রবিবার, ৫ই মে ২০২৪

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের (স্নাতক) ভর্তি পরীক্ষায় এক ছাত্রীকে চান্স পাইয়ে দিয়েছেন শিক্ষক এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ‘বি’ ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) মানবিক থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। অথচ ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন তিনি। একইভাবে ‘এফ’ ইউনিটেও চতুর্থ শিফটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে (রোল-৬৪১৭৫১) অকৃতকার্য হন এই ভর্তিচ্ছু। তার নাম মিশকাতুল জান্নাত।

এদিকে ওই ছাত্রী মিশকাতুল জান্নাতের ভর্তি হওয়া নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে চলছে সমালোচনার ঝড়। এ নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলে সকল ধরনের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে প্রায় ৫০ শিক্ষকের স্বাক্ষরসহ রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোন কিছু জানেন না বলে নিজেকে নিদোর্ষ দাবি করছেন ‘বি’ ইউনিটের সমন্বয়ক এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সোহেলা মুসতারী।

মিশকাতুল জান্নাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের লেকচারার ইমরানা বারীর আপন ছোট বোন। শিক্ষকের ছোটবোন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন একইসঙ্গে ওই শিক্ষক ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রমে সরাসরি কিভাবে জড়িত থাকতে পারেন সে ব্যপারে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ভর্তি পরীক্ষায় জ্যৈষ্ঠ শিক্ষকদের বাদ দিয়ে একেবারে নতুন এবং জুনিয়র শিক্ষকদের ইউনিট সমন্বয়ক বানানো হয়েছে। প্রশ্নপত্র মডারেশন এমনকি ভর্তি পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া লাগে সে বিষয়েও ওই শিক্ষক জানেন না বলেও অভিযোগ করছেন অনুষদের অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিশকাতুল জান্নাত ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘এফ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। গত ১৯ নভেম্বর সকল ইউনিটের ফল প্রকাশ করলে এতে ‘বি’ ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) মানবিক থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তার নম্বরের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে মিশকাতুল জান্নাত এমসিকিউয়ে ৮০ এর মধ্যে ৬৭.২৫০ পেয়েছেন। যা অন্য কোন ইউনিটে আর কেউ পায়নি। তার ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার রোল ২৪০২৭৮। অথচ ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় শিফটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে (রোল-১৪১৭৫২) অকৃতকার্য হন মিশকাতুল জান্নাত। একইভাবে ‘এফ’ ইউনিটেও চতুর্থ শিফটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে (রোল-৬৪১৭৫১) অকৃতকার্য হন এই ভর্তিচ্ছু।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘দুটি ইউনিটে ফেল এবং একটি ইউনিটে অস্বাভাবিক পরিমান নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়ে আমরা গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা আসলে বিব্রতবোধ করছি। বিষয়টা যেহেতু ইউনিটের সেহেতু বিষয়টা ইউনিট সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খতিয়ে দেখবেন বলে আশা করি।’

কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচীব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘শিক্ষকদের অভিযোগপত্র পেয়েছি। ভিসি দেশের বাইরে আছেন। তাকে বিষয়টি জানানো হবে। তিনি কি সিদ্ধান্ত নিবেন সে ব্যাপারে তিনি ভালো জানেন।’

মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছেন মাদরাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের (বিএমজিটিএ) কমলনগরে উপজেলার নেতারা। বিএমজিটিএর কমলনগর উপজেলা সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন তারা।

আজ শুক্রবার উপজেলার হাজিরহাট হামেদিয়া ফাজিল মাদরাসা মিলনায়তনে উপজেলা বিএমজিটিএর সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা বিএমজিটিএর সভাপতি মাস্টার আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ আলম, মাতাব্বরনগর দারুছুন্না আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. আলী হোছাইন ও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজি উল্যাহ জুয়েল।

অনুষ্ঠানে বক্তারা, মাদরাসা শিক্ষার মানোন্নয়নের দাবি জানান। সম্মেলনে শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণের দাবি জানানো হয়।

উপজেলা বিএমজিটিএ’র সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান হোসেনের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. ফিরোজ কবির, রামগতি উপজেলা শাখার সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, কমলনগর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন বাচ্চু, অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. ফারুক ও সদস্য রশিদুল ইসলাম প্রমুখ।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আদলে মাদ্রাসার প্রাথমিক স্তরের ছাত্রীদের কল্যাণে হলদে পাখির ঝাঁক গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রয়োজনয়ীয় ব্যবস্থা নিতে মাদ্রাসা প্রধানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাদ্রাসা অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

হলদে পাখির ঝাঁক গঠনের মাধ্যমে ছাত্রীদের নিয়ম-শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তীতা ও শিশুকাল থেকেই গণতন্ত্র চর্চার অভ্যাস গড়ে উঠবে। ছাত্রীদের বয়সভিত্তিক একে অপরের সাহায্যে দেশে-বিদেশে গার্ল গাইডদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করবে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ গার্লস গাইড অ্যাসোসিয়েশন মূলত মেয়েদের বয়সের ভিত্তিতে চারটি শাখায় বিন্যাস করে থাকে। এর মধ্যে হলদে পাখি (৬-১০ বছর), যার মূলমন্ত্র সাহায্য করা; গার্লস গাইড (১০-১৬ বছর), যার মূলমন্ত্র সদা প্রস্তুত থাকা; রেঞ্জার (১৬-২৪ বছর), যার মূলমন্ত্র সমাজসেবা; যুবনেত্রী গাইড (২৪-৩০ বছর), যার মূলমন্ত্র সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভালোবাসা এবং ধর্মের একনিষ্ঠ অনুসরণ।

আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া ১ হাজার ৭৬টি মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা কলেজগুলোর তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে।

এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমপিওভুক্তির তালিকায় স্থান পাওয়া মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাইয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি। একইসাথে নতুন এমপিওভুক্ত মাদরাসার তথ্য যাচাইয়ে ২টি ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাইয়ে ২টিসহ মোট ৪টি সাব-কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা কলেজগুলোর তথ্য যাচাই-বাছাই করতে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা কলেজগুলোর দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করতে কমিটির আহ্বায়ক করা হয় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব রওনক মাহমুদকে। গত ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত এমপিও তালিকায় স্থান পাওয়া ১ হাজার ৭৬টি মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও বিএম কলেজের তথ্য যাচাই করবে এই কমিটি। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালককে (পিআইডাব্লিউ)। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকেও রাখা হয়েছে কমিটিতে।

কমিটি জানায়, এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত ১ হাজার ৭৬টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাইয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, মাদারাসা শিক্ষা বোর্ড এবং ব্যানবেইসের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে চারটি সাব-কমিটি গঠন করা হবে। চারটির মধ্যে দুইটি সাব-কমিটি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের তথ্য এবং দুইটি সাব-কমিটি মাদরাসার তথ্য যাচাই-বাছাই করবে।

সূত্র আরও জানায়, তথ্য যাচাই-বাছাই সুবিধার্থে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সাব-কমিটির দুটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এবং মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সাব-কমিটির দুটি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য যাচাই-বাছাই করবে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য যাচাই বাছাই করা হবে। তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের সিডিউল কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানিয়ে দেয়া হবে। সাব-কমিটি নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই করে এমপিওভুক্তির যথার্থতা নিরুপন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

সূত্র জানায়, ব্যানবেইসের সফটওয়্যারের মাধ্যমে সরবরাহ করা তথ্যের যেসব প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওর তালিকা প্রকাশ করেছে সেগুলোও যাচাই করে দেখা হবে।

প্রসঙ্গত, নতুন এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় দাখিল মাদরাসা সংখ্যা ৩৫৮টি, আলিম মাদরাসার সংখ্যা ১২৮টি, ফাযিল মাদরাসা ৪২টি ও কামিল মাদরাসা ২৯টি, কৃষি ৬২টি, ভোকেশনাল স্বতন্ত্র ৪৮টি, ভোকেশনাল সংযুক্ত ১২৯টি, বিএম স্বতন্ত্র ১৭৫টি ও বিএম সংযুক্ত ১০৮টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

প্রাথমিক নিয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রাথমিক ধারণা দেয়ার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়কে ডিজিটাল করা হবে। এজন্য সেখানে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া ও সাউন্ডসিস্টেম সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের সকল বিদ্যালয়ে একটি করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পিটিআই অডিটোরিয়ামে ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব’ শীর্ষক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি ও ব্যবহার অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজন অনুযায়ী ৬৭টি প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) বিদ্যমান কম্পিউটার ল্যাব আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ করা হবে। শিক্ষার্থীদেরকে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রাথমিক ধারণা দেয়ার জন্য শিক্ষকদেরকে আইসিটি বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য) বাস্তবায়ন করেছি। বর্তমান সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এটুআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এসডিজি (জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে তথ্য ও প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, আমাদের কোমলমতি শিশুরাই ২০২১ সালে মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের সারিতে অবতীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই তাদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কোমলমতি শিশুদেরকে আইসিটিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা এবং স্বচ্ছতা আনতে ই-মনিটরিং বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ট্যাব প্রদান করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যথাসময়ে আগমন এবং প্রস্থান নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছতা আনতে শিক্ষক/শিক্ষিকার বদলির বিষয়াদি অনলাইনে সম্পন্নের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিশন এখন ১৬ কোটি মানুষের ভিশনে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, দেশের শিক্ষাখাতকে ডিজিটাল না করা হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জিত হবে না।

তিনি বলেন, প্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ জাতি গঠনের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আট হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এসটাব্লিশিং ডিজিটাল কানেক্টিভিটি (ইডিসি) প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৬৪ হাজার স্কুলে পর্যায়ক্রমে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির। সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সুখী, যত্নশীল, নিরাপদ, শৃংখল এবং উদ্দীপনা সৃষ্টির শিখন-বান্ধব পরিবেশ তৈরী করে পূর্ণসম্ভাবনাময়, সৃজনশীল, উন্নত নৈতিকতাবোধ ও দায়িত্বশীল ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এনে শিক্ষকদের আগামী প্রজন্মকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে দক্ষ জনসম্পদে রুপান্তরিত করার লক্ষ্যে নতুন শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উন্নত মানের গুণগত পরিপূর্ণ সময় উপযোগী এবং উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হবে।

আজ শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে ১৮তম জেলা প্রশাসক ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এবার আমাদের সমস্ত ফোকাস হচ্ছে শিক্ষার মানের দিকে। সে জন্য যুগোপযোগী পাঠক্রম তৈরি করা হচ্ছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হবে এবং শিক্ষায়তনের পরিবেশ আরও উন্নত করা হবে। এসব কিছুর মধ্য দিয়েই আমাদের শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আশা করছি আগামী কিছু দিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন শুরু হবে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও পরিবর্তন এনেছি।’

পরে মন্ত্রী চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাসব্যাপী বিজয় মেলার উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার মাহাবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশে নারীদের পুষ্টি পরিস্থিতি বেশ নাজুক। ১০ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের প্রতি তিনজনের একজন পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার পান না।
বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) কর্তৃক তৈরি যৌথ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত বুধবার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে খাদ্যের সহজলভ্যতা এবং কেনার সামর্থ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্থিক সামর্থ্য নেই বলে বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রয়োজনীয় অনুপুষ্টিকণার ঘাটতির মধ্যে রয়েছে। এছাড়া কম বয়সী নারীরা পুষ্টি সমস্যায় ভুগছে। এর সঙ্গে তারা বাল্যবিবাহ, গর্ভধারণের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে।

আরও উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে বয়ঃসন্ধিকালীন ছেলে-মেয়ে ও বৃদ্ধদের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর বিষয়টি অধিকাংশ ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না।

খাদ্যঘাটতি পূরণ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ২ কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষের অর্থাৎ প্রতি আটজনের একজনের পুষ্টিকর খাবার কেনার সামর্থ্য নেই। অন্যদিকে সুষম খাবার কেনার সামর্থ্য নেই দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষের।

বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ অতিদরিদ্র। সুষম পুষ্টিকর খাবার কোনো একটি পরিবারকে কিনে খেতে গেলে তাকে দিনে ১৭৪ টাকা খরচ করতে হবে। কিন্তু খাওয়ার পেছনে ওই অর্থ খরচের সামর্থ্য নেই। তারা দিনে ৮০ টাকার বেশি খরচ করতে পারে না। তারা প্রতিদিন খাদ্যশক্তি পায় ভাত, আলু, রুটি ও সবজি থেকে। দেশে বছরে ৮ শতাংশ খাদ্য অপচয় হয়।

তবে প্রতিবেদনের শুরুতে পুষ্টির সমস্যা কমিয়ে আনায় বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

দীর্ঘ নয় বছর পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলো। অনেক আগে থেকেই এই এমপিওভুক্তির প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, নীতিমালা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করা হবে। কোনো তদবির চলবে না। এমনকি মন্ত্রী-এমপিদের তদবিরও শোনা হবে না। বিশেষ বিবেচনায় যে প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও দেয়া হবে সেটিও হবে নীতিমালা অনুসরণ করেই। নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো কিছুই করা হবে না। নীতিমালাটিও তৈরি করা হয়েছিল সময় নিয়ে বেশ আগেই।

দীর্ঘদিন যাচাই-বাছাই, পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষণ করে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত করা হলো। সেই তালিকাও দফায় দফায় যাচাই করে দেখা হলো, যাতে কোনো ভুল-ভ্রান্তি না থাকে। কিন্তু এতো কিছুর মধ্য দিয়ে এমপিওভুক্তির যে চূড়ান্ত ঘোষণা দেয়া হলো তারমধ্যে এতো ভুল, এতো অনিয়ম থাকলো কী করে, এ প্রশ্নের জবাব সংশ্লিষ্ট কেউ দিতে পারছেন না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় দোষারোপ করছে ব্যানবেইস-কে, অন্যদিকে ব্যানবেইসের কর্মকর্তারা দোষ চাপাচ্ছেন শিক্ষা বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর।

গত ২৩ অক্টোবর ২ হাজার ৭৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়। এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, প্রায় অস্তিত্বহীন, সরকারিকৃত, আগের এমপিওভুক্ত, ভাড়া বাড়িতে ও ট্রাস্ট পরিচালিতসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও অসঙ্গতির মধ্য দিয়ে এই এমপিও হয়েছে। স্বচ্ছভাবে এমপিওভুক্তির যে উদ্যোগ সেটির এমন ব্যর্থতার ঘটনায় সরকারের শীর্ষমহল বিব্রত। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনিও এ নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ বলে জানা গেছে। তিনি ইতিমধ্যে এই মর্মে হঁশিয়ারি দিয়েছেন, যাদের দেয়া ভুল তথ্যে এমপিওভুক্তির ওপর এমন কালিমা পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী প্রত্যেক সংসদ সদস্যের কাছে এ বিষয়ে চিঠিও পাঠিয়েছেন।

জানা গেছে, অনিয়মের মধ্য দিয়ে বা ভুলক্রমে এমপিও’র তালিকায় ঢুকে পড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ভুল তথ্য দিয়ে এমপিওভুক্তির তালিকায় স্থান পাওয়ার প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে, আর তথ্য সঠিক থাকলেই এমপিওভুক্তির আদেশ কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী তার চিঠিতে। প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্তের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ড ও ব্যানবেইস থেকে সরবরাহ করা হয়েছিল, গত ১১ নভেম্বর লেখা চিঠিতে এ কথা উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করতে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. গোলাম ফারুককে। ২০ কর্মদিবসের মধ্যে তারা সঠিকতা যাচাই করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাবে। কমিটির সদস্য-সচিব করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকেও রাখা হয়েছে কমিটিতে।

জানা গেছে, নতুন এমপিওভুক্তির তালিকায় স্থান পাওয়া স্কুল-কলেজের তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে গঠিত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে এসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। ১৪ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।

তবে এসব অনিয়মের সঙ্গে কারা জড়িত অথবা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে কার ভুলে এমনটি হলো সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে না। সব দোষ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ব্যানবেইস এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোতে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংরক্ষিত আছে। এদের ভুল অথবা এদের দুর্নীতির কারণেই এমপিওভুক্তি নিয়ে এমন কেলেংকারি কা- ঘটে গেছে। অথচ এরা কেউ দায়িত্ব নিচ্ছেন না এখন। বরং পুরো বিষয়টি এখন ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।

কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে, কার ভুলে এসব প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করার দিকে যাচ্ছেন না কর্মকর্তারা। তার বদলে মোটামুটি ভুল বা যুদ্ধাপরাধীদের নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান এবং সরকারিকরণ ও ইতোমধ্যে এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে একটা সারাংশ তৈরি করছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা পুরো দায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। বলা হচ্ছে, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভুল তথ্য দিয়ে এমপিওভুক্তি নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর এমপিওভুক্তির ঘোষণার পর দেখা যায়, প্রায় অর্ধশত অযোগ্য অথবা প্রায় অস্তিত্বহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবার এমপিওভুক্ত হয়েছে। ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত, শিক্ষার্থী নেই, পাস নেই, স্কুল ঘর নেই এমন প্রতিষ্ঠানও এমপিও পেয়েছে। এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছে। অস্তিত্বহীন টেকনিক্যাল কলেজ, এমনকি সরকারি হয়ে যাওয়া কলেজও এমপিও তালিকায় স্থান পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল অত্যন্ত বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে। তারই প্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে আরও নতুন ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১২ নভেম্বর এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন এমপিওভুক্তির জন্য গত বছরের আগস্টে আবেদন করে ৯ হাজার ৬১৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মধ্যে ২ হাজার ৭৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ২৩ অক্টোবর এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়। এরমধ্যে ২০৪টি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ বিবেচনায় এমপিও দেয়া হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী চার শর্ত পূরণকারী প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেয়া হয়েছে। শর্তগুলো হলো- প্রতিষ্ঠানের বয়স বা স্বীকৃতির মেয়াদ, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হার। প্রতিটি পয়েন্টে ২৫ করে নম্বর থাকে। কাম্য শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং স্বীকৃতির বয়স পূরণ করলে শতভাগ নম্বর দেয়া হয়। সর্বনিম্ন ৭০ নম্বর পাওয়া প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচিত হয়েছে।

এসএ গেমসের পঞ্চম দিনে বাংলাদেশ ৫টি রৌপ্য ও ১১টি ব্রোঞ্জ জিতেছে। তাতে বাংলাদেশের মোট পদক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮টি। যার মধ্যে ৪টি সোনা, ১৩টি রূপা ও ৪১টি ব্রোঞ্জ। মোট ৫৮ পদক নিয়ে পদক তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে পঞ্চম স্থানে।

৬২টি সোনা, ৪১টি রূপা ও ২১টি ব্রোঞ্জসহ ১২৪ পদক নিয়ে ভারত রয়েছে শীর্ষে। ৩৬টি সোনা, ২৭টি রূপা ও ৩৮টি ব্রোঞ্জসহ ১০১টি পদক নিয়ে নেপাল রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ১৭টি সোনা, ৩৫টি রূপা ও ৫৫টি ব্রোঞ্জসহ মোট ১০৭ পদক নিয়ে শ্রীলঙ্কা রয়েছে তৃতীয় স্থানে।

১৫টি সোনা, ২৩টি রূপা ও ২৪টি ব্রোঞ্জসহ ৬২টি পদক নিয়ে পাকিস্তান রয়েছে চতুর্থ স্থানে। ১টি সোনা ও ২টি রূপাসহ মোট ৩টি পদক নিয়ে মালদ্বীপ রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। ৬টি ব্রোঞ্জ জিতে ভুটান রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে।

প্রচলিত নিয়মে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের ঝামেলা কমাতে দুই পাতার তথ্যসমৃদ্ধ ফরম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ব‌্যাংক হিসাব খোলার এ ফরম প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে যেন বিষয়টি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে তা সকল তফসিলি ব্যাংকে পাঠানো হয়। অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম সহজ করার ফলে আগামীতে শুধু এক কপি ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে যে কেউ যেকোনো ব্যাংকে হিসাব খুলতে পারবেন।

আশা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। প্রজ্ঞাপনে ব্যাংকগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নতুন ফরমের মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব খোলার নির্দেশনা দেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকে ব্যবহৃত ফরমসমূহ সহজিকরণের জন্য গঠিত কমিটির সভাপতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম রুহুল আজাদ বলেন, ব্যাংকের হিসাব খোলার জন্য ফরম আমরা চূড়ান্ত করেছি। এটি দুই পাতার ফরম বলা হলেও তা মূলত এক পাতার (কাগজের এপিঠ-ওপিঠ) ফরম বলা যেতে পারে। ফরমটি চূড়ান্ত করে তা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক এটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে তা ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠিয়ে দেবে।

তিনি বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী কাজ। কারণ, বর্তমানে ব্যাংক হিসাব খুলতে একজনকে ১৪ পাতার ফরম পূরণ করতে হয়। এই ফরম পূরণের বিষয়টি বেশ জটিল এবং তা অধিকাংশের পক্ষে একা পূরণ করা সম্ভব হয় না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এই জটিল ফরমকে অত্যন্ত সহজ ভাষায় দুই পাতায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এই ফরম তৈরির কাজে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি ব্যাংক আমাদের সহায়তাও করেছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক হিসাব খুলতে দুই পাতার ফরমে একজনকে মোট ২২টি ঘর পূরণ করার প্রয়োজন হবে। এগুলো হলো- হিসাবের শিরোনাম, হিসাবের প্রকৃতি, মুদ্রা (টিক চিহ্ন দিতে হবে) হিসাব পরিচালনা সংক্রান্ত ঘোষণা (টিক চিহ্ন), হিসাবধারীর নাম, জন্ম তারিখ, পিতার নাম, মাতার নাম, স্বামী/স্ত্রীর নাম, জাতীয়তা, লিঙ্গ, পেশা, মাসিক আয়, অর্থের উৎস, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, পরিচিতিপত্র-জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (অথবা পাসপোর্ট নম্বর, জন্মনিবন্ধন সনদ/অন্যান্য), পরিচয় প্রদানকারীর তথ্য (জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যতিত অন্যান্য পরিচিতিপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে), প্রাথমিক জমার পরিমাণ, নমিনি সংক্রান্ত তথ্যবলী, ঘোষণা ও স্বাক্ষর।

সূত্র জানায়, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গত ২২ আগস্ট বার্ষিক উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নবিষয়ক পর্যালোচনা সভায় ব্যাংকে ব্যবহৃত ফরমসমূহ সহজিকরণের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেত্বতে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে মোতাবেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে ৫ সেপ্টেম্বর একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি সেবাগ্রহীতাদের সময়, খরচ, যাতায়াত ও ভোগান্তি কমানোর জন্য ব্যাংকিং সেবা গ্রহণে ব্যবহৃত ফরমসমূহ সহজ ও গ্রাহকবান্ধব করার জন্য কাজ করে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই ব‌্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নতুন ফরম প্রবর্তন হবে।

জাপানের ওসাকা শহরের মতো ঢাকায় পাতাল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। ২০ থেকে ২৫ মিটার মাটির নিচে এ রেলপথ হবে। পুরো ঢাকা শহরে ২৩৮ কিলোমিটার পাতাল রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে সরকার।

প্রথমে ঢাকা শহরে পাতাল রেলপথ (সাবওয়ে) নির্মাণের লক্ষ্যে চারটি রুট চিহ্নিত করেছিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। কিন্তু এখন এর বেশি পাতাল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এজন্য প্রাথমিকভাবে ফিজিবিলিটি স্টাডি বা সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার।

২২৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সমীক্ষা করার কথা থাকলেও তা বেড়ে ৩২২ কোটি টাকা হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে এ সমীক্ষা ২০২০ সালের এপ্রিলে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন সমীক্ষা প্রকল্পের মেয়াদ হচ্ছে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রকল্পের আওতায় পাতাল রেলের অবস্থান, এলাইনমেন্ট ও দৈর্ঘ্য নির্ধারণ, জিওটেকনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন ও ট্রাফিক সার্ভে পরিচালনার নকশা পরিবর্তনও করা হয়েছে। প্রাথমিক নকশা, ভূমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনা ও আর্থিক বিশ্লেষণ করা হবে। এর পরেই বিশাল ব্যয়ের মেগা প্রকল্পটি গ্রহণ করবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, যা বাস্তবায়ন করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে অথবা জিটুজি ভিত্তিতে মূল পাতাল রেল নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় মেটানোর পরিকল্পনা করছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র থেকে জানা যায়, ঢাকার যানজট নিরসনে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেল স্টেশন এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি (মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ) লাইন-১ নির্মাণ করা হবে। রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল পথে এমআরটি-৬ নির্মিত হচ্ছে। এই দুটি মেট্রোরেলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ঢাকা শহরে পাতাল রেলের পূর্ণ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে।

প্রাথমিকভাবে ঢাকা শহরে পাতাল রেলপথ (সাবওয়ে) নির্মাণের জন্য চারটি রুট চিহ্নিত করেছিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। প্রথম রুটের মোট দৈর্ঘ্য ছিল ৩২ কিলোমিটার। এ রুট টঙ্গী-কাকলী-মহাখালী–মগবাজার-পল্টন-শাপলা চত্বর-সায়েদাবাদ হয়ে নারায়ণগঞ্জের বোর্ড পর্যন্ত বিস্তৃত।

দ্বিতীয় রুটের দৈর্ঘ্য ছিল ১৬ কিলোমিটার। এটি আমিনবাজার-গাবতলী-আসাদগেট-নিউমার্কেট-টিএসসি-ইত্তেফাক মোড় হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত বিস্তৃত।

তৃতীয় রুটটি গাবতলী-মিরপুর ১-মিরপুর ১০, কাকলী-গুলশান ২-নতুন বাজার-রামপুরা টিভি স্টেশন-খিলক্ষেত-শাপলা চত্বর-জগন্নাথ হল হয়ে কেরাণীগঞ্জ পর্যন্ত যাওয়ার কথা।

চতুর্থ রুটটি রামপুরা টিভি স্টেশন-নিকেতন-তেজগাঁও-সোনারগাঁও-পান্থপথ-ধানমণ্ডি ২৭-রায়েরবাজার-জিগাতলা-আজিমপুর-লালবাগ হয়ে সদরঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ার কথা ছিল।

এসব নকশা বাতিল করে নতুন নকশায় হবে পাতাল রেলের সমীক্ষা। নতুন সমীক্ষা রুটের নকশার রূপরেখা দেয়া হয়েছে। টঙ্গী জংশন হয়ে গুলশান-মালিবাগ-সদরঘাটে একটি পাতাল রেল রুট নির্মাণ করা হবে। এই রুটের দৈর্ঘ্য হবে ২৬ দশমিক ২৯ কিলোমিটার, মোট স্টেশন থাকবে ২৪টি। গাবতলী-মিরপুর-বসুন্ধরা হয়ে পূর্বাচলে ১৭ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ‌্যের পাতাল রেল নির্মাণ হবে। এই রুটে ১৫টি স্টেশন থাকবে। বসিলা-মহাখালী হয়ে কায়েতপাড়া রুটে ১৬ দশমিক ১৭ কিলোমিটার রুটের পাতাল রেলপথ নির্মাণ হবে। এই রুটে থাকে ১৫টি স্টেশন। হাজারীবাগ-রাজারবাগ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার পাতাল রেল নির্মাণ করা হবে। এই রুটে ১২টি স্টেশন নির্মিত হবে।

কামরাঙ্গিরচর থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পাতাল রেলপথ নির্মিত হবে। এই রুটে ১২টি স্টেশন থাকবে। বসিলা-মালিবাগা রুটের দৈর্ঘ্য হবে ১৪ কিলোমিটার, স্টেশন থাকবে ১৩টি। গাবতলী-হাজারীবাগ থেকে শ্মশানঘাট রোড পর্যন্ত সাড়ে ১৪ কিলোমিটার পাতাল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এই রুটে ১৩টি স্টেশন থাকবে। গাবতলী-বাড্ডা হয়ে পূর্বাচল পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৭৬ কিলোমিটারের একটি পাতাল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এই রুটে ১২টি স্টেশন থাকবে। টঙ্গী জংশন-মহাখালী-গুলশান হয়ে ঝিলমিল পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এই বিশাল রুটে ২৬টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। টঙ্গী জংশন-মহাখালী-মালিবাগ হয়ে সদরঘাট পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল রেল নির্মিত হবে। এই রুটে ২৪টি স্টেশন থাকবে।

টঙ্গী জংশন-গুলশান-গুলিস্তান হয়ে ঝিলমিল পর্যন্ত ২৮ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ‌্যের পাতাল রেলপথ নির্মিত হবে। এই রুটে ২৬টি স্টেশন হবে। কেরানীগঞ্জ-সায়দাবাদ হয়ে কাঁচপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ‌্যের পাতাল রেলপথ হবে। এই রুটে থাকবে ১৮টি স্টেশন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়-মাতুয়াইল-নারায়ণগঞ্জ রুটে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ‌্যের পাতাল রেলপথ হবে। এই রুটে থাকবে ৯টি স্টেশন।

আরো কিছু রুট নির্দিষ্ট করতে নকশা করা হচ্ছে। জে ও টি নামে দুটি রুট ঠিক করা হয়েছে। তবে এই রুটের এলাকায় এখনো ঠিক করা হয়নি।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠণ ‘তারুণ্য’র আয়োজন ও ‘রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ‘প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ’ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) টিএসসিসি’র ১১৬ নম্বর কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রশিক্ষণের সমাপ্তি হয়।

জানা যায়, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কুষ্টিয়া শাখার প্রশিক্ষক মেহেদী হাসান জয়, আবেদীন ও মণি একাধিক সেশনে দু’দিনব্যাপী প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।

এসময় তারা সাপে কাটা, পানিতে ডোবা, আগুনে পোড়া ও কাটা-ছেড়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেন। পরে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।

তারুণ্য’র সভাপতি শেখ রাইয়ান উদ্দীনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন টিএসসিসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মন্ডল।

এছাড়াও সংগঠনটির সহ-সভাপতি ওয়াহেদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমানসহ তারুণ্য’র সদসরা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram