শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪

মোঃ মিজানুর রহমান (ডোফুরা), দিনাজপুর ।।

" বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ " সংশোধন করে সংশোধিত জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান।

১ ডিসেম্বর, ১৯ রোববার দুপুর ১২টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম-দিনাজপুর জেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সদস্য সচিব মোঃ মেহরাব আলী প্রধান অতিথি হিসেবে মানববন্ধনে সংগঠনের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

 

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন - মোঃ সাদি, জাহিদ হাসান, ফারিয়া শারমিন, মোঃ শরিফুল, সাজ্জাদ, জুয়েল, হাবিবুর রহমান, নুর ইসলাম, বাবু, সাজমিন সুলতানা, লিপি, ফেরদৌসী, গ্যালি বিনতে শিরিন, রেজা পারভীন, রেজওয়ানা, মাহবুবা, আজমল, আনিসুর, বন্দে আলী, সাফিউল, সুফিয়া বেগম, মোঃ মোস্তফা, নুরে আলম সিদ্দিক, শাহ নুর খান, রবিউল ইসলাম, শফিকুর রহমান, এনামুল হক, মোকসেদুল মানিক, আশরাফুল, মাহবুব বিন শাহাবুদ্দিন, কিশোর, খোকন, আ. মান্নান, রমজান, টুম্পা, রুমানা, মল্লিকা, সুদীপ, ইউসুফ, তাহের, রাশেদ, মঞ্জুরুল, শারমিন, রাসেল, স্বপনপ্রীতি, গোলাম সর‌ওয়ার, জসিমউদ্দিন, মামুন আসাদ ও জেলা আহ্বায়ক মহাদেব শর্মা প্রমূখ।

মানববন্ধনে স্মারকলিপিতে বলা হয়, সংশোধিত জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ তে বেসরকারি কলেজে কর্মরত অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক এবং সংগঠনের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে পর্যালোচনা ও সুপারিশ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হোক। পরিশেষে জানানো হয় - স্বাধীনতা পঞ্চাশ বছরে মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্তি ও এমপিও প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হোক।

বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে গঠিত কমিটির প্রথম সভা আগামীকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এদিন সকালে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন কমিটির আহ্বায়ক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ।

এর আগে গত ১২ নভেম্বর বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক মাসের মধ্যে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুপারিশ করতে বলা হয়েছে এ কমিটিকে। কমিটিতে ননএমপিও শিক্ষক নেতারাও সদস্য হিসেবে আছেন। স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংস্কারের সুপারিশ করবে এ কমিটি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কোন কোন দিক থেকে এমপিও নীতিমালা সংশোধন বা সংস্কার করা যেতে পারে সে বিষয়ে ১ম সভায় আলোচনা করবে কমিটি।

জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, এনটিআরসিএ, ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে আছেন। আর বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার উপসচিবকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।

এছাড়া নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার এবং সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ রায়কে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তবে, কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপট করতে পারবে। জানা গেছে, আগামী ১ মাসের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুপারিশ করবেন।

২০২০ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি অনুমোদন করেছে সরকার। ছুটির তালিকার বিভিন্ন পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারো প্রধান শিক্ষকের সংরক্ষিত ৩ দিনের ছুটিসহ বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ছুটি থাকবে মোট ৮৫ দিন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি মাধ্যমিক-১ শাখার উপ-সচিব ড. মো. মোকসেদ আলী স্বাক্ষরিত ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য ছুটির মধ্যে পবিত্র রমজান, মে দিবস, বুদ্ধ পূর্ণিমা, বৈশাখী পূর্ণিমা, শবে কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৫ এপ্রিল থেকে ৩০ মে ৩১ দিন ছুটি থাকবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, আগামী বছর মুজিববর্ষ পালন ও এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষাপঞ্জি যথাযথভাবে অনুসরণ এবং দিবসগুলো গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হচ্ছে কি-না তা কঠোরভাবে মনিটর করা হবে।

এছাড়া ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে ২০ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট ১৬ দিন বন্ধ পাবে স্কুলগুলো। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২২ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ৭ দিন এবং শীতকালীন অবকাশ, বিজয় দিবস, যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন বা বড় দিন উপলক্ষ্যে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ দিন ছুটি থাকবে।

পরীক্ষার সময়সূচিতে ১৩ জুন থেকে ২৫ জুনের মধ্যে অর্ধ-বার্ষিক/প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা, ৩ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচনী পরীক্ষা এবং ২৮ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

মোট ১২ দিনের মধ্যে এসব পরীক্ষা গ্রহণ করে ফলাফল যথাক্রমে ১১ জুলাই, ৫ নভেম্বর ও ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর। প্রথম কর্মদিবস অর্থাৎ ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক দিবস হিসেবে উদযাপন করতে হবে।

প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উল্লেখিত পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা, নির্বাচনী পরীক্ষা ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করবে এবং বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অন্তত এক বছর সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি পরীক্ষার সময়কাল ১৪ দিনের বেশি হবে না।

সব বিদ্যালয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (পাবলিক পরীক্ষা ছাড়া) নিজেরাই প্রণয়ন করবে। কোনো অবস্থাতেই বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র
কিনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।

পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না। তবে বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে।

সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্রবার) ছাড়া বছরে মোট ছুটি ৮৫ দিন। সরকার যেসব দিনকে সাধারণ ছুটি (পাবলিক হলিডে) ও নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি বলে ঘোষণা করবে সেসব দিন ওই ৮৫ দিনের অন্তর্ভুক্ত হবে

সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না এবং সংবর্ধনা/পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। সংবর্ধিত/পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।ছুটির সময় ভর্তি বা অন্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে। উপবৃত্তি, ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ইত্যাদি পরীক্ষার প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে।

জেএসসি/এসএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষাকেন্দ্র ছাড়া অন্য বিদ্যালয়গুলোতে যথারীতি শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকবে।

প্রত্যেক বিদ্যালয়ে দৈনিক পাঠ বিবরণী নামে ডায়েরি ছাপাতে হবে ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তা বিলি করতে হবে। এ ডায়েরি ছাত্র/ছাত্রী পরিচিতি, অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ, ছাত্র/ছাত্রীদের আচরণবিধি, শিক্ষকদের নাম ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষার জরুরি নির্দেশনাবলী, ছুটির তালিকা ও ক্লাস রুটিন (এতে প্রতিদিন অভিভাবকের সই নিতে হবে) অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবস, যেমন- ১১ ফেরয়ারি, ১৭ মার্চ, ২৬ মার্চ, ১৫ আগস্ট ও ১৬ ডিসেম্বর ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে সংশ্লিষ্ট দিবসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপন করতে হবে।

প্রতিটি বিদ্যালয়ের সরকার ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা আয়োজন ও শিক্ষা সপ্তাহ পালন করতে হবে।

বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে গঠিত কমিটির প্রথম সভা বুধবার (৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিকাল টায় অনুষ্ঠিব্য সভায় সভাপতিত্ব করবেন কমিটির আহ্বায়ক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এডুকেশন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন এমপিও নীতিমালা সংশোধন কমিটির কাছে পৃথকভাবে কয়েকদফা সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করেছে।

বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে গঠিত কমিটি আগামী ১ মাসের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুপারিশ করবেন।

এর আগে গত ১২ নভেম্বর বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক মাসের মধ্যে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের সুপারিশ করতে বলা হয়েছে এ কমিটিকে। কমিটিতে ননএমপিও শিক্ষক নেতারাও সদস্য হিসেবে আছেন। স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংস্কারের সুপারিশ করবে এ কমিটি।

কমিটির আহ্বায়ক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ।এছাড়া কমিটিতে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, এনটিআরসিএ, ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে আছেন। আর বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার উপসচিবকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার এবং সাধারণ সম্পাদক ড. বিনয় ভূষণ রায় এ কমিটির সদস্য।

মো. সাইফুর রহমান।।

বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্য পূরণে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য পূরণের জন্য দরকার মানসম্মত শিক্ষা। মানসম্মত শিক্ষা ছাড়া এসডিজি লক্ষ্য পুরণ করা সম্ভব নয়। এজন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন দরকার। শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতিই পারে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রধান হাতিয়ার হলো কম্পিউটার। প্রাইমারী স্কুল থেকে শুরু করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় কম্পিউটার ও আইসিটি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হলেও কম্পিউটার শিক্ষকের অভাবে এসব ল্যাব অচল হয়ে পড়ে আছে। সরকারী স্কুল ও কলেজে এখনো কোনো আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারেনি সরকার। অন্য বিষয়ের শিক্ষক বা পারটাইম শিক্ষক দিয়ে ক্লাস/ল্যাব পরিচালনা করে আসছে। আর বেসরকারী (স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা ও এমপিও,ননএমপিও)শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা আরও নাজেহাল।

ফলে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক না থাকার প্রধান কারণ হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এনটিআরসিএ ও মাউশির সমন্বয় হীনতা। কোনো সমন্বয় না করেই একেক সময় একেক ধরনের পরিপত্র জারী করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় হঠাৎ ১৪ জুন ২০১৫ সালে এক পরিপত্রজারি করে এতে বলা হয়, জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১০ ( সংশোধিত ২০১৩) এর পরিশিষ্ঠ-ঘ, সহকারী শিক্ষক কম্পিউটার শিক্ষাগত যোগ্যতা পরিবর্তন করা হল। সহকারী শিক্ষক কম্পিউটার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক অথবা তিন বছর মেয়াদী কম্পিউটার ডিপ্লোমা। যা নীতিমালা-২০১০ এ যেকোনো বিষয়ে ২য় শ্রেণীর স্নাতক ডিগ্রীসহ সরকার অনুমোদিত যে কোনো প্রতিষ্ঠান হতে ন্যূনতম ৬(ছয়) মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের আবেদনের সুযোগ ছিল।

এ নিয়ম কার্যকর হওয়ার কথা পরবর্তী অর্থাৎ ১৩ তম নিবন্ধন পরীক্ষা থেকে। আর ১ম -১২ তমরা যেহেতু আগের নীতিমালা ও বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সনদ অর্জন করেছে এবং সনদের মেয়াদ আজীবন। কিন্তু এনটিআরসিএ ১ম-১২ তমের উপর এই শর্ত আরোপ করে। আবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১১ নভেম্বর ২০১৫ সালে আর একটি পরিপত্র জারি করে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা এনটিআরসিএকে দেয়। যা আগে সনদ প্রদানের ক্ষমতা ছিল এনটিআরসিএর হাতে আর নিয়োগ দানের ক্ষমতা ছিল প্রতিষ্ঠানের কমিটির হাতে।

এ পরিপত্রে বলা হল-এনটিআরসিএ প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শুন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করে, পিএসসির আদলে (প্রীলিমিনারী, লেখিত, ভাইভা) একটি নিবন্ধন পরিক্ষার গ্রহনের মাধ্যমে উপজেলা, জেলা ভিত্তিক শুন্যপদে মেধার ভিত্তিতে ১জন প্রার্থীকে সুপারিশ করবে। সনদের মেয়াদ হবে ৩ বছর। কিন্তু ১-১২ তমের সার্টিফিকের মেয়াদ ছিল আজীবন। এনটিআরসিএ ২০১৬সালে প্রথম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে করে ১ম -১২ তম নিবন্ধন সনদ অর্জনকারীর অনেকেই সনদের বৈধতা হারায়। ছয়মাস মেয়াদী সনদধারী সহকারী শিক্ষক, কম্পিউটার আবেদন করতে না পেরে, তারা আদালতের দ্বারস্থ হলে আবেদনের সুযোগ পায় এবং মহামান্য হাইকোর্ট ছয়মাস মেয়াদী ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষে রায় দেয়। ১০৯৫ টি শুন্যপদের মধ্যে মাত্র ৩৪৪ জন নিয়োগ পেয়েছে এবং অবশিষ্ট ৭৫১টি পদে অন্যকোনো প্রার্থী সুপারিশ করেনি এনটিআরসিএ।

এদিকে অন্যান্য পদের নিবন্ধিত পার্থীরা তাদের সনদের বৈধতা ফিরে পেতে মহামান্য হাইকোটে ১৬৬টি মামলা দাখিল করে এনটিআরসিএ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে এনটিআরসিএ ২০১৫ সালের নতুন পরিপত্র অনুযায়ী ১৩ তম ও ১৪ তম নিবন্ধন পরীক্ষা সম্পন্ন করে। কিন্তু এনটিআরসিএ পরিপত্র অনুযায়ী ১৩ তমের নিয়োগ দিতে তালবাহানা শুরু করলে ১৩তমরা আদালতের আশ্রয় নেয় এবং দাবি অনুযায়ী তারা রায় পায়। কিন্তু এনটিআরসিএ আবার আপিল করে যা বর্তমান চলমান। ১৪ই ডিসেম্বর,২০১৭ সালে মহামান্য হাইকোট ৭ টি নির্দেশনা দিয়ে ১৬৬ মামলার মিমাংশিত রায় প্রদান করে। তার ১ নং নির্দেশনা ছিল-নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সনদের মেয়াদ বহাল থাকবে এবং ২নং-রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৯০দিনের মধ্যে উত্তীর্ণদের নিয়ে জাতীয় মেধা তালিকা করতে হবে।

এনটিআরসিএ রায় অনুযায়ী জাতীয় মেধা তালিকা তৈরি করে এবং ছয় মাস মেয়াদী কম্পিউটার ডিপ্লোমা সহ সকল নিবন্ধনধারী স্থান পায়। আবার ১২ই জুন,২০১৮ সালে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ জারি করে।

এনটিআরসিএ গত ২৪ই জানুয়ারী, ২০১৯ ইং তারিখে ২য় চক্রে ৩৯৩১৭ জন প্রার্থী সুপারিশ করে। কিন্তু এ নিয়োগে জাতীয় মেধা থেকে সুপারিশ পেয়েও যোগদান করতে পারেনি প্রভাষক “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” ও কম্পিউটার অপারেশন এবং সহকারি শিক্ষক “ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির” সুপারিশকৃত প্রার্থীরা। কেননা ২৯ জানুয়ারী,২০১৯ সালে এনটিআরসিএ একটি নোটিসে জানায় ‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমানা-২০১৮” অনুযায়ী যোগ্যতা না থাকায় ৬ (ছয়) মাস মেয়াদী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নিবন্ধনধারীরা যোগদান করতে পারবে না। যদিও জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালার-২০১৮ জারির আগে পাশকৃতদের বাদ দেওয়ার কথা নয়। কারণ বিভিন্ন নিবন্ধন পরীক্ষার সার্কুলার ও মহামান্য হাইকোটের রায় অনুযায়ী তাদের যোগ্যতা সঠিক ছিল। উল্লেখ্য ১ম হতে ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রভাষক আইসিটি ও কম্পিউটার অপারেশন পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল কম্পিউটার/আইসিটিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর অথবা বিজ্ঞান বিভাগে(পদার্থ, রসায়ন, গণিত, পরিসংখ্যান, প্রানীবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান) ২য় শ্রেণীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রীসহ সরকার অনুমোদিত যে কোনো প্রতিষ্ঠান হতে ন্যূনতম ৬(ছয়) মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।

কিন্তু ‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমানা-২০১৮” তে শুধু কম্পিউটার বিজ্ঞান/আইসিটিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কথা বলা হয়েছে। যেহেতু ২০১৫ সালের পরিপত্র অনুযায়ী পিএসসির আদলে প্রীলি, লেখিত, ভাইভা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেহেতু একটি নিবন্ধন পরীক্ষা শেষ করতে এক বছরের অধিক সময় লেগে গেছে। তাই ১৩ ও ১৪ তমদের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের নীতিমালা প্রযোজ্য হওয়ার কথা নয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৩তম ও ১৪তম নিবন্ধন পাশ করলেও জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালার- ২০১৮ কারনে কোনো নিয়োগের আগেই অযোগ্য ঘোষিত হয়েছে ছয়মাস মেয়াদী আইসিটি প্রভাষকরা। যদি নিয়োগের আগেই অযোগ্য যোষিত হয় তাহলে ১৩ ও ১৪ তম প্রভাষক, আইসিটি পদে পাস করানো হলো কেন, বিষয়টি বোধগম্য নয়।

এ পর্যন্ত এনটিআরসিএ সহকারী শিক্ষক, কম্পিউটার পদে ১৯০৯০টি ও প্রভাষক, আইসিটি পদে ৩৫৫৬টি এবং কম্পিউটার অপারেশন পদে ৯১৬ টিসহ মোট ২৩৫৬২টি সনদ প্রদান করে। কিন্তু এমপিও ও নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০ (ত্রিশ) হাজারের উপরে এবং নীতিমালা অনুসারে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে একজন আইসিটি শিক্ষক বাধ্যতামুলক করা হয়েছে।

প্রতি ক্লাসে ৫০ জনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী থাকলে আরও শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া বিধান রয়েছে। এ হিসাবে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা) ৪০ (চল্লিশ) হাজারের উপরে আইসিটি শিক্ষক প্রয়োজন। কিন্তু এনটিআরসিএ আইসিটি পদে সর্বমোট সনদ দিয়েছে ২৩৫৬২টি। যেখানে ছয় মাস মেয়াদী ডিপ্লোমাসহ নিবন্ধনধারী ২৩৫৬২জন। সেখানে কিভাবে এনটিআরসিএ ছয়মাস মেয়াদীদের বাদ দিয়ে শুধু কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রীধারীদের দিয়ে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা পুরণ করবে? বলা বাহুল্য কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে চাকুরি করে, আর বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেতন ভাতা খুবই সামান্য। ছয়মাস মেয়াদীরা পিএসসি আদলে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। জাতীয় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও কেনো নিয়োগ বঞ্চিত হবে। মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএতে যোগাযোগ করা হলে এক পক্ষ আর এক পক্ষের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএর সমন্বয়হীনতা এবং বার বার নীতিমালা পরিবর্তনের কারণে শিক্ষক সংকটের শুরু হয়েছে। ছয়মাস মেয়াদী ডিপ্লোমা ধারীরা আদালতের রায় থাকা শর্তেও নিয়োগ বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আজ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার পদ শুন্য থাকা শর্তেও শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ছাত্রছাত্রীরা তাদের মাল্টিমিডিয়া ক্লাসসহ সব ধরনের আইসিটি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব কারণে সরকারের যে স্বপ্ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া, তা ব্যহত হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে সরবরাহকৃত, কম্পিউটার ও কম্পিউটার ল্যাব পরিচালনার অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এসব কারণে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালার-২০১৮ এর কারণে হাজার হাজার নিবন্ধিত প্রার্থী তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই নীতিমালা সংশোধন করে, বিষয়টি সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং নিবন্ধিত সকল শিক্ষকে নিয়োগ দিয়ে,আইসিটি শিক্ষার মান উন্নত করে, এসডিজি লক্ষ্য পূরণে এক ধাপ এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।
লেখক: মো. সাইফুর রহমান, সহকারী শিক্ষক (গণিত), বাহুবল, হবিগঞ্জ।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্র জানিয়েছে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করা হতে পারে ।

 

এ বিষয়ে ডিপিই’র মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, শিক্ষক নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষার ফল আসতে কিছুটা দেরি হয়েছে। চূড়ান্ত ফল তৈরির কাজ চলছে। সারাদেশ থেকে আসা মৌখিক পরীক্ষার ফল বুয়েটে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৬ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে তা প্রকাশ করা হতে পারে। এ নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে সারা দেশ থেকে সাড়ে ১৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।

মহাপরিচালক আরও বলেন, চলমান নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর সারা দেশে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। আগামী সপ্তাহে এ প্রস্তাব সচিব কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলে প্রজ্ঞাপন জারি করে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গত বছরের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশ থেকে ২৪ লাখ ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

গত সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন।

ফেসবুকে দাবিদাওয়া সংবলিত স্ট্যাটাসের জেরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) গণিত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী কবির আল গালিবের মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

১ ডিসেম্বর, রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে প্রেরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কবির আল গালিব, আইডি নং- ২০১৩১২০৩০৭৩ এর দাবি নামা সম্বলিত স্ট্যাটাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত শৃঙ্খলা বিধির ৫ (ক) ধারা ভঙ্গ করার সামিল এবং বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিধায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি শৃঙ্খলা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী তাকে চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলা হলো।"

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী এই সিন্ধান্ত নেয়া হয়ছে।

চলতি বছরের জন্য বাংলা একাডেমি পরিচালিত চারটি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো হলো- মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার, সা'দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার, মেহের কবীর বিজ্ঞান সাহিত্য পুরস্কার এবং হালীমা-শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার। গতকাল সোমবার একাডেমির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার পেয়েছেন কবি মহাদেব সাহা। কথাসাহিত্যিক পাপড়ি রহমান ভূষিত হয়েছেন সা'দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কারে। মেহের কবীর বিজ্ঞান সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক শিশির কুমার ভট্টাচার্যকে। নিসর্গ আখ্যান গ্রন্থের জন্য হালীমা-শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার পেয়েছেন মোকারম হোসেন। তিনি সমকালের খণ্ডকালীন প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছেন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে।

সঠিক পরিচর্যা না করায় গ্রামের শিশুরা শিক্ষায় তুলনামূলক কম পারদর্শী। এসব ক্ষেত্রে তিন থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের প্রাক প্রাথমিকের পাশাপাশি বাড়িতে বিশেষ নজর দিলে তারা বেশি পারদর্শী হয়ে ওঠার সুযোগ পায়। 'বাংলাদেশের প্রাক শৈশব শিশুর মেধা বিকাশ উন্নয়ন' শীর্ষক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

খুলনা ও সাতক্ষীরার পাঁচ উপজেলার ৪০টি গ্রামের প্রায় সাত হাজার শিশুর ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। গবেষণাটি করেন অস্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবলিটির পরিচালক আসাদ ইসলাম।

তিনি গবেষণায় প্রাক-শৈশব স্তরের শিশু ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিভাবে শিশুদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো যায় সেটা দেখার চেষ্টা করেছেন। প্রাথমিক স্কুলে লেখাপড়া করার আগে স্কুলে যাওয়ার উপযোগী করে তোলার জন্য দুই বছর হতে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের নিয়ে চার বছর ধরে গবেষণাটি করা হয়।

এ গবেষণায় তিনটি ধাপ অনুসরণ করা হয়েছে। এতে অংশ নেওয়া শিশুদের জন্য আওতাভুক্ত গ্রামগুলোতে একটি করে প্রি-স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেখানে কিছু শিক্ষার্থীকে বিনামূলে পড়াশোনা করানোর ব্যবস্থা করেন গবেষক। কিছু কিছু জায়গায় স্কুলের পাশাপাশি শিক্ষকদের দিয়ে বাড়িতে গিয়ে (হোম ভিজিট) শিশুদের মায়েদেরও বিশেষ দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করানো হয়। এছাড়া শুধু প্রি-স্কুল না করে শিক্ষকরা বাড়িতে গিয়ে শিশুদের মায়েদের দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করেন।

সোমবার খুলনা নগরীতে হোটেলে ওই গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন গবেষক। তিনি বলেন, দেখা গেছে যেসব প্রি-স্কুলের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে মায়েদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে তাদের শিশুরা শিক্ষায় তুলনামূলক বেশি পারদর্শী হয়েছে।

গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবদুল জব্বার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ।

ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং

নির্মল ইন্দু সরকার, প্রভাষক

সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ঢাকা

প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীবৃন্দ, তোমাদের জন্য আজ ‘ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং’ বিষয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক (ক,খ) প্রশ্ন উত্তরসহ দেয়া হলো।

৬৮। পে-ব্যাক সময় পদ্ধতি কী?

উত্তর: কোন বিনিয়োগ থেকে মোট বহির প্রবাহ প্রাপ্তির সময়কালকে পে-ব্যাক সময় বলে। যদি পে-ব্যাক সময় সর্বোচ্চ পে-ব্যাক সময় এর তুলনায় কম হয় তখন প্রকল্প গ্রহণযোগ্য হবে অন্যথায় প্রকল্প বাতিল বলে গণ্য হবে।

৬৯। পণ্য বৈচিত্রায়নে মূলধন বাজেটিং পদ্ধতির ব্যবহার ব্যাখ্যা কর?

উত্তর: কোম্পানি তার ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য চলমান পণ্যের পাশাপাশি নতুন পণ্য বাজারে ছাড়ার প্রয়োজন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ কোনো কোম্পানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনয়নের জন্য আমের জুসের পাশাপাশি কমলার জুস বা আপেলের জুস বাজারে ছাড়ার চিন্তা করতে পারে। নতুন পণ্য বাজারে ছাড়ার ক্ষেত্রে নতুন পণ্যে আয়ুষ্কাল, পণ্যের উত্পাদন খরচ, বাজার চাহিদা, পরিচালনা খরচ এবং সম্ভাব্য আয় প্রাক্কলন করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এক্ষেত্রে মুলধন বাজেটিং এর প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়।

৭০। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য কী?

উত্তর: একটি প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মুনাফা অর্জন। যে কোনো প্রতিষ্ঠান তার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বিক্রয় বৃদ্ধির চেষ্টা করে। যার ফলে মুনাফা বৃদ্ধি পায়।

৭১। মূলধন বাজেটিং এ বাট্টা হার দ্বারা কী বুঝায়?

উত্তর: মূলধন বাজেটিং এ বাট্টার হার দ্বারা মূলধন খরচকে বোঝানো হয়?

৭২। কোন পদ্ধতিতে প্রত্যাশিত নগদ প্রবাহের পরিবর্তে প্রত্যাশিত নিট মুনাফা বিবেচনা করা হয়্?

উত্তর: গড় মুনাফার হার পদ্ধতিতে প্রত্যাশিত নগদ প্রবাহের পরিবর্তে প্রত্যাশিত নিট মুনাফা বিবেচনা করা হয়।

৭৩। চলতি ব্যয় কী?

উত্তর: চলতি ব্যয় বলতে বোঝায় প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রতিদিন যে খরচ গুলো করতে হয়। যেমন : কাঁচামাল ক্রয় বাবদ খরচ, কর্মচারীদের বেতন এবং অন্যান্য পরিচালন খরচ।

৭৪। স্থায়ী ব্যয় কী?

উত্তর: কোন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১ বছরের বেশী ব্যবহূত কোন সম্পত্তি ক্রয়ের জন্য যে খরচ তাকে স্থায়ী ব্যয় বলে। স্থায়ী খরচ বলতে বুঝায় অফিস খরচ, বিমা খরচ, মেশিনারিজ ক্রয়ের খরচ প্রভৃতি।

৭৫। কোনটি তহবিল সংগ্রহকারিদের জন্য মূলধন খরচ হিসেবে পরিগণিত হয়?

উত্তর: প্রত্যাশিত আয়।

৭৬। মূলধন খরচ বলতে কি বুঝায়?

উত্তর: বিভিন্ন উত্স থেকে সংগৃহীত মূলধনের মালিকদের প্রত্যাশিত আয় মেটাতে প্রতিষ্ঠানকে তার বিনিয়োগের উপর সর্বনিম্ন যে হারে আয় করতে হয়, সে হারকে মূলধন খরচ বলে। কোন প্রতিষ্ঠান যদি মূলধনের ওপর ১২% হারে সুদ দেয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানকে তার বিনিয়োগের ওপর ন্যূনতম ১২% মুনাফা আয় করতে হবে নতুবা ঐ প্রতিষ্ঠান তার খরচ মিটিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশিত আয় মেটাতে পারবে না।

৭৭। কোনটিকে সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়?

উত্তর: সঠিক মূলধনি খরচ নির্ণয়।

৭৮। কাম্য ঋণনীতি বলতে কি বোঝায়?

উত্তর: কাম্য ঋণনীতি বলতে প্রতিষ্ঠানের মোট মূলধনের কত অংশ ধার বা ঋণ থেকে সংগ্রহ করা হয় তাকে বোঝায়। কোন প্রতিষ্ঠান এর ইক্যুইটি ও ঋণের সমষ্টি হলো মোট মূলধন। এক্ষেত্রে একটির খরচ বেশি হলে অপরটির খরচ সর্বনিম্ন রাখার যে নীতি তাই কাম্য ঋণনীতি।

৭৯। প্রত্যাশিত আয়ের হার বেশি হয় কেন?

উত্তর: যে বিনিয়োগের ঝুঁকি যত বেশি সে বিনিয়োগে বিনিয়োগকারিদের প্রত্যাশিত আয়ের হার তত বেশি হয়।

৮০। কোনটি সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বশর্ত?

উত্তর: সঠিক মূলধন খরচ নির্ণয় সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বশর্ত।

বইপ্রেমীরা সাধারণত সময় নিয়ে বই পড়তে ভালোবাসেন। তবে এমন অনেক পাঠক রয়েছেন যারা দ্রুত বই পড়তে অভ্যস্ত। কেউ তো এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ করতে চান একটি বই। এত দ্রুত একটি বই পড়ে শেষ করলে অনেকের পক্ষেই বই থেকে সব তথ্য গ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়ে; অন্য কথায় পুরোপুরি বুঝতে সমস্যা হয়। কিন্তু এমন কিছু কৌশল রয়েছে যেগুলো মানুষকে দ্রুত বই পড়ার পাশাপাশি ভালোভাবে বুঝতেও সাহায্য করে।

দ্রুত বই পড়ার জন্য প্রাচীনকাল থেকেই এমন কিছু কৌশল চালু ছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত একটি কৌশল হলো—স্কিম রিডিং। স্কিম রিডিং হলো—বইয়ের পাতায় প্রতিটি লাইনে কেবল চোখ বুলিয়ে যাওয়া এবং সেখান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বের করে বোঝার চেষ্টা করা। আর এই কাজটি সহজ করতে বইয়ের লাইন বরাবর হাতের আঙুল বা কলম ব্যবহার করা; যেন চোখ, অন্য কোনো লাইনে সরে না যায়। এতে মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না এবং চোখ ঐ নির্দিষ্ট লাইন বরাবর রাখা সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট শব্দগুলো সহজেই চিহ্নিত করা যায়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় মেটা গাইডিং।

আবার এমনও কিছু কৌশল রয়েছে যার মাধ্যমে এক সঙ্গে কয়েক লাইন পড়া সম্ভব। বর্তমানে সেই কাজটি অর্থাত্ দ্রুত বই পড়ে বোঝার জন্য বিকাশ লাভ করেছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। এখন বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে নির্দিষ্ট কিছু শব্দ লিখে দিলে, ঐ অ্যাপই পুরো বই খুঁজে আপনার জন্য শব্দগুলো বের করে দেবে। শব্দগুলো স্ক্রিনে জ্বলজ্বল করতে থাকবে। ডিজিটাল এই পদ্ধতির বদৌলতে যে কারো বই পড়ার গতি অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। তবে প্রশ্ন হলো—এই দ্রুত গতিতে পড়ার মধ্যে বইয়ের তথ্যগুলো কতটুকু বোধগম্য সেটাই বিবেচ্য।যখন এ ব্যাপারে শক্ত প্রমাণের হিসাব আসে, তখন স্পিড-রিডিং-এর সক্ষমতা উন্নত করবে বলে দাবি করা বিভিন্ন বাণিজ্যিক কোর্স এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো মূল্যায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বাধীন পর্যবেক্ষকরা একটি নিয়ন্ত্রিত অবস্থার অধীনে এই পরীক্ষাগুলো করেন না। এ ব্যাপারে ক্যালিফোর্নিয়ার, সান ডিয়েগোর প্রয়াত মনোবিজ্ঞানী কিথ রায়নার বহু বছর ধরে এমন কয়েকটি কৌশলের পিছনে থাকা গঠন পদ্ধতিগুলো মূল্যায়ন করেছেন। চোখের চলাচল অনুসরণের মাধ্যমে তিনিই প্রথম পড়ার গতি নিয়ে গবেষণা করেন। ২০১৬ সালে, তিনি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন যেখানে আমাদের পড়ার গতি বাড়ানোর চেষ্টা সম্পর্কে বিজ্ঞান কী বলতে পারে সেই বিষয়গুলো তুলে আনা হয়। যখন আমরা পড়ি, তখন আমাদের চোখের ভেতরে রেটিনার কেন্দ্রীয় অংশ সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শব্দ শনাক্ত করে। রেটিনার এই কেন্দ্রটিকে ফোভে বলা হয় যেখানে কোনজ নামের কোষ উচ্চ মাত্রায় রয়েছে। এই কোষগুলো পৃষ্ঠার হালকা এবং অন্ধকার অংশের প্যাটার্ন শনাক্ত করে এবং সেই তথ্য মস্তিষ্কে পৌঁছে দেয় যেখানে প্যাটার্নটিকে শব্দ বলা হয়।

কিছু স্পিড-রিডিং পদ্ধতির লক্ষ্য হলো—মানুষকে পেরিফেরিয়াল ভিশনের মধ্যে থাকা লেখাগুলো আরো দ্রুত পড়তে শেখানো, যাতে মানুষ একবারে একাধিক শব্দ গ্রহণ করতে পারে। পেরিফেরিয়াল ভিশন হলো—কেন্দ্রের আশেপাশের যে বিষয়বস্তুগুলো দৃষ্টির মধ্যে থাকে। তবে রেটিনার পেরিফেরি বা পরিধিতে কোনজের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম থাকে এবং এখানকার কোষগুলোকে রডস বলা হয়। কোনজের মতো রডস বইয়ের পাতার আলো ও অন্ধকার অংশের প্যাটার্ন এত ভালোভাবে শনাক্ত করতে পারে না।

তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—দ্রুত পড়তে শেখার একটি ভালো উপায় হলো নিয়মিত অনুশীলন করা। আবার আমরা কেবল আমাদের দৃষ্টি দ্বারা সীমাবদ্ধ নই। গুরুত্বপূর্ণ হলো—আপনি কোনো শব্দ কত দ্রুততার সঙ্গে শনাক্ত করতে পারছেন সেটা। যদি শব্দটি অনেক পরিচিত হয় তাহলে পড়ার গতিও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। সুতরাং সাধারণ নিয়ম বলা যেতে পারে যত বেশি পড়া হবে তত দ্রুত তা বুঝতে সুবিধে হবে।—বিবিসি

কাঠমান্ডু এসএ গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর গতকাল পদক লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্রীড়াবিদরা। দুপুরের আগেই প্রথম পদক জয়ের খবর আসে। সেটির আনন্দ শেষ না হতেই খবর আসল তায়কোয়ান্দোতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়ছে। জাতীয় সংগীত বাজছে। পোডিয়ামের সবচেয়ে ওপরে দাঁড়িয়ে সোনার ছেলে দিপু চাকমা।

 

স্বর্ণপদক জয়ের খবর দিয়েছেন রাঙ্গামাটির ছেলে দিপু চাকমা। ২৯ বছর বয়সি পুমসে ইভেন্টে ৮ দশমিক ২৮ ও ৭ দশমিক ৯৬ স্কোর করেন দিপু। এ ক্রীড়াবিদ এবারই প্রথমবার এসএ গেমসে খেলতে গিয়েছিলেন। প্রথমবারই স্বর্ণপদক জয় করে মাতিয়ে দিলেন। এই একটি স্বর্ণ ছাড়াও ২টি রৌপ্য ও ১৩টি ব্রোঞ্জসহ বাংলাদেশ ১৬ পদক জিতেছে।

এলাম দেখলাম জয় করলাম, তার পরও দিপুর কাছে মনে হচ্ছিল তিনি স্বপ্নের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছেন। সোনার ছেলে দিপু সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়ছিলেন। বললেন, ‘আমি জানি না। এখনই শুনলাম প্রথম সোনার পদক আমি এনে দিয়েছি।’ এই ক্রীড়াবিদ আন্তর্জাতিক আসরে আগেও স্বর্ণপদক জয় করেছেন।

 

কিন্তু এসএ গেমসের স্বর্ণপদক তার কাছে অন্যরকম একটি সুখ। বললেন, ‘মনে হচ্ছে দেশকে কিছু একটা দিতে পেরেছি। দেশকে কিছু একটা দিতে পেরে গর্বিত সেনাবাহিনীর সদস্য দিপু চাকমা। নেপালে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতির আয়োজনে এসএ গেমসের অনুষ্ঠানে তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানা জানিয়েছিলেন, তিনি এসএ গেমস হতে দুটি স্বর্ণপদক জয় করতে পারবেন। একটি পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আগেই ঘোষণা দিয়েছে স্বর্ণজয়ী পাবেন ৬ লাখ টাকা।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram