাষক শেখ শামীম ইসলাম, চন্দ্র শেখর অধিকারী, সুব্রত কুমার দাম, মোস্তাফিজুর রহমান এবং অনুষ্ঠানের আহবায়ক আমান উল্লাহ সহ প্রমুখ। আলোচকবৃন্দ সকলেই কলেজের আইন শৃঙ্খলা, নিয়ম কানুন, পরীক্ষা পদ্বতি, ড্রেসকোডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন। সভাপতি মহোদয় তার বক্তব্যের শুরুতে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন। এরপর তিনি সকল ছাত্রছাত্রীকে শৃঙ্খলা মেনে নিয়মিত ক্লাস করার আহবান জানান এবং কিভাবে পড়াশোনা করে কর্মক্ষেত্রে যাওয়া যায় সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অধ্যক্ষ মহোদয় ছাত্র-ছাত্রীদের সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্য কামনা করেন। অতঃপর শিক্ষকদের উপস্থাপনায় একটি সমবেত সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান শেষ হয়।

নিউজ ডেস্ক।।

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বুধবার এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন।

প্রতিবছরের মত এবারও ১ নভেম্বর থেকে আয়কর সেবা মাস শুরু করেছিল এনবিআর। নিয়ম অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জরিমানা ছাড়াই আয়কর বিবরণী দাখিলের সুযোগ ছিল করদাতাদের।

বুধবার আয়কর দিবসের অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান ‘আয়কর সেবা মাস’ এক মাস বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলেন, এখন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনা জরিমানায় রিটার্ন দেওয়া যাবে।

নিউজ ডেস্ক।।

করোনার ব্যাচ’ হিসাবে পরিচিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা বেশ ভালো করেছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তারা জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালের পরীক্ষার্থীদের চেয়ে এদের পাশের হার বেশি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার পাশের হার কমেছে। সোমবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এসএসসিসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ সাফল্য হিসাবে বিবেচিত জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থী। গত বছর ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

মাধ্যমিকের এই পরীক্ষার্থীরা ২০২০ সালে নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া শুরুর মাত্র আড়াই মাসের মাথায় করোনার কারণে তাদের সরাসরি ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়। ২০২১ সালে দশম শ্রেণি শেষ করা পর্যন্ত সরাসরি ক্লাস করার সুযোগ তারা খুব কমই পেয়েছে। অনলাইন আর অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক লেখাপড়াই ছিল তাদের প্রধান অবলম্বন। এরপরও তারা স্বাভাবিক সময় বা ২০১৯ ও ২০২০ সালের পরীক্ষার্থীদের চেয়ে এই ব্যাচটির পাশের হার বেশি। ২০১৯ সালে পাশের হার ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ আর ২০২০ সালে ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শুধু পাশের হার নয়, জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায়ও এবার ভালো করেছে এই ব্যাচটি। ২০২০ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন আর ২০১৯ সালে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। অর্থাৎ গত বছর বা ৩ বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করা শিক্ষার্থীদের তুলনায় পাশের হার কম হলেও আগের ৪ বছরের মধ্যে এবার পাশের হার সর্বোচ্চ। আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অতীতের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

এগারোটি শিক্ষা বোর্ডের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নেপথ্যে মোটা দাগে পাঁচটি দিক ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এগুলোর মধ্যে প্রথমেই আসে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস। এছাড়া আছে-প্রশ্নপত্রে অধিকসংখ্যক বিকল্প থেকে পছন্দের সুযোগ, ৫০-এর মধ্যে দেওয়া পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ১০০-তে রূপান্তর, কঠিন বিষয়ে অবলীলায় ৯০ শতাংশের ওপরে নম্বর প্রাপ্তি এবং সাবজেক্ট ম্যাপিং।

গত বছরও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। বাংলা-ইংরেজি-গণিতের মতো বিষয় বাদ দিয়ে কেবল বিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ আর মানবিকের ঐচ্ছিক তিন বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু এবার সংক্ষিপ্ত ঐচ্ছিক বিষয়ের সঙ্গে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, চতুর্থ বিষয়সহ (কৃষি শিক্ষা, উচ্চতর গণিত, জীববিদ্যা ইত্যাদি) নয়টি পত্রের পরীক্ষা নেওয়া হয়। গত বছর বাকি ৯ বিষয়ে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’ বা জেএসসি-জেডিসিতে প্রাপ্ত নম্বর প্রাপ্তির প্রবণতা অনুযায়ী নম্বর দেওয়া হয়। কিন্তু এবার এই সুযোগ দেওয়া হয় মাত্র তিন বিষয়ে। এগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়/সাধারণ বিজ্ঞান, ধর্ম ও নৈতিকতা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। আবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না বিষয়টি। এই ব্যাচকে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার বিকল্প সংখ্যাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক সময়ে সৃজনশীল অংশে ১১টি প্রশ্নের মধ্য থেকে ৭টির উত্তর করতে হতো। এবার ১১টি প্রশ্নই ছিল। কিন্তু উত্তর করতে হয়েছে ৩টি প্রশ্নের। আবার এমসিকিউ অংশে ৩০টির মধ্যে সব ক’টির উত্তর দিতে হতো। কিন্তু এবার ১৫টির উত্তর করতে হয়েছে। এছাড়া তারা ৫০ নম্বরে পরীক্ষা দিলেও সেটিকে ১০০ ধরে প্রাপ্ত নম্বর দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়। ফলে তুলনামূলক চাপমুক্ত থেকে পরীক্ষা দিতে পেরেছে তারা।

অন্যদিকে বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের কাছে ইংরেজি-গণিতের মতো বিষয় ‘কঠিন’ হিসেবে বিবেচিত। এসব বিষয়ে এবার শিক্ষার্থীরা ভালো করেছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিষয়ভিত্তিক পাশের হারে দেখা যায়, ইংরেজিতে ৯৬ দশমিক ৬৫ এবং সাধারণ গণিতে ৯৪.৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চতর গণিতে ৯৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, মানবিকে অর্থনীতিতে ৯৭ দশমিক ৪৫ আর বিজনেস স্টাডিজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হিসাববিজ্ঞানে ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ পাশ করেছে। এবার যে তিন বিষয়কে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিং’র আওতায় নেওয়া হয়, সেগুলোর মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কঠিন বিষয়গুলোর একটি। যেহেতু এটিতে পরীক্ষায় বসতে হয়নি, তাই পাশের হার এবং জিপিএ-৫ এ ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. এম তারিক আহসান যুগান্তরকে বলেন, এবারের ব্যাচটি পুরোপুরি করোনার সময় পার করেছে। প্রভাবটা সবচেয়ে বেশি পড়েছে তাদের ওপরে। বলতে গেলে গতবার এবং এবারের এই দুটি ব্যাচের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এবারের পরীক্ষার্থীরা। এরপরও গত বছরের তুলনায় এবার বেশিসংখ্যক বিষয়ে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয় তারা। তাই গত বছরের চেয়ে এবার পাশের হার কিছুটা কমতেই পারে। অন্যদিকে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এবার পাশের হার বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসসহ অন্যান্য কয়েকটি দিকে তারা বাড়তি কিছু সুবিধা পেয়েছে। করোনার কারণে যে ‘শিখনঘাটতি’ তৈরি হয়েছে তা পূরণে সরকারের পদক্ষেপগুলো ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ করতে গিয়ে তাদের পাঠ্যবইয়ে মনোনিবেশ করতে হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণায়ও বিষয়টি উঠে এসেছে যে, শিখনঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ তুলনামূলক বেশি ভালো করছে। এটাই মূলত স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ভালো করার নেপথ্য কারণ।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এবার ১২ শতাংশের কিছু বেশি শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এই ফেলের হার আরও কম হতে পারত। কেননা ফেল করা শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ এমসিকিউতে খারাপ করেছে। এমসিকিউ ও সৃজনশীল অংশে আলাদা পাশ না করলে তাকে উত্তীর্ণ ধরা হয় না। ধরুন, মানবিকের একজন শিক্ষার্থী এমসিকিউতে ২ নম্বর পেয়েছে। এটাকে দ্বিগুণ করে ৪ পাওয়া গেছে। কিন্তু এখানে পাশ নম্বর ৯। তাই সিকিউ (সৃজনশীল) অংশে অনেক ভালো নম্বর পেলেও তার পাশের সুযোগ নেই। এছাড়া সিকিউতেও বড় একটা অংশ ফেল করেছে। মূলত করোনাকালে যারা লেখাপড়া একেবারে ছেড়ে দিয়েছিল, তাদের ভাগ্যেই এই পরিণতি জুটেছে।

এই কথার সমর্থন পাওয়া যায় রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহারের বক্তব্যে। তিনি বলেন, করোনাকালে অনেক বড় ধকল গেছে এবারের পরীক্ষার্থীদের ওপর। এরপরও তারা যে ফল করেছে সেটা খুবই সন্তোষজনক। এখন করোনাকালে তাদের যে শিখন ঘাটতি হয়েছে, সেটা পূরণে উচ্চ মাধ্যমিকে তাদের চেষ্টা আরও বেশি করতে হবে। আর রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ বলেন, এবারের ব্যাচকে ‘অনলাইন আর করোনা’র ব্যাচ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। তাই যতটুকু তারা খারাপ করেছে তার জন্য প্রকৃতি দায়ী। তাই এই ফলাফলে অবশ্যই খুশি হতে হবে।

প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার কোনো টেস্ট পরীক্ষা ছাড়াই সবাইকে ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হয়। সাধারণত টেস্ট বা নির্বাচনি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণরা কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না। তাই যারা কৃতকার্য হতে পারেনি, নির্বাচনি পরীক্ষা হলে তাদের একটি অংশ ঝরে পড়ত। এমন অবস্থায় পাশের হার আরও বৃদ্ধি পেত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এরপরও যে ফল হয়েছে, সেটা নিয়ে খুশি না থেকে মফস্বল বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার মান ভালো করার দিকে মনোযোগ দিতে পরামর্শ দেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক। তিনি বলেন, আগের কোনো পরীক্ষার সঙ্গে এবারের তুলনা করা চলে না। সবমিলে তাদের দুটি বছর অস্বাভাবিক গেছে। আমরা শিক্ষায় কতটা এগিয়েছি বা পিছিয়েছি সেই বিশ্লেষণের পরিবর্তে গ্রাম-শহরের লেখাপড়ার মানের পার্থক্য কমিয়ে আনা জরুরি। এতে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সহজ হবে।

সোমবার বেলা ১১টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তরের মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মোবাইল ফোনে এসএমএস ও অনলাইনেও (www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে) ফল জানা গেছে। গত বছরের তুলনায় এবার পাশের হার কমে যাওয়ার পেছনে করোনার ধকলের পাশাপাশি বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাককে চিহ্নিত করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, সিলেট ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক বন্যার কারণে পরীক্ষা পেছাতে হয়েছে। ওইসব অঞ্চলের পরীক্ষার্থীদের কেউ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আবার কাউকে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে হয়েছে। অনেকের বই বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এর প্রভাবই দেখা যায় সিলেট বোর্ডের পাশের হারে। দেশের সর্বনিু পাশের হার ওই বোর্ডে। তবে এরপরও পাশের হার অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো হওয়ার কারণ হচ্ছে, সরকারি উদ্যোগ এবং শিক্ষক-অভিভাবকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা। ছাত্রছাত্রীরাও জীবনের প্রথম পরীক্ষায় ভালো করার চেষ্টা করেছে।

সোমবার একযোগে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হয়। এসব বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৩৪ হাজার ১৮ জন। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন। আর পাশ করেছে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থী। তিন ধারার মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে শুধু এসএসসিতে পরীক্ষার্থী ছিল ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬৫৭ জন। পাশ করেছে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫৭১ জন। মাদ্রাসায় পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ১৩২ জন, যাদের মধ্যে ২ লাখ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৮ জন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৬৫ জন পাশ করেছে। আরও দেখা যাচ্ছে, এসএসসিতে ৯টি শিক্ষা বোর্ডে মোট পাশের হার ৮৮ দশমিক ১০ শতাংশ। গত বছর পাশ করেছিল ৯৪ দশমিক ০৮ শতাংশ। মাদ্রাসায় দাখিলে এবার পাশ করেছে ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ। গত বছর পাশ করেছিল ৯৩ দশমিক ৩২। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে পাশ করেছে ৮৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত বছর ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ পাশ করেছিল। অন্যদিকে এবার এই স্তরে তিন ধারায় জিপিএ-৫ বেড়েছে ৮৬ হাজার ২৬২টি। এ বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। আর গত বছর পেয়েছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ শিক্ষার্থী। মাদ্রাসায় এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪৫৭ জন আর কারিগরিতে ১৮ হাজার ৬৫৫ জন। জিপিএ-৫ এসএসসি ও সমমানে সর্বোচ্চ সাফল্য হিসাবে বিবেচিত করা হয়।

এসএসসিতে আলাদাভাবে ৯ বোর্ডের দিকে তাকালে দেখা যায়, ঢাকা বোর্ডে পাশের হার ৯০.০৩ শতাংশ। এই বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ৩৯৩৯২৬ জন আর পাশ করেছে ৩৫৪৬৫৩ জন। রাজশাহী বোর্ডে পাশ করেছে ৮৫.৮৮ শতাংশ। পরীক্ষার্থী ছিল ১৯৫১২৪, পাশ করেছে ১৬৭৫৮১ জন। কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৯১.২৮ শতাংশ। মোট ১৮৬৭৭৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৭০৪৮৪ জন। যশোর বোর্ডে পাশের হার ৯৫.১৭ শতাংশ। ১৬৯৫০১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৬১৩১৪ জন। চট্টগ্রাম বোর্ডে পাশের হার ৮৭.৫৩ শতাংশ। ১৪৮৫৪০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৩০০১৩ জন। বরিশালে পাশের হার ৮৯.৬১ শতাংশ। ৯৪৮৭১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৮৫০১৪ জন। সিলেট বোর্ডে ৭৮.৮২ শতাংশ পাশ করেছে। ১১৫৩৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৯০৯৪৮ জন। দিনাজপুর বোর্ডে ৮১.১৬ শতাংশ পাশের হার। পরীক্ষার্থী ছিল ১৭৪৫৭৭ জন। আর পাশ করেছে ১৪১৬৮২ জন। ময়মনসিংহ বোর্ডে পাশের হার ৮৯.০২ শতাংশ। ১০৯৯৫২ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৯৭৮৮২ জন। মাদ্রাসায় দাখিলে পাশের হার ৮২.২২ শতাংশ। ২৬০১৩২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২১৩৮৮৩ জন। আর কারিগরি বোর্ডে পাশের হার ৮৯.৫৫ শতাংশ। ১৪৫৩৪৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৩০১৬৫ জন। সূত্রঃযুগান্তর

নিউজ ডেস্ক।।

রাতুল দে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। তার এই সাফল্যের জন্য অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ শেখ ও সহকারী শিক্ষক প্রশান্ত ব্যাপারী সহ অন্যান্য শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। রাতুল দে, একাত্তর টিভি, কালেরকন্ঠ ও দৈনিক জন্মভূমি ও দৈনিক সংকল্প’র ফকিরহাট প্রতিনিধি মান্না দে’র ছেলে

নিউজ ডেস্ক।।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কারিগরি শিক্ষার দ্বার আমরা সবার জন্য উন্মুক্ত করছি। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বয়সের বাধা আমরা তুলে দিতে চাই। আশা করি, সবাই এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন। দ্রুততার সঙ্গে এটি করতে পারলে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আর কোনো বয়সের বাধা থাকবে না।

তিনি বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তিতে আসন সংকট হবে না। মাধ্যমিকে যে পরিমাণ পাস করে তার চেয়ে আমাদের আসন সংখ্যা বেশি রয়েছে। তাই মাধ্যমিকে পাস করা সব শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পরও আসন খালি খাকবে। আগামী বছর থেকে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে।

এরই মধ্যে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে। আগামীতেও ক্রমাগতভাবে এসব প্রশিক্ষণ চলবে।

আজ সোমবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

দীপু মনি বলেন, অতিমারির মধ্যে অনলাইন শিক্ষায় আমরা এগিয়ে গিয়েছি।

সফলভাবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ করানো সম্ভব হয়েছে। সব শিক্ষককে সরাসরি ও অনলাইনভিত্তিক নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে পাঠ্যপুস্তক তৈরিতে কাগজের সংকট দেখা দিয়েছে। বৈশিকভাবে এ সংকট রয়েছে। এখন কাগজের দাম বেড়েছে।

কিছুটা সংকট আমাদেরও তৈরি হয়েছে। এটি নিয়ে বড় ধরনের বিপর্যয় হবে না। আমরা আশা করি, যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পারবো।
তিনি বলেন, বিজ্ঞান নিয়ে কিছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি কাজ করে বলে মানবিক বিভাগে শিক্ষার্থী বেশি হয়। অংক পারি না, বিজ্ঞান বুঝি না- এমন ধারণা অনেকের থাকে। আমাদের উপযুক্ত শিক্ষকের অভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শিক্ষকের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।

নতুন কারিকুলামে পড়ে-বুঝেই পরের ক্লাসে যেতে হবে। কেউ পারবে না বলে শিক্ষক তাকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়া থেকে বঞ্চিত করবে সে পরিস্থিতি থাকছে না। আমরা মনে করি শিক্ষার্থী বিজ্ঞানে যেতে চাইলে তাকে পড়তে দেওয়া উচিত। যদি সেখানে সে ভালো করতে না পারে তবে বিভাগ বদলাতে পারে। এখন বিজ্ঞানে পড়তে হবে। মানবিকে পড়লে যে আমি তথ্যপ্রযুক্তি বা বিজ্ঞানে যেতে পারবো না এখন আর সেটি নেই। মানবিকে পড়ে অনেকে তথ্যপ্রযুক্তিতে ভালো করছে। যে কোনো বিভাগ থেকে ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থানের জন্য বেশি জরুরি হচ্ছে সফট স্কিল, এন্টারপ্রিনিয়রশিপ (উদ্যোক্তা) স্কিল। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব বিভাগের কোর্সের মধ্যে ভাষা শিক্ষা, আইসিটি, সফট স্কিল, উদ্যোক্তা ও নৈতিকতা যুক্ত করতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকে এ বিষয়গুলো বুঝে সনদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হবে। যে কোনো বিভাগ থেকে এসব দক্ষতা নিয়ে বের হলে যে কোনো কাজেই সফল হওয়া সম্ভব হবে। সূত্রঃবাংলাদেশ প্রতিদিন

নিউজ ডেস্ক।।

আজ সোমবার (২৮ নভেম্বর) চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করবেন। দুপুর ১টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী

যেভাবে জানবেন এসএসসির ফল:

নির্ধারিত রেজাল্টের ওয়েবসাইটে (http://www.educationboardresults.gov.bd) ভিজিট করে ফল জানা যাবে।শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের(www.dhakaeducationboard.gov.bd) ‘রেজাল্ট কর্নারে’ ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করতে হবে।

এ ছাড়া মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেজন্য মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ স্বরূপ: SSC DHA 123456 2022 লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণস্বরূপ: Dakhil MAD 123456 2022 পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram