শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।

দেশে সব ধরনের নোট-গাইড নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সহায়ক বই প্রকাশ করা যাবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের এই সহায়ক বই পাঠে কোনোভাবেই বাধ্য করা যাবে না। শিক্ষকরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না, তবে ফ্রিল্যান্সিং কোচিং চালাতে কোনো বাধা নেই। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় চলাকালে কোচিংয়ে যেতে পারবে না। শিক্ষকরা কোনোভাবেই নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিংও করাতে পারবেন না। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক শাস্তিও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।

শিক্ষা আইন ২০২০’-এর খসড়ায় এসব বিধান রাখা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই খসড়া চূড়ান্তে বৈঠক ডেকেছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) খালেদা আক্তার গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শিক্ষা আইনের খসড়া তৈরিতে মন্ত্রণালয়ের সব কাজ শেষ হয়েছে। কাল (আজ মঙ্গলবার) এই খসড়া চূড়ান্ত করতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে তা দ্রুতই মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।’

আইনের প্রস্তাবিত খসড়ায় নোট-গাইড বই অর্থে বোঝানো হয়েছে, ‘সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সহায়ক পুস্তক ব্যতীত যে পুস্তকসমূহে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু ও এর আলোকে বিভিন্ন পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্নাবলির উত্তর লিপিবদ্ধ থাকে, যাহা বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয় হয়।’ প্রাইভেট টিউশন অর্থ, ‘কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্তৃক অর্থের বিনিময়ে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে যেকোনো স্থানে পাঠদান করা।’

আইনের খসড়ায় কোচিং অর্থ বলতে বোঝানো হয়েছে, ‘সরকারি অথবা স্বীকৃত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে কোনো ব্যক্তি বা শিক্ষক কর্তৃক এক বা একাধিক শিক্ষার্থীকে কোনো প্রতিষ্ঠানে বা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে অর্থের বিনিময়ে যেকোনো মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম।’

প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের খসড়ার ১৬ ধারার ১ ও ২ উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ধরনের নোট বই বা গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে না। এই বিধান লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব তিন বছর কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

উপধারা ৩-এ বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নোট বই বা গাইড বই ক্রয় বা পাঠে বাধ্য করলে বা উৎসাহ প্রদান করলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, ব্যবস্থাপনা কমিটি বা পরিচালনা কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক এখতিয়ারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

উপধারা ৪-এ বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সহায়ক পুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে। তবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সহায়ক পুস্তক ক্রয় বা পাঠে বাধ্য করতে পারবেন না। ক্রয় বা পাঠে বাধ্য করলে বা উৎসাহ প্রদান করলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে।

উপধারা ৫-এ বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক অনুমোদন ব্যতীত পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু ও এর আলোকে বিভিন্ন পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্নাবলির উত্তর দৈনিক পত্রিকায় মুদ্রণ বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। আইনের খসড়ার ১৬ ধারার ৪ ও ৫ উপধারা দুটি নতুন সংযোজন করা হয়েছে।

খসড়ার ১৮ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষক সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে কোনো প্রকার শারীরিক শাস্তি বা মানসিক নিপীড়ন করতে পারবেন না। এর ব্যত্যয় ঘটলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। তবে শিক্ষার্থীদের মঙ্গল বিবেচনায় অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বিধানের জন্য শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে যৌক্তিকভাবে শাসন করা যাবে।

খসড়ার ২১ ধারায় বলা হয়েছে, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য শিক্ষক নির্বাচন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সম্পন্ন হবে এবং পদভিত্তিক সব শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি ও যোগ্যতা আইন বা বিধি দ্বারা নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত হবে।

প্রস্তাবিত আইনের ৩০ ধারার ১ উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে পাঠদান করতে পারবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের লিখিত সম্মতি সাপেক্ষে স্কুল সময়ের আগে বা পরে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি বা নীতিমালা অথবা

জারি করা পরিপত্র বা নির্বাহী আদেশ অনুসরণপূর্বক অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

উপধারা ২-তে বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে অর্থের বিনিময়ে ইলেকট্রনিক বা অনলাইন পদ্ধতিতেও টিউশন বা কোচিংয়ের মাধ্যমে পাঠদান করতে পারবেন না এবং করলে তা অসদাচরণ হিসেবে শাস্তিযোগ্য হবে।

উপধারা ৩-তে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে পাঠদানের উদ্দেশ্যে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা এই আইনের অধীনে নিষিদ্ধ হবে না। তবে শর্ত থাকে যে কোচিংয়ের শিক্ষক বা

শিক্ষার্থী নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলাকালে কোচিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এবং তা করলে ওই শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে এবং ওই কোচিংয়ের নিবন্ধন বা অনুমোদন বাতিলযোগ্য হবে। আরো শর্ত থাকে কোচিং সেন্টারের কোনো শিক্ষক তাঁর নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারবেন না এবং তা করলে অসদাচরণ গণ্যে শাস্তিযোগ্য হবে।

উপধারা ৪-এ বলা হয়েছে, ৩০ ধারায় বর্ণিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য উদ্দেশ্যে যেকোনো স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে ভর্তির বিধান থাকার ক্ষেত্রে ভর্তীচ্ছু প্রার্থীদের জন্য, চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীদের জন্য, বিদেশি কারিকুলামের শিক্ষার্থীদের এ-লেভেল

ও-লেভেল, আইএলটিএস, জিআরই বা অনুরূপ কোনো উদ্দেশ্যে কোচিং সেন্টার পরিচালনা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা বা পাঠদান করা এই আইন বা এই ধারার অধীনে নিষিদ্ধ বা দণ্ডনীয় বলে গণ্য হবে না। তবে এখানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান চলার সময়ে বা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং করালে তা অসদাচরণ গণ্যে শাস্তিযোগ্য হবে।

উপধারা ৫-এ বলা হয়েছে, ৩০ ধারার অধীন কোনো কোচিং সেন্টার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষ নির্ধারিত আইন দ্বারা নিবন্ধন ব্যতিরেকে পরিচালনা করা যাবে না। একই কোচিং সেন্টারে দেশি শিক্ষাক্রম ও বিদেশি শিক্ষাক্রমের পাঠদান পরিচালনা করা যাবে না। এই ধারা লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব তিন বছর কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

আইনের ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বাংলা মাধ্যম বা ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেতন, টিউশন বা অন্যান্য ফি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হবে।

জানা যায়, ২০১১ সাল থেকেই শিক্ষা আইন নিয়ে কাজ শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে একাধিকবার মতামত নেওয়ার পর খসড়া তৈরি হয় এবং একবার মন্ত্রিসভায়ও উপস্থাপন করা হয়েছিল, কিন্তু নানা অসংগতির কারণে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এবারের খসড়াটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।সূত্রঃকালেরকন্ঠ

নিউজ ডেস্ক।।

মাস্টার্স এবং অনার্স শেষ বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীরাই পরীক্ষা চলাকালে নিজেদের প্রবেশপত্র দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট হলে প্রবেশ করতে পারবে এবং পরীক্ষা শেষ হলেই হল ত্যাগ করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে আয়োজিত পরিবেশ পরিষদের এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, পরীক্ষার সময়সূচী অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুধু মাস্টার্স এবং অনার্স শেষ বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের আগামী ১৩ মার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে হলে থাকার সুযোগ দানের বিষয়টি সভায় অবহিত করা হয়। সভায় জানানো হয়, পরীক্ষার প্রবেশপত্রধারী সংশ্লিষ্ট আবাসিক শিক্ষার্থীরা শুধু পরীক্ষা চলাকালে হলে অবস্থান করতে পারবেন এবং পরীক্ষা শেষ হলেই হলত্যাগ করবেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা চান। ছাত্র সংগঠনের নেতারা এসব উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সজল আহমেদ।।

স্কুল-কলেজ খুললে সব শ্রেণির জন্য খোলা হবে। তবে ক্লাসের ক্ষেত্রে ২০২১ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শ্রেণির অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি বছর অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ওই সিলেবাসের আলোকে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করার কথা জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে। স্কুল-কলেজ যখনি খোলা হোক সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

জানা যায়, করোনা মোকাবিলায় জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাউশি মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।  সরকারের নির্দেশনা পেলে সবার জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। কেবল এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য স্কুল-কলেজ খোলা হবে না।

তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ খোলা হলে ক্লাসের ক্ষেত্রে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। তাদের সপ্তাহে ৬ দিনই ক্লাস করানো হবে। অন্য শ্রেণির জন্য সপ্তাহে এক বা দুইদিন ক্লাস নেওয়া হবে।

অনলাইন ডেস্ক।।

মঙ্গলগ্রহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশযান হোপ মিশন থেকে প্রথম ছবি এসে পৌঁছেছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার লালগ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে হোপ। যার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের প্রথম আরব দেশ হিসেবে পৃথিবীর নিকটতম গ্রহের কক্ষপথে পৌঁছায় আমিরাত।

হোপ মঙ্গলগ্রহের প্রথম যে ছবি পাঠিয়েছে সেটি মানুষের হাতে পৌঁছানো লাল এই গ্রহের ‍অন্যান্য ছবির মতই।

হোপকে মঙ্গলের প্রশস্ত কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। তাই সেটি পৃথিবীর আবহাওয়া এবং জলবায়ু নিয়েও গবেষণা করতে পারবে।

এটির পাঠানো ছবিতে উপরে বাঁ দিকে মঙ্গলের উত্তর মেরু দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রে মাউন্ট অলিম্পাসের একপাশে ‍মাত্র সূর্যদোয় হচ্ছে, ‍অন্যপাশ এখনও অন্ধকার।

সৌরজগতের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি এই মাউন্ট অলিম্পাস। এক লাইনে তিনটি আগ্নেয়গিরি মাউন্ট অ্যাসক্রাউস, মাউন্ট পাভোনিস এবং মাউন্ট আরসিয়া দেখা যাচ্ছে।

অভিযানের এক টুইটপোস্টে বলা হয়, হোপ প্রোবের পাঠানো মঙ্গলের প্রথম ছবি নিশ্চিতভাবেই আমাদের জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত। একইসঙ্গে এটা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে মহাকাশ গবেষণায় নিযুক্ত অগ্রসর দেশগুলোর কাতারে যুক্ত করল।

এতে বলা হয়, আশা করছি এই অভিযানে মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে নতুন তথ্য আবিষ্কার হবে, যা মানবজাতির স্বার্থে কাজে লাগবে।

নিউজ ডেস্ক।।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। পাশের হার শতকরা ৯৯ দশমিক ৯৯২ ভাগ।

ইতোপূর্বে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে এমন নিবন্ধিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৪ হাজার ৯৯৫ জন। চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৪ হাজার ৯৯০ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ জন ‘এ(+)’ ৬৯১ জন ‘এ’ ৪ হাজার ৭০২ জন ‘এ(-)’ ১৭ হাজার ১৭৯ জন ‘বি’, ৩৬ হাজার ২৯৩ জন ‘সি’ এবং ৬ হাজার ১২১ জন ‘ডি’ গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছে।

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৬ হাজার ২২৫ জন ছাত্র এবং ২৮ হাজার ৭৩৫ জন ছাত্রী। রোববার বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক আবুল কাসেম শিকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিস্তারিত জানার জন্য https://exam.bou.edu.bd/ http://www.bou.ac.bd/result.php সাইটে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক।।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চলমান টিকাদান কর্মসূচিতে প্রতিদিন অন্তত দুই লাখ মানুষ টিকা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সেইসঙ্গে তিনি সন্দেহ পোষণ না করে সবাইকে করোনা টিকা গ্রহণের আহ্বান করে বলেছেন, এ টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

রোববার নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকায় করোনা ডেডিকেটেড ৩০০ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় তিনি টিকার ব্যাপারে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে গণমাধ্যম কর্মীদেরও এ টিকা গ্রহণ করে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেন। খবর ইউএনবির

নিউজ ডেস্ক।।

টেস্ট সিরিজ হারের জন্য কোচ ও অধিনায়কের কাছে জবাব চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আজ শনিবার উইন্ডিজের কাছে সিরিজ হারের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই কথা জানান।

তিনি বলেন, আমি চেয়েছিলাম রিয়াদকে কিন্তু ওরা নিয়েছে সৌম্যকে।উল্লেখ্য, আজ ২৩১ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসে তামিমরা। শেষ পর্যন্ত মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট মাত্র ১৭ রানে হারে বাংলাদেশ। এতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো মুমিনুল বাহিনী।

নিউজ ডেস্ক।।

কৃষিভিত্তিক ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা এসএসসি ও এইচএসসিতে মোট জিপিএ (চতুর্থ বিষয় বাদে) ৮ থাকতে হবে। তবে এক্ষেত্রে পৃথকভাবে এসএসসি ও এইচএসসিতে উভয়টিতেই জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে।

নির্ধারিত তারিখে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এমসিকিউ পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনের তারিখসহ ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পরবর্তীতে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্ব-স্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

নিউজ ডেস্ক।।

করোনাভাইরাস মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে কওমি মাদ্রাসা ছাড়া দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

রোববার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের এ তথ্য জানান।

তবে ছুটি চলাকালে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

নিউজ ডেস্ক।।

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো জাপান। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রাজধানী টোকিওর কাছে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র ছিল টোকিও থেকে ৩০৬ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপূর্বে। স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৭টা ৩৭ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৬০ কিলোমিটার।

নিউজ ডেস্ক।।

করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ ছুটি আবারও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। ছুটি আরও ১৫ দিন নাকি ৩০ দিন বাড়ানো হবে সে বিষয়ে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি চলমান ছুটি আরও বাড়াতে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ কারণে আগামী ১৫ বা ৩০ দিন নতুন করে ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলে তা পাস করা হবে।’

জানা গেছে, নতুন করে ছুটি বাড়ানোর সময়গুলোতে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে সংসদ টিভি, রেডিও, অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকবে। করোনা সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক।।

আনুষ্ঠানিকভাবে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন আব্দুর রাজ্জাক এবং শাহরিয়ার নাফিস। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্টের তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্নভোজন বিরতির সময় আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দেন আবদুর রাজ্জাক ও শাহরিয়ার নাফিস।

এ সময় তাদের জন্য বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram