যশোরের ঝিকরগাছার বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বপ্লতায় শ্রেণিতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ছয়জনের স্থলে তিনজন শিক্ষক পাঠদান করেন বিদ্যালয়টিতে। অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আল আমিন হোসেন জানায়, বিদ্যালয়ে শিক্ষক না থাকায় শ্রেণিতে প্রতিদিন পাঠদান হয় না। তাই সিলেবাস অনুযায়ী শ্রেণিতে পড়া শেষ না হওয়ায় পরীক্ষায় সমস্যা হয়। তৃতীয় শ্রেণির জান্নাতুন ফেরদৌস অথৈ জানায়, প্রধান শিক্ষক আমাদের শ্রেণিতে পাঠদান করেন কিন্তু তিনি প্রায় উপজেলা শিক্ষা অফিসে যান। তাই শ্রেণিতে পাঠদান বন্ধ থাকে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান জানান, বিদ্যালয়টিতে বর্তমান ২৪৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ছয়জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও আছেন তিনজন। নেই প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক। তাছাড়া, আমাকেও মাঝে-মধ্যে দাপ্তরিক কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। তিনি আরও জানান, চলতি বছরের শুরুতে বিদ্যালয় থেকে দুজন শিক্ষক বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। আর একজন গত জুন মাসে অবসরে যাওয়ায় বিদ্যালয়টি শিক্ষক সংকটে পড়ে যায়। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদের সভাপতি (এসএমসি) আজগার আলী জানান, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংকটে লেখাপড়া ঠিকমতো হচ্ছে না। অভিভাবকরা শিক্ষক নিয়োগের বিষয় বারবার খোঁজ নেন।
তিনি অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ ও বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রাথমিক) ইসমত আরা পারভিন জানান, বিদ্যালয়টি লেখাপড়ায় ভালো। তবে শিক্ষক সংকটে যে সমস্যা আছে তা খুব শিগগিরই কেটে যাবে। নতুন নিয়োগে শিক্ষক প্রদান করা হবে।
শীতে কাবু ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ। দেশের বেশিরভাগ স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এতে শীতের প্রকোপ আরও বাড়ছে। টানা শীতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষ। এদিকে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও হাড় কাঁপানো শীতে কাবু মানুষ। সবচেয়ে বেশি শীত পড়ছে দেশটির রাজধানী নয়া দিল্লিতে। রাজ্যটিতে শনিবার তাপমাত্রা আরও কমে হয়েছে ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ১৯০১ সালে এত ঠান্ডা পড়েছিল দিল্লিতে। সময়ের হিসেবে যা ১১৮ বছরের ব্যাবধান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য মতে, ১৪ ডিসেম্বর থেকে যে হারে ঠান্ডা পড়েছে তাতে করে দিল্লির মানুষ দ্বিতীয় শীতলতম ডিসেম্বরের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দিল্লির আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ২.৪ ডিগ্রিতে নেমে যায়। ঘন কুয়াশার ফলে দিল্লির রেল, সড়ক ও বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
কম দৃশ্যমানতার কারণে দিল্লি বিমানবন্দরে এখনও পর্যন্ত ৪টি বিমানের পথ ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় গোটা শহরের মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপন মারাত্মকভাবে ব্যাহত। এদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বরফাচ্ছাদিত মহাদেশ আন্টার্কটিকাকেও ছাপিয়ে গেছে কাশ্মীরের কারগিল-লাদাখ। বর্তমানে আন্টার্কটিকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন রেকর্ড গড়ে লাদাখের তাপমাত্রা এখন মাইনাস ৩১.৫ আর কারগিলের তাপমাত্রা মাইনাস ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, এবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করবেন। এ জন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়ন পদ্ধতির ওপর তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে শিক্ষকদের বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণও দেয়া হবে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশ্নপত্র তৈরিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করতে সক্ষম হবেন। বর্তমানে শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রাথমিকের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়ে থাকে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হলে শিক্ষকরা নিজ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে পারবেন। শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের শিক্ষকদেরও এ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। একই সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে শিক্ষকদের সক্ষম করে তোলা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেন্টররা (সরকারি কর্মকর্তারা) এ প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষণ করবেন।
সভা সূত্রে আরও জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সকল বিদ্যালয়ে ‘ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড’ কর্মসূচি বাস্তাবয়নে শ্রেণিভিত্তিক সাবলীল ও দুর্বল শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে। দুর্বল শিক্ষার্থীদের প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে তার অগ্রগতি জানাতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বাবুল বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বিষয় ভিত্তিক দক্ষতার অভাব রয়েছে। শিক্ষকদের স্বল্প মেয়াদে যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তা পর্যাপ্ত নয়।
তাই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষকদের শতভাগ দক্ষ ও অভিজ্ঞ করে তোলা প্রয়োজন। তিনি বলেন, শিক্ষকদের দক্ষ করে তুলতে তাদের বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তার সঙ্গে নিজ নিজ শিক্ষকদের দ্বারা তাদের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করার দায়িত্ব দেয়া হবে। সে জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। বদরুল হাসান বাবুল আরও বলেন, ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমন্বয় আনতে দুর্বল শিক্ষার্থীদের আলাদা করে তাদের বিশেষ যত্ন নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ যত্নের মাধ্যমে তাদের দুর্বলতা কাটবে। এসব কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত মেন্টরদের নজরদারি করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, এবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করবেন। এ জন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়ন পদ্ধতির ওপর তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে শিক্ষকদের বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। সভা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশ্নপত্র তৈরিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করতে সক্ষম হবেন। বর্তমানে শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রাথমিকের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়ে থাকে।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হলে শিক্ষকরা নিজ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে পারবেন। শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের শিক্ষকদেরও এ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। একই সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে শিক্ষকদের সক্ষম করে তোলা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেন্টররা (সরকারি কর্মকর্তারা) এ প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষণ করবেন। সভা সূত্রে আরও জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সকল বিদ্যালয়ে ‘ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড’ কর্মসূচি বাস্তাবয়নে শ্রেণিভিত্তিক সাবলীল ও দুর্বল শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে। দুর্বল শিক্ষার্থীদের প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে তার অগ্রগতি জানাতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বাবুল বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বিষয় ভিত্তিক দক্ষতার অভাব রয়েছে। শিক্ষকদের স্বল্প মেয়াদে যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তা পর্যাপ্ত নয়। তাই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষকদের শতভাগ দক্ষ ও অভিজ্ঞ করে তোলা প্রয়োজন। তিনি বলেন, শিক্ষকদের দক্ষ করে তুলতে তাদের বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তার সঙ্গে নিজ নিজ শিক্ষকদের দ্বারা তাদের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করার দায়িত্ব দেয়া হবে। সে জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। বদরুল হাসান বাবুল আরও বলেন, ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমন্বয় আনতে দুর্বল শিক্ষার্থীদের আলাদা করে তাদের বিশেষ যত্ন নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ যত্নের মাধ্যমে তাদের দুর্বলতা কাটবে। এসব কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত মেন্টরদের নজরদারি করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
সৌরভ গাঙ্গুলীর চার দেশীয় ওয়ানডে সুপার সিরিজের ভাবনার প্রশংসা করলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের এই চিন্তাকে উদ্ভাবনী বলেই ব্য়াখ্য়া করলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও কেভিন রবার্টস। গত সপ্তাহেই সৌরভ জানিয়েছিলেন, ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া সহ অন্য একটি শীর্ষসারির ক্রিকেট খেলিয়ে দেশকে নিয়ে ভারতে চার দেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। ২০২১ থেকে এই সিরিজ চালু করার কথা ভাবছেন তিনি। ইতোমধ্যে এটি নিয়ে ইংল্য়ান্ড ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও হয়ে গিয়েছে। রবার্টস ক্রিকইনফোকে বলেছেন, 'সৌরভকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে পেয়ে বিসিসিআইয়ের চার দেশীয় টুর্নামেন্টের ভাবনা উদ্ভাবনী। সৌরভ কিন্তু খুব কম সময়ের মধ্য়েই ভারতে দিন-রাতের টেস্ট আয়োজন করেছে কলকাতায়। ফলাফলও দুর্দান্ত পেয়েছে। এবার ওর মাথায় সুপার সিরিজের ভাবনা এসেছে। যা অবশ্য়ই অভিনব।'
অন্য়দিকে সৌরভের চার দেশীয় সিরিজের ভাবনা ফ্লপ হবে বলেই মনে করছেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা রশিদ লতিফ। সৌরভের এমন পরিকল্পনার এবার তীব্র বিরোধীতা করে রশিদ লতিফ নিজের ইউটিউব ভিডিওতে সাফ জানান, 'এই সিরিজ আয়োজন করার মাধ্যমে আইসিসির অন্য সদস্য দেশগুলিকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে চায় এই চার দেশ। যেটা মোটেই ক্রিকেটের পক্ষে ভাল খবর নয়। তবে আমার মতে, এই সিরিজ পুরোপুরি ফ্লপ হবে বিগ থ্রি ফর্মুলার মতো।' ঘটনাচক্রে, প্রস্তাবিত এই সুপার সিরিজ নিয়ে আইসিসির সঙ্গেও সংঘাতের আবহ তৈরি হতে চলেছে। সদস্য দেশগুলিকে নিয়ে বিশ্ব পর্যায়ের ৫০ ওভারের একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে আইসিসিরও। তারই পালটা হিসেবে বিশ্ব ক্রিকেটের ‘বিগ থ্রি’ দেশ এই টুর্নামেন্ট খেলার পথে।
দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের বেলায় তাপমাত্রা আরও কমে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। কুয়াশার কারণে দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। তীব্র ঠান্ডার কারণে খেটে খাওয়া দিন মুজুর ও শ্রমজীবী মানুষকে সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের যে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জুর রহমান জানান, দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১০ থেকে ১৩ কিলোমিটার প্রবাহিত হচ্ছে। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা যাওয়ায রাতে ঠান্ডার পরিমান আরোও বেড়ে যায়। দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম বলেন, জেলার শীতার্ত মানুষকে তীব্র শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসন প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার শীতবস্ত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।
শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়কে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এনটিআরসিএ কেন্দ্রীয়ভাবে ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে দ্বিতীয় চক্রে ৩৯৩১৭ জন প্রার্থীকে সুপারিশ করেন। আবার ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে একটি নোটিশে জানান ‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮’ অনুযায়ী যোগ্যতা না থাকায় ছয় মাস মেয়াদি কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নিবন্ধনধারীরা যোগদান করতে পারবেন না।
যদিও জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ জারির আগে পাশ করাদের বাদ দেওয়ার কথা নয়। বিভিন্ন নিবন্ধন পরীক্ষার সার্কুলার অনুযায়ী তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যথাযথ ছিল। উল্লেখ্য, ১ম থেকে ১২তম সহকারী শিক্ষক আইসিটি পদের জন্য যোগ্য, তিন বছর মেয়াদি কম্পিউটার ডিপ্লোমা অথবা যে কোনো বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রিসহ সরকার অনুমোদিত যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম ছয় মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আর ১ম থেকে ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রভাষক আইসিটি ও কম্পিউটার অপারেশন পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল কম্পিউটার/আইসিটি-তে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর অথবা বিজ্ঞান বিভাগে (পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, পরিসংখ্যান, প্রাণীবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান) দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ সরকার অনুমোদিত যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম ছয় মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
কিন্তু ‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮’-তে শুধু কম্পিউটার বিজ্ঞান/আইসিটিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বলা হয়েছে। এনটিআরসিএ কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগের আগে অর্থাত্ ১ম থেকে ১২তম একই নিবন্ধন পাশ করে অনেকে চাকরি করছে। এনটিআরসিএ-এর কাছে নিয়োগ ক্ষমতা যাওয়ার পর ১৩তম ও ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যোগ্যতা অনুযায়ী এই নিবন্ধন পরীক্ষা পাশ করলেও জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮-র কারণে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের আগেই অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন আইসিটি শিক্ষকগণ। আরো অবাক করার বিষয়, নীতিমালা প্রকাশের কয়েক মাস পর ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে ১৪তমের ফলাফল প্রকাশ পায় এবং জাতীয় মেরিট লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করে।
যদি আবেদনই করা না যায়, তাহলে ১৪তম প্রভাষক, আইসিটি বিষয়ে পাশ করানো হলো কেন? ১৩তম ও ১৪তম বিজ্ঞপ্তির ১৩ (ক, ঘ)-তে বলা ছিল লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিটি বিষয়ে বিদ্যমান শূন্য পদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্তৃপক্ষ উপজেলা, জেলা ও জাতীয় মেধায় নিয়োগ দেবেন। এদিকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও এসব প্রার্থী চাকরিতে যোগদান করতে না পারায় হতাশার মধ্যে দিন যাপন করছেন। তাই শিক্ষা সচিব, মহাপরিচালক ও এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে বিনীত অনুরোধ এই যে, বিষয়টি বিবেচনা করে ‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮’ সংশোধন করে তাঁদের নিয়োগ দিন। সহকারী শিক্ষক, গণিত, রাসুলপুর দাখিল মাদ্রাসা, বাহুবল, হবিগঞ্জ
বিপাকে পড়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্তরা। কারণ অনেক প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত নয়। তাই মনোনীত প্রার্থীদের অনেকে ওইসব প্রতিষ্ঠানে যোগদান দেননি। যারা যোগ দিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন, তারা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এছাড়া ভৌত বিজ্ঞানের বিষয়টি পুরনো নীতিমালায় না থাকায় চাকরিতে যোগ দেয়া শিক্ষকদের এমপিও থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মহিলা কোটায় জটিলতার কারণে সুপারিশপ্রাপ্ত অনেক শিক্ষক এমপিও পাচ্ছেন না। এভাবেই বহুমুখী জটিলতায় পড়ে আছেন শিক্ষক প্রার্থীরা।
এক বছর ধরে এই পরিস্থিতি চলছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ চাকরিতে সুপারিশকারী প্রতিষ্ঠান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মধ্যকার সমন্বয়হীনতার কারণে জটিলতার নিরসন হচ্ছে না। রোববার রাজধানীর এনটিআরসিএ কার্যালয়ে দেখা যায়, কয়েকশ’ ভুক্তভোগী চাকরি প্রার্থী অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। তারা সংস্থাটির অভিযোগ কেন্দ্রে লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করছেন। আবার কেউ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের কাছে সরাসরি অভিযোগ দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। তথ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের দুই থেকে আড়াইশ’ অভিযোগ জমা আছে।
জানতে চাইলে সংস্থাটির চেয়ারম্যান এসএম আশফাক হুসেন বলেন, ‘এটি বেশ পুরনো ইস্যু। বর্তমানে প্রায় ২শ’ প্রার্থীর সমস্যা আছে। তবে আমরা কেবল সুপারিশকারী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মাউশির।
বেতন-ভাতা বা এমপিও দেয় তারা। এখন এ বিষয়টি তাদেরই নিষ্পত্তি করতে হবে।’ জানা যায়, ২০১০ সালের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী বাংলা, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান ও ব্যবসা শিক্ষা- এই ৪টি বিষয়ে ৩ জন শিক্ষকের পদ ছিল। ২০১৮ সালের এমপিও নীতিমালায় এই ৪টি বিষয়ে ৪ জন শিক্ষকের পদ অনুমোদিত হয়েছে। ২০১৮ সালে চাহিদা আহ্বানের সময় এই এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো অনুমোদিত ছিল না। প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা ভুল করে বা আগাম নীতিমালার খবর সামনে রেখে চাহিদা দিয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদের শূন্যতা যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দিয়েছে। ২০১৯ সালের মে মাসে এমপিও জনবল কাঠামো কার্যকর করে পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালের এমপিও নীতিমালা জারির পর সৃষ্ট পদে ব্যবসায় শিক্ষা, ভৌত বিজ্ঞানসহ ভুল সুপারিশের সমস্যা মিটে যাওয়ার কথা।
এ কারণে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির আশায় আবেদন করে। কিন্তু ৪ আগস্ট মাউশি আরেকটি পরিপত্র জারি করে নতুন সৃষ্ট পদে এমপিওর জন্য শর্ত আরোপ করে যে, এই নীতিমালা ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের আগে নিয়োগকৃতদের ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। ফলে প্রায় সব এমপিও আবেদন বাতিল করে দেন বিভাগীয় উপপরিচালকরা। আবার রহস্যজনক কারণে কোনো কোনো উপপরিচালক নতুন সৃষ্ট পদের ফাইল ছেড়ে দিয়েছে বলেও ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে।
এছাড়া মহিলা কোটায় জটিলতার কারণে সুপারিশপ্রাপ্ত অনেক শিক্ষক এমপিও হতে পারছেন না। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিকবার মানববন্ধন, এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন, মাউশি মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করার পরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় হতাশ প্রায় ১০০০-এর মতো মাধ্যমিক শিক্ষক। ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নিয়োগ পেয়ে ১০ মাস বিনা বেতনে নিয়মিত পাঠদান করে যাচ্ছি। মনে হচ্ছে দেখার কেউ নেই। মাউশিতে খোঁজ নিতে গেলে নাম প্রকাশ না করে এক কর্মকর্তা জানান, এনটিআরসিএ’র সুপারিশ নিয়ে কর্মকর্তাদের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা আছে। সাধারণ শিক্ষায়, ইসলামী শিক্ষায় পাস করা প্রার্থীকে মাদ্রাসায় আরবি বিষয়ের প্রভাষক করা হয়েছে।
আবার মাদ্রাসায় নিবন্ধন করা কিন্তু স্কুলের ধর্ম বিষয়ের শিক্ষক করা হয়েছে। শূন্যপদের প্রকৃত তথ্য না নিয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। আবার পদ এমপিওভুক্ত কিনা সে তথ্য না নিয়েও সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া ভৌত বিজ্ঞান এমপিও নীতিমালায় নেই, কিন্তু নিয়োগ করা হয়েছে। এমপিও নীতিমালায় ৪ বছরের ডিগ্রিধারী গ্রাজুয়েট লাগবে আইসিটি বিষয়ের জন্য; কিন্তু ৬ মাসের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেয়া ব্যক্তিদেরও সুপারিশ করা হয়েছে। এভাবে নানা কারণে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগ করতে গিয়ে ‘হযবরল’ করে ফেলেছে। ফলে সুপারিশপ্রাপ্তরা ভোগান্তিতে পড়েছে। আরেক কর্মকর্তা বলেন, শূন্যপদের প্রকৃত তথ্য জানে মাউশি।
কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানপ্রধান থেকে যে শূন্যপদের তালিকা নিয়েছে সেটি প্রকৃত ছিল না। আবার এমপিও এবং যোগদান ইস্যুতে মাউশিকে পাশ কাটিয়ে এনটিআরসিএ সরাসরি অনেক নির্দেশনা শিক্ষার মাঠ প্রশাসনকে দিয়েছে, যা কর্মকর্তারা আমলে নেননি, বাস্তবায়নও হয়নি। সব মিলে জটিলতা লেগে আছে। জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সারা দেশে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ৩৯ হাজার ৫৩৫টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। ওইসব পদের বিপরীতে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার চাকরি প্রার্থী ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ১৯৬টি আবেদন করেন অনলাইনে। তাদের মধ্য থেকে স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসার শিক্ষক পদে ৩৯৫৩৫ জনকে সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু এনটিআরসিএ থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় চরম হতাশায় শিক্ষকরা। সৌজন্যে: যুগান্তর
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার আহ্বানের মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার ৪৮তম বিজয় দিবস পালন করল জাতি। দেশের মানুষ নত মস্তকে শ্রদ্ধা জানালো দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মঞ্চে শিল্পীদের গানে, কবিতার পঙিক্তমালায়, নৃত্যের ঝংকারে মিশে ছিল বিজয়ের আনন্দ, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার অঙ্গীকার এবং যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের দাবি।
আমি গাইব-গাইব বিজয়েরই গান/ তারা আসবে চুপি চুপি/ কেউ যেন ভুল করে গেও না কো ঘুম ভাঙা গান/ সব কটা জানালা খুলে দাও না—সাবিনা ইয়াসমিনের এ গানের কথার মতো লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সমবেত হয়ে হূদয়ের জানালা খুলে অভিবাদন জানালো দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে বিভিন্ন সংগঠন। গান, কবিতা, নাটক আর কথামালায় তারা স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানিদের। লাল-সুবজের পোশাক পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, শাহবাগ, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সর্বত্রই ছিল উত্সবমুখর মানুষের পদচারণা। ঢাবিতে বিজয় দিবস উদ্যাপিত ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২টায় বিজয়ের প্রথম প্রহরে আতশবাজি আর আনন্দধ্বনিতে ছেয়ে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি)।
কনসার্ট, আতশবাজি আর নানা অনুষ্ঠানে বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ডাকসু, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও টিএসসিভিত্তিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কলা ভবন, কার্জন হল, স্মৃতি চিরন্তন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান ভবনসহ সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন এবং হলগুলোতে বিজয়ের রঙে রাঙাতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাল, সবুজ, নীল রঙের আলোয় ছেয়ে গেছে গোটা ক্যাম্পাস। বিজয়ের প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ফানুস উড়িয়ে কর্মসূচির শুরু হয়। কর্মসূচির মধ্যে বিজয়ের দিন সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ প্রধান প্রধান ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত হন। পরে সেখান থেকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য যাত্রা করেন।
এছাড়া বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছায়ানটের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠিত হয় বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট : মহানগর জুড়ে বিজয় উত্সবের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বিশ্ব আইটিআইয়ের সাম্মানিক সভাপতি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। সূচনা বক্তব্য রাখেন জোট সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ। মুক্তিযুদ্ধের কবিতা পাঠ করেন কবি তারিক সুজাত।
এছাড়া শহিদ মিনারসহ সব মঞ্চে ছিল আবৃত্তি, গান, নৃত্য, নাটকের পরিবেশনা। বাংলা একাডেমি : বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তীর কণ্ঠে কবি হাসান হাফিজুর রহমানের তোমার আপন পতাকা শীর্ষক কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। স্বাগত ভাষণ দেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
বিজয় : ইতিহাস ও মর্মার্থ শীর্ষক একক বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী তিমির নন্দী, সন্দীপন দাস, চম্পা বণিক এবং ফারহানা শিরিন। শিল্পকলা একাডেমি : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা পর্বে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা, মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল।
সাংস্কৃতিক পর্বে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে ‘গঙ্গা ঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ’ গানের কথায় একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সাজেদ আকবর, বুলবুল মহলানবীশ, মামুন জাহিদ খান, ইউসুফ, সালমা চৌধুরী, শিবু রায়, আমজাদ দেওয়ান, রীনা আমিন, আলম দেওয়ান, নবীন কিশোর গৌতম ও নিশ্চুপ বৃষ্টি। আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম এবং ঝর্ণা সরকার। চ্যানেল আইয়ের বিজয় মেলা : বিজয়ের ৪৮ বছর পূর্তিতে ‘আমি বাংলাদেশ’ স্লোগানে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় গ্রামীণফোন ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ উদ্যোগে বর্ণাঢ্য ‘বিজয় মেলা’। মেলার উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য শিল্পী আজাদ রহমান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের তিমির নন্দী, কাদেরী কিবরিয়া, ফকির আলমগীর, শাহীন সামাদ, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য সাইদুর রহমান প্যাটেল প্রমুখ। মেলায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের হাতে চিত্রশিল্পী কামাল উদ্দিনের অঙ্কিত একটি ছবি তুলে দেওয়া হয়।
সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮-১৯ অনুযায়ী গঠিত পুনর্বিবেচনা কমিটির সভা আগামী ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করবেন কমিটির অতিরিক্ত সচিব মমিনুর রশিদ। উল্লেখ্য, এ সভাটি গতকাল সোমবার ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।
সরকারি হচ্ছে ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুর থানাধীন লালমাটিয়া মহিলা কলেজ। গতকাল ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি কলেজ সরকারিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুর থানাধীন লালমাটিয়া মহিলা কলেজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের নিকট হস্তান্তরের দলিল জরুরী ভিত্তিতে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের জন্য আইসিসির বর্তমান এফটিপিতে অনেকগুলো অ্যাওয়ে সিরিজ অপেক্ষা করছে। আগামী বছর আয়ারল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু হঠাৎ করে এই সফর বাতিল ঘোষণা করলো আয়ারল্যান্ড। |আরো খবর বছরের আলোচিত যত অগ্নিকাণ্ড ‘৩৮ বছর’ আগে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, দাবি সুলতান মনুসরের (ভিডিও) ‘সারা বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল’ জানা গেছে, সাদা পোশাকের ক্রিকেটের বদলে টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করতে চায় আয়ারল্যান্ড।
অন্যদিকে, এশিয়ার আরেক দল আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ একেবারেই বাতিল করে দিয়েছে আইরিশ ক্রিকেট বোর্ড! বাংলাদেশের জন্য বিষয়টি ধাক্কার মতো হলেও আয়ারল্যান্ডের কাছে এটা কঠোর বাস্তবতা। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বর্তমানে চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে। নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বার্তায় ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের প্রধান নির্বাহি ওয়ারেন ডিওট্রম জানিয়েছেন, গত বছর আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকে তাদের বেশ টানাটানি যাচ্ছে।
আগামী বছর বেশ ব্যস্ত সময়সূচি ঠিক করা ছিল আয়ারল্যান্ডের। কিন্তু সমস্যার কারণে সেসব পরিকল্পনায় পরিবর্তন ও বাদ দিতে হয়েছে। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর নিজেদের মাটিতে সাদা পোশাকে একটিমাত্র ম্যাচ খেলেছে আয়ারল্যান্ড। সেটা আবার পাকিস্তানের বিপক্ষে। আইরিশ বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করতে সব মিলিয়ে প্রায় ১ মিলিয়ন ইউরো বা ১.১৪ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার খরচ হয়। যেটা এই মুহূর্তে সংগ্রহ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। একইসঙ্গে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের হোম টি-টোয়েন্টি সিরিজ পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের পক্ষ থেকে বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে না জানানোয় এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে রাজী নন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোনো কর্মকর্তা।