শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪

দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝরে পড়া রোধ, ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রী ধরে রাখাসহ শিক্ষার মান বাড়াতে শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো.জাকির হোসেন।

মঙ্গলবার দুপুরে দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচির অংশ হিসেবে রৌমারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো.জাকির হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতিমালা-২০১৯’ এর খসড়ার অনুমোদন হয়েছে। এ নীতিমালা অনুমোদনের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দারুণভাবে উপকৃত হবে।

২০২৩ সালের মধ্যে সারাদেশের স্কুলগুলো এ কর্মসূচির আওতায় আসবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান, চর রাজিবপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ, চর রাজিবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ানম্যান আকবর হোসেন হিরো প্রমুখ।

কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার কয়েকটি বেসরকারি হাই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির নামে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। পুনঃ ভর্তির ক্ষেত্রেও একইভাবে অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে বিদ্যালয়গুলো। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে চলতি শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে সেশন ফি এর নাম করে বাণিজ্য করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ছাত্রীদের কাছ থেকে ১হাজার ২শ টাকা থেকে ১হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে। পুনঃভর্তির ক্ষেত্রেও একই ফি আদায় করা হয়। ওই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণিতে পুনঃভর্তির জন্য জান্নাতুল ফেরদাউস নামের একজন ছাত্রীর নিকট থেকে ১হাজার ৪শ টাকা নেওয়া হয়েছে।

চান্দিনা পৌরসভার সাহাপাড়া এলাকার অভিভাবক ধনঞ্জয় মজুমদার ও চান্দিনা পশ্চিম বাজার এলাকার অভিভাবক আমেনা আক্তার জানান, তাদের সন্তানদের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১হাজার ৫শ টাকা করে নিয়েছে ওই বিদ্যালয়। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ের পৌরসভাধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১হাজার টাকা নেওয়ার বিধান রয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুমিতা রায় বলেন, ‘ভর্তি ও সেশন ফি এক হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে।’ অভিভাবকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার প্রমাণ রয়েছে বললে তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত না, বেতন হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

’ এদিকে বড় গোবিন্দপুর আলী মিয়া ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভর্তি ও সেশন ফি মিলিয়ে ১হাজার ২শ ৬০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪শ টাকা নিচ্ছে বিদ্যালয়টি। পুনঃভর্তির ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা গেছে। বিদ্যালয়টিতে দশম শ্রেণির একজন ছাত্রের কাছ থেকে পুনঃভর্তি বাবদ ১ হাজার ২শ ৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির কমপক্ষে ৮ জন ছাত্র-ছাত্রীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১ হাজার ২শ ৬০ টাকা করে ভর্তি ও পুনঃভর্তি ফি নিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে বড় গোবিন্দপুর আলী মিয়া ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. জাকির হোসেন খান বলেন, ‘আমি কোন তথ্য দিতে পারবো না। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে সব তথ্য দেওয়া আছে। ওখান থেকে সংগ্রহ করুন।’ মাধাইয়া বাজার ছাদিম উচ্চ বিদ্যালয়ে নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি ও সেশন ফি মিলিয়ে প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে সর্বোচ্চ ৫শ টাকা করে নেওয়ার কথা থাকলেও ১হাজার টাকা করে ভর্তি ফি নিয়েছে বিদ্যালয়টি। পুনঃভর্তির ক্ষেত্রেও ১হাজার টাকা করেই নিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদ্যায়লয় কর্তৃপক্ষ আদায়কৃত অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়।

অপরদিকে উপজেলার বাড়েরা উচ্চ বিদ্যালয়, মহিচাইল উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি হাইস্কুলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই প্রতিষ্ঠানগুলোও অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কানিজ আফরোজ জানান, ‘পৌর এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভর্তি ও সেশন ফি মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১হাজার টাকা নিতে পারবে। তদন্ত করে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অতিরিক্ত টাকাও ফেরত দিতে বাধ্য করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুনঃভর্তির জন্য কোন টাকা নেয়ার বিধান নেই।’ চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহাশীষ দাশ বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে পাটের তৈরি ব্যাগের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে পাটপণ্যের ব্যবহার বেড়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে লক্ষীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সরকারি দলের সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, দৈনন্দিন কাজে পাটের তৈরি দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহারে জনসাধারণকে আরাে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলা আয়োজনের মাধ্যমে পাট পণ্যের ব্যবহার ও বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বহুমুখী পাটপণ্যের নতুন নতুন উদ্ভাবন ও প্রক্রিয়াজাতকরণর লক্ষ্যে পাটপল্লী নির্মাণের প্রস্তাব বিবেচনাধীন।

তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশনে পাটসহ কয়েকটি প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের পক্ষে সিদ্বান্ত নেয়া হয়েছে। যা বিশ্বে পাটপণ্য ব্যবহারে সবাইকে আরো বেশি আগ্রহী করে তুলবে।

নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে পাকিস্তানের মাটিতে পূর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ। জনপ্রিয় ক্রিকেট পোর্টাল ক্রিকইনফো আজ এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নতুন সূচি অনুযায়ী, লাহোরে ২৪-২৭ জানুয়ারি তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আবার ৭ ফেব্রুয়ারিতে রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ দল।

এরপর দুই মাস বিরতি দিয়ে এপ্রিলে করাচিতে একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচ। ৫-৯ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট। মোট তিন দফায় পাকিস্তান সফর করবে বাংলাদেশ দল।

আসন্ন ৩০ জানুয়ারি ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পেছানোর রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি হতে আর বাধা নেই।

মঙ্গলবার ( ১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে, ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। ওই তফসিল অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোটগ্রহণের তারিখ ধার্য করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচন পেছানোর দাবি ওঠে।

প্রশ্নফাঁস ও ভর্তি জালিয়াতির দায়ে আরো ৬৩ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ জনে। এছাড়া ৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার হয়। আগামী সাত দিনের মধ্যে সবাইকে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে গত বছরের ৬ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাবির ৬৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ২০১২-১৩ থেকে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হওয়া এসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সিআইডি চার্জশিট দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়।

একইসঙ্গে এসব শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়, যার জবাবের ওপর ভিত্তি করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৩ জনকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন এবং পাবলিক পরীক্ষা আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দেয়া হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় ২৬ জুন ৭৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনসারী। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা গেল কি না, তা ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। অভিযুক্ত ১৫ জনকে আগেই আজীবন বহিষ্কার করেছিল ঢাবি কর্তৃপক্ষ। বাকিদের কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয়া হয়। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আরও ৬৩ জনকে স্থায়ী বহিষ্কারে সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।

সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকা সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে গতকাল শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে শাহবাগের আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে পড়ে পথচারীরা। এতে বিভিন্ন হল সংসদের ভিপি, জিএস, এজিএসসহ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা সরস্বতী পূজার দিন ৩০ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।

এ সময় তারা সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগ দাবি করেন। এর আগে গতকাল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের রিট খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। এরপরই বিকাল ৫টায় বিক্ষোভ শুরু করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। বিক্ষোভে অংশ নেন অন্য ধর্মাবলম্বীরাও। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর ডাকসু থেকে, এমনকি বিভিন্ন হল সংসদ থেকেও নির্বাচন কমিশন বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সেসব আবেদনকে অগ্রাহ্য করেছে। তারা বলেন, একই দিনে সরস্বতী পূজা এবং নির্বাচন হতে পারে না। একই তারিখে যদি নির্বাচন হয় তাহলে উত্সবের আনন্দ হবে না। তাই আমরা চাই এ দিনে যেন নির্বাচন না হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

এ সময় আজ ১২টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করবেন তারা। জসিম উদ্দিন হল ছাত্র সংসদের জিএস ইমাম হাসান বলেন, একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হওয়া সত্ত্বেও এখানে পূজার দিনে নির্বাচন কখনো কাম্য হতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেছিলেন, যদি নির্বাচনের তারিখ পেছানো না হয় তাহলে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করব।

পাঁচ দফা আশ্বাস দিয়েও দাবি পূরণ না করায় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন সেশনে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস-পরীক্ষা নেবেন না সারাদেশের সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-কর্মচারীরা। দ্বিতীয় শিফটের দায়িত্ব পালনের জন্য সম্মানি ভাতা না বাড়িয়ে উলটো আগের চেয়ে কমিয়ে দেওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কর্মসূচি পালনকালে তারা ফেব্রুয়ারি থেকে আর দায়িত্ব পালন না করার ঘোষণা দেন। কারিগরি শিক্ষার পাঁচটি সংগঠন মিলে এই ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচি পালনকালে বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি মো. তাহের জামিল বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকে দেশের ৪৯টি কারিগরি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও ৬৫টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্বিতীয় শিফট চালু করা হয়। বাড়তি ক্লাসের জন্য শুরুতে তাদেরকে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ অর্থ সম্মানি হিসেবে দেওয়া শুরু করা হলেও পরে তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। অথচ তা না বাড়িয়ে বরং আরো কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আপাতত আটকে গেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ১৮ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এই শিক্ষকদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসারে নিয়োগ না দেওয়ার প্রশ্নে দায়েরকৃত রিটের ওপর রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। রুলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ঘোষিত চূড়ান্ত ফল কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা, ২০১৩ অনুসরণ করে নতুন ফল কেন ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছে আদালত। ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী মো. কামাল হোসেন ও লোমাট আরা চৌধুরী এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার শুনানি করেন। শুনানিকালে রিটকারী আইনজীবী মো. কামাল হোসেন বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালায় স্পষ্ট করে কোটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে কোটা অনুসরণ না করেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যা আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার বলেন, কোটায় যোগ্যপ্রার্থী না পাওয়ায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, লক্ষ লক্ষ প্রার্থী আবেদন করেছে। এর মধ্যে যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে আদালতকে বলছেন। তাহলে এ বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। এরপরই আদালত রুল জারির আদেশ দেয়। গত বছরের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকার। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করেন। চার ধাপে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেপ্টেম্বর মাসে ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাশ করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। এর মধ্যে নারী ৮ হাজার ৫৭০ এবং পুরুষ ৯ হাজার ৫৭৭ জন। ভোলা জেলা থেকে নির্বাচিত হন ৩৪৪ জন। তাদের মধ্যে ১১৭ জন মহিলা। কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালায় উল্লেখিত কোটা অনুসরণ না করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ভোলার শারমিন আক্তার সূর্য, শামীমা সুলতানাসহ ১৬ জন প্রার্থী। রিটে বলা হয়, ঐ নিয়োগ বিধিমালার ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী কর্তৃক পূরণ করতে হবে। ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা এবং ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থী দ্বারা পূরণ করতে হবে।

কিন্তু উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সংখ্যা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ শতাংশের স্থলে নিয়োগের জন্য ৪৭ শতাংশ নারী চূড়ান্ত হন। অন্যদিকে ৫৩ শতাংশ পুরুষ প্রার্থী। রিটকারী আইনজীবী বলছেন, এটা পুরোপুরি কোটার লঙ্ঘন। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন শিক্ষকদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে বলা হয়েছে। ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে। আর ১৯ ফেব্রুয়ারি নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পদায়নের আদেশ জারি হবে। রিটকারী আইনজীবী বলেন, রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় যদি নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নতুন বছরের শুরুতেই মন্ত্রিসভার রদবদল হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। তারা জানান, সরকার ও দলকে আলাদা করার অংশ হিসেবেই এ পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভার ৯ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। তারা হলেন- অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, আইনবিষয়ক ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।
মহিলাবিষয়ক সম্পাদক এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কার্যনির্বাহী সদস্য- শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। এদের মধ্যে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি পেতে পারেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।

এছাড়া শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে পদোন্নতি দিয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নীতিনির্ধারক। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন বছরে মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে এখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ হয়নি। দলীয় কমিটি নিয়েই ব্যস্ত আছি। তবে পুরো বিষয়টির এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর। তার সঙ্গে আলাপ হলেই বলতে পারব।

প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিনের আওতায় আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ ডিসেম্বর বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা কালীবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল হাজিরার শুভ উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহা: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: শাহানাজ পারভীনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এরই সাথে সাথে বেতাগার সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল হাজিরার কাজ সম্পন্ন হল। এক বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ফকিরহাটের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হাজিরার আওতায় আসবে বলে আমরা আশা করছি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, শৈত্যপ্রবাহ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুত। কোনো মানুষ শীতে কষ্ট করবে না। সেজন্য প্রতিটি শীতার্ত মানুষকে কম্বল দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শৌলমারী এমআর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সব ধরণের দুর্যোগ মোকাবেলায় সাফল্য অর্জন করেছে।

তিনি সবসময় জনগণের পাশে ছিলেন, আছেন এবং পাশে থাকবেন ইনশাআল্লাহ্। এসময় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের শীতার্ত প্রায় ৪ হাজার মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিনু, রৌমারী থানার ওসি (তদন্ত) মোন্তাছির বিল্লাহ, শৌলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন প্রমুখ।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram