নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ ও পূর্নাঙ্গ উৎসব ভাতাপ্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে দীর্ঘকাল। কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিক্ষকরা বক্তব্য রাখছেন ।
তারা তাদের কম বেতনে মানবেতর জীবন যাপনের কথা বর্ণনা করেন। স্কুল কলেজের গর্ভনিং বডি ও পরিচালনা পরর্ষদে শিক্ষিত মানুষের অভাবে নানাবিধ সমস্যার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হবে আর এর প্রধান উপায় শিক্ষা খাতকে জাতীয়করণ। একইসঙ্গে শিক্ষকরা তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য দাবিগুলো পূরণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান।
এর পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের, গর্ভনিং বডি ও ব্যবস্থাপনা কমিটিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা, শূন্য পদে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলীর ব্যবস্থা কার্যকর করাসহ, আসন্ন ঈদের আগেই পূর্নাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদানের দাবি করেন। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন। মাঝে মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আশ্বাস প্রদান করেন।
শিক্ষক ও কমর্চারীর সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। তারা বলছেন আমরা বারবার আন্দোলন করছি, কিন্তু কেন আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অনেক শিক্ষক বিসিএস পাস করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকতা করছেন কিন্তু সরকারি না হওয়ায় আমরা সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। তাই শিক্ষক হয়ে আমাদের যদি কষ্টে দিনানিপাত করতে হয় তাহলে আমরা শিক্ষাথীর্দের কি শেখাবো। দাবি না মানলে আমরণ অনশনের হুমকি দেন। তারা বলেন, শিক্ষকের কিছু হলে এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ হলে এ দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষের সন্তানরা শহর ও গ্রামে একই মানের সরকারি স্কুলে কম বেতনে পড়ালেখা করতে পারবে। অভিভাবকদের শিক্ষা ব্যয় কমবে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা বর্তমানে সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন, বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও বার্ষিক ২০ শতাংশ বৈশাখি ভাতা পান। তবে তারা বাড়ি ভাড়া পান মাসিক এক হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা মাসিক ৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা পান ২৫ শতাংশ, যা অমানবিক। উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া স্কেলভিত্তিক প্রদানসহ চিকিৎসা ভাতা এক হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত করলেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের কাজ অনেকদূর এগিয়ে যায়।এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা জাতীয় বেতন স্কেলের আওতার শতভাগে উন্নীত করা। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সব নিয়োগ সরকারের হাতে নিয়ে বদলি ও প্রমোশন অনতিবিলম্বে চালু। বিশেষ করে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ১ জানুয়াারি ২০২৪ থেকে ইএফটির মাধ্যমে বেতন ভাতা প্রদান।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষা প্রশাসনে আনুপাতিক হারে প্রেষণে নিয়োগের ব্যবস্থা করার আহবান জানান শিক্ষক নেতারা। সকল সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবী নিয়ে মানবন্ধন থেকে শুরু করে অবস্থান ধর্মঘট, আমরণ অনশন, শিক্ষা- প্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানো সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছেন দাবী পূরণের জন্য। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যর্থ তার জন্য শিক্ষকরা শিক্ষক নেতাদের দায়ী করেছেন আবার শিক্ষক নেতারা সাধারণ শিক্ষকদের দায়ী করেছেন। এবার আন্দোলন সংগ্রাম সফল না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন শিক্ষক নেতা নজরুল ইসলাম রনি।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮/০৩/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকদের বদলি নিয়ে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে বদলির খসড়া তৈরি করে তা জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসাইন বলেন, শিক্ষকদের বদলি নিয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে খসড়া তৈরি করা হবে। এরপর তা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।
জানা গেছে, স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত খসড়া প্রায় চূড়ান্ত হলেও মাদ্রাসা শিক্ষকদের বদলি নিয়ে কোনো আলোচনা ছিল না। বিষয়টি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন শিক্ষকরা। অবশেষে মাদ্রাসা শিক্ষকদের বদলির কার্যক্রম শুরু করল মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আদলেই মাদ্রাসা শিক্ষকদের বদলির খসড়া তৈরি করা হবে। কিছুটা পরিবর্তন করা হলেও মৌলিক বিষয়গুলো একই থাকবে। খসড়া তৈরি করতে এক থেকে দেড় মাসের মতো সময় লাগতে পারে। তবে দ্রুত খসড়া তৈরির চেষ্টা করা হবে বলেও জানায় ওই সূত্র।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে কমিটির এক সদস্য বলেন, মাউশির বদলির খসড়া নীতিমালা আমরা সংগ্রহ করব। সেটি যাচাই করে মৌলিক বিষয়গুলো একই রাখার চেষ্টা করা হবে। তবে মাদ্রাসা শিক্ষকদের বদলির খসড়ায় কিছু পরিবর্তন আনা হবে। কী ধরনের পরিবর্তন আসবে সেটি পরবর্তীতে জানানো হবে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের আগে কমিটির পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগ পেতেন শিক্ষকরা। এভাবে একজন শিক্ষক প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন। তবে ২০১৫ সালের পর নিয়োগ সুপারিশের ক্ষমতা এনটিআরসিএ’র হাতে যাওয়ায় সে সুযোগও বন্ধ হয়ে গেছে।
নিজ এলাকার বাইরে চাকরি করায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সদস্য কিংবা প্রতিষ্ঠান প্রধানের হাতে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের। শিক্ষকদের নানা সমস্যার কথা বিবেচনা করে গত বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮/০৩/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট এবং চারুকলা ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রকাশ করা হবে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশাসনিক ভবনে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করবেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮/০৩/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, তরুণ সমাজের জন্য মানসম্মত ও কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা নেই। তাই তরুণ সমাজ বিদেশমুখী হচ্ছে। যেকোনোভাবে তারা বিদেশে যেতে চাচ্ছে। দেশের প্রতি আস্থাহীনতার কারণে তরুণ সমাজের মেধা ও কর্মশক্তি বঞ্চিত হচ্ছে দেশ।
যারা দেশে থাকছে তারা কর্মসংস্থানের অভাবে হতাশ হয়ে পড়ছে। হতাশা থেকে তরুণ সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় ছাত্রসমাজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর তিন ভাগের দুই ভাগই তরুণ। এই তরুণদের ৪০ শতাংশ অলস জীবন যাপন করছে। তাদের শিক্ষা নেই, প্রশিক্ষণ নেই। বেকার এই তরুণরা সমাজের কোনো কাজেই আসছে না। বিশাল এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে কিভাবে কর্মক্ষম করে দেশের স্বার্থে কাজে লাগানো যায় এটাই বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জ।
তরুণরা সম্পদ না হয়ে বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার কারণ হয়ে পড়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অন্যতম কারণ হয়ে উঠছে মাদকাসক্ত তরুণ সমাজ। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহায়ক না হয়ে তরুণরা অনেক ক্ষেত্রেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নিম্নমানের শিক্ষা, শিক্ষা শেষে কাজের অভাব আর চরম অনিশ্চয়তার কারণে প্রতিবছর দেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিদেশে চলে যাচ্ছে।
তারা পড়াশোনার উদ্দেশে দেশ ছাড়লেও, শিক্ষাজীবন শেষ করে আর দেশে ফিরছে না। এতে মেধাবী সন্তানদের সেবা থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে দেশ। এর বিরূপ প্রভাবে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির শিকার হবে বাংলাদেশ।’
২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন ৫২ হাজার ৭৯৯ শিক্ষার্থী জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র গেছেন আট হাজার ৫২৪ জন, যুক্তরাজ্যে গেছেন ছয় হাজার ৫৮৬ জন, কানাডায় গেছেন পাঁচ হাজার ৮৩৫ জন, মালয়েশিয়ায় গেছেন পাঁচ হাজার ৭১৪ জন, জার্মানিতে পাঁচ হাজার ৪৬ জন, অস্ট্রেলিয়ায় চার হাজার ৯৮৭ জন, জাপানে দুই হাজার ৮০২ জন এবং ভারতে দুই হাজার ৬০৬ জন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশে চিকিৎসাসেবা নেই বললেই চলে। যাদের টাকা আছে তাদের জন্য বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কিছুটা চিকিৎসা আছে। আর যাদের টাকা নেই তাদের জন্য চিকিৎসার নামে কিছুই নেই।
অথচ চিকিৎসাসেবা আধুনিকায়নে বছরে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। অথচ চিকিৎসা ব্যবস্থা ও সেবার মান কিছুটা উন্নত করা গেলে দেশের কয়েক শ কোটি টাকা দেশে রাখা সম্ভব হবে। সরকার কেন বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না আমরা বুঝতে পারি না।’
তিনি বলেন, “গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘পিএইচএ গ্লোবাল সামিট-২০২৪’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, প্রতিবছর চিকিৎসার জন্য দেশ থেকে ৫০০ কোটি ডলার (পাঁচ বিলিয়ন) বিদেশে চলে যাচ্ছে। যা প্রতিবছর বেড়েই চলছে। প্রতিবছর প্রবাসী রেমিট্যান্স আয় ২৩ বিলিয়ন।
প্রতি ডলার ১১০ টাকা হারে বিদেশে চলে যাচ্ছে প্রতিবছর ৫৫ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর সাত লাখের বেশি রোগী চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছে।”
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ধারণা, বিদেশে যাওয়া রোগীর সংখ্যা ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে যাওয়া ডলারের হিসাব আরো বেশি। কারণ অনেকেই বেড়াতে গিয়ে, ব্যবসা বা অন্য কোনো কাজে বিদেশে গিয়েও চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা খাতে সরকারের ব্যয়ের একটি বড় অংশই খরচ হচ্ছে, অবকাঠামো তৈরিতে।
এতে সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবায় তেমন কোনো লাভ হয় না। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, হাসপাতালগুলোতে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। চিকিৎসক থাকেন না, তারা বেসরকারি হাসপাতালে বেশি সময় দেন।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি থাকলেও, তা সারা বছরই অচল থাকে। যাদের সামর্থ্য থাকে তারা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সম্ভব হলে বিদেশেও যান চিকিৎসা নিতে। কিন্তু যাদের সামর্থ্য নেই তাদের জন্য দেশে ও বিদেশে কোথাও চিকিৎসা নেই।’
তিনি বলেন, ‘গণমানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিটি উপজেলায় হাসপাতাল নির্মাণ করেছিলেন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, ওষুধ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি দিয়েছিলেন প্রতিটি হাসপাতালে। ওষুধ তৈরিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে ওষুধনীতি করেছেন। তিনি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তৎকালীন চিকিৎসা পেশায় জড়িত কিছু কায়েমি স্বার্থবাদী মানুষের জন্য বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
আমরা চাই, প্রতিটি জেলায় বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা হোক। প্রতিটি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি দেওয়া হোক। অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা পরিচালনার দাবি জানাচ্ছি। তবেই দেশের মানুষের চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত হবে। এতে অন্তত ৫০০ কোটি ডলার বা তার চেয়ে বেশি বিদেশি অর্থ খরচ থেকে দেশ রক্ষা পাবে।’
জাতীয় ছাত্রসমাজ সভাপতি মো. আল মামুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (অব.), রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, শফিউল্লাহ শফি, জসিম উদ্দিন ভূইয়া, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, আবদুল হামিদ ভাসানী, বেলাল হোসেন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল দাস, কাজী আবুল খায়ের, সুলতান মাহমুদ, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, এলাহান উদ্দিন, এম এ সোবহান, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, মীর সামসুল আলম লিপটন প্রমুখ।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮/০৩/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সিলেটে এক ফটোসাংবাদিকের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পিয়াং সোম নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। এক যুবককে অপহরণের চেষ্টাকালে ওই সাংবাদিক ছবি তোলায় তিনি এ হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত পিয়াং সোম সিলেট সিটি করপোরেশনের দুই নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি। ওই ফটোসাংবাদিকের নাম রেজা রুবেল।
তিনি বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন অনুসারী নিয়ে নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির বিপরীতে এক যুবককে মারধর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন পিয়াং সোম।
পেশাগত দায়িত্ব পালনে ওই সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেলে করে নগর ভবনে যাচ্ছিলেন রেজা রুবেল।
পথিমধ্যে ঘটনাটি দেখে ছবি ও ভিডিও ধারণ করছিলেন। এমন সময় ছাত্রলীগ নেতারা তাকে ধাওয়া করেন। নিরাপত্তা পেতে তিনি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নেন। তখন ছাত্রলীগ নেতারা তার ওপর চড়াও হন।
পিয়াং সোম নিজেকে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি পরিচয় দিয়ে বলেন, কার ক্ষমতা আছে কিছু করার। আমি কুট্টি সিলেটি। এ সময় অকথ্য ভাষায় সাংবাদিক সমাজ তুলে গালিগালাজ করে সাংবাদিক রেজা রুবেলের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দেন। পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটলেও কোনো পুলিশ সদস্য তাদের নিবৃত্ত করতে এগিয়ে আসেননি।
ফটোসাংবাদিক রেজা রুবেল বলেন, পিয়াং সোম নিজেকে মহানগর ছাত্রলীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি পরিচয় দিয়ে সাংবাদিক সমাজ তুলে গালিগালাজ করেন এবং আমার হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দেন।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। পুলিশ ফাঁড়ির ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজেও বিষয়টি পরিষ্কার বুঝা যাবে। বর্তমানে আমি প্রাণ ভয়ে আছি। এজন্য আমি আইনের আশ্রয় নেব।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ বলেন, পিয়াং সোম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের গ্রুপ করেন। কমিটিতে আসার আগে খুবই ভালো ছিলেন।
পদে আসার পর বেপরোয়া হয়ে গেছেন। অপহরণের চেষ্টা এবং সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানাধীন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) কল্লোল গোস্বামী বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর সিলেট সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদীর বাসায় হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন পিয়াং সোমসহ তার অনুসারীরা। পরে সিসিকের বেশ কয়েজন কাউন্সিলর ও জেলা ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮/০৩/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি যারা করে তাদের ছেলেমেয়েদের চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, দুঃসম্পর্কের আত্মীয়দের বিএনপি হিসেবে চিহ্নিত করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এগুলো বর্ণবাদ ছাড়া কিছু নয়।
বুধবার দুপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির 'স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটি' আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'বর্তমান বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে, বিশ্ব-প্রেক্ষিতকে সামনে নিয়ে, সামগ্রিক অবস্থাকে সামনে নিয়ে আমাদের রাজনীতি, আমাদের কৌশল আবারও সেভাবে এগিয়ে নিতে হবে, যেভাবে গত দিনগুলোতে এগিয়েছি।'
তিনি বলেন, 'সবাইকে মনে রাখতে হবে, সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই এবং গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা, ভোটের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য আমাদের শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলে সেই সংগ্রামকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে।'
দেশের অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমার কাছে মনে হয়, বাংলাদেশ শুধু ফ্যাসিস্টদের কবলে পড়েনি, বাংলাদেশ বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে। আমাদের বিএনপি যারা করে তাদের ঘর-বাড়ি পর্যন্ত দখল করে নেওয়া হচ্ছে, তাদের জমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে, তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে। তাদের ছেলেমেয়েদের চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি দুঃসম্পর্কের আত্মীয়দের বিএনপি হিসেবে চিহ্নিত করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এগুলো বর্ণবাদ ছাড়া কিছু নয়।'
'দেশটাকে তারা দুইভাগ করে ফেলেছে। এক ভাগ আওয়ামী লীগ, আরেকটা ভাগ হচ্ছে বিরোধী দল। এই অবস্থা তৈরি করে তারা দেশকে নিজেরাই সাম্প্রদায়িক একটা অবস্থা তৈরি করেছে। তারা আবার দাবি করে, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে তাদের এই জেহাদ সবসময় অব্যাহত থাকবে,' বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, 'যারা সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে, যারা নিজেরা গোষ্ঠী তৈরি করেছে, বর্ণবাদ সৃষ্টি করছে তাদের মুখে এ কথা শোভা পায় না। শুধু কথা বলে মানুষের সম্পদ লুট করে, মানুষকে সর্বস্বান্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না।'
তিনি বলেন, 'প্রত্যেকদিন দেখছেন কী হারে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে, কীভাবে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে, কীভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমন একটা অবস্থা তৈরি করেছে যেখানে স্বেচ্ছাচারিতা, সেখানে বিভিন্ন রকমের অসামাজিক কার্যকলাপ ছাড়া সেখানে আর কিছু হচ্ছে না। যাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তাদের দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।'
'যাদের যোগ্যতা নেই তাদের ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সব প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমনকি প্রাইমারি স্কুলগুলোতেও সেই দলীয়করণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এক কথায় পুরো দেশকে-রাষ্ট্রকে তারা গিলে ফেলেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি,' বলেন তিনি।
'যা কিছু বাংলাদেশে শুভ কাজ হয়েছে, তা বিএনপি নেতারাই করেছেন' মন্তব্য করে তরুণ সমাজকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'চলমান আন্দোলনে এত ত্যাগের পরেও আমার কাছে মনে হয়েছে তরুণদের আরও শক্ত করে জেগে উঠতে হবে, যুবকদের জেগে উঠতে হবে। ২৮ তারিখের ঘটনার পর আমার কাছে মনে হয়েছে যে, আমরা তরুণদের বোধহয় সেভাবে নামাতে পারিনি।'
তিনি বলেন, 'আমার কাছে মনে হয়েছে মানুষকে জাগিয়ে তোলা এটা এখন আমাদের প্রধান কাজ। মানুষকে আবারও সংগঠিত করতে হবে, জনগণকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, নিজের অধিকারের জন্য, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে।'
মির্জা ফখরুল বলেন, 'আজকের বাংলাদেশ ভিন্ন বাংলাদেশ, আজকের বিশ্ব ভিন্ন বিশ্ব, আজ যে ভূ-রাজনীতি আছে এই ভূ-রাজনীতি সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে পরিচালিত। স্বার্থ স্বার্থ স্বার্থ-নিজ নিজ দেশ তাদের স্বার্থ ছাড়া কোনো কিছু ভাবে না। সেখানে মানবাধিকার, অন্য দেশের প্রতি, সার্বভৌমত্বের প্রতি যে শ্রদ্ধা-সম্মান সব কিছু ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।'
'গাজায় প্যালেস্টাইনে দীর্ঘ ৭ মাস ধরে নির্বিচারে একটা গণহত্যা চলছে, অথচ তারই প্রতিবেশী মুসলিম দেশগুলো এখন পর্যন্ত সেভাবে কথা বলছে না, গোটা বিশ্ব সেভাবে কথা বলছে না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটা রেজুলেশন পাস হয়েছে গতকাল। তারপরেও গাজায় বোমা মেরেছে, প্রায় ১৫ জন হত্যা করেছে। আজ ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ করেছে, সেখানে যুদ্ধ করছে প্রায় দুই বছর ধরে, সেখানে অসংখ্য লোক মারা যাচ্ছে। সারা বিশ্বের যারা বৃহৎ-ধনী দেশ তাদের একটাই লক্ষ্য, সেটা হচ্ছে তাদের স্বার্থ আদায় করা,' যোগ করেন তিনি।
সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ''আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না, তারা দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অধিকারও বিশ্বাস করে না। ৭২-৭৫ এ তারা একবার একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল জাতীয় সংসদের ভেতরে দাঁড়িয়ে মাত্র ১১ মিনিটে এবং এবার এরা সারাদেশে অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে।'
তিনি বলেন, 'সারা বিশ্ব বলেছে যে, এই সরকার জগদ্দল পাথরের মতো বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ওপর চেপে বসেছে এবং তাদের ওপরে জুলুম-অত্যাচার-নির্যাতন করছে। বাংলাদেশের বিরোধী দলের বিরুদ্ধে এক লাখ মামলা দেওয়া হয়েছে, ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।'
স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী ও সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮/০৩/২০২৪
শিক্ষাক্রমে উদ্ভাবনী দক্ষতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে ভবিষ্যতে চাকরির প্রকৃতি অনিশ্চয়তায় আবৃত।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ছাত্রদের আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে কাজ করছে। এটা সম্ভব হবে যদি উচ্চশিক্ষায় উদ্ভাবনের সংস্কৃতি গড়ে তোলা যায়।
অন্যদিকে প্রচলিত উচ্চশিক্ষা কারিকুলামে প্রয়োজনীয় উদ্ভাবন দক্ষতা সে অর্থে কম এবং এ শিক্ষাদান পদ্ধতির মাধ্যমে ছাত্রদের এসব দক্ষতা অর্জন করাও প্রায় অসম্ভব।
কারণ ওইসব দক্ষতা অর্জনে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। সমসাময়িক গবেষণা কারিকুলামে উদ্ভাবন দক্ষতা সংযোজন এবং তা অর্জনে ছাত্রদের অংশগ্রহণমূলক বিকল্প শিক্ষাদান পদ্ধতির ওপর জোর দেওয়া হয়।
আধুনিকায়নের প্রভাব এবং পরিবর্তন সত্ত্বেও কিছু সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য টিকে থাকা দরকার। এশীয় সমাজে বিশেষ করে বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য শিক্ষাগত গতিশীলতাকে প্রভাবিত করে।
শিক্ষকদের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার কারণে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের আলোচনা শোনে এবং শিক্ষককেন্দ্রিক নির্দেশনা বেশি পছন্দ করে। কাজেই এসব বিবেচনায় রেখে প্রচলিত শিক্ষাদান পদ্ধতি সংস্কার করা দরকার এবং উদ্ভাবনতত্ত্ব প্রয়োগ করে শিক্ষায় একটি নতুন কার্যকর মডেল উদ্ভাবন করা যেতে পারে।
এ উপায় অনুসরণ করে আমরা ‘তাত্ত্বিক শিক্ষা’ এবং ‘কর্মজীবনের বাস্তব প্রয়োজনীয়তা’র মধ্যে শূন্যতা পূরণ করতে পারি এবং এটা ছাত্রদের পেশাগত উন্নতির সুবিধাও বাড়াবে।
এতে তারা অধ্যয়নের সময়েই পেশাগত উন্নতি অর্জন করতে পারবে। যাই হোক, দুটি পদ্ধতির মধ্যে কার্যকরভাবে ভারসাম্য আনতে এবং বিভিন্ন শিক্ষার শৈলী পূরণ করতে শিক্ষাবিদদের অধ্যয়ন ও ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। স্পষ্ট যে, শিক্ষকদের বর্তমান টিচিং লোড অত্যন্ত বেশি।
ফলে শিক্ষাদান, মূল্যায়ন এবং ছাত্রদের কর্মক্ষমতা পরিমাপে আরও সময় দেওয়া প্রয়োজন হবে, নতুবা তাদের নতুন পরিবর্তন গ্রহণে অনাগ্রহ সৃষ্টি হবে। এসব সমস্যার সমাধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই করতে হবে।
কার্যকর শিখন বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ। মানবমস্তিষ্কের ‘ওয়ার্কিং মেমরি’ প্রথমে তথ্য গ্রহণ করে তা ‘লংটার্ম মেমরি’তে প্রেরণ করে। যার সময়কাল এবং ক্ষমতা উভয় ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। উল্লেখযোগ্য, যে তথ্য প্রক্রিয়া করা হয় কিন্তু রিহার্সাল করা হয় না, সেকেন্ডের মধ্যে তা হারিয়ে যেতে পারে।
জটিল শিক্ষার পরিবেশ, যেমন লেকচারভিত্তিক শিক্ষা ওয়ার্কিং মেমরিকে সহজেই ওভারলোড করে। ফলে খণ্ডিত তথ্য লংটার্ম মেমরিতে প্রেরণের কারণে শিক্ষা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। লংটার্ম মেমরি অভিজ্ঞতা থেকে সঞ্চিত জ্ঞানের বিশাল ভান্ডার ধারণ করতে পারে।
শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় নিযুক্তি ছাত্রদের লংটার্ম মেমরিতে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে সাহায্য করে, যা তাদের অধ্যয়ন ও কর্মক্ষেত্রে জটিল সমস্যা কার্যকরভাবে সমাধানে লংটার্ম মেমরিতে প্রবেশ করতে পারে।
বিপরীতে প্রচলিত ‘চক ও ডাস্টার’ শিক্ষাদান পদ্ধতি, যা শিক্ষককেন্দ্রিক, এটি প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে অল্প সময়ে বিপুল তথ্য প্রেরণের সঙ্গে জড়িত।
ওয়ার্কিং মেমরি লংটার্ম মেমরিতে তথ্যের একটি বড় অংশ পাঠাতে পারে না। এ পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান অনুশীলন থেকে বাদ দেওয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
ছাত্রকেন্দ্রিক শিখন পদ্ধতি, যেমন প্রজেক্ট বেজ্ড লার্নিং, প্রবলেম সল্ভিং লার্নিং ও ইনকোয়ারি বেজ্ড লার্নিং তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য কার্যকর হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।
সে জন্য প্রচলিত ও উদ্ভাবনী শিক্ষা পদ্ধতির মিশ্রণ প্রয়োজন। ট্র্যাডিশনাল শিক্ষাদান পদ্ধতি তাত্ত্বিক ধারণার জন্য কাঠামো প্রদান করতে পারে।
বিকল্প পদ্ধতি সৃজনশীলতা ও স্বাধীন শিক্ষাকে উৎসাহিত করতে পারে। যাই হোক, দুটি ভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে কার্যকরভাবে ভারসাম্য আনতে, বিভিন্ন শিক্ষা পদ্ধতি জানতে এবং সফলভাবে প্রয়োগ করতে শিক্ষাবিদদের ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
উদ্ভাবনের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্র ও সমাজে ব্যাপকভাবে জ্ঞান ও ধারণা তৈরি এবং প্রয়োগ করতে সক্ষম হওয়া যায়। ক্রিটিক্যাল থিংকিং, ক্রিয়েটিভিটি, প্রবলেম সল্ভিং, এন্টারপ্রেনিউরশিপ, ডিসিশন মেকিং ও লাইফলং লার্নিং উদ্ভাবনের জন্য অপরিহার্য। গবেষণা বলে, যেসব উদ্ভাবন দক্ষতা একক পৃথক কোর্সের পরিবর্তে প্রোগ্রামের বিষয়বস্তুর সঙ্গে যুক্ত থাকে, সেগুলো আরও ভালোভাবে শেখা হয়। অতএব, একটি প্রোগ্রামের অধীনে কিছু কোর্স চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
যেখানে উদ্ভাবন দক্ষতা শেখানো ও মূল্যায়ন করা হবে। কোর্সে উদ্ভাবন দক্ষতা একীভূত করার ক্ষেত্রে স্থানীয় অনুষদ সদস্যদের বর্তমানে অভিজ্ঞতার অভাব থাকায় বিদেশি অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে।
একটি প্রোগ্রামের মধ্যে উদ্ভাবন দক্ষতা কারিকুলামে একীভূত করার কৌশল লিটারেচার অধ্যয়নের মাধ্যমে জানা সম্ভব হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ এখানে লিটারেচার অধ্যয়নের ভিত্তিতে বিবিএ প্রোগ্রামে উদ্ভাবন দক্ষতার কয়েকটি একীকরণ কীভাবে করা যায় তা সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো–
ইন্টারডিসিপ্লিনারি প্রজেক্ট: ইন্টারডিসিপ্লিনারি প্রজেক্টের জন্য অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট বা ডিসিপ্লিন যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্সের সঙ্গে সহযোগিতা দরকার। এটি শিক্ষার্থীদের কাছে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে এবং উদ্ভাবনী থিংকিং উৎসাহিত করে।
এন্টারপ্রেনিউরশিপ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট: এ কোর্স উদ্যোক্তা মানসিকতা, সৃজনশীল সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা বিকাশের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। শিক্ষার্থীরা এ কোর্সে ক্রিটিক্যাল থিংকিং ও ক্রিয়েটিভি প্রবলেম-সল্ভিং স্কিল, ব্যবসায়িক মডেল বিকাশ এবং কৌশলগত পরিকল্পনা সম্পর্কে শেখে।
কন্টিনিউয়াস লার্নিং অ্যান্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট: কন্টিনিউয়াস লার্নিং, প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং লাইফলং লার্নিংয়ের দক্ষতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা মডিউল বা কর্মশালাকে বিবিএ পাঠ্যক্রমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। বিষয়গুলোর মধ্যে টাইম ম্যানেজমেন্ট, লক্ষ্য নির্ধারণ, নেটওয়ার্কিং এবং ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
প্রজেক্ট বেজ্ড লার্নিং ও প্রবলেম বেজ্ড লার্নিং দুটি বিকল্প শিক্ষাদান পদ্ধতি, যা প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান বা মানবিকসহ উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন শাখায় সফলভাবে অভিযোজিত হয়েছে।
স্থাপত্য, ব্যবসা, আইন, প্রকৌশল, সমাজকর্ম, শিক্ষা এবং অন্য অনেক পেশাগত ক্ষেত্রের প্রোগ্রামগুলোও এ দুটি বিকল্প শিক্ষাদান পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিকল্প শিক্ষাদান পদ্ধতি ব্যবহারের কথা বলতে শুনি না। শিক্ষকদের ট্র্যাডিশনাল ‘চক অ্যান্ড ডাস্টার’ শিক্ষাদান পদ্ধতির সঙ্গে এ দুটি বিকল্প শিক্ষাদান পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
প্রযুক্তির জটিল প্রকৃতি এবং বিভিন্ন সামাজিক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চশিক্ষা কারিকুলামে উদ্ভাবনমূলক দক্ষতা সংযোজনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার সময় এসেছে। শিক্ষকদের তাদের প্রোগ্রামে বিকল্প শিখন পদ্ধতি ব্যবহারের উপযুক্ত কোর্স চিহ্নিত এবং ছাত্রদের উদ্ভাবন যোগ্যতা মূল্যায়নের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
কাজটি করতে ব্যর্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করতে পারবে না। চাহিদামাফিক পাঠ্যক্রম প্রণয়ন এবং উদ্ভাবনী শিক্ষা ও শেখার বিকাশ অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এম. এম. শহিদুল হাসান: প্রাক্তন উপাচার্য, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮/০৩/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজের গণিত শিক্ষক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে ও বেশি নম্বর দেওয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় এবং ক্লাস চলাকালে শ্রেণিকক্ষে বসেই প্রাইভেট পড়ানোর অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
গত রবিবার (২৪ মার্চ) শিক্ষার্থীরা সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর এ লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ২৪তম বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডার জাকির হোসেন। তিনি ২০০৫ সালের জুলাই মাসে উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে তিনি একই কর্মস্থলে কর্মরত। কলেজের শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদ পদে অতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তিনি কলেজে ক্লাস চলাকালীন প্রাইভেট পড়ান এবং নানাভাবে শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন।
ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয়ে শিক্ষার্থীরা তার কাছে প্রাইভেট পড়েন। শিক্ষার্থীরা এর আগেও তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো সমাধান হয়নি।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজের গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মসুদ রানা পাপ্পু, মারুফ সিদ্দিক, সাজ্জাদ হোসেন খান, রাব্বি, অনন্ত রানাসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষক জাকির হোসেন অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কলেজ চলাকালীন ক্লাসে বসে প্রাইভেট পড়ান।
এ ছাড়া তিনি অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর বেশি দেওয়ার কথা বলে থেকে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা করে আদায় করেছেন।
তারা আরও বলেন, সরকারি পরিপত্রে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য ১৫০ টাকার বেশি নেওয়ার নিয়ম নেই। অথচ তিনি প্রতি শিক্ষার্থীর কাছে থেকে ব্যবহারীক পরীক্ষা বাবদ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা করে আদায় করেছেন। তার দাবিকৃত টাকা না দিলে তিনি শিক্ষার্থীদের ফেল করানোরও ভয় দেখান।
ফলে আমরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ করেছি। অভিযোগ তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
বুধবার দুপুরে উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজের অধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর মঞ্জুর মোর্শেদ ভুইয়া বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দিয়েছে।
এ ছাড়া ২৫ মার্চ আমার কাছে লিখিত একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ সিনিয়র শিক্ষকদের দায়িত্ব দিয়েছি বিষয়টি সমাধানের জন্য।
উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজের গণিত শিক্ষক জাকির হোসেনের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি নির্দোষ। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। এ বিষয়ে আমার কথা বলা নিষেধ।
প্রিন্সিপাল স্যার আমাকে এ বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। আপনি এ বিষয়ে জানতে প্রিন্সিপাল স্যার ও শিক্ষক প্রতিনিধি সাইফুল স্যারের সঙ্গে কথা বলেন।
উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে অনিয়ম পাওয়া গেলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮/০৩/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করাসহ ১৩ নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিষিদ্ধ করা হয়েছে আতশবাজি পোড়ানো ও ভুভুজেলা বাজানো। বাংলা নববর্ষ নিয়ে অপপ্রচার চালালে আনা হবে আইনের আওতায়।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সারাদেশের মতো রাজধানীর রমনা বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল, রবীন্দ্র সরোবর, কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ঢাকা মহানগর ছাড়াও সারা দেশে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স ও মেডিকেল টিম থাকবে।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানি, ছিনতাই, পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট এবং গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ।
কারাগারগুলোতে উন্নত খাবার পরিবেশন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ফানুস বা আতশবাজি পোড়ানো যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮/০৩/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ওমরাহ করার ক্ষেত্রে এবার আরো বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় কিছু নির্দিষ্ট জিনিস বহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, আতশবাজিও রয়েছে নিষিদ্ধ জিনিসের তালিকায়। এছাড়া লেজার লাইট, নকল মুদ্রা এবং অনিবন্ধিত ওষুধ নিয়েও কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর অতিথিরা সৌদিতে ঢোকার আগে নিশ্চিত করবেন যে, কারো কাছে যেন এইসব জিনিস না থাকে। ' এর আগে রমজানে একাধিকবার ওমরাহ করার বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। জানিয়ে সম্ভাব্য ভিড় এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম আল আরাবিয়া। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ৮২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৮০ জন মুসুল্লি চলতি মৌসুমে ওমরাহ পালন করেছেন।
রমজান মাসে হাজারো মানুষ সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাবা শরীফে ছুটে আসেন। নামাজ পড়া ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যেই তারা মূলত এখানে আসেন।
যার ফলে এ সময়য় পবিত্র এই ভূমিতে মানুষের ভিড় অনেক বেশি থাকে। এদিকে গত সপ্তাহে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় রমজান মাসে একবারের বেশি ওমরাহ পালনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। পবিত্র মাসে ভিড় কমাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সবাই যাতে স্বচ্ছন্দে ওমরাহ পালন করতে পারে, তা নিশ্চিতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮/০৩/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চলতি রমজান মাসের প্রথম ১৫ দিনে ওমরাহ পালন করেছেন ৮২ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলিম। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম আল আরাবিয়া।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ৮২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৮০ জন মুসুল্লি চলতি মৌসুমে ওমরাহ পালন করেছেন। রমজান মাসে হাজারো মানুষ সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাবা শরীফে ছুটে আসেন। নামাজ পড়া ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যেই তারা মূলত এখানে আসেন।
যার ফলে এ সময়য় পবিত্র এই ভূমিতে মানুষের ভিড় অনেক বেশি থাকে। এদিকে গত সপ্তাহে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় রমজান মাসে একবারের বেশি ওমরাহ পালনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
পবিত্র মাসে ভিড় কমাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। সবাই যাতে স্বচ্ছন্দে ওমরাহ পালন করতে পারে, তা নিশ্চিতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৭/০৩/২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আগেই বদলির প্রজ্ঞাপন দাবি করেছে এনটিআরসিএ'র সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের সামনে বুধবার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানান তারা।
ইনডেক্সধারী বদলি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মো. সরোয়ার মানববন্ধনে বলেন, সরকার বদলির উদ্যোগ নিয়ে দুটি কর্মশালার আয়োজন করলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। এই অবস্থায় শিক্ষকরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
আমাদের দাবি, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আগে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে বদলির ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ, দূর-দূরান্তে অনেক শিক্ষক প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির মাধ্যমে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
বদলির সুযোগ না থাকায় অনেক নারী শিক্ষকের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই।
ইনডেক্সধারী বদলি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সম্পাদক মো. সাকিবুল ইসলাম বলেন, মাত্র সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতনে নিজ বাড়ি থেকে শতশত কিলোমিটার দূরে চাকরি করা খুব কষ্টের। বৈশ্বিক পরিস্থিতি, মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বর্তমান বাজারে এই সামান্য টাকায় কোনোভাবেই প্রয়োজন মেটানো সম্ভব নয়।
বদলির প্রজ্ঞাপন দিয়ে শিক্ষকদের বাড়ির কাছাকাছি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ দেওয়ার জোর দাবি জানান শিক্ষকরা।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৭/০৩/২০২৪